বদলে দেওয়া সহজ নয়, বললেন ওবামা
ঠিক এক বছর আগে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনী প্রচারণার সময় মার্কিন জনগণের প্রতি তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘চেঞ্জ উই ক্যান বিলিভ ইন’ (আমরা পরিবর্তনে বিশ্বাস করি)। এক বছর পর তিনিই বললেন, ‘চেঞ্জ ইজ হার্ড’ (বদলে দেওয়া সহজ নয়)। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট। সর্বোচ্চ অর্জন হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম বছরই পেয়েছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার। প্রাপ্তি আর প্রত্যাশার চাপ সামাল দিতে গিয়েই গত এক বছরে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মানুষটির এ উপলব্ধি।
গত সপ্তাহে সামরিক খাতে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর একটি বিলে সই করার সময় বারাক ওবামা বলেন, ‘পরিবর্তন আনা সহজ নয়।’ এর কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাতে ওবামা বলেছিলেন, ‘পরিবর্তন খুব সহজে আসবে না।’ পরের দিন ভার্জিনিয়াতে তিনি বলেছিলেন, ‘রাতারাতি কোনো কিছু বদলে দেওয়া যাবে না।’ তাঁর এসব ধারাবাহিক বক্তব্যই প্রমাণ করছে নির্বাচনী প্রচারণার সময় যেসব প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন সেগুলোর বাস্তবায়ন করা আসলে খুব একটা সহজ হবে না।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন ক্ষমতায় আসার পর বেশির ভাগ মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ে অনেক বেশিই তিনি দেশবাসীকে দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ব্রুস বুকানন বলেন, ‘অন্য যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ে তিনি বেশি কাজ করেছেন এবং তা করেছেন অনেকের চাইতে অনেক বেশি দ্রুততার সঙ্গে।’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তরে ওবামার ১০ মাসকে তিনি সাফল্যময় সময় হিসেবেই বর্ণনা করতে চান বলে জানালেন।
ক্ষমতায় আসার পরই গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যখান থেকে দেশকে বের করে আনার দায়িত্ব চাপে ওবামার কাঁধে। পাশাপাশি অন্যান্য চ্যালেঞ্জের মধ্যে ছিল ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ, গুয়ানতানামো বে কারাগার নিয়ে জটিলতা, ইউরোপে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা স্থাপন করা নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্ব, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু সংকট, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার অচলাবস্থা সর্বোপরি বহির্বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের নেতিবাচক ভাবমূর্তি। এগুলো ছাড়াও মার্কিন স্বাস্থ্যসেবা খাতের সংস্কার, কর্মসংস্থান তৈরি করা ও মার্কিন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তোলার কাজেও হাত দিতে হয়েছে তাঁকে।
কিন্তু এত চ্যালেঞ্জের সামনে হার মানেননি তিনি। সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন, করছেন। ইরাক থেকে এরই মধ্যে বেশির ভাগ মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করেছেন। কিউবায় গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছেন। ওবামা প্রশাসনের নেওয়া অর্থনৈতিক উদ্দীপনা প্যাকেজের আওতায় মার্কিন অর্থনীতি ধীরে ধীরে গতি ফিরে পাচ্ছে। বেকারত্বের হার না কমলেও এর গতি শ্লথ হয়েছে। সর্বোপরি এ বছর শান্তিতে তাঁর নোবেল পুরস্কার পাওয়া এটাই প্রমাণ করেছে, বহির্বিশ্বে তিনি মার্কিন ভাবমূর্তির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব অনেকাংশেই ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন। সব মিলিয়ে আলাদিনের দৈত্যের মতো রাতারাতি বদলে দিতে না পরলেও তাঁর কর্মকাণ্ড প্রমাণ করছে, বদলে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন ওবামা।
গত সপ্তাহে সামরিক খাতে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর একটি বিলে সই করার সময় বারাক ওবামা বলেন, ‘পরিবর্তন আনা সহজ নয়।’ এর কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাতে ওবামা বলেছিলেন, ‘পরিবর্তন খুব সহজে আসবে না।’ পরের দিন ভার্জিনিয়াতে তিনি বলেছিলেন, ‘রাতারাতি কোনো কিছু বদলে দেওয়া যাবে না।’ তাঁর এসব ধারাবাহিক বক্তব্যই প্রমাণ করছে নির্বাচনী প্রচারণার সময় যেসব প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন সেগুলোর বাস্তবায়ন করা আসলে খুব একটা সহজ হবে না।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন ক্ষমতায় আসার পর বেশির ভাগ মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ে অনেক বেশিই তিনি দেশবাসীকে দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ব্রুস বুকানন বলেন, ‘অন্য যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ে তিনি বেশি কাজ করেছেন এবং তা করেছেন অনেকের চাইতে অনেক বেশি দ্রুততার সঙ্গে।’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তরে ওবামার ১০ মাসকে তিনি সাফল্যময় সময় হিসেবেই বর্ণনা করতে চান বলে জানালেন।
ক্ষমতায় আসার পরই গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যখান থেকে দেশকে বের করে আনার দায়িত্ব চাপে ওবামার কাঁধে। পাশাপাশি অন্যান্য চ্যালেঞ্জের মধ্যে ছিল ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ, গুয়ানতানামো বে কারাগার নিয়ে জটিলতা, ইউরোপে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা স্থাপন করা নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্ব, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু সংকট, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার অচলাবস্থা সর্বোপরি বহির্বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের নেতিবাচক ভাবমূর্তি। এগুলো ছাড়াও মার্কিন স্বাস্থ্যসেবা খাতের সংস্কার, কর্মসংস্থান তৈরি করা ও মার্কিন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তোলার কাজেও হাত দিতে হয়েছে তাঁকে।
কিন্তু এত চ্যালেঞ্জের সামনে হার মানেননি তিনি। সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন, করছেন। ইরাক থেকে এরই মধ্যে বেশির ভাগ মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করেছেন। কিউবায় গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছেন। ওবামা প্রশাসনের নেওয়া অর্থনৈতিক উদ্দীপনা প্যাকেজের আওতায় মার্কিন অর্থনীতি ধীরে ধীরে গতি ফিরে পাচ্ছে। বেকারত্বের হার না কমলেও এর গতি শ্লথ হয়েছে। সর্বোপরি এ বছর শান্তিতে তাঁর নোবেল পুরস্কার পাওয়া এটাই প্রমাণ করেছে, বহির্বিশ্বে তিনি মার্কিন ভাবমূর্তির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব অনেকাংশেই ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন। সব মিলিয়ে আলাদিনের দৈত্যের মতো রাতারাতি বদলে দিতে না পরলেও তাঁর কর্মকাণ্ড প্রমাণ করছে, বদলে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন ওবামা।
No comments