বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল (১৯-১১-২০০৯) বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন। আদালতের দেওয়া এই রায়ের সংক্ষিপ্ত আদেশের বিবরণ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
সংক্ষিপ্ত আদেশ
পরে বিস্তারিতভাবে লিপিবদ্ধ করে রাখার স্বার্থে, এখানে আমরা নিম্নোক্ত আদেশের বিবরণ দিচ্ছি।
আপিলকারী মেজর মো. বজলুল হুদা, লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল সুলতান শাহারিয়ার রশিদ খান, লে. কর্নেল মুহিউদ্দিন (আর্টিলারি) এবং মেজর এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার) হাইকোর্ট বিভাগের ৩০ এপ্রিল ২০০১ তারিখের রায় ও আদেশ; ১৯৯৮ সালের ডেথ রেফারেন্স নং ৩০ এবং ১৯৯৮ সালের ক্রিমিনাল আপিল নং ৩০, ১৯৯৮ সালের ২৬০৪, ১৯৯৮ সালের ২৬১৩ এবং ১৯৯৮ সালের ২৬১৬ এবং উপরিউক্ত বিষয়ে হাইকোর্ট ডিভিশনের ডিভিশন বেঞ্চের প্রথম ও দ্বিতীয় বিজ্ঞ বিচারকের ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে পাঁচটি লিভ পিটিশন দাখিল করেছেন।
নিম্নোক্ত দফাগুলো বিবেচনায় নিয়ে তাঁদের আপিল লিভ মঞ্জুর করা হলো:
ক) যেহেতু ডিভিশন বেঞ্চের বিজ্ঞ বিচারপতিরা ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়েছেন এবং তাতে স্বাক্ষর করেছেন, তৃতীয় বিচারপতি রেফারেন্সটি সামগ্রিকভাবে বিবেচনা না করে—সব অভিযুক্তের বিষয়ে সামগ্রিক বিবেচনা ছাড়াই কেবল ছয় অভিযুক্তের প্রসঙ্গ বিবেচনা করতে গিয়ে, আইনের মৌলিক লঙ্ঘন করেছেন।
খ) এফআইআর দায়ের করায় ২১ বছরের বিলম্ব অগ্রহণযোগ্য; এই অযৌক্তিক বিলম্ব অসাধু উদ্দেশ্যেরই প্রকাশ এবং বানোয়াট গল্প সৃষ্টি করে আপিলকারীদের মিথ্যার মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করার নকশারই অংশ এটি—হাইকোর্ট ডিভিশন এ বিষয়ে আলোকপাত না করে এবং আইনের ভুল প্রয়োগের মাধ্যমে আসামিদের চরম দণ্ড বহাল রেখেছেন।
গ) যেহেতু সাক্ষ্য-প্রমাণ থেকে উন্মোচিত হয় যে, একটি সামরিক বিদ্রোহের ঘটনা থেকেই সেই সময়ের প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর পরিবারবর্গ খুন হয়েছিল এবং উল্লিখিত হত্যাকাণ্ডটি যেহেতু নিছক একটি সাধারণ খুন নয়, সেহেতু সাধারণ অপরাধ আদালতে আপিলকারীদের বিচার গ্রাহ্য হবে না।
ঘ) যেহেতু সাক্ষ্য-প্রমাণাদি থেকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোনো অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রকে উন্মোচন করে না, বরং মুজিব সরকারের বদলের উদ্দেশ্যে সেনা বিদ্রোহের ষড়যন্ত্র হিসেবেই উন্মোচিত হয়, সেহেতু দোষী সাব্যস্ত করা ও শাস্তি দেওয়া বেআইনি হয়েছে।
ঙ) যেহেতু রাষ্ট্রপক্ষ আপিলকারীদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারা মোতাবেক অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে এবং সাক্ষ্য-প্রমাণাদি সতর্কভাবে খতিয়ে দেখা হয়নি, সেহেতু ন্যায়বিচার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে...
ওপরের যুক্তিগুলোর বিষয়ে আমাদের মতামত নিচে উল্লেখ করা হলো:
ক) ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৭৮ ও ৪২৯ ধারার আলোকে এটা তৃতীয় বিজ্ঞ বিচারপতিই নির্ধারণ করবেন যে, কোন কোন বিষয়ে তিনি শুনানি গ্রহণ করবেন এবং এটা স্বীকৃত যে, তিনি এ ব্যাপারে পুরোপুরি স্বাধীন যে তিনি সেই বিতর্কের নিরসন করবেন, যা উপযুক্ত বলে মনে করবেন। সুতরাং ছয়জনের বিষয়ে, যাঁদের ব্যাপারে বিচারপতিদ্বয় ছিলেন দ্বিধাবিভক্ত তৃতীয় বিজ্ঞ বিচারপতি সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপযুক্ত এবং বাকি যে নয়জনের ব্যাপারে ডিভিশন বেঞ্চের বিজ্ঞ বিচারপতিদের মতৈক্য ছিল, তাঁদের ব্যাপারে তৃতীয় বিচারপতিও ছিলেন একমত।
খ) এফআইআর দায়েরে বিলম্বের ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের ব্যাখ্যা বিজ্ঞ দায়রা জজ ও হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চের বিজ্ঞ বিচারপতিদ্বয় তথ্য-প্রমাণ যাচাই করে গ্রহণ করেছেন। এই পর্যবেক্ষণে (ফাইন্ডিংস) মতৈক্য আছে, সুতরাং আমাদের মতে, এ ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপ করা আবশ্যক নয়।
গ) কোনো হত্যার অপরাধ সেনা আইন-১৯৫২-এর ৫৯(২) ধারার অন্তর্ভুক্ত হবে এই শর্তে যদি ওই অপরাধ সংঘটনের সময় অপরাধীরা ‘নিয়মিত চাকরি’তে থেকে থাকেন, কিন্তু সেনা আইনের ৮(১) ধারা অনুযায়ী আবেদনকারীরা ‘নিয়মিত চাকরি’তে ছিলেন না, ফলে সাধারণ ফৌজদারি আইনে তাঁদের বিচারে কোনো বাধা সেনা আইনে নেই। দ্বিতীয়ত, এমনকি এটা যদি ধরেও নেওয়া হয় যে এটা একটা ‘সাধারণ অপরাধ’ যা সেনা আইনের ৮(২) ধারার আলোকে এ ধরনের অপরাধের ৯৪ ধারা অনুযায়ী বিচারে কোনো বাধা নেই।
ঘ) এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার কোনো আইনানুগ তথ্য-প্রমাণ নেই যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তিনজন নিরাপত্তারক্ষীসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিহত হওয়ার ঘটনা সেনা বিদ্রোহের ফল। আমাদের মত হলো যে, এটা বিদ্রোহ সংঘটনের জন্য কোনো ফৌজদারি ষড়যন্ত্র নয়। বরং এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার জন্য একটি ফৌজদারি ষড়যন্ত্র।
ঙ) হাইকোর্ট বিভাগের বিজ্ঞ বিচারপতিরা বিশ্বাস করেন যে, রাষ্ট্রপক্ষ বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে আবেদনকারীদের ও অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এবং আবেদনকারীরা এটা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন যে, হাইকোর্ট বিভাগ বড় ধরনের অবিচার করেছেন অথবা ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ করে বিচার-বিভ্রাট ঘটিয়েছেন। যদিও এটা আবেদনকারীদের বিষয়, তবু যথাযথ মূল্যায়ন ও উপযুক্ত প্রমাণ ব্যতীত হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়া রায়ে হস্তক্ষেপ করার কোনো কারণ আমরা খুঁজে পাইনি।
চ) আবেদনকারীরা তাঁদের বিরুদ্ধে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের কঠোরতা হ্রাস করার পক্ষে কোনো যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেননি। আমরা হাইকোর্ট ডিভিশন ও দায়রা জজের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের আদেশকে পরিবর্তন করাকে সমীচীন মনে করিনি।
অতএব ২০০৭-এর ফৌজদারি আপিল নং ৫৫-৫৯ ও জেল আপিল নং ২ এবং ২০০১-এর ক্রিমিনাল মিসসেলেনিয়াস পিটিশন নং ৮ ও ২০০০ সালের ক্রিমিনাল রিভিউ পিটিশন নং ৩ খারিজ করে দেওয়া হলো।
এই আদেশের মাধ্যমে এই আদালতের দেওয়া আগের সব স্থগিতাদেশ বাতিল করা হলো।
এই আদেশ পূর্ণাঙ্গ রায়ের একটি অংশ হবে।
(ইংরেজি থেকে অনূদিত)
সংক্ষিপ্ত আদেশ
পরে বিস্তারিতভাবে লিপিবদ্ধ করে রাখার স্বার্থে, এখানে আমরা নিম্নোক্ত আদেশের বিবরণ দিচ্ছি।
আপিলকারী মেজর মো. বজলুল হুদা, লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল সুলতান শাহারিয়ার রশিদ খান, লে. কর্নেল মুহিউদ্দিন (আর্টিলারি) এবং মেজর এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার) হাইকোর্ট বিভাগের ৩০ এপ্রিল ২০০১ তারিখের রায় ও আদেশ; ১৯৯৮ সালের ডেথ রেফারেন্স নং ৩০ এবং ১৯৯৮ সালের ক্রিমিনাল আপিল নং ৩০, ১৯৯৮ সালের ২৬০৪, ১৯৯৮ সালের ২৬১৩ এবং ১৯৯৮ সালের ২৬১৬ এবং উপরিউক্ত বিষয়ে হাইকোর্ট ডিভিশনের ডিভিশন বেঞ্চের প্রথম ও দ্বিতীয় বিজ্ঞ বিচারকের ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে পাঁচটি লিভ পিটিশন দাখিল করেছেন।
নিম্নোক্ত দফাগুলো বিবেচনায় নিয়ে তাঁদের আপিল লিভ মঞ্জুর করা হলো:
ক) যেহেতু ডিভিশন বেঞ্চের বিজ্ঞ বিচারপতিরা ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়েছেন এবং তাতে স্বাক্ষর করেছেন, তৃতীয় বিচারপতি রেফারেন্সটি সামগ্রিকভাবে বিবেচনা না করে—সব অভিযুক্তের বিষয়ে সামগ্রিক বিবেচনা ছাড়াই কেবল ছয় অভিযুক্তের প্রসঙ্গ বিবেচনা করতে গিয়ে, আইনের মৌলিক লঙ্ঘন করেছেন।
খ) এফআইআর দায়ের করায় ২১ বছরের বিলম্ব অগ্রহণযোগ্য; এই অযৌক্তিক বিলম্ব অসাধু উদ্দেশ্যেরই প্রকাশ এবং বানোয়াট গল্প সৃষ্টি করে আপিলকারীদের মিথ্যার মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করার নকশারই অংশ এটি—হাইকোর্ট ডিভিশন এ বিষয়ে আলোকপাত না করে এবং আইনের ভুল প্রয়োগের মাধ্যমে আসামিদের চরম দণ্ড বহাল রেখেছেন।
গ) যেহেতু সাক্ষ্য-প্রমাণ থেকে উন্মোচিত হয় যে, একটি সামরিক বিদ্রোহের ঘটনা থেকেই সেই সময়ের প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর পরিবারবর্গ খুন হয়েছিল এবং উল্লিখিত হত্যাকাণ্ডটি যেহেতু নিছক একটি সাধারণ খুন নয়, সেহেতু সাধারণ অপরাধ আদালতে আপিলকারীদের বিচার গ্রাহ্য হবে না।
ঘ) যেহেতু সাক্ষ্য-প্রমাণাদি থেকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোনো অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রকে উন্মোচন করে না, বরং মুজিব সরকারের বদলের উদ্দেশ্যে সেনা বিদ্রোহের ষড়যন্ত্র হিসেবেই উন্মোচিত হয়, সেহেতু দোষী সাব্যস্ত করা ও শাস্তি দেওয়া বেআইনি হয়েছে।
ঙ) যেহেতু রাষ্ট্রপক্ষ আপিলকারীদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারা মোতাবেক অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে এবং সাক্ষ্য-প্রমাণাদি সতর্কভাবে খতিয়ে দেখা হয়নি, সেহেতু ন্যায়বিচার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে...
ওপরের যুক্তিগুলোর বিষয়ে আমাদের মতামত নিচে উল্লেখ করা হলো:
ক) ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৭৮ ও ৪২৯ ধারার আলোকে এটা তৃতীয় বিজ্ঞ বিচারপতিই নির্ধারণ করবেন যে, কোন কোন বিষয়ে তিনি শুনানি গ্রহণ করবেন এবং এটা স্বীকৃত যে, তিনি এ ব্যাপারে পুরোপুরি স্বাধীন যে তিনি সেই বিতর্কের নিরসন করবেন, যা উপযুক্ত বলে মনে করবেন। সুতরাং ছয়জনের বিষয়ে, যাঁদের ব্যাপারে বিচারপতিদ্বয় ছিলেন দ্বিধাবিভক্ত তৃতীয় বিজ্ঞ বিচারপতি সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপযুক্ত এবং বাকি যে নয়জনের ব্যাপারে ডিভিশন বেঞ্চের বিজ্ঞ বিচারপতিদের মতৈক্য ছিল, তাঁদের ব্যাপারে তৃতীয় বিচারপতিও ছিলেন একমত।
খ) এফআইআর দায়েরে বিলম্বের ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের ব্যাখ্যা বিজ্ঞ দায়রা জজ ও হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চের বিজ্ঞ বিচারপতিদ্বয় তথ্য-প্রমাণ যাচাই করে গ্রহণ করেছেন। এই পর্যবেক্ষণে (ফাইন্ডিংস) মতৈক্য আছে, সুতরাং আমাদের মতে, এ ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপ করা আবশ্যক নয়।
গ) কোনো হত্যার অপরাধ সেনা আইন-১৯৫২-এর ৫৯(২) ধারার অন্তর্ভুক্ত হবে এই শর্তে যদি ওই অপরাধ সংঘটনের সময় অপরাধীরা ‘নিয়মিত চাকরি’তে থেকে থাকেন, কিন্তু সেনা আইনের ৮(১) ধারা অনুযায়ী আবেদনকারীরা ‘নিয়মিত চাকরি’তে ছিলেন না, ফলে সাধারণ ফৌজদারি আইনে তাঁদের বিচারে কোনো বাধা সেনা আইনে নেই। দ্বিতীয়ত, এমনকি এটা যদি ধরেও নেওয়া হয় যে এটা একটা ‘সাধারণ অপরাধ’ যা সেনা আইনের ৮(২) ধারার আলোকে এ ধরনের অপরাধের ৯৪ ধারা অনুযায়ী বিচারে কোনো বাধা নেই।
ঘ) এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার কোনো আইনানুগ তথ্য-প্রমাণ নেই যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তিনজন নিরাপত্তারক্ষীসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিহত হওয়ার ঘটনা সেনা বিদ্রোহের ফল। আমাদের মত হলো যে, এটা বিদ্রোহ সংঘটনের জন্য কোনো ফৌজদারি ষড়যন্ত্র নয়। বরং এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার জন্য একটি ফৌজদারি ষড়যন্ত্র।
ঙ) হাইকোর্ট বিভাগের বিজ্ঞ বিচারপতিরা বিশ্বাস করেন যে, রাষ্ট্রপক্ষ বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে আবেদনকারীদের ও অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এবং আবেদনকারীরা এটা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন যে, হাইকোর্ট বিভাগ বড় ধরনের অবিচার করেছেন অথবা ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ করে বিচার-বিভ্রাট ঘটিয়েছেন। যদিও এটা আবেদনকারীদের বিষয়, তবু যথাযথ মূল্যায়ন ও উপযুক্ত প্রমাণ ব্যতীত হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়া রায়ে হস্তক্ষেপ করার কোনো কারণ আমরা খুঁজে পাইনি।
চ) আবেদনকারীরা তাঁদের বিরুদ্ধে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের কঠোরতা হ্রাস করার পক্ষে কোনো যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেননি। আমরা হাইকোর্ট ডিভিশন ও দায়রা জজের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের আদেশকে পরিবর্তন করাকে সমীচীন মনে করিনি।
অতএব ২০০৭-এর ফৌজদারি আপিল নং ৫৫-৫৯ ও জেল আপিল নং ২ এবং ২০০১-এর ক্রিমিনাল মিসসেলেনিয়াস পিটিশন নং ৮ ও ২০০০ সালের ক্রিমিনাল রিভিউ পিটিশন নং ৩ খারিজ করে দেওয়া হলো।
এই আদেশের মাধ্যমে এই আদালতের দেওয়া আগের সব স্থগিতাদেশ বাতিল করা হলো।
এই আদেশ পূর্ণাঙ্গ রায়ের একটি অংশ হবে।
(ইংরেজি থেকে অনূদিত)
No comments