দেশের আমদানি ও রপ্তানি দুটোই কমেছে
অর্থবছরের প্রথমার্ধে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আয় ও আমদানি ব্যয়—দুটোই আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমে গেছে। বিশ্বমন্দার প্রভাবে এমনটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এতে অবশ্য পণ্য-বাণিজ্যে ঘাটতিও কমে যাওয়ার কথা। তবে ছয় মাসের পণ্য-বাণিজ্যের পূর্ণাঙ্গ পরিসংখ্যান এখনো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে না পাওয়ায় এর প্রকৃত চিত্র জানা সম্ভব হয়নি।
তার পরও ছয় মাসে ৭২৭ কোটি ৩৯ লাখ ডলার রপ্তানি আয়ের বিপরীতে এক হাজার ১১৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলার আমদানি ব্যয়ের ফলে পণ্য-বাণিজ্যে ঘাটতি সাড়ে ৩০০ কোটি ডলার হয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে পণ্য-বাণিজ্যে ঘাটতি ছিল ১৯৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার। তবে তার আগের অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল ২৬৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
রপ্তানির চিত্র: চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০০৯) দেশের রপ্তানি আয় আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ২০ শতাংশ কমে গেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ৭২৭ কোটি ৩৯ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭৭৫ কোটি ৪৭ লাখ ডলার।
চলতি অর্থবছরে সামগ্রিকভাবে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় এক হাজার ৭৬০ কোটি ডলার। আর প্রথমার্ধে বা প্রথম ছয় মাসে কৌশলগত রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৪৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
ইপিবির পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, প্রথম ছয় মাসের রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ কম হয়েছে।
আর একক মাস হিসেবে ডিসেম্বরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬১ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় হয়েছে ১১৭ কোটি ২৮ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কমেছে ২৭ শতাংশ কম।
ইপিবির পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে অর্থাত্ জুলাই মাসে রপ্তানি আয় হয়েছিল ১৪৪ কোটি ৮১ লাখ ডলার, যা আগস্ট মাসে কমে হয় ১৩৬ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে তা আরও কমে হয় যথাক্রমে ১০৬ কোটি ও ১০২ কোটি ৪০ লাখ ডলার। অবশ্য নভেম্বর মাসে তা বেড়ে হয় ১১৯ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।
ইপিবির পরিসংখ্যান থেকে আরও জান যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের রপ্তানি প্রায় আট শতাংশ এবং নিট পোশাকের রপ্তানি ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ কমেছে।
ইপিবির তথ্য অনুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আগের অর্থবছরের (২০০৮-০৯) একই সময়ের তুলনায় ওভেন ও নিট পোশাক ছাড়াও হিমায়িত খাদ্য, চামড়া, পাদুকা, চা, সবজি, হোম টেক্সটাইল, রাসায়নিক দ্রব্য, সার, টেক্সটাইল ফেব্রিক ইত্যাদির রপ্তানি কমে গেছে।
আগের অর্থবছরের রপ্তানি আয় বেড়েছে, এমন পণ্যের তালিকায় রয়েছে কাঁচা পাট, পাটজাত পণ্য, ইলেকট্রনিকস, বাইসাইকেল, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হস্তশিল্পজাত সামগ্রী, টেরিটাওয়েল, কম্পিউটারসেবা ইত্যাদি।
আলোচ্য সময়ে রপ্তানি মূল্যসূচক কমেছে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। অন্যদিকে পরিমাণ সূচক কমেছে ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে মূল্যসূচকে প্রায় চার শতাংশ এবং পরিমাণ সূচকে ১৫ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
আমদানির পরিসংখ্যান: বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথমার্ধে পণ্য আমদানি ব্যয় আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে পাঁচ শতাংশ কমে গেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে পণ্য আমদানি বাবদ বাংলাদেশকে ব্যয় করতে হয়েছে এক হাজার ১১৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। আর ২০০৮-০৯ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আমদানি বাবদ ব্যয় করতে হয়েছিল এক হাজার ১৮১ কোটি ডলার।
পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর মাসে ২১৮ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে, যা আবার ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসের চেয়ে প্রায় ৩৮ শতাংশ বেশি।
তবে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে পণ্য আমদানি বাবদ ব্যয় করতে হয়েছিল ১৫৮ কোটি ১৭ লাখ ডলার, যা আবার তার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ১৭ শতাংশ কম ছিল।
বিশ্বমন্দায় আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম কমে যাওয়ার প্রভাবে বাংলাদেশের আমদানি ব্যয়ও গত এক বছরে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছিল।
তবে এখন আবার আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ছে। এর প্রভাবে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা শুরু হয়েছে এবং আগামী দিনগুলোয় মোট আমদানি ব্যয় আবার বাড়বে বলেও মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে অর্থাত্ জুলাই মাসে আমদানি ব্যয় ছিল ১৭২ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা আগস্ট মাসে আরও কমে হয় ১৫৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বর মাসে অবশ্য তা আবার বেড়ে হয় ১৮১ কোটি ৬০ লাখ ডলার। অক্টোবরে তা আরও বেড়ে হয় ২০৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। তবে নভেম্বর মাসে তা কমে হয় ১৮২ কোটি ডলার।
এতে অবশ্য পণ্য-বাণিজ্যে ঘাটতিও কমে যাওয়ার কথা। তবে ছয় মাসের পণ্য-বাণিজ্যের পূর্ণাঙ্গ পরিসংখ্যান এখনো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে না পাওয়ায় এর প্রকৃত চিত্র জানা সম্ভব হয়নি।
তার পরও ছয় মাসে ৭২৭ কোটি ৩৯ লাখ ডলার রপ্তানি আয়ের বিপরীতে এক হাজার ১১৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলার আমদানি ব্যয়ের ফলে পণ্য-বাণিজ্যে ঘাটতি সাড়ে ৩০০ কোটি ডলার হয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে পণ্য-বাণিজ্যে ঘাটতি ছিল ১৯৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার। তবে তার আগের অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল ২৬৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
রপ্তানির চিত্র: চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০০৯) দেশের রপ্তানি আয় আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ২০ শতাংশ কমে গেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ৭২৭ কোটি ৩৯ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭৭৫ কোটি ৪৭ লাখ ডলার।
চলতি অর্থবছরে সামগ্রিকভাবে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় এক হাজার ৭৬০ কোটি ডলার। আর প্রথমার্ধে বা প্রথম ছয় মাসে কৌশলগত রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৪৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
ইপিবির পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, প্রথম ছয় মাসের রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ কম হয়েছে।
আর একক মাস হিসেবে ডিসেম্বরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬১ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় হয়েছে ১১৭ কোটি ২৮ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কমেছে ২৭ শতাংশ কম।
ইপিবির পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে অর্থাত্ জুলাই মাসে রপ্তানি আয় হয়েছিল ১৪৪ কোটি ৮১ লাখ ডলার, যা আগস্ট মাসে কমে হয় ১৩৬ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে তা আরও কমে হয় যথাক্রমে ১০৬ কোটি ও ১০২ কোটি ৪০ লাখ ডলার। অবশ্য নভেম্বর মাসে তা বেড়ে হয় ১১৯ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।
ইপিবির পরিসংখ্যান থেকে আরও জান যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের রপ্তানি প্রায় আট শতাংশ এবং নিট পোশাকের রপ্তানি ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ কমেছে।
ইপিবির তথ্য অনুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আগের অর্থবছরের (২০০৮-০৯) একই সময়ের তুলনায় ওভেন ও নিট পোশাক ছাড়াও হিমায়িত খাদ্য, চামড়া, পাদুকা, চা, সবজি, হোম টেক্সটাইল, রাসায়নিক দ্রব্য, সার, টেক্সটাইল ফেব্রিক ইত্যাদির রপ্তানি কমে গেছে।
আগের অর্থবছরের রপ্তানি আয় বেড়েছে, এমন পণ্যের তালিকায় রয়েছে কাঁচা পাট, পাটজাত পণ্য, ইলেকট্রনিকস, বাইসাইকেল, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হস্তশিল্পজাত সামগ্রী, টেরিটাওয়েল, কম্পিউটারসেবা ইত্যাদি।
আলোচ্য সময়ে রপ্তানি মূল্যসূচক কমেছে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। অন্যদিকে পরিমাণ সূচক কমেছে ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে মূল্যসূচকে প্রায় চার শতাংশ এবং পরিমাণ সূচকে ১৫ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
আমদানির পরিসংখ্যান: বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথমার্ধে পণ্য আমদানি ব্যয় আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে পাঁচ শতাংশ কমে গেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে পণ্য আমদানি বাবদ বাংলাদেশকে ব্যয় করতে হয়েছে এক হাজার ১১৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। আর ২০০৮-০৯ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আমদানি বাবদ ব্যয় করতে হয়েছিল এক হাজার ১৮১ কোটি ডলার।
পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর মাসে ২১৮ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে, যা আবার ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসের চেয়ে প্রায় ৩৮ শতাংশ বেশি।
তবে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে পণ্য আমদানি বাবদ ব্যয় করতে হয়েছিল ১৫৮ কোটি ১৭ লাখ ডলার, যা আবার তার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ১৭ শতাংশ কম ছিল।
বিশ্বমন্দায় আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম কমে যাওয়ার প্রভাবে বাংলাদেশের আমদানি ব্যয়ও গত এক বছরে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছিল।
তবে এখন আবার আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ছে। এর প্রভাবে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা শুরু হয়েছে এবং আগামী দিনগুলোয় মোট আমদানি ব্যয় আবার বাড়বে বলেও মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে অর্থাত্ জুলাই মাসে আমদানি ব্যয় ছিল ১৭২ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা আগস্ট মাসে আরও কমে হয় ১৫৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বর মাসে অবশ্য তা আবার বেড়ে হয় ১৮১ কোটি ৬০ লাখ ডলার। অক্টোবরে তা আরও বেড়ে হয় ২০৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। তবে নভেম্বর মাসে তা কমে হয় ১৮২ কোটি ডলার।
No comments