রনির দাপটে রাসেলের জয়
দুই পেনাল্টি, এক লাল কার্ড, চার গোল। একটা ফুটবল ম্যাচ থেকে আর কী চাই!
দুই পেনাল্টির একটি করে পেল দুদলই। গোল হলো দুটিতেই। লাল কার্ডটা গেল মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে। চার গোলের তিনটিও তাদেরই জালে। যোগ্যতর দল হিসেবেই এই ম্যাচের জয়ী শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র (৩-১)।
রাসেলের এই জয়ে বড় অবদান স্ট্রাইকার মোহাম্মদ রনির। আগের ম্যাচে দুই গোল, কালও তাঁর দুই গোল। দুই ম্যাচে চার গোল করে বাংলাদেশ লিগের গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে তিনি। এভাবে গোল পেতে থাকলে জাতীয় দলের দরজাই তাঁর জন্য খুলে দিতে পারেন ডিডো। এই আলোচনাও শুরু হয়ে গেছে।
১২ মিনিটে মরোক্কান ফরোয়ার্ড সামির ওমারির মাপা ক্রসে ফাঁকা পোস্টে হেড করে প্রথম গোল। ৩৫ মিনিটে আবদুল্লাহ পারভেজের বক্সে ফেলা বল ঘানাইয়ার সতীর্থ মরো মোহাম্মদের পা ঘুরে ছোট বক্সের সামনে পড়ল। মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক তারেক পোস্ট ছেড়ে বেরোলেও বলের নাগাল পেলেন না। সুযোগ সন্ধানী রনির শট জালে। ২-০-তে এগিয়ে গেল রাসেল।
দুটি গোলই মুক্তিযোদ্ধার দুর্বল রক্ষণের খেসারত। সামিরের ক্রসটা দুর্দান্ত হলেও মুক্তিযোদ্ধার রক্ষণে বেরিয়ে পড়া বড় ফাঁকই কাজে লাগিয়ে গোল করেছেন রনি। প্রথম গোলের সময় লেফট ব্যাক হাসান আগেই বলটা ক্লিয়ার করতে পারতেন। দ্বিতীয় গোলে স্টপার শুভ্রও দায় এড়াতে পারবেন না।
মনি, টিপুদের প্রথম একাদশে রেখে এদিন দল সাজিয়েছেন কোচ গোলাম সারোয়ার টিপু। তাঁর দলকে অনেকে ‘বুড়ো’দের দল বলে, তার পরও আস্তে আস্তে মুক্তিযোদ্ধা যখন উন্নতি করছিল তখনই নতুন সমস্যা। মাঝমাঠের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারলেও মুক্তিযোদ্ধার রক্ষণে ফাটল ধরেছে। প্রথম দুই ম্যাচেই হার দিয়ে শুরু—সামনে যে আরও কী অপেক্ষা করছে!
উল্টো ছবি শেখ রাসলের। উন্নতির রেখচিত্রটা ক্রমেই উর্ধ্বমুখী। মাঝমাঠ অনেকটা সংগঠিত দেখাল এদিন। পাস, বল নিয়ন্ত্রণ সবকিছুই আগের চেয়ে ভালো। ঘানাইয়ান মরো মোহাম্মদ মূলত স্ট্রাইকার, দলীয় সমন্বয়ের স্বার্থে খেলানো হয়েছে লেফট উইংয়ে। পরিবর্তনটা ইতিবাচক ফলই দিয়েছে। ফেডারেশন কাপে শেখ রাসেল ছিল সাধারণ মানের। এই রাসেল কিছুটা হলেও দাপটা দেখিয়ে লিগে তুলে নিয়েছে টানা দ্বিতীয় জয়।
শেষ ২৫ মিনিট ১০ জনের মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে খেলেছে রাসেল। ৬৫ মিনিটে সামির ওমারিকে আটকাতে পোস্ট ছেড়ে আসা মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক ফাউলই করে বসেন। অবধারিত লাল কার্ড এবং পেনাল্টি। বিকল্প গোলরক্ষক নিজামকে নামাতে তুলে আনতে হয়েছে শুভ্রকে। কিন্তু পেনাল্টি গোল ঠেকানো যায়নি। পেনাল্টি আদায় করে নেওয়া সামিরই গোলটাও আদায় করে নেন।
কয়েক মিনিট বাদে আবার পেনাল্টি। এবার রাসেলের বক্সে রনিকে ফেলে দেন ডিফেন্ডার আমিনুল। ইগুইনি গ্রে গোল করে ব্যবধানটা কমালেন—এই যা।
হ্যাটট্রিকের দেখা পেতে পারতেন রনি। কিন্তু নিজাম গোলবঞ্চিত করেন তাঁকে। পুরো ম্যাচে বোধহয় একটাই আক্ষেপ এই স্ট্রাইকারের।
শেখ রাসেল: মামুন, কামাল, জহির, আমিনুল, আব্বাস ইনাস, আবদুল্লাহ পারভেজ, মারুফ, মোবারক (সানি), সামির, রনি, মরো মোহাম্মদ। মুক্তিযোদ্ধা: তারেক, শুভ্র (নিজাম) হাসান, ফিরোজ মাহমুদ, রনি, সাইফুর, অরূপ, প্রমিস, ফুয়াদ, গ্রে, শাহাজউদ্দিন।
দুই পেনাল্টির একটি করে পেল দুদলই। গোল হলো দুটিতেই। লাল কার্ডটা গেল মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে। চার গোলের তিনটিও তাদেরই জালে। যোগ্যতর দল হিসেবেই এই ম্যাচের জয়ী শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র (৩-১)।
রাসেলের এই জয়ে বড় অবদান স্ট্রাইকার মোহাম্মদ রনির। আগের ম্যাচে দুই গোল, কালও তাঁর দুই গোল। দুই ম্যাচে চার গোল করে বাংলাদেশ লিগের গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে তিনি। এভাবে গোল পেতে থাকলে জাতীয় দলের দরজাই তাঁর জন্য খুলে দিতে পারেন ডিডো। এই আলোচনাও শুরু হয়ে গেছে।
১২ মিনিটে মরোক্কান ফরোয়ার্ড সামির ওমারির মাপা ক্রসে ফাঁকা পোস্টে হেড করে প্রথম গোল। ৩৫ মিনিটে আবদুল্লাহ পারভেজের বক্সে ফেলা বল ঘানাইয়ার সতীর্থ মরো মোহাম্মদের পা ঘুরে ছোট বক্সের সামনে পড়ল। মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক তারেক পোস্ট ছেড়ে বেরোলেও বলের নাগাল পেলেন না। সুযোগ সন্ধানী রনির শট জালে। ২-০-তে এগিয়ে গেল রাসেল।
দুটি গোলই মুক্তিযোদ্ধার দুর্বল রক্ষণের খেসারত। সামিরের ক্রসটা দুর্দান্ত হলেও মুক্তিযোদ্ধার রক্ষণে বেরিয়ে পড়া বড় ফাঁকই কাজে লাগিয়ে গোল করেছেন রনি। প্রথম গোলের সময় লেফট ব্যাক হাসান আগেই বলটা ক্লিয়ার করতে পারতেন। দ্বিতীয় গোলে স্টপার শুভ্রও দায় এড়াতে পারবেন না।
মনি, টিপুদের প্রথম একাদশে রেখে এদিন দল সাজিয়েছেন কোচ গোলাম সারোয়ার টিপু। তাঁর দলকে অনেকে ‘বুড়ো’দের দল বলে, তার পরও আস্তে আস্তে মুক্তিযোদ্ধা যখন উন্নতি করছিল তখনই নতুন সমস্যা। মাঝমাঠের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারলেও মুক্তিযোদ্ধার রক্ষণে ফাটল ধরেছে। প্রথম দুই ম্যাচেই হার দিয়ে শুরু—সামনে যে আরও কী অপেক্ষা করছে!
উল্টো ছবি শেখ রাসলের। উন্নতির রেখচিত্রটা ক্রমেই উর্ধ্বমুখী। মাঝমাঠ অনেকটা সংগঠিত দেখাল এদিন। পাস, বল নিয়ন্ত্রণ সবকিছুই আগের চেয়ে ভালো। ঘানাইয়ান মরো মোহাম্মদ মূলত স্ট্রাইকার, দলীয় সমন্বয়ের স্বার্থে খেলানো হয়েছে লেফট উইংয়ে। পরিবর্তনটা ইতিবাচক ফলই দিয়েছে। ফেডারেশন কাপে শেখ রাসেল ছিল সাধারণ মানের। এই রাসেল কিছুটা হলেও দাপটা দেখিয়ে লিগে তুলে নিয়েছে টানা দ্বিতীয় জয়।
শেষ ২৫ মিনিট ১০ জনের মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে খেলেছে রাসেল। ৬৫ মিনিটে সামির ওমারিকে আটকাতে পোস্ট ছেড়ে আসা মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক ফাউলই করে বসেন। অবধারিত লাল কার্ড এবং পেনাল্টি। বিকল্প গোলরক্ষক নিজামকে নামাতে তুলে আনতে হয়েছে শুভ্রকে। কিন্তু পেনাল্টি গোল ঠেকানো যায়নি। পেনাল্টি আদায় করে নেওয়া সামিরই গোলটাও আদায় করে নেন।
কয়েক মিনিট বাদে আবার পেনাল্টি। এবার রাসেলের বক্সে রনিকে ফেলে দেন ডিফেন্ডার আমিনুল। ইগুইনি গ্রে গোল করে ব্যবধানটা কমালেন—এই যা।
হ্যাটট্রিকের দেখা পেতে পারতেন রনি। কিন্তু নিজাম গোলবঞ্চিত করেন তাঁকে। পুরো ম্যাচে বোধহয় একটাই আক্ষেপ এই স্ট্রাইকারের।
শেখ রাসেল: মামুন, কামাল, জহির, আমিনুল, আব্বাস ইনাস, আবদুল্লাহ পারভেজ, মারুফ, মোবারক (সানি), সামির, রনি, মরো মোহাম্মদ। মুক্তিযোদ্ধা: তারেক, শুভ্র (নিজাম) হাসান, ফিরোজ মাহমুদ, রনি, সাইফুর, অরূপ, প্রমিস, ফুয়াদ, গ্রে, শাহাজউদ্দিন।
No comments