শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে দ্রুত উদ্যোগ নিন -কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
গত শুক্রবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিবদমান ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে সহিংসতার আশঙ্কা থেকে এ সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে এই বছর তিন দফা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্ধারিত বন্ধের কবলে পড়ল। এ রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে নবীন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় এক হাজার ২০০ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে এবং প্রতিষ্ঠানটির নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হতে পারে।
২০০৭ সালের ২৮ মে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পর বিভিন্ন সময়ে সংঘাত-সহিংসতা আর দলাদলির কারণে এর সুনাম হারিয়ে যেতে বসেছে। এখানে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ‘রাজনীতি’মুক্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে জোরেশোরে ছাত্ররাজনীতি শুরু হয়ে গেছে। ওই রাজনৈতিক অপতত্পরতার গণ্ডি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ছাড়িয়ে শহর এবং গ্রাম এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়েছে। কুমিল্লা অঞ্চলের কতিপয় সাংসদ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিজেদের সমর্থিত নেতাদের দিয়ে ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের তত্পরতার কারণেই এখন পর্যন্ত ১০ বার ছাত্র সংঘর্ষ হয়েছে। এসব ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হলেও কোনো প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি।
এ বছরের ৩১ আগস্ট ছাত্রলীগ-সমর্থিত দুই অংশের মধ্যে সংঘর্ষ হলে এক মাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত ৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তিন দিন পর আবার ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবির-সমর্থিত অংশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। অন্যদিকে কয়েকজন শিক্ষক ভর্তি ফরম বিক্রির টাকা পদমর্যাদা অনুযায়ী সমান হারে বণ্টন ও অর্থ বণ্টনের সুনির্দিষ্ট নীতিমালার দাবিতে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন, তাঁর দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ ঘটনার পর ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্ররাজনীতির প্রভাবমুক্ত দাবিদার এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘাত-সহিংসতা আর দলাদলির বিস্তার গভীর উদ্বেগজনক।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ওপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের অযাচিত হস্তক্ষেপের সুযোগ থেকে গেলে শিক্ষা কার্যক্রম বারবার এমনভাবে ব্যাহত হতে থাকবে। প্রশাসনিক কার্যক্রমের ওপর ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অংশের রাজনৈতিক চাপ অব্যাহত থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা যাবে না। তাই এদিকে নজর দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন ঠিকমতো চলতে পারে, সে জন্য উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের সেশনজটমুক্ত সুন্দর ভবিষ্যত্ নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।
২০০৭ সালের ২৮ মে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পর বিভিন্ন সময়ে সংঘাত-সহিংসতা আর দলাদলির কারণে এর সুনাম হারিয়ে যেতে বসেছে। এখানে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ‘রাজনীতি’মুক্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে জোরেশোরে ছাত্ররাজনীতি শুরু হয়ে গেছে। ওই রাজনৈতিক অপতত্পরতার গণ্ডি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ছাড়িয়ে শহর এবং গ্রাম এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়েছে। কুমিল্লা অঞ্চলের কতিপয় সাংসদ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিজেদের সমর্থিত নেতাদের দিয়ে ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের তত্পরতার কারণেই এখন পর্যন্ত ১০ বার ছাত্র সংঘর্ষ হয়েছে। এসব ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হলেও কোনো প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি।
এ বছরের ৩১ আগস্ট ছাত্রলীগ-সমর্থিত দুই অংশের মধ্যে সংঘর্ষ হলে এক মাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত ৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তিন দিন পর আবার ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবির-সমর্থিত অংশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। অন্যদিকে কয়েকজন শিক্ষক ভর্তি ফরম বিক্রির টাকা পদমর্যাদা অনুযায়ী সমান হারে বণ্টন ও অর্থ বণ্টনের সুনির্দিষ্ট নীতিমালার দাবিতে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন, তাঁর দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ ঘটনার পর ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্ররাজনীতির প্রভাবমুক্ত দাবিদার এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘাত-সহিংসতা আর দলাদলির বিস্তার গভীর উদ্বেগজনক।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ওপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের অযাচিত হস্তক্ষেপের সুযোগ থেকে গেলে শিক্ষা কার্যক্রম বারবার এমনভাবে ব্যাহত হতে থাকবে। প্রশাসনিক কার্যক্রমের ওপর ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অংশের রাজনৈতিক চাপ অব্যাহত থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা যাবে না। তাই এদিকে নজর দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন ঠিকমতো চলতে পারে, সে জন্য উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের সেশনজটমুক্ত সুন্দর ভবিষ্যত্ নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।
No comments