সব পক্ষের পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ চাই -শ্রমিক-অসন্তোষ ও মৃত্যু
টঙ্গীতে পুলিশের গুলিতে দুজনের মৃত্যু কিছু জ্বলন্ত প্রশ্নকে সামনে নিয়ে এসেছে: তৈরি পোশাকশিল্পে মজুরি-শোষণ আর গুলি করে শ্রমিক হত্যা কি রেওয়াজে পরিণত হয়েছে? মানুষের জীবন নেওয়া কি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার অপরিহার্য অঙ্গ? ইচ্ছামতো কারখানা বন্ধ করে দেওয়া কিংবা ইচ্ছামতো গুলিবর্ষণের ঘটনা কি আইনের ঊর্ধ্বের ব্যাপার?
যেকোনো মৃত্যুই দুঃখজনক এবং পুলিশের গুলিতে মৃত্যু আরও দুঃখজনক। তাই এটি হত্যাকাণ্ড, নাকি আইনের বিকল্পহীন প্রয়োগ—তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সহস্রাধিক টিয়ার শেল নিক্ষেপ, বস্তিতে ঢুকে নির্বিচারে গুলি এবং পঞ্চাশেরও বেশি শ্রমিককে আহত করার কী প্রয়োজন তৈরি হয়েছিল? উভয় পক্ষের মধ্যে গ্রহণযোগ্য সমঝোতার চেষ্টা ছাড়াই পুলিশ কেন দমনের পথে গেল? এসব প্রশ্নের উত্তর প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর এই কথা যেন অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয় এবং আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা ক্ষতিপূরণ পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে শ্রমিকদের তরফে একাধিক লাশ গুমের যে অভিযোগ উঠেছে, তার সত্যাসত্যও নিশ্চিত করা জরুরি।
কারখানা বন্ধ করার বিষয়ে শ্রম আইনে নির্দিষ্ট কিছু বিধি রয়েছে। নিপ্পন গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের আগাম নোটিশ দেওয়া, বন্ধকালীন (লে-অফ) অবস্থায় তাদের বেতন-ভাতা দেওয়ার বন্দোবস্তসহ অবশ্যপালনীয় বিধিগুলো মানেনি বলে প্রতীয়মান হয়। বিশেষত, ঈদের আগে এই ঘটনা শ্রমিকদের হতাশ ও বিক্ষুব্ধ করেছে। যেখানে তৈরি পোশাকশিল্পে মানবাধিকার লঙ্ঘন, মজুরি-শোষণ এবং বেতন-ভাতা না দেওয়াই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে শ্রমিকদের লা-জবাব করে রাখা কঠিন।
নিষ্ঠুর পরিহাসটি করেছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। তারা বলেছে, শ্রমিক-অসন্তোষের কারণ নাশকতা। অকাট্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়া এ ধরনের অভিযোগ তোলা দায়িত্বশীলতা নয়। এই অসন্তোষ যে মূলত কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও অন্যায়েরই প্রতিক্রিয়া, এই উপলব্ধি আসতে হবে। শ্রমিকের ক্ষুধার্ত উদরই অসন্তোষের কারণ। মালিক-শ্রমিক-সরকারের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি মোতাবেক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি দেওয়াসহ এ পর্যন্ত সম্পাদিত বেশির ভাগ চুক্তিই অনেক কারখানায় বাস্তবায়িত হয়নি। একবিংশ শতকে শ্রমিকদের আগের মতো শোষণ করার সুযোগ নেই।
প্রবাসী শ্রমিক খাতের পরই তৈরি পোশাকশিল্প দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদেশি মুদ্রা অর্জনকারী খাত। এর বিকাশে সরকার ব্যাপক সহযোগিতা ও ভর্তুকি দিয়ে চলেছে। কর মওকুফসহ বহুবিধ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতাধন্য এ শিল্পে কেন এত অনিয়ম-বঞ্চনা থাকবে, তা বোধগম্য নয়। এ শিল্পের ভবিষ্যতের স্বার্থেই এসব সমস্যার উচিত বিহিত হওয়া দরকার। সরকারকে মালিক-শ্রমিক উভয়েরই অভিভাবকের ভূমিকা নিতে হবে। মালিককে হতে হবে দায়িত্বশীল এবং শ্রমিকদের এ শিল্পের ভবিষ্যত্ স্বার্থের দিকটিও হিসেবে রাখতে হবে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কারও জন্যই কোনো শুভ পরিণাম বয়ে আনে না।
যেকোনো মৃত্যুই দুঃখজনক এবং পুলিশের গুলিতে মৃত্যু আরও দুঃখজনক। তাই এটি হত্যাকাণ্ড, নাকি আইনের বিকল্পহীন প্রয়োগ—তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সহস্রাধিক টিয়ার শেল নিক্ষেপ, বস্তিতে ঢুকে নির্বিচারে গুলি এবং পঞ্চাশেরও বেশি শ্রমিককে আহত করার কী প্রয়োজন তৈরি হয়েছিল? উভয় পক্ষের মধ্যে গ্রহণযোগ্য সমঝোতার চেষ্টা ছাড়াই পুলিশ কেন দমনের পথে গেল? এসব প্রশ্নের উত্তর প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর এই কথা যেন অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয় এবং আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা ক্ষতিপূরণ পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে শ্রমিকদের তরফে একাধিক লাশ গুমের যে অভিযোগ উঠেছে, তার সত্যাসত্যও নিশ্চিত করা জরুরি।
কারখানা বন্ধ করার বিষয়ে শ্রম আইনে নির্দিষ্ট কিছু বিধি রয়েছে। নিপ্পন গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের আগাম নোটিশ দেওয়া, বন্ধকালীন (লে-অফ) অবস্থায় তাদের বেতন-ভাতা দেওয়ার বন্দোবস্তসহ অবশ্যপালনীয় বিধিগুলো মানেনি বলে প্রতীয়মান হয়। বিশেষত, ঈদের আগে এই ঘটনা শ্রমিকদের হতাশ ও বিক্ষুব্ধ করেছে। যেখানে তৈরি পোশাকশিল্পে মানবাধিকার লঙ্ঘন, মজুরি-শোষণ এবং বেতন-ভাতা না দেওয়াই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে শ্রমিকদের লা-জবাব করে রাখা কঠিন।
নিষ্ঠুর পরিহাসটি করেছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। তারা বলেছে, শ্রমিক-অসন্তোষের কারণ নাশকতা। অকাট্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়া এ ধরনের অভিযোগ তোলা দায়িত্বশীলতা নয়। এই অসন্তোষ যে মূলত কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও অন্যায়েরই প্রতিক্রিয়া, এই উপলব্ধি আসতে হবে। শ্রমিকের ক্ষুধার্ত উদরই অসন্তোষের কারণ। মালিক-শ্রমিক-সরকারের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি মোতাবেক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি দেওয়াসহ এ পর্যন্ত সম্পাদিত বেশির ভাগ চুক্তিই অনেক কারখানায় বাস্তবায়িত হয়নি। একবিংশ শতকে শ্রমিকদের আগের মতো শোষণ করার সুযোগ নেই।
প্রবাসী শ্রমিক খাতের পরই তৈরি পোশাকশিল্প দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদেশি মুদ্রা অর্জনকারী খাত। এর বিকাশে সরকার ব্যাপক সহযোগিতা ও ভর্তুকি দিয়ে চলেছে। কর মওকুফসহ বহুবিধ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতাধন্য এ শিল্পে কেন এত অনিয়ম-বঞ্চনা থাকবে, তা বোধগম্য নয়। এ শিল্পের ভবিষ্যতের স্বার্থেই এসব সমস্যার উচিত বিহিত হওয়া দরকার। সরকারকে মালিক-শ্রমিক উভয়েরই অভিভাবকের ভূমিকা নিতে হবে। মালিককে হতে হবে দায়িত্বশীল এবং শ্রমিকদের এ শিল্পের ভবিষ্যত্ স্বার্থের দিকটিও হিসেবে রাখতে হবে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কারও জন্যই কোনো শুভ পরিণাম বয়ে আনে না।
No comments