অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যটনশিল্প
পর্যটন
হচ্ছে চিত্তবিনোদনের জন্য বা শিক্ষার উদ্দেশ্যে পরিভ্রমণ। জ্ঞানের
পরিধিতে পর্যটন একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। তাই বর্তমানে বিশ্বের অনেক
দেশেই পর্যটনশিল্প একটি উল্লেখযোগ্য সেবা খাত হিসেবে সুপরিচিত ও
প্রতিষ্ঠিত।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ পর্যটনশিল্প দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নিতে পারেনি, যদিও আমাদের রয়েছে কক্সবাজার, সুন্দরবনের মতো অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান। অথচ ছোট একটি দ্বীপ দেশ মরিশাস পর্যটনশিল্প দিয়েই আজ সারা বিশ্বে সুপরিচিত। পৃথিবীতে এমন অনেক দেশই আছে যাদের জাতীয় আয়ের একটি বড় অংশ আসে পর্যটনশিল্প থেকে। বাংলাদেশে পর্যটনশিল্প বিকশিত ও প্রসার লাভ করলে এ দেশের অর্থনীতিতে তা বড় অবদান রাখবে।
দ্য ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম কাউন্সিল পরিমাপ করে দেখেছে, ১৯৯৮ সালে বিশ্বে পর্যটনশিল্পের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের অবদান ছিল ৮০০ বিলিয়ন ডলার, যার পরিমাণ ২০১০ সাল নাগাদ দ্বিগুণ হবে। এ ক্ষেত্রে বলা যায়, পর্যটনশিল্পের উন্নতির অর্থই হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের আয়ের ক্ষেত্র প্রসারিত হওয়া।
বিদেশে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প পণ্যের যথেষ্ট চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আমরা এসব পণ্য প্রচার ও দক্ষ মার্কেটিং ব্যবস্থার অভাবে বিদেশিদের কাছে পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হই। তাই পর্যটনশিল্পের বিকাশের মাধ্যমে বেশি বেশি বিদেশি পর্যটক এ দেশে আনা সম্ভব হলে, এসব শিল্পপণ্যের চাহিদা অনেক বাড়বে। ফলে এসব ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প উত্পাদনকারী পরিবারগুলোর আয় বাড়বে। আর এতে করে বাড়বে দেশের সামগ্রিক চাহিদা। এভাবে ছোট পরিবারগুলোর আয় বাড়লে, এ দেশের অর্থনীতি একটি সুষম উন্নতির মাধ্যমে এগিয়ে যাবে।
পর্যটনশিল্পের বিকাশের ক্ষেত্রে প্রধান অবলম্বন বিদেশি পর্যটক। বিদেশিদের জন্য পৃথক টুরিস্ট জোন করে দিয়ে এ সম্ভাবনা আরও ভালোভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে। উল্লেখ্য, পার্শ্ববর্তী ভারতেও পৃথক টুরিস্ট জোন রয়েছে (যেখানে শুধু বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশাধিকার রয়েছে)। বাংলাদেশ সরকারের উচিত সম্ভাবনাময় পর্যটনশিল্পের বিকাশে অনুরূপ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
>>সুজিত বণিক। শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ পর্যটনশিল্প দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নিতে পারেনি, যদিও আমাদের রয়েছে কক্সবাজার, সুন্দরবনের মতো অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান। অথচ ছোট একটি দ্বীপ দেশ মরিশাস পর্যটনশিল্প দিয়েই আজ সারা বিশ্বে সুপরিচিত। পৃথিবীতে এমন অনেক দেশই আছে যাদের জাতীয় আয়ের একটি বড় অংশ আসে পর্যটনশিল্প থেকে। বাংলাদেশে পর্যটনশিল্প বিকশিত ও প্রসার লাভ করলে এ দেশের অর্থনীতিতে তা বড় অবদান রাখবে।
দ্য ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম কাউন্সিল পরিমাপ করে দেখেছে, ১৯৯৮ সালে বিশ্বে পর্যটনশিল্পের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের অবদান ছিল ৮০০ বিলিয়ন ডলার, যার পরিমাণ ২০১০ সাল নাগাদ দ্বিগুণ হবে। এ ক্ষেত্রে বলা যায়, পর্যটনশিল্পের উন্নতির অর্থই হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের আয়ের ক্ষেত্র প্রসারিত হওয়া।
বিদেশে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প পণ্যের যথেষ্ট চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আমরা এসব পণ্য প্রচার ও দক্ষ মার্কেটিং ব্যবস্থার অভাবে বিদেশিদের কাছে পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হই। তাই পর্যটনশিল্পের বিকাশের মাধ্যমে বেশি বেশি বিদেশি পর্যটক এ দেশে আনা সম্ভব হলে, এসব শিল্পপণ্যের চাহিদা অনেক বাড়বে। ফলে এসব ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প উত্পাদনকারী পরিবারগুলোর আয় বাড়বে। আর এতে করে বাড়বে দেশের সামগ্রিক চাহিদা। এভাবে ছোট পরিবারগুলোর আয় বাড়লে, এ দেশের অর্থনীতি একটি সুষম উন্নতির মাধ্যমে এগিয়ে যাবে।
পর্যটনশিল্পের বিকাশের ক্ষেত্রে প্রধান অবলম্বন বিদেশি পর্যটক। বিদেশিদের জন্য পৃথক টুরিস্ট জোন করে দিয়ে এ সম্ভাবনা আরও ভালোভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে। উল্লেখ্য, পার্শ্ববর্তী ভারতেও পৃথক টুরিস্ট জোন রয়েছে (যেখানে শুধু বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশাধিকার রয়েছে)। বাংলাদেশ সরকারের উচিত সম্ভাবনাময় পর্যটনশিল্পের বিকাশে অনুরূপ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
>>সুজিত বণিক। শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
No comments