সরকারি প্রকল্প কেন যথাযথভাবে শেষ হয় না -ঢাকার বৃত্তাকার নৌপথ
সরকারের কী কাজ, অনেক সময় তা নিয়ে কঠিন ধাঁধায় পড়তে হয়। সরকারি সংস্থার ভূমিকা জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করা কি না, এমন প্রশ্ন জাগাও অস্বাভাবিক নয়। ঢাকা শহর ঘিরে বৃত্তাকার নৌপথ প্রকল্পের বেহাল দশাই এই অপ্রিয় প্রশ্ন তোলার কারণ।
২০০৫ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্প চার বছর পরও শেষ হয়নি। কাজ যতটা হয়েছিল, তাও অবহেলায় বাতিল হওয়ার পথে। অথচ যানজটে অচল ঢাকার জন্য, দূষণ ও দখলে বিপন্ন ঢাকার নদীর জন্য, রাজধানীতে থেকেও রাজধানীর সুবিধাহীন ঢাকাবাসীর জন্য এই প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন ও সুফলভোগ ছিল খুবই জরুরি। যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়; যার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি, তা-ই আসে সবচেয়ে দেরিতে। ঢাকাকে ঘিরে বৃত্তাকার নৌপথ তেমনই এক আসি আসি করে না-আসা অগ্রগতির অপর নাম। গত বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোয় এ অবহেলার সাতকাহন প্রকাশিত হয়েছে। যেমন: ড্রেজার নেই বলে নদী-খাল খনন বন্ধ, আগের খনন করা অংশ দখল করে নিচ্ছে ডেভেলপাররা। ওদিকে মন্ত্রী জানান, ড্রেজার হাতে পেলে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। ড্রেজার আসতে দেড় বছর। তার আগে কি তাহলে দখলই থাকবে? নদী আর নৌপথের দেশে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) হাতে রয়েছে মাত্র সাতটি ড্রেজার! এটা বিশ্বাসযোগ্য? শেষ ড্রেজার কেনা হয়েছে ১৯৭৫ সালে। কর্তৃপক্ষের অবদান হলো, যাত্রী ওঠানো-নামানোর জন্য ১২টি ল্যান্ডিং স্টেশন তো তৈরি হয়েছে! প্রথম আলোর অনুসন্ধান বলছে, ব্যবহার না হওয়ায় সেগুলো এখন বখাটেদের আখড়া, আর এসবের এক প্রহরী যিনি কিনা সেখানে বালুর ব্যবসা তদারকিতে ব্যস্ত।
অথচ প্রধানমন্ত্রী নিজে বারবার নদী উদ্ধার করে যোগাযোগে গতি আনার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু কাজের বেলায় মন্ত্রণালয় ও আমলাতন্ত্র পরস্পরকে দোষারোপে ব্যস্ত, এক বিভাগ আরেক বিভাগের মুখাপেক্ষী। এসবের খেসারত হিসেবে এক কাজ দুইবার করতে হয় এবং প্রকল্পের ব্যয় বেড়েই চলে। অন্যদিকে, নদীতীর, নদীবক্ষ, মজে যাওয়া খাল প্রভৃতি চলে যায় বালু, ভাটা, আবাসনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীর দখলে। প্রকল্প সম্পাদনে এসব প্রভাবশালী ভূমি-ব্যবসায়ীর বাধাও কম নয়। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জনস্বার্থ এবং লোপাট হয় সরকারি কোষাগার। পরিহাস করে তাই বলতে হয়, এর নামই সরকার!
ঢাকার বৃত্তাকার নৌপথ প্রকল্প অতীব জরুরি এবং জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় প্রকল্প—এই উপলব্ধি সরকারের সংশ্লিষ্ট সবার থাকা উচিত। প্রয়োজনে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের হস্তক্ষেপও আসুক। প্রমাণিত হোক, সরকার সক্রিয় আছে, দায়িত্বশীল আছে।
২০০৫ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্প চার বছর পরও শেষ হয়নি। কাজ যতটা হয়েছিল, তাও অবহেলায় বাতিল হওয়ার পথে। অথচ যানজটে অচল ঢাকার জন্য, দূষণ ও দখলে বিপন্ন ঢাকার নদীর জন্য, রাজধানীতে থেকেও রাজধানীর সুবিধাহীন ঢাকাবাসীর জন্য এই প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন ও সুফলভোগ ছিল খুবই জরুরি। যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়; যার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি, তা-ই আসে সবচেয়ে দেরিতে। ঢাকাকে ঘিরে বৃত্তাকার নৌপথ তেমনই এক আসি আসি করে না-আসা অগ্রগতির অপর নাম। গত বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোয় এ অবহেলার সাতকাহন প্রকাশিত হয়েছে। যেমন: ড্রেজার নেই বলে নদী-খাল খনন বন্ধ, আগের খনন করা অংশ দখল করে নিচ্ছে ডেভেলপাররা। ওদিকে মন্ত্রী জানান, ড্রেজার হাতে পেলে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। ড্রেজার আসতে দেড় বছর। তার আগে কি তাহলে দখলই থাকবে? নদী আর নৌপথের দেশে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) হাতে রয়েছে মাত্র সাতটি ড্রেজার! এটা বিশ্বাসযোগ্য? শেষ ড্রেজার কেনা হয়েছে ১৯৭৫ সালে। কর্তৃপক্ষের অবদান হলো, যাত্রী ওঠানো-নামানোর জন্য ১২টি ল্যান্ডিং স্টেশন তো তৈরি হয়েছে! প্রথম আলোর অনুসন্ধান বলছে, ব্যবহার না হওয়ায় সেগুলো এখন বখাটেদের আখড়া, আর এসবের এক প্রহরী যিনি কিনা সেখানে বালুর ব্যবসা তদারকিতে ব্যস্ত।
অথচ প্রধানমন্ত্রী নিজে বারবার নদী উদ্ধার করে যোগাযোগে গতি আনার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু কাজের বেলায় মন্ত্রণালয় ও আমলাতন্ত্র পরস্পরকে দোষারোপে ব্যস্ত, এক বিভাগ আরেক বিভাগের মুখাপেক্ষী। এসবের খেসারত হিসেবে এক কাজ দুইবার করতে হয় এবং প্রকল্পের ব্যয় বেড়েই চলে। অন্যদিকে, নদীতীর, নদীবক্ষ, মজে যাওয়া খাল প্রভৃতি চলে যায় বালু, ভাটা, আবাসনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীর দখলে। প্রকল্প সম্পাদনে এসব প্রভাবশালী ভূমি-ব্যবসায়ীর বাধাও কম নয়। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জনস্বার্থ এবং লোপাট হয় সরকারি কোষাগার। পরিহাস করে তাই বলতে হয়, এর নামই সরকার!
ঢাকার বৃত্তাকার নৌপথ প্রকল্প অতীব জরুরি এবং জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় প্রকল্প—এই উপলব্ধি সরকারের সংশ্লিষ্ট সবার থাকা উচিত। প্রয়োজনে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের হস্তক্ষেপও আসুক। প্রমাণিত হোক, সরকার সক্রিয় আছে, দায়িত্বশীল আছে।
No comments