রাজ্জাক-ঝড়ে দুবাইয়ে সমতা

যখন ব্যাট করতে নামলেন, জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ৪২ বলে ৭১। উইকেট পড়ে গেছে পাঁচটি, বাইরে যাঁরা আছেন তাঁদের মূল কাজ বোলিং আর উইকেট কিপিং। প্রথম বলে কোনো রান নেই, পরের দু বলে দুটি ছয়। আজমল শাহজাদের বলে আরেকটি ছয় মেরে পাকিস্তানকে জিতিয়ে আব্দুল রাজ্জাক যখন ব্যাট তুললেন, তখনো বাকি পুরো এক ওভার! দুবাইয়ে কাল ৪ উইকেটের জয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা ফেরাল পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে হেরেছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এই তিনটি ছাড়াও রাজ্জাকের ইনিংসে ছয় আছে আরও দুটি। কোনো চার নেই, পাঁচ ছয়ে ১৮ বলে ৪৬ রানের ইনিংসটি টি-টোয়েন্টিতে রাজ্জাকের সর্বোচ্চ। অভিষেক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ওভারেই দু উইকেট নিয়ে ১৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানকে বড় ধাক্কা দেন শাহজাদ। ১৩তম ওভারের শেষ বলে ৩৬ রান করা উমর আকমলের বিদায়ের সময় স্কোর ৫ উইকেটে ৭৮, মনে হচ্ছিল আরেকটি পরাজয়ই জুটবে পাকিস্তানের। ষষ্ঠ উইকেটে রাজ্জাক-ফাওয়াদের ২৫ বলে ৪৮ রানের জুটি জয়ের দিকে এগিয়ে নেয় পাকিস্তানকে। ২০ বলে ২৮ রান করেন ফাওয়াদ আলম। ৪ ওভারে ১৪ রান, ইংল্যান্ডের পক্ষে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ডের পাশাপাশি গ্রায়েম সোয়ান আউট করেছেন আফ্রিদি, আকমল ও মালিককে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা আফ্রিদি বোলিংয়ে ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি, রান করেছেন ৮।
ইংল্যান্ড ১৪৮ করতে পেরেছিল মূলত কেভিন পিটারসেনের ৪০ বলে ৬২ রানের ইনিংসের কল্যাণে। দ্বিতীয় উইকেটে জোনাথন ট্রটকে নিয়ে গড়েন ৯৮ রানের জুটি। ওয়েবসাইট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৪৮/৬ (পিটারসেন ৬২, ট্রট ৩৯; আরাফাত ৩/৩২, পাকিস্তান: ১৯ ওভারে ১৪৯/৬ (রাজ্জাক ৪৬*, আকমল ৩৬, ফাওয়াদ ২৮, সোয়ান ৩/১৪)। ম্যাচ-সেরা: আব্দুল রাজ্জাক, সিরিজ-সেরা: গ্রায়েম সোয়ান।

No comments

Powered by Blogger.