বঙ্গবন্ধু হত্যার চূড়ান্ত বিচারের রায় -শোক সান্ত্বনা পেল, জাতি পেল ন্যায়বিচারের আস্থা
যিনি ইতিহাসের নায়ক, তাঁর হত্যার বিচারের পরিণতিও ঐতিহাসিক ঘটনা হবে—সন্দেহ নেই। জাতির বিবেক আগেই যে খুনিদের নৈতিক বিচার করে রেখেছিল, আদালতের এজলাসে তাঁদের আইনি বিচারও সমাপ্ত হলো। এবং সেই বিচারে বছরের পর বছর ধরে আইনের সব প্রক্রিয়া যাচাই হয়েছে। শুনানির পর শুনানি ও আইনের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার কিছুই বাদ যায়নি। এমনকি রিভিউয়ের সুযোগও অবারিত। আসামিপক্ষকে সব আইনি প্রতিকারের আশ্রয়লাভের অধিকার দেওয়া এই হত্যা মামলার অনন্য বৈশিষ্ট্য। তাই দৃঢ়তার সঙ্গেই বলা যায়, প্রচলিত আইনে স্বচ্ছভাবে বিচার নিষ্পন্ন হওয়ায় এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। এই বিচার কেবল হত্যাকারীদেরই শাস্তি দিল না, হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতির বিরুদ্ধেও বিরাট হুঁশিয়ারি ও রক্ষাকবচ হিসেবেও বিবেচিত হতে থাকবে।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে হত্যা, প্রতিহিংসা ও চক্রান্তের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তনের ধারা সূচিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের প্রক্রিয়াতেই উন্মোচিত হলো ষড়যন্ত্র ও অশুভ শক্তির নানা চেহারা। এর ফলে ষড়যন্ত্রাশ্রয়ী রাজনৈতিক শক্তির ওপর বিরাট অভিঘাত এল। তাই এই ঐতিহাসিক রায়ের পর জাতীয় রাজনীতিতে রক্তপাত ও ষড়যন্ত্রের উত্তরাধিকার চিরতরে পরিত্যাগ করার সংকল্প ও সমঝোতা এখন বড়ই প্রত্যাশিত।
৩৪ বছর ধরে জাতি দায়মুক্তির সুযোগপ্রত্যাশী ছিল, ৩৪ বছর ধরে নিহতদের স্বজনেরা ন্যায়বিচারের প্রতীক্ষায় দিন গুনছিলেন। এই বিচারের মাধ্যমে জাতীয় দায় মিটল এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের জীবিত সদস্যরাও ন্যায়বিচার পেলেন। রায় ঘোষণার পরের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াও রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ দানের নিয়ম রয়েছে। এখন সে প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে ১২ আসামির পাঁচজন কারাগারে আটক রয়েছেন, বাকি সাতজনের একজন মৃত এবং ছয়জন বিদেশে পলাতক রয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের যত দ্রুত সম্ভব, বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে শাস্তির মুখোমুখি করা এখন সরকারের দায়িত্ব।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড কোনো বিদ্রোহ ছিল না। তা ছিল হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের বর্বর বাস্তবায়ন। আদালতের বিচারের রায়ের মধ্যেও এই সত্যের প্রমাণ ও স্বীকৃতি মিলেছে। ষড়যন্ত্রটি যে কত গভীর ছিল, তা বোঝা যায় খুনিচক্রের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং হত্যাকাণ্ডের এক মাস ১০ দিনের মাথায় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিচারের পথ রুদ্ধ করে দেওয়ার বিষয়টির দিকে তাকালে। হত্যা ও ষড়যন্ত্রের গর্ভ থেকে যে রাজনীতিটি সেদিন দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, নানা চেহারায় সেই রাজনীতিই ২১ বছর ধরে দায়মুক্তি অধ্যাদেশের বর্ম দিয়ে খুনিচক্রকে রক্ষা করে। আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল করলে বিচারের দরজা খুলে যায়। শেষ পর্যন্ত তা পরিণতিতে পৌঁছায় বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী আ ফ ম মহিতুল ইসলামের দায়ের করা মামলার জের ধরে। অবশেষে প্রমাণিত হলো, কোনো রাজনীতিই হত্যার বিচার আটকে রাখতে পারে না। এই রায় বাংলাদেশের অন্যান্য রাজনৈতিক হত্যাসহ বিচারবহির্ভূত সব হত্যাকাণ্ডের বিচারের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করবে।
১৫ আগস্টের কালরাতে নিহতদের বাইরে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কেবল দুজনই বেঁচে আছেন। প্রয়াত নেতার রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। অন্যজন বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা। পিতা-মাতা-ভাই-বোন-পরিজন হারানো দুই বোন আজ নিশ্চয় শোকের অন্ধকারে সান্ত্বনার রুপালি রেখা দেখতে পাচ্ছেন। জাতি আজ তাঁদের সহমর্মী।
আমরা আশা করব, বিচার যেমন আইনানুগ হয়েছে, শাস্তিদানের প্রক্রিয়াও তেমনি আইনানুগভাবে ও দ্রুত সম্পন্ন হোক। এর মাধ্যমে অবসান ঘটুক ৩৪ বছরের দীর্ঘ এক কলঙ্কিত অধ্যায়ের। আশা করি, এ রায় ঘোষণা সব মহলের কাছে জাতীয় ইতিহাসের একটি বিয়োগান্ত ঘটনার সুষ্ঠু পরিণতি হিসেবেই বিবেচিত হবে। এর মাধ্যমে সুস্থ ধারায় রাজনৈতিক চর্চা ও আইনের শাসন বিপুলভাবে উদ্দীপ্ত হোক।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে হত্যা, প্রতিহিংসা ও চক্রান্তের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তনের ধারা সূচিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের প্রক্রিয়াতেই উন্মোচিত হলো ষড়যন্ত্র ও অশুভ শক্তির নানা চেহারা। এর ফলে ষড়যন্ত্রাশ্রয়ী রাজনৈতিক শক্তির ওপর বিরাট অভিঘাত এল। তাই এই ঐতিহাসিক রায়ের পর জাতীয় রাজনীতিতে রক্তপাত ও ষড়যন্ত্রের উত্তরাধিকার চিরতরে পরিত্যাগ করার সংকল্প ও সমঝোতা এখন বড়ই প্রত্যাশিত।
৩৪ বছর ধরে জাতি দায়মুক্তির সুযোগপ্রত্যাশী ছিল, ৩৪ বছর ধরে নিহতদের স্বজনেরা ন্যায়বিচারের প্রতীক্ষায় দিন গুনছিলেন। এই বিচারের মাধ্যমে জাতীয় দায় মিটল এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের জীবিত সদস্যরাও ন্যায়বিচার পেলেন। রায় ঘোষণার পরের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াও রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ দানের নিয়ম রয়েছে। এখন সে প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে ১২ আসামির পাঁচজন কারাগারে আটক রয়েছেন, বাকি সাতজনের একজন মৃত এবং ছয়জন বিদেশে পলাতক রয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের যত দ্রুত সম্ভব, বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে শাস্তির মুখোমুখি করা এখন সরকারের দায়িত্ব।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড কোনো বিদ্রোহ ছিল না। তা ছিল হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের বর্বর বাস্তবায়ন। আদালতের বিচারের রায়ের মধ্যেও এই সত্যের প্রমাণ ও স্বীকৃতি মিলেছে। ষড়যন্ত্রটি যে কত গভীর ছিল, তা বোঝা যায় খুনিচক্রের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং হত্যাকাণ্ডের এক মাস ১০ দিনের মাথায় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিচারের পথ রুদ্ধ করে দেওয়ার বিষয়টির দিকে তাকালে। হত্যা ও ষড়যন্ত্রের গর্ভ থেকে যে রাজনীতিটি সেদিন দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, নানা চেহারায় সেই রাজনীতিই ২১ বছর ধরে দায়মুক্তি অধ্যাদেশের বর্ম দিয়ে খুনিচক্রকে রক্ষা করে। আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল করলে বিচারের দরজা খুলে যায়। শেষ পর্যন্ত তা পরিণতিতে পৌঁছায় বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী আ ফ ম মহিতুল ইসলামের দায়ের করা মামলার জের ধরে। অবশেষে প্রমাণিত হলো, কোনো রাজনীতিই হত্যার বিচার আটকে রাখতে পারে না। এই রায় বাংলাদেশের অন্যান্য রাজনৈতিক হত্যাসহ বিচারবহির্ভূত সব হত্যাকাণ্ডের বিচারের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করবে।
১৫ আগস্টের কালরাতে নিহতদের বাইরে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কেবল দুজনই বেঁচে আছেন। প্রয়াত নেতার রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। অন্যজন বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা। পিতা-মাতা-ভাই-বোন-পরিজন হারানো দুই বোন আজ নিশ্চয় শোকের অন্ধকারে সান্ত্বনার রুপালি রেখা দেখতে পাচ্ছেন। জাতি আজ তাঁদের সহমর্মী।
আমরা আশা করব, বিচার যেমন আইনানুগ হয়েছে, শাস্তিদানের প্রক্রিয়াও তেমনি আইনানুগভাবে ও দ্রুত সম্পন্ন হোক। এর মাধ্যমে অবসান ঘটুক ৩৪ বছরের দীর্ঘ এক কলঙ্কিত অধ্যায়ের। আশা করি, এ রায় ঘোষণা সব মহলের কাছে জাতীয় ইতিহাসের একটি বিয়োগান্ত ঘটনার সুষ্ঠু পরিণতি হিসেবেই বিবেচিত হবে। এর মাধ্যমে সুস্থ ধারায় রাজনৈতিক চর্চা ও আইনের শাসন বিপুলভাবে উদ্দীপ্ত হোক।
No comments