আইনের শাসন থাকলে ‘ক্রসফায়ার’-এর দরকার হতো না -টে লি ফো নে না গ রি ক ম ন্ত ব্য
প্রিয় পাঠক, আপনাদের সরাসরি মন্তব্য নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজনে এবার ‘ক্রসফায়ার’ চলছে: আপনার মন্তব্য কী? প্রশ্নে টেলিফোনের মাধ্যমে মন্তব্য আহ্বান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে আপনারা উত্সাহব্যঞ্জক সাড়া দিয়েছেন। মন্তব্যগুলোর কিছু অংশ আজ ছাপা হলো; বাকি অংশ আগামীকাল প্রকাশিত হবে।
সাইফুল ইসলাম শোভন, শিক্ষার্থী
নাখালপাড়া, ঢাকা।
ছোটবেলা থেকে কেউ অপরাধী হয়ে জন্ম নেয় না। পরিবেশ ও পরিস্থিতির কারণে মানুষ সন্ত্রাসী হয়ে ওঠে। পুলিশ ও র্যাবের উচিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া। ভূত তাড়াতে গিয়ে তাদের ভূত হওয়া মানায় না। শেখ হাসিনাকে অনুরোধ জানাচ্ছি, অবিলম্বে ক্রসফায়ারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিন, না হলে কখনোই সোনার বাংলা গড়া সম্ভব না।
আমিনুল ইসলাম, ব্যবসায়ী
ইস্টার্ন প্লাজা, ঢাকা।
মাঝেমধ্যে ক্রসফায়ারের প্রয়োজন আছে। ক্রসফায়ারের ভয়ে বড় বড় সন্ত্রাসী দেশ ত্যাগ করেছে। এতে অপরাধ কমে গেছে। ১০০ জন খারাপ মানুষ থেকে একজন ভালো মানুষ অনেক ভালো। ক্রসফায়ার বন্ধ করলে সন্ত্রাসীদের সাহস বেড়ে যাবে। আরও অপরাধ সংঘটিত হবে।
শামসুন নাহার (ক্রসফায়ারে নিহত বাপ্পির বড় বোন)
পূর্ব রামপুরা, ঢাকা।
ক্রসফায়ার এখনই বন্ধ হোক। এর জন্য কোনো তদন্তের প্রয়োজন নেই। কারণ আমার ভাইকে আমি আর ফিরে পাব না। এর ক্ষতিপূরণ চাই না। চাই এর সুষ্ঠু তদন্ত হোক। আমার মা কাঁদতে কাঁদতে অন্ধ হওয়ার উপক্রম।
আমিনুল হক, শিক্ষক
ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ।
বর্তমানে দেশে যে ক্রসফায়ার চলছে এটা আসলে ঠিক না। ছোট সন্ত্রাসীদের বদলে গডফাদারদের ক্রসফায়ার করতে হবে। তাহলে অপরাধ দূর হবে।
মাসুদ পারভেজ, শিক্ষার্থী
শাবিপ্রবি, সিলেট।
একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সরাসরি মানবাধিকার লঙ্ঘন। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড যদি এ দেশে অবলীলায় ঘটতে থাকে তবে এর ফলে দেশের নিরপরাধ ও নিরীহ জনগণ এর শিকার হতে পারে। ক্রসফায়ার সম্পূর্ণরূপে আইন ও সংবিধান বিরোধী। সন্ত্রাসীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য কোনোভাবে ক্রসফায়ারকে সমর্থন করা যায় না। সরকারের উচিত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা।
তাপসকুমার সাহা, ব্যবসায়ী
টানবাজার, নারায়ণগঞ্জ।
ক্রসফায়ার কোনোমতেই সমর্থনযোগ্য নয়। এটা মানবতাবিরোধী একটি সিদ্ধান্ত। মানুষ খারাপ হওয়ার পেছনে পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতা সবচেয়ে বেশি দায়ী। প্রত্যেককে যাতে উন্নত মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়, সে জন্য সমাজের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
গাজী মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, শিক্ষার্থী
ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ।
আমি ব্যক্তিগতভাবে ক্রসফায়ার সমর্থন করি। কারণ সন্ত্রাসীরা সব সময় কোনো না কোনোভাবে আইনের ফাঁক গলিয়ে বেরিয়ে যায়। তারা যখন মানুষ মারার সময় মানবাধিকারের চিন্তা করে না, আমরা কেন চিন্তা করব?
জাহাঙ্গীর আলম, চাকরিজীবী
সিতাকুণ্ডু, চট্টগ্রাম।
ক্রসফায়ার মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। অপরাধী কিংবা সন্ত্রাসীদের শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারকে বিকল্প পথ খুঁজতে হবে। ক্রসফায়ারের নামে আর কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দেখতে চাই না। আমি আশা করি, আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারের কথা স্মরণ করে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করবে।
মেজবাহ উদ্দিন আহমদ, প্রকাশক
গ্রীন রোড, পান্থপথ, ঢাকা।
আমার মতে, যদিও ক্রসফায়ার আইনবহির্ভূত কাজ, তার পরও আমি চাই এটা থাকুক। কারণ এই ক্রসফায়ারের ভয়ে সন্ত্রাসীরা আতঙ্কিত থাকে। এতে করে কিছুটা হলেও সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে।
মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী, সাবেক ফুটবলার
পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা।
ছেলের অপকর্মে পিতা অতিষ্ঠ হয়ে ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে এমন ভূরি ভূরি নজির আছে। একবার বিশ্বকাপে সামান্য অপরাধে রেফারি কোটেচান একটি পেনাল্টি দিয়েছিলেন। এ জন্য ফিফা তাঁকে নিষিদ্ধ করে। তিনি যাওয়ার সময় বলে গেছেন, যত দিন ফুটবল থাকবে, তত দিন পেনাল্টি থাকবে। তাই আমি সরকারকে দোষারোপ করি না। দেশের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সরকার যা করছে তা ভালোর জন্যই করছে। নজর রাখতে হবে, নিরপরাধ ব্যক্তি যেন না পড়ে।
মাসুদ আলম, শিক্ষার্থী
পশ্চিম চৌমুহনী, কুমিল্লা।
বর্তমান সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহারে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, সরকারের কতিপয় মন্ত্রী এখন ক্রসফায়ারের পক্ষে বিবৃতি দিচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমার আকুল আবেদন, আপনি সংবিধান-পরিপন্থী হত্যাকাণ্ড বন্ধ করে অপরাধীকে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বিচার কার্যক্রম প্রচলিত আইনে করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিন।
মুহাম্মদ জিন্নাহ ভূঁইয়া, শিক্ষার্থী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রত্যেক নাগরিক আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকারী। সন্ত্রাস দমনের নামে ক্রসফায়ার, বন্ধুকযুদ্ধ বা নানা নামে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটছে তা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আর এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সন্ত্রাসীদের বিচার করা যেতে পারে।
মাসুদ পারভেজ, চাকরিজীবী (অব.)
ধানমন্ডি, ঢাকা।
আমার মতে, ক্রসফায়ার মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। এ কাজ যাদের ইঙ্গিতে যারা করছে তাদের দ্রুত বিচার করে শাস্তি দেওয়া উচিত। এটি যত দ্রুত সম্ভব, দরকার হলে আজই বন্ধ করা উচিত।
মো. জিয়াউল হক, শিক্ষার্থী
পটুয়াখালী।
ক্রসফায়ারকে আমি সমর্থন করি না। কারণ একদিকে যেমন মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, অন্যদিকে একজন মানুষকে তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ক্রসফায়ারের নামে র্যাব, পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের নিজেদের মাস্তান হিসেবে সমাজের কাছে পরিচিত করছে। এভাবে ক্রসফায়ার চলতে থাকলে মানুষ তো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে খুলতে পারবে না। এ জন্য আমি বলি, ক্রসফায়ার বন্ধ হোক।
মুক্তার হোসেন, শিক্ষার্থী
মিরপুর, ঢাকা।
ক্রসফায়ার এক আতঙ্কের নাম। যেখানে বিচারের নামে হত্যা করা হচ্ছে অপরাধীসহ নিরপরাধ মানুষকেও। জেএমবি এবং অন্য সংগঠনগুলো যেমন ন্যায়বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালায়, ক্রসফায়ারও অনেকটা তেমনই। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে গডফাদারের চেলারা। বড় বড় গড ফাদার সব সময় থাকছে পর্দার অন্তরালে।
খন্দকার শরীফ উদ্দিন, ব্যবসায়ী
ময়মনসিংহ।
আমরা তো স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক। আমাদের টাকায় চলে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের হাতেই আমরা এখন ক্রসফায়ারে মরছি। তাহলে বিচারব্যবস্থা বা জেলখানার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। বিচারবহির্ভূত কোনো হত্যাকাণ্ডই কোনো নাগরিক সমর্থন করে না।
তৌহিদ, শিক্ষার্থী
প্রাইম ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।
ক্রসফায়ার কিংবা বন্ধুকযুদ্ধ যে নামেই চালিয়ে দেওয়া হোক, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বিচারবহির্ভূত, যা সত্যিই দুঃখজনক। বাপ্পীর মতো কোনো নিরীহ ব্যক্তির মৃত্যু জাতি আর দেখতে চায় না। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটতে দেওয়া মানে মানবাধিকারের চরম অবমাননা আর আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই এর সুষ্ঠু তদন্ত ও শাস্তি দাবি করছি।
পলাশ বণিক, ব্যবসায়ী
সীতাকুণ্ডু, চট্টগ্রাম।
ক্রসফায়ার যদি শুধু সন্ত্রাসীদের বেলায় কার্যকর হয়, তাহলে আমি তা নীতিগতভাবে সমর্থন করি, কারণ আমাদের দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। সুতরাং তা হবে মন্দের ভালো। আর যদি ক্রসফায়ার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মূল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহূত হয়, তা হবে সমাজ এবং দেশের জন্য ভয়াবহ।
রিফাত রফিক, শিক্ষার্থী
পূর্ব নাখালপাড়া, ঢাকা।
আমি মনে করি, ক্রসফায়ার চলা উচিত। কারণ বাংলাদেশের পেক্ষাপটে অনেক সন্ত্রাসীই সঠিক শাস্তি পায় না। অনেক খুনের সঠিক বিচার হয় না। গত সরকারের সময়ে যারা এটা চালু করেছিলেন, তাঁরা বর্তমানে ক্ষমতা হারিয়ে এর বিপক্ষে চলে গেছেন।
মূল কথা হলো, এটা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে।
শাহ মোহাম্মদ আলম,
সরকারি কর্মকর্তা (অব.), চট্টগ্রাম।
ক্রসফায়ারের নামে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বিনা বিচারে মানুষ হত্যার মতো মহা পাপকাজে লিপ্ত সরকার। কোনো বিবেকবান ব্যক্তির পক্ষে এ পাপাচার সমর্থন সম্ভব নয়। বরং ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করা উচিত। আমার প্রশ্ন, ওপরমহল থেকে নির্দেশ না পেলে র্যাব ক্রসফায়ার করার সাহস পায় কোথা থেকে।
আব্দুর রহমান, প্রধান শিক্ষক (অব.)
গাঙ্গেরকোট, মুরাদনগর, কুমিল্লা।
আমাদের রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের বীজ লুকায়িত রয়েছে। এবং তার ফলে ধনী-গরিবের পার্থক্য ক্রমেই বেড়ে চলেছে। নদীভাঙন, খরা ও মঙ্গার ফলে সৃষ্ট দারিদ্র্য এই বৈষম্যকে আরও প্রকট করে তুলছে। এই সর্বহারাদের একটি অংশ প্রধানত পেটের দায়ে বিপথগামী হয়। এবং পরবর্তীকালে চরমপন্থী বা সন্ত্রাসী দলের সদস্য হয়ে যায়। তাই সমস্যার সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণকে চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা না করে এদেরকে নির্বিচারে ক্রসফায়ারে হত্যা করা অমানবিক ও অগ্রহণযোগ্য।
মাহমুদ, চাকরিজীবী
বাসাবো, ঢাকা।
ক্রসফায়ারকে আমি সমর্থন করি, কেননা যাদের মারা হচ্ছে তাদের নামে কোনো না কোনো অভিযোগ আছে। কিন্তু যাদের সমর্থনে তারা অপরাধ করছে, তাদের খোঁজা হচ্ছে না।
হ্যাপী, শিক্ষার্থী
মিরপুর, ঢাকা।
ক্রসফায়ার অবশ্যই সন্ত্রাসীদের দমনে একমাত্র উপযুক্ত পন্থা। কিন্তু সাধারণ জনগণ নয়। সাধারণ মানুষ যেন হয়রানি না হয় সেদিকে সরকারের লক্ষ রাখা উচিত।
নুরউন নাহার শিরীন, লেখক
গুলশান, ঢাকা।
ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার বিষয়টি কোন সভ্য সামাজিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে ভাবা যায় না। কিন্তু এখানে কথা আছে, যখন দেশ ও সমাজ সন্ত্রাসযজ্ঞের শিকারে পরিণত হয় তখন সমাজ থেকে চিহ্নিত দাগী অপরাধীদের নির্মূলের কৌশল হিসেবে যদি ক্রসফায়ার করে তবে তা সমর্থযোগ্য।
মোজাম্মেল হক, ব্যবসায়ী
কিশোরগঞ্জ।
আমি ক্রসফায়ার সমর্থন করি। এটা চলুক। চলতে থাক।
জামেদ হুদা
সরকারি চাকরিজীবী, সিলেট।
ক্রসফায়ার সন্ত্রাসীদের আতঙ্ক। আমাদের বিচারপ্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীরগতির। এ জন্য সন্ত্রাসীরা আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যায়, তাই কুখ্যাত সন্ত্রাসীদের ক্ষেত্রে বিচারের চেয়ে এই পন্থাই উত্তম। তবে ক্রসফায়ার যেন কোনো নিরপরাধ ব্যক্তির জীবন কেড়ে না নেয়, এ বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে।
তাহমিনা বেগম
গৃহিণী, মিরপুর, ঢাকা।
সরকার সন্ত্রাসীদের দমন করার লক্ষ্যে ক্রসফায়ার চালু করেছে। কিন্তু এটা আমি সমর্থন করি না, কারণ এভাবে সন্ত্রাস দমন সম্ভব নয়। এটা এক ধরনের আইওয়াশ বলে আমি মনে করি। মানবিক দৃষ্টিতে এটা সমর্থনযোগ্য নয়।
শুভ, শিক্ষার্থী
নোয়াখালী সরকারি কলেজ।
আমি মনে করি, ক্রসফায়ার পদ্ধতি ঠিক নয়। কারণ বিচারবহির্ভূত কোনো হত্যাই সমর্থনযোগ্য নয়।
শাহিন আলম
ব্যবসায়ী, পার্বতীপুর, দিনাজপুর।
এই সরকার যদি ক্রসফায়ার বন্ধ না করে, তাহলে তারা ওয়াদা ভঙ্গকারী হিসেবে চিহ্নিত হবে। কারণ এটা তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ছিল।
শেখ সিরাজুল ইসলাম
চাকরিজীবী, পাইকাড়পাড়া, বগুড়া।
ক্রসফায়ার থাকুক, তবে এর যেন অপব্যবহার করা না হয়।
বিমান ধর
শিক্ষার্থী, সিলেট।
আমি ক্রসফায়ার সমর্থন করি না। কারণ এতে ছোট সন্ত্রাসীরাই মারা পড়ছে, গডফাদাররা এর আওতার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
রাশেদ খান হূদয়, শিক্ষার্থী
শ্যামলী, ঢাকা।
বিএনপি গত শাসনামলে ক্রসফায়ার চালু করে। সে সময় অনেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসীকে ক্রসফায়ারে দেওয়া হয়। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ক্রসফায়ার বন্ধ ছিল। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে প্রথম দিকে এর বিরোধিতা করলেও আবার চালু করে। আমার মতে, ক্রসফায়ার অব্যাহত থাকলে সন্ত্রাস কিছুটা দমন থাকবে। তবে সাধারণ মানুষ যেন এর শিকারে পরিনত না হয় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।
আবু ইউসুফ মাসুদ
ব্যবসায়ী, বসুরহাট, নোয়াখালী।
ক্রসফায়ার একটা মিসফায়ার, কারণ ক্রসফায়ার করে শুধু সন্ত্রাসীদের মেরে ফেললে সন্ত্রাস নির্মূল হবে না, বরং সন্ত্রাসীদের গোড়া নির্মূল করতে হলে যারা সন্ত্রাস এবং সন্ত্রাসীদের লালন করে, সেসব গডফাদারকে খুঁজে তাদের বিচার আগে করতে হবে। তা না হলে সন্ত্রাসী বাড়তে থাকবে এবং ক্রসফায়ার চলবে।
সেলিম
ব্যবসায়ী, সিলেট।
ক্রসফায়ার নিন্দনীয় শব্দ। গত সরকার ও এই সরকার যে বিচারবহির্ভূত হত্যাগুলো করেছে, এগুলো ঠিক নয়। এর ফলে সন্ত্রাসী আরও বাড়ছে।
মিরাজ-উল-ইসলাম মাহীর
শিক্ষার্থী, মীরকাদিম সদর, মুন্সিগঞ্জ।
অন্যায়কে প্রতিরোধ করতে মহা অন্যায় করা হচ্ছে। বিনা বিচারে যারা ক্রসফায়ারে মানুষকে হত্যা করছে তারা দেশ ও জাতির শত্রু।
স্বাধীন এই মাতৃভূমিতে ক্রসফায়ার করে যেন আর একটি প্রাণও বধ করা না হয়।
অলিউর রহমান
সরকারি কর্মকর্তা (অব.)
কাফরুল, ঢাকা।
আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা সমর্থন করি না। তবে আমার মনে হয়, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এটা ঠিক আছে। ক্রসফায়ারের আগে অপরাধীর ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হতে হবে। এটার জন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আছে।
সাইফুল ইসলাম শোভন, শিক্ষার্থী
নাখালপাড়া, ঢাকা।
ছোটবেলা থেকে কেউ অপরাধী হয়ে জন্ম নেয় না। পরিবেশ ও পরিস্থিতির কারণে মানুষ সন্ত্রাসী হয়ে ওঠে। পুলিশ ও র্যাবের উচিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া। ভূত তাড়াতে গিয়ে তাদের ভূত হওয়া মানায় না। শেখ হাসিনাকে অনুরোধ জানাচ্ছি, অবিলম্বে ক্রসফায়ারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিন, না হলে কখনোই সোনার বাংলা গড়া সম্ভব না।
আমিনুল ইসলাম, ব্যবসায়ী
ইস্টার্ন প্লাজা, ঢাকা।
মাঝেমধ্যে ক্রসফায়ারের প্রয়োজন আছে। ক্রসফায়ারের ভয়ে বড় বড় সন্ত্রাসী দেশ ত্যাগ করেছে। এতে অপরাধ কমে গেছে। ১০০ জন খারাপ মানুষ থেকে একজন ভালো মানুষ অনেক ভালো। ক্রসফায়ার বন্ধ করলে সন্ত্রাসীদের সাহস বেড়ে যাবে। আরও অপরাধ সংঘটিত হবে।
শামসুন নাহার (ক্রসফায়ারে নিহত বাপ্পির বড় বোন)
পূর্ব রামপুরা, ঢাকা।
ক্রসফায়ার এখনই বন্ধ হোক। এর জন্য কোনো তদন্তের প্রয়োজন নেই। কারণ আমার ভাইকে আমি আর ফিরে পাব না। এর ক্ষতিপূরণ চাই না। চাই এর সুষ্ঠু তদন্ত হোক। আমার মা কাঁদতে কাঁদতে অন্ধ হওয়ার উপক্রম।
আমিনুল হক, শিক্ষক
ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ।
বর্তমানে দেশে যে ক্রসফায়ার চলছে এটা আসলে ঠিক না। ছোট সন্ত্রাসীদের বদলে গডফাদারদের ক্রসফায়ার করতে হবে। তাহলে অপরাধ দূর হবে।
মাসুদ পারভেজ, শিক্ষার্থী
শাবিপ্রবি, সিলেট।
একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সরাসরি মানবাধিকার লঙ্ঘন। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড যদি এ দেশে অবলীলায় ঘটতে থাকে তবে এর ফলে দেশের নিরপরাধ ও নিরীহ জনগণ এর শিকার হতে পারে। ক্রসফায়ার সম্পূর্ণরূপে আইন ও সংবিধান বিরোধী। সন্ত্রাসীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য কোনোভাবে ক্রসফায়ারকে সমর্থন করা যায় না। সরকারের উচিত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা।
তাপসকুমার সাহা, ব্যবসায়ী
টানবাজার, নারায়ণগঞ্জ।
ক্রসফায়ার কোনোমতেই সমর্থনযোগ্য নয়। এটা মানবতাবিরোধী একটি সিদ্ধান্ত। মানুষ খারাপ হওয়ার পেছনে পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতা সবচেয়ে বেশি দায়ী। প্রত্যেককে যাতে উন্নত মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়, সে জন্য সমাজের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
গাজী মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, শিক্ষার্থী
ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ।
আমি ব্যক্তিগতভাবে ক্রসফায়ার সমর্থন করি। কারণ সন্ত্রাসীরা সব সময় কোনো না কোনোভাবে আইনের ফাঁক গলিয়ে বেরিয়ে যায়। তারা যখন মানুষ মারার সময় মানবাধিকারের চিন্তা করে না, আমরা কেন চিন্তা করব?
জাহাঙ্গীর আলম, চাকরিজীবী
সিতাকুণ্ডু, চট্টগ্রাম।
ক্রসফায়ার মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। অপরাধী কিংবা সন্ত্রাসীদের শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারকে বিকল্প পথ খুঁজতে হবে। ক্রসফায়ারের নামে আর কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দেখতে চাই না। আমি আশা করি, আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারের কথা স্মরণ করে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করবে।
মেজবাহ উদ্দিন আহমদ, প্রকাশক
গ্রীন রোড, পান্থপথ, ঢাকা।
আমার মতে, যদিও ক্রসফায়ার আইনবহির্ভূত কাজ, তার পরও আমি চাই এটা থাকুক। কারণ এই ক্রসফায়ারের ভয়ে সন্ত্রাসীরা আতঙ্কিত থাকে। এতে করে কিছুটা হলেও সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে।
মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী, সাবেক ফুটবলার
পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা।
ছেলের অপকর্মে পিতা অতিষ্ঠ হয়ে ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে এমন ভূরি ভূরি নজির আছে। একবার বিশ্বকাপে সামান্য অপরাধে রেফারি কোটেচান একটি পেনাল্টি দিয়েছিলেন। এ জন্য ফিফা তাঁকে নিষিদ্ধ করে। তিনি যাওয়ার সময় বলে গেছেন, যত দিন ফুটবল থাকবে, তত দিন পেনাল্টি থাকবে। তাই আমি সরকারকে দোষারোপ করি না। দেশের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সরকার যা করছে তা ভালোর জন্যই করছে। নজর রাখতে হবে, নিরপরাধ ব্যক্তি যেন না পড়ে।
মাসুদ আলম, শিক্ষার্থী
পশ্চিম চৌমুহনী, কুমিল্লা।
বর্তমান সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহারে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, সরকারের কতিপয় মন্ত্রী এখন ক্রসফায়ারের পক্ষে বিবৃতি দিচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমার আকুল আবেদন, আপনি সংবিধান-পরিপন্থী হত্যাকাণ্ড বন্ধ করে অপরাধীকে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বিচার কার্যক্রম প্রচলিত আইনে করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিন।
মুহাম্মদ জিন্নাহ ভূঁইয়া, শিক্ষার্থী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রত্যেক নাগরিক আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকারী। সন্ত্রাস দমনের নামে ক্রসফায়ার, বন্ধুকযুদ্ধ বা নানা নামে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটছে তা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আর এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সন্ত্রাসীদের বিচার করা যেতে পারে।
মাসুদ পারভেজ, চাকরিজীবী (অব.)
ধানমন্ডি, ঢাকা।
আমার মতে, ক্রসফায়ার মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। এ কাজ যাদের ইঙ্গিতে যারা করছে তাদের দ্রুত বিচার করে শাস্তি দেওয়া উচিত। এটি যত দ্রুত সম্ভব, দরকার হলে আজই বন্ধ করা উচিত।
মো. জিয়াউল হক, শিক্ষার্থী
পটুয়াখালী।
ক্রসফায়ারকে আমি সমর্থন করি না। কারণ একদিকে যেমন মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, অন্যদিকে একজন মানুষকে তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ক্রসফায়ারের নামে র্যাব, পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের নিজেদের মাস্তান হিসেবে সমাজের কাছে পরিচিত করছে। এভাবে ক্রসফায়ার চলতে থাকলে মানুষ তো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে খুলতে পারবে না। এ জন্য আমি বলি, ক্রসফায়ার বন্ধ হোক।
মুক্তার হোসেন, শিক্ষার্থী
মিরপুর, ঢাকা।
ক্রসফায়ার এক আতঙ্কের নাম। যেখানে বিচারের নামে হত্যা করা হচ্ছে অপরাধীসহ নিরপরাধ মানুষকেও। জেএমবি এবং অন্য সংগঠনগুলো যেমন ন্যায়বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালায়, ক্রসফায়ারও অনেকটা তেমনই। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে গডফাদারের চেলারা। বড় বড় গড ফাদার সব সময় থাকছে পর্দার অন্তরালে।
খন্দকার শরীফ উদ্দিন, ব্যবসায়ী
ময়মনসিংহ।
আমরা তো স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক। আমাদের টাকায় চলে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের হাতেই আমরা এখন ক্রসফায়ারে মরছি। তাহলে বিচারব্যবস্থা বা জেলখানার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। বিচারবহির্ভূত কোনো হত্যাকাণ্ডই কোনো নাগরিক সমর্থন করে না।
তৌহিদ, শিক্ষার্থী
প্রাইম ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।
ক্রসফায়ার কিংবা বন্ধুকযুদ্ধ যে নামেই চালিয়ে দেওয়া হোক, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বিচারবহির্ভূত, যা সত্যিই দুঃখজনক। বাপ্পীর মতো কোনো নিরীহ ব্যক্তির মৃত্যু জাতি আর দেখতে চায় না। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটতে দেওয়া মানে মানবাধিকারের চরম অবমাননা আর আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই এর সুষ্ঠু তদন্ত ও শাস্তি দাবি করছি।
পলাশ বণিক, ব্যবসায়ী
সীতাকুণ্ডু, চট্টগ্রাম।
ক্রসফায়ার যদি শুধু সন্ত্রাসীদের বেলায় কার্যকর হয়, তাহলে আমি তা নীতিগতভাবে সমর্থন করি, কারণ আমাদের দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। সুতরাং তা হবে মন্দের ভালো। আর যদি ক্রসফায়ার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মূল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহূত হয়, তা হবে সমাজ এবং দেশের জন্য ভয়াবহ।
রিফাত রফিক, শিক্ষার্থী
পূর্ব নাখালপাড়া, ঢাকা।
আমি মনে করি, ক্রসফায়ার চলা উচিত। কারণ বাংলাদেশের পেক্ষাপটে অনেক সন্ত্রাসীই সঠিক শাস্তি পায় না। অনেক খুনের সঠিক বিচার হয় না। গত সরকারের সময়ে যারা এটা চালু করেছিলেন, তাঁরা বর্তমানে ক্ষমতা হারিয়ে এর বিপক্ষে চলে গেছেন।
মূল কথা হলো, এটা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে।
শাহ মোহাম্মদ আলম,
সরকারি কর্মকর্তা (অব.), চট্টগ্রাম।
ক্রসফায়ারের নামে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বিনা বিচারে মানুষ হত্যার মতো মহা পাপকাজে লিপ্ত সরকার। কোনো বিবেকবান ব্যক্তির পক্ষে এ পাপাচার সমর্থন সম্ভব নয়। বরং ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করা উচিত। আমার প্রশ্ন, ওপরমহল থেকে নির্দেশ না পেলে র্যাব ক্রসফায়ার করার সাহস পায় কোথা থেকে।
আব্দুর রহমান, প্রধান শিক্ষক (অব.)
গাঙ্গেরকোট, মুরাদনগর, কুমিল্লা।
আমাদের রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের বীজ লুকায়িত রয়েছে। এবং তার ফলে ধনী-গরিবের পার্থক্য ক্রমেই বেড়ে চলেছে। নদীভাঙন, খরা ও মঙ্গার ফলে সৃষ্ট দারিদ্র্য এই বৈষম্যকে আরও প্রকট করে তুলছে। এই সর্বহারাদের একটি অংশ প্রধানত পেটের দায়ে বিপথগামী হয়। এবং পরবর্তীকালে চরমপন্থী বা সন্ত্রাসী দলের সদস্য হয়ে যায়। তাই সমস্যার সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণকে চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা না করে এদেরকে নির্বিচারে ক্রসফায়ারে হত্যা করা অমানবিক ও অগ্রহণযোগ্য।
মাহমুদ, চাকরিজীবী
বাসাবো, ঢাকা।
ক্রসফায়ারকে আমি সমর্থন করি, কেননা যাদের মারা হচ্ছে তাদের নামে কোনো না কোনো অভিযোগ আছে। কিন্তু যাদের সমর্থনে তারা অপরাধ করছে, তাদের খোঁজা হচ্ছে না।
হ্যাপী, শিক্ষার্থী
মিরপুর, ঢাকা।
ক্রসফায়ার অবশ্যই সন্ত্রাসীদের দমনে একমাত্র উপযুক্ত পন্থা। কিন্তু সাধারণ জনগণ নয়। সাধারণ মানুষ যেন হয়রানি না হয় সেদিকে সরকারের লক্ষ রাখা উচিত।
নুরউন নাহার শিরীন, লেখক
গুলশান, ঢাকা।
ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার বিষয়টি কোন সভ্য সামাজিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে ভাবা যায় না। কিন্তু এখানে কথা আছে, যখন দেশ ও সমাজ সন্ত্রাসযজ্ঞের শিকারে পরিণত হয় তখন সমাজ থেকে চিহ্নিত দাগী অপরাধীদের নির্মূলের কৌশল হিসেবে যদি ক্রসফায়ার করে তবে তা সমর্থযোগ্য।
মোজাম্মেল হক, ব্যবসায়ী
কিশোরগঞ্জ।
আমি ক্রসফায়ার সমর্থন করি। এটা চলুক। চলতে থাক।
জামেদ হুদা
সরকারি চাকরিজীবী, সিলেট।
ক্রসফায়ার সন্ত্রাসীদের আতঙ্ক। আমাদের বিচারপ্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীরগতির। এ জন্য সন্ত্রাসীরা আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যায়, তাই কুখ্যাত সন্ত্রাসীদের ক্ষেত্রে বিচারের চেয়ে এই পন্থাই উত্তম। তবে ক্রসফায়ার যেন কোনো নিরপরাধ ব্যক্তির জীবন কেড়ে না নেয়, এ বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে।
তাহমিনা বেগম
গৃহিণী, মিরপুর, ঢাকা।
সরকার সন্ত্রাসীদের দমন করার লক্ষ্যে ক্রসফায়ার চালু করেছে। কিন্তু এটা আমি সমর্থন করি না, কারণ এভাবে সন্ত্রাস দমন সম্ভব নয়। এটা এক ধরনের আইওয়াশ বলে আমি মনে করি। মানবিক দৃষ্টিতে এটা সমর্থনযোগ্য নয়।
শুভ, শিক্ষার্থী
নোয়াখালী সরকারি কলেজ।
আমি মনে করি, ক্রসফায়ার পদ্ধতি ঠিক নয়। কারণ বিচারবহির্ভূত কোনো হত্যাই সমর্থনযোগ্য নয়।
শাহিন আলম
ব্যবসায়ী, পার্বতীপুর, দিনাজপুর।
এই সরকার যদি ক্রসফায়ার বন্ধ না করে, তাহলে তারা ওয়াদা ভঙ্গকারী হিসেবে চিহ্নিত হবে। কারণ এটা তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ছিল।
শেখ সিরাজুল ইসলাম
চাকরিজীবী, পাইকাড়পাড়া, বগুড়া।
ক্রসফায়ার থাকুক, তবে এর যেন অপব্যবহার করা না হয়।
বিমান ধর
শিক্ষার্থী, সিলেট।
আমি ক্রসফায়ার সমর্থন করি না। কারণ এতে ছোট সন্ত্রাসীরাই মারা পড়ছে, গডফাদাররা এর আওতার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
রাশেদ খান হূদয়, শিক্ষার্থী
শ্যামলী, ঢাকা।
বিএনপি গত শাসনামলে ক্রসফায়ার চালু করে। সে সময় অনেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসীকে ক্রসফায়ারে দেওয়া হয়। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ক্রসফায়ার বন্ধ ছিল। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে প্রথম দিকে এর বিরোধিতা করলেও আবার চালু করে। আমার মতে, ক্রসফায়ার অব্যাহত থাকলে সন্ত্রাস কিছুটা দমন থাকবে। তবে সাধারণ মানুষ যেন এর শিকারে পরিনত না হয় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।
আবু ইউসুফ মাসুদ
ব্যবসায়ী, বসুরহাট, নোয়াখালী।
ক্রসফায়ার একটা মিসফায়ার, কারণ ক্রসফায়ার করে শুধু সন্ত্রাসীদের মেরে ফেললে সন্ত্রাস নির্মূল হবে না, বরং সন্ত্রাসীদের গোড়া নির্মূল করতে হলে যারা সন্ত্রাস এবং সন্ত্রাসীদের লালন করে, সেসব গডফাদারকে খুঁজে তাদের বিচার আগে করতে হবে। তা না হলে সন্ত্রাসী বাড়তে থাকবে এবং ক্রসফায়ার চলবে।
সেলিম
ব্যবসায়ী, সিলেট।
ক্রসফায়ার নিন্দনীয় শব্দ। গত সরকার ও এই সরকার যে বিচারবহির্ভূত হত্যাগুলো করেছে, এগুলো ঠিক নয়। এর ফলে সন্ত্রাসী আরও বাড়ছে।
মিরাজ-উল-ইসলাম মাহীর
শিক্ষার্থী, মীরকাদিম সদর, মুন্সিগঞ্জ।
অন্যায়কে প্রতিরোধ করতে মহা অন্যায় করা হচ্ছে। বিনা বিচারে যারা ক্রসফায়ারে মানুষকে হত্যা করছে তারা দেশ ও জাতির শত্রু।
স্বাধীন এই মাতৃভূমিতে ক্রসফায়ার করে যেন আর একটি প্রাণও বধ করা না হয়।
অলিউর রহমান
সরকারি কর্মকর্তা (অব.)
কাফরুল, ঢাকা।
আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা সমর্থন করি না। তবে আমার মনে হয়, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এটা ঠিক আছে। ক্রসফায়ারের আগে অপরাধীর ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হতে হবে। এটার জন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আছে।
No comments