উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে ওয়াশিংটন ও সিউলের আপত্কালীন পরিকল্পনা
উত্তর কোরিয়ায় আপত্কালীন কার কী দায়িত্ব হবে, সে-সংক্রান্ত একটি খসড়া পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। গতকাল রোববার সিউলের একটি বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘অপারেশনাল প্ল্যান ৫০২৯’ নামের ওই পরিকল্পনাটি সম্প্রতি সম্পন্ন করেছে সিউল ও ওয়াশিংটন।
ইয়ুনহাপ নামের ওই বার্তা সংস্থাটি সিউলের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেছে, উত্তর কোরিয়ায় গৃহযুদ্ধ বাধলে, মারণাস্ত্রের ব্যবহার হলে, শরণার্থী পরিস্থিতির সৃষ্টি অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে, সে সম্পর্কে আগাম পরিকল্পনা করেছে মিত্র দেশ দুটি।
এই পরিকল্পনা অনুযায়ী উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রসহ সব মারণাস্ত্র ধ্বংসের দায়িত্ব নেবে যুক্তরাষ্ট্র। বাকি সব ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনারা।
এই প্রতিবেদনের ব্যাপারে সিউলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তাত্ক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে পিয়ংইয়ং এই প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনা করে বলেছে, কমিউনিস্ট রাষ্ট্রটির ওপর হামলার প্রস্তুতি হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া এ পরিকল্পনা করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্ববর্তী উদার সরকার এ ধরনের পরিকল্পনা থেকে বিরত ছিল। তারা মনে করত, এ ধরনের পরিকল্পনা সিউলের নিজের সার্বভৌমত্বের জন্যই হুমকি।
বার্তা সংস্থাটি আরও বলেছে, গত বছর প্রেসিডেন্ট লি মাইয়ুং-বাকের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই উত্তর কোরিয়ায় আপত্কালীন পরিকল্পনা করা শুরু হয়। কিছুদিন আগে এ পরিকল্পনার কাজ সম্পন্ন হয়। ভবিষ্যতে এ পরিকল্পনার আরও উন্নয়ন করা হবে।
ইয়ুনহাপকে সিউলের একটি সূত্র বলেছে, ‘উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া হস্তক্ষেপ করলে সে ক্ষেত্রে সিউলের সেনারাই বেশির ভাগ ভূমিকা পালন করবে। পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু অস্ত্র ও অন্যান্য মারণাস্ত্র ধ্বংসের দায়িত্ব নেবে যুক্তরাষ্ট্র।’
সূত্রটি বলেছে, সন্ত্রাসীগোষ্ঠীগুলোর কাছে উত্তর কোরিয়ার মারণাস্ত্র ও এ অস্ত্রসংক্রান্ত প্রযুক্তি হস্তান্তরের আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া উদ্বিগ্ন।
১৯৫০-১৯৫৩ সালের যুদ্ধের পর থেকে দুই কোরিয়ার মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ বিরাজ করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সাড়ে ছয় লাখ সেনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে ২৮ হাজার ৫০০ নিজস্ব সেনা মোতায়েন করেছে। উত্তর কোরিয়ার ১২ লাখ সেনা রয়েছে।
ইয়ুনহাপ নামের ওই বার্তা সংস্থাটি সিউলের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেছে, উত্তর কোরিয়ায় গৃহযুদ্ধ বাধলে, মারণাস্ত্রের ব্যবহার হলে, শরণার্থী পরিস্থিতির সৃষ্টি অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে, সে সম্পর্কে আগাম পরিকল্পনা করেছে মিত্র দেশ দুটি।
এই পরিকল্পনা অনুযায়ী উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রসহ সব মারণাস্ত্র ধ্বংসের দায়িত্ব নেবে যুক্তরাষ্ট্র। বাকি সব ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনারা।
এই প্রতিবেদনের ব্যাপারে সিউলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তাত্ক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে পিয়ংইয়ং এই প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনা করে বলেছে, কমিউনিস্ট রাষ্ট্রটির ওপর হামলার প্রস্তুতি হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া এ পরিকল্পনা করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্ববর্তী উদার সরকার এ ধরনের পরিকল্পনা থেকে বিরত ছিল। তারা মনে করত, এ ধরনের পরিকল্পনা সিউলের নিজের সার্বভৌমত্বের জন্যই হুমকি।
বার্তা সংস্থাটি আরও বলেছে, গত বছর প্রেসিডেন্ট লি মাইয়ুং-বাকের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই উত্তর কোরিয়ায় আপত্কালীন পরিকল্পনা করা শুরু হয়। কিছুদিন আগে এ পরিকল্পনার কাজ সম্পন্ন হয়। ভবিষ্যতে এ পরিকল্পনার আরও উন্নয়ন করা হবে।
ইয়ুনহাপকে সিউলের একটি সূত্র বলেছে, ‘উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া হস্তক্ষেপ করলে সে ক্ষেত্রে সিউলের সেনারাই বেশির ভাগ ভূমিকা পালন করবে। পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু অস্ত্র ও অন্যান্য মারণাস্ত্র ধ্বংসের দায়িত্ব নেবে যুক্তরাষ্ট্র।’
সূত্রটি বলেছে, সন্ত্রাসীগোষ্ঠীগুলোর কাছে উত্তর কোরিয়ার মারণাস্ত্র ও এ অস্ত্রসংক্রান্ত প্রযুক্তি হস্তান্তরের আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া উদ্বিগ্ন।
১৯৫০-১৯৫৩ সালের যুদ্ধের পর থেকে দুই কোরিয়ার মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ বিরাজ করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সাড়ে ছয় লাখ সেনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে ২৮ হাজার ৫০০ নিজস্ব সেনা মোতায়েন করেছে। উত্তর কোরিয়ার ১২ লাখ সেনা রয়েছে।
No comments