দুর্নীতির সূচকে অগ্রগতি -বাংলাদেশকে ইতিবাচক এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে
দুর্নীতিগ্রস্ত শীর্ষ ১০ দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতবারের দশম অবস্থান থেকে বাংলাদেশ তিন ধাপ এগিয়ে এবার ১৩তম অবস্থানে এসেছে। এ সূচক জানান দিচ্ছে, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এ বছর বাংলাদেশে দুর্নীতি কমেছে। ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত পরপর পাঁচবার দুর্নীতির ধারণাসূচকে শীর্ষ অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের এ অগ্রগতি অনেকটা আশাজাগানিয়া খবর।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু প্রাতিষ্ঠানিক বিধিব্যবস্থা নেওয়ার কারণেই মূলত বাংলাদেশের এ অগ্রগতি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাজের ধারাবাহিকতা তারা রক্ষা করবে। তারা সে অঙ্গীকার থেকে সরে আসেনি। মহাজোট সরকার কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান অব্যাহত রেখেছে। এ সাফল্যের পেছনে তাই বর্তমান সরকারের অবদানও বিবেচনায় নিতে হবে।
দুর্নীতির ধারণাসূচক ২০০৯ অনুযায়ী, এবার দুর্নীতি কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে যে নয়টি দেশ সবচেয়ে ভালো করেছে, বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। এ সাফল্যের পরও বলতে হচ্ছে, বাংলাদেশে এখনো ব্যাপক দুর্নীতি বিরাজমান। কারণ, প্রতিবেদনের দিকে চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে, তালিকায় স্থান পাওয়া ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৯তম। তবে এটাও ঠিক, পৃথিবীতে দুর্নীতিমুক্ত কোনো দেশ খুঁজে পাওয়া ভার। সব দেশেই কমবেশি দুর্নীতি হয়। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করে একে সহনীয় পর্যায়ে আনতে না পারলে দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হবে। নির্বাচনপূর্ব সময়ে দেওয়া মহাজোট সরকারের প্রতিশ্রুতি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা জরুরি। কিন্তু এরই মধ্যে কিছু উদ্বেগজনক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যেমন, সরকারি ক্রয় আইন শিথিল করা হয়েছে, তথ্য অধিকার আইন পাস হলেও এর বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় কোনো অগ্রগতি নেই, বিরোধী দল সংসদে যাচ্ছে না। এগুলোর সঙ্গে জবাবদিহি ও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করার সম্পর্ক রয়েছে।
বর্তমান মহাজোট সরকারের কাছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যতটা কঠোর অবস্থান প্রত্যাশিত ছিল, সব ক্ষেত্রে এর প্রতিফলন লক্ষ করা যাচ্ছে না। সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের মামলা একের পর এক প্রত্যাহার করা হচ্ছে। দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম শিথিল হয়ে পড়ছে। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান দুদককে নখদন্তহীন বাঘ বলে অভিহিত করেছেন। এ সবই হতাশাজনক। স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও দুদককে শক্তিশালী করেও কোনো লাভ হবে না। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া বা পিছিয়ে পড়া নির্ভর করবে সরকারের গতিশীল ও সত্যনিষ্ঠ কর্মকাণ্ডের ওপর। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু প্রাতিষ্ঠানিক বিধিব্যবস্থা নেওয়ার কারণেই মূলত বাংলাদেশের এ অগ্রগতি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাজের ধারাবাহিকতা তারা রক্ষা করবে। তারা সে অঙ্গীকার থেকে সরে আসেনি। মহাজোট সরকার কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান অব্যাহত রেখেছে। এ সাফল্যের পেছনে তাই বর্তমান সরকারের অবদানও বিবেচনায় নিতে হবে।
দুর্নীতির ধারণাসূচক ২০০৯ অনুযায়ী, এবার দুর্নীতি কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে যে নয়টি দেশ সবচেয়ে ভালো করেছে, বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। এ সাফল্যের পরও বলতে হচ্ছে, বাংলাদেশে এখনো ব্যাপক দুর্নীতি বিরাজমান। কারণ, প্রতিবেদনের দিকে চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে, তালিকায় স্থান পাওয়া ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৯তম। তবে এটাও ঠিক, পৃথিবীতে দুর্নীতিমুক্ত কোনো দেশ খুঁজে পাওয়া ভার। সব দেশেই কমবেশি দুর্নীতি হয়। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করে একে সহনীয় পর্যায়ে আনতে না পারলে দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হবে। নির্বাচনপূর্ব সময়ে দেওয়া মহাজোট সরকারের প্রতিশ্রুতি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা জরুরি। কিন্তু এরই মধ্যে কিছু উদ্বেগজনক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যেমন, সরকারি ক্রয় আইন শিথিল করা হয়েছে, তথ্য অধিকার আইন পাস হলেও এর বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় কোনো অগ্রগতি নেই, বিরোধী দল সংসদে যাচ্ছে না। এগুলোর সঙ্গে জবাবদিহি ও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করার সম্পর্ক রয়েছে।
বর্তমান মহাজোট সরকারের কাছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যতটা কঠোর অবস্থান প্রত্যাশিত ছিল, সব ক্ষেত্রে এর প্রতিফলন লক্ষ করা যাচ্ছে না। সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের মামলা একের পর এক প্রত্যাহার করা হচ্ছে। দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম শিথিল হয়ে পড়ছে। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান দুদককে নখদন্তহীন বাঘ বলে অভিহিত করেছেন। এ সবই হতাশাজনক। স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও দুদককে শক্তিশালী করেও কোনো লাভ হবে না। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া বা পিছিয়ে পড়া নির্ভর করবে সরকারের গতিশীল ও সত্যনিষ্ঠ কর্মকাণ্ডের ওপর। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।
No comments