পাকিস্তানে দুটি থানায় আত্মঘাতী হামলা

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দুটি থানায় আত্মঘাতী হামলায় স্থানীয় একজন পুলিশপ্রধান নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পুলিশের আরও অন্তত চারজন কর্মকর্তা। পুলিশের কর্মকর্তারা এ কথা জানান। অন্য এক খবরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বলেছে, গতকাল শনিবার আল-কায়েদার গোপন আস্তানায় বিমান হামলায় ৩০ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।
পুলিশের কর্মকর্তা গুল জারিন বলেন, গতকাল শনিবার মানশেহরা জেলার দুটি থানায় কয়েক মিনিটের ব্যবধানে হামলা দুটি চালানো হয়। মানশেহরা শহরের একটি থানায় এক আত্মঘাতী হামলাকারী নিজেকে উড়িয়ে দিলে স্থানীয় পুলিশপ্রধান খলিল খান নিহত হন। হামলায় দুজন পথচারী আহত হয়। আত্মঘাতী হামলাকারীর সহযোগী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
দ্বিতীয় হামলাটি চালানো হয় বালাকোট শহরের ২৫ কিলোমিটার দূরের একটি থানায়। দুই হামলাকারী থানায় ঢুকে হামলা চালানোর পর দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়ে যায়। এতে একজন হামলাকারী নিহত হয়। আহত হন পুলিশের দুজন কর্মকর্তা। একপর্যায়ে দ্বিতীয় হামলাকারী পালিয়ে যায়।
পাকিস্তানের ইসলামপন্থী জঙ্গিরা প্রায়ই নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে থাকে। তবে রাজধানী ইসলামাবাদের প্রায় ৯০ মাইল দূরের মানশেহরা শহরে এ ধরনের হামলার ঘটনা তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
গতকাল পাকিস্তানের আফগান সীমান্তবর্তী গোলযোগপূর্ণ আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় জঙ্গিদের গোপন আস্তানায় পাকিস্তানি বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এ কথা জানায়।
গতকাল দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে ওই হামলা চালানো হয়। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে এমন ইঙ্গিত পাওয়ার পর সাহওয়াল পাহাড়ের গোপন আস্তানা লক্ষ্য করে ওই বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
নিহত মানুষের সংখ্যা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। পশতু আদিবাসী অধ্যুষিত পাকিস্তানের ওই অঞ্চলকে আল-কায়েদার নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। পশ্চিমা কর্মকর্তাদের ধারণা, আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা ও শীর্ষস্থানীয় তালেবান নেতারা ওই অঞ্চলে আত্মগোপন করে আছেন।

No comments

Powered by Blogger.