তালেবানের বোমায় নাকাল ন্যাটোর সেনারা
আফগানিস্তানে তালেবানবিরোধী যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে বিশ্বের চৌকস সেনারা। সেখানে যুদ্ধ করছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী। তাঁরা অত্যাধুনিক অস্ত্রে সুসজ্জিত। আকাশ ও স্থলের সর্বত্র আধিপত্য বিস্তারের মতো তাদের রয়েছে সমরাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান। অন্যদিকে তালেবান যোদ্ধাদের হাতে রয়েছে সেই তুলনায় অতি সাধারণ অস্ত্র। তাদের এই অস্ত্র আসে চোরাই পথে। আর কিছু নিজেরাই বানায়। তারা পাহাড় থেকে পাহাড়ে পালিয়ে বেড়ায়। একদিকে বিশ্বের পরাক্রমশালী এক বাহিনী, অন্যদিকে পালিয়ে বেড়ানো জঙ্গি দল। কিন্তু অসম এই যুদ্ধেও নাকাল হচ্ছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন চৌকস ন্যাটো বাহিনী। খবর এএফপির।
সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গিদের হাতে ন্যাটো বাহিনীর সদস্যদের নিহত হওয়ার সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। তাঁদের অনেকেই মরেছেন এবং এখনো মরছেন রাস্তার পাশে তালেবানের পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে। এসব বোমা ঘরেই তৈরি করে তালেবান জঙ্গিরা। এই বোমা বানাতে তারা ব্যবহার করে সার, জ্বালানি ও ধাতব পদার্থ।
মার্কিন বাহিনী ইরাকে তবু সাফল্যের মুখ দেখেছে। ইরাকের আকাশে অসংখ্য মনুষ্যবিহীন বিমান নজর রাখত বিদ্রোহীদের ওপর। এসব বিমানই তাদের তথ্য সরবারহ করেছে। এ থেকে মার্কিন সেনারা সহজেই জেনে যেত কোন রাস্তার পাশে কখন কে বোমা পুঁতে রাখছে। এ ক্ষেত্রে আফগানিস্তানে সবকিছুই ব্যর্থ হচ্ছে। এর একটা কারণ হলো, দেশটির ভূ-প্রকৃতি। এই ভূ-প্রকৃতির কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি পায় না সেনারা। এ কারণে পেতে রাখা বোমা শনাক্ত করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
পেন্টাগনের জয়েন্ট ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস ডিফিট অরগানাইজেশনের (জেআইইডিডিও) প্রধান টমাস মেটজ বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে আমরা পেরে উঠছি না।’ মার্কিন কংগ্রেসে এক শুনানি শেষে তিনি সম্প্রতি সাংবাদিকদের জানান, আফগানিস্তানের রয়েছে বিশাল বিস্তৃত অথচ উঁচু-নিচু ভূমি, যা অবিশ্বাস্য রকমের বন্ধুর। এর আবহাওয়াও বিদেশিদের জন্য প্রতিকূল। রাস্তাঘাটের চিত্রও ভয়াবহ। ধুলো ওড়ে যখন-তখন। এই ভূ-প্রকৃতি তালেবানের চিরচেনা। কিন্তু বিদেশি সেনাদের জন্য মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা।
এ সম্বন্ধে জেআইইডিডিওর কমান্ড মাস্টার সার্জেন্ট টোড বারনেট মন্তব্য করেন, ‘ইরাকের পথ-ঘাট ছিল আমাদের নখদর্পণে। কিন্তু আফগানিস্তানকে প্রতিদিন নতুন করে জানতে হয়। পদে পদে শিখতে হয়। আর মুশকিল হলো, ইরাকি বিদ্রোহীদের মতো তালেবান জঙ্গিরা শহরকেন্দ্রিক হামলা চালায় না। তারা দেশটির আনাচে-কানাচে বোমা পুঁতে রাখে। কখন কোথায় বিস্ফোরণ ঘটবে তার ঠিক নেই।’
সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গিদের হাতে ন্যাটো বাহিনীর সদস্যদের নিহত হওয়ার সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। তাঁদের অনেকেই মরেছেন এবং এখনো মরছেন রাস্তার পাশে তালেবানের পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে। এসব বোমা ঘরেই তৈরি করে তালেবান জঙ্গিরা। এই বোমা বানাতে তারা ব্যবহার করে সার, জ্বালানি ও ধাতব পদার্থ।
মার্কিন বাহিনী ইরাকে তবু সাফল্যের মুখ দেখেছে। ইরাকের আকাশে অসংখ্য মনুষ্যবিহীন বিমান নজর রাখত বিদ্রোহীদের ওপর। এসব বিমানই তাদের তথ্য সরবারহ করেছে। এ থেকে মার্কিন সেনারা সহজেই জেনে যেত কোন রাস্তার পাশে কখন কে বোমা পুঁতে রাখছে। এ ক্ষেত্রে আফগানিস্তানে সবকিছুই ব্যর্থ হচ্ছে। এর একটা কারণ হলো, দেশটির ভূ-প্রকৃতি। এই ভূ-প্রকৃতির কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি পায় না সেনারা। এ কারণে পেতে রাখা বোমা শনাক্ত করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
পেন্টাগনের জয়েন্ট ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস ডিফিট অরগানাইজেশনের (জেআইইডিডিও) প্রধান টমাস মেটজ বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে আমরা পেরে উঠছি না।’ মার্কিন কংগ্রেসে এক শুনানি শেষে তিনি সম্প্রতি সাংবাদিকদের জানান, আফগানিস্তানের রয়েছে বিশাল বিস্তৃত অথচ উঁচু-নিচু ভূমি, যা অবিশ্বাস্য রকমের বন্ধুর। এর আবহাওয়াও বিদেশিদের জন্য প্রতিকূল। রাস্তাঘাটের চিত্রও ভয়াবহ। ধুলো ওড়ে যখন-তখন। এই ভূ-প্রকৃতি তালেবানের চিরচেনা। কিন্তু বিদেশি সেনাদের জন্য মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা।
এ সম্বন্ধে জেআইইডিডিওর কমান্ড মাস্টার সার্জেন্ট টোড বারনেট মন্তব্য করেন, ‘ইরাকের পথ-ঘাট ছিল আমাদের নখদর্পণে। কিন্তু আফগানিস্তানকে প্রতিদিন নতুন করে জানতে হয়। পদে পদে শিখতে হয়। আর মুশকিল হলো, ইরাকি বিদ্রোহীদের মতো তালেবান জঙ্গিরা শহরকেন্দ্রিক হামলা চালায় না। তারা দেশটির আনাচে-কানাচে বোমা পুঁতে রাখে। কখন কোথায় বিস্ফোরণ ঘটবে তার ঠিক নেই।’
No comments