প্রস্তাবিত ভৈরব জেলার মানচিত্র কীভাবে আঁকা হবে by সুমন রহমান
সরকার
ভৈরবকে জেলায় পরিণত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ
নেওয়ার লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার সভাপতি মন্ত্রিপরিষদ
বিভাগের অতিরিক্ত সচিব। নয় সদস্যের এ কমিটি সুপারিশ করবে প্রস্তাবিত ভৈরব
জেলায় বিভাগীয় কোন অফিসগুলো স্থাপন করা হবে; জেলা অফিসগুলো স্থাপনের জন্য
ভৌত অবকাঠামো, প্রয়োজনীয় লোকবল ও অর্থের সংকুলান কীভাবে হবে, তাও সুপারিশ
করবে কমিটি। এর চেয়ে সম্ভবত আরও গুরুত্বপূর্ণ যে সুপারিশটি কমিটিকে করতে
হবে সেটি হচ্ছে ভৈরব জেলার সীমানা নির্ধারণ বিষয়ে। কমিটিকে সময় বেঁধে
দেওয়া হয়েছে এক মাস। এ নিয়ে কমিটি কাজ শুরু করার আগেই তেতে উঠেছে
মাঠপর্যায়।
ভৈরবের বর্তমান জেলা সদর কিশোরগঞ্জ শহরে এ জেলার ‘অখণ্ডতা’ রক্ষার আন্দোলন তীব্র হয়ে উঠেছে। কিশোরগঞ্জের সঙ্গে গাঁটছড়া অক্ষুণ্ন রাখার ঘোষণা দিয়েছে কটিয়াদী ও নিকলী উপজেলাবাসী। বাজিতপুরের লোকজন ভাবছে, তাদের জেলা হওয়ার নৈতিক দাবি ভৈরবের থেকে ঐতিহাসিক কারণেই বেশি। কটিয়াদী বা নিকলীর জন্য জেলা সদর হিসেবে কিশোরগঞ্জ বেশি সুবিধাজনক বলে এসব উপজেলার লোকজনেরা ভাবছে। নিকলী থেকে কিশোরগঞ্জের দূরত্ব যেখানে ১০ কিলোমিটার, সেখানে নিকলী-ভৈরবের দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার প্রায়। একমাত্র কুলিয়ারচর উপজেলার ভৈরব বিষয়ে কোনো গুরুতর আপত্তি নেই মনে হয়। আর হাওর অঞ্চলে অষ্টগ্রামের মনোভাব তেমন নেতিবাচক মনে হচ্ছে না। আবার এদিকে রায়পুরা উপজেলার পূর্বাঞ্চলের সাতটি ইউনিয়ন প্রস্তাবিত ভৈরব জেলার আওতায় আসতে চায়। একটি জেলার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ছোট অঞ্চলগুলোর ব্যক্তিত্ব এভাবে জেগে ওঠা বেশ মজার। একদিকে জেলার প্রজ্ঞাপন হাতে পেয়ে ভৈরবে যেমন মিষ্টি বিতরণ চলছে, অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ, বাজিতপুর, কটিয়াদীতে চলছে রেল, সড়ক ও নৌ অবরোধ, আইনজীবীদের কলম বিরতি, স্মারকলিপি প্রদান ইত্যাদি।
আদিতে ময়মনসিংহ জেলার অংশ ছিল ভৈরব। তারপর কিশোরগঞ্জকে জেলা করার সময় ভৈরবকে কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জেলা হিসেবে কিশোরগঞ্জও ময়মনসিংহ-মাতৃকার সিজারিয়ান বেবি, এ কথা বর্তমানের ‘অখণ্ড’ কিশোরগঞ্জের প্রবক্তারা বোধহয় ভুলে গেছেন! জেলা হওয়ার আগে কিশোরগঞ্জ মহকুমা ছিল। ভৈরবেরও মহকুমা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল, কিন্তু হয়নি। এরপর মহকুমা জিনিসটিই উঠে গেছে। এসেছে উপজেলা, কোর্টকাচারিটুকু বাদ দিলে সেটি থানার নামান্তরমাত্র। এটি নিশ্চয়ই ঠিক যে ভৈরব স্মরণাতীতকাল থেকেই কিশোরগঞ্জ তথা গোটা হাওর অঞ্চলের বাণিজ্যিক রাজধানী বা বিজনেস ডিসট্রিক্ট হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে ভৈরবের ঐতিহ্য অনেক পুরোনো, এ জায়গায় কিশোরগঞ্জের জেলা-পরিচয়ের দ্বারস্থ কখনোই ছিল না ভৈরব। একই ভাবে কিশোরগঞ্জের সুদীর্ঘ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাজিতপুরের রাজনৈতিক তত্পরতার ইতিহাস এসব শহরের আলাদা আত্মমর্যাদা তৈরি করেছে। এ রকম প্রতিটি জনপদেরই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আত্মপরিচয় ও আত্মমর্যাদা আছে, বিভিন্ন ঐতিহাসিক মুহূর্তে সেগুলো তৈরি হয় এবং বিভিন্ন ঐতিহাসিকতা দিয়ে এর আত্মপরিচয়ের পুনর্গঠনও হয়। বাজিতপুরের লোকজনেরা ভাবছে, পুরোনো পৌরসভা হিসেবে জেলা হওয়ার দাবি ভৈরবের থেকে কোন দিক থেকে কম? আবার কিশোরগঞ্জের লোকজনেরা ভাবছে, ভৈরবের মতো ‘পয়সাঅলা’ উপজেলা হারালে জেলা হিসেবে মানমর্যাদা নিয়ে জেলাসমাজে মুখ দেখানো যাবে কি না! অন্তত কিশোরগঞ্জের আইনব্যবসায় একটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পড়বে, কিশোরগঞ্জের ‘অখণ্ডতা’ রক্ষার আন্দোলনের পুরোভাগে আইন পেশার মানুষজনকে দেখে এটুকু আঁচ করা যায়।
দেখা যাচ্ছে, এ ‘জেলা’ নামক জিনিসটিকে নিছক রাষ্ট্রের প্রশাসনিক ইউনিট ভাবছে না কেউই, এটি জড়িয়ে পড়ছে জনপদের আত্মপরিচয়, আত্মমর্যাদাবোধ ও অর্থনীতির সঙ্গে, আবার একই সঙ্গে সেটি রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক শ্রেষ্ঠত্বের বোধেরও স্মারক হয়ে উঠছে। এটিও ঠিক যে জেলার স্বীকৃতি ভৈরবের জন্য যতটা না প্রশাসনিক প্রয়োজনের, তার চেয়ে বেশি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক বাণিজ্যিক কেন্দ্রের ঐতিহাসিক স্বীকৃতির লক্ষ্যে। যেকোনো ধরনের বিকেন্দ্রীকরণ কাজে গতির সঞ্চার করে। জেলার স্বীকৃতি ভৈরবকেও সে রকম গতির মধ্যে নিয়ে আসবে সন্দেহ নেই।
তবে যাঁরা আলোচনার টেবিলে বসে ভৈরব জেলার মানচিত্র বানাবেন, তাঁরা এসব ঘটনাকে খাটো করে দেখবেন না আশা করি। লর্ড মেকলের ৪০ দিনে ভারত-বিভাগের মতো কিশোরগঞ্জের ম্যাপ কেটে-ছিঁড়ে একটি ভৈরব জেলা বের করে আনলে ফল খুব স্বস্তিদায়ক না-ও হতে পারে। আপত্তি ও আগ্রহগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা দরকার, কোন কোন আপত্তির পেছনে কী কী প্রণোদনা কাজ করছে, সেটিও বোঝা দরকার। যেমন নিকলীর কাছ থেকে তার জেলা সদরকে ৫০ মাইল দূরে পাঠিয়ে দেওয়ার অর্থ নিশ্চয়ই উন্নয়নের দৌড় থেকে নিকলীকে আরও পিছিয়ে দেওয়া। আবার বাজিতপুরের আপত্তির পেছনে নিছক বঞ্চনার বোধ থাকলে বা ওই এলাকার অধিবাসীদের ইগো আহত হওয়ার মামলা থাকলে, দ্বিপক্ষীয় সংলাপ অনুষ্ঠান করে সংকটের নিরসন করা যায়। বৃহত্তর রায়পুরা উপজেলার পূর্বাঞ্চলের স্বতঃস্ফূর্ত আগ্রহকেও হেসে উড়িয়ে দেওয়ার কারণ নেই। ভৈরব জেলাকে শুধু কিশোরগঞ্জের পেট থেকে বের না করে দেখা দরকার কোন অঞ্চলগুলোর সঙ্গে ভৈরবের আর্থিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অবস্থানগত নৈকট্য আছে। প্রয়োজনে না হয় আরেকটু জটিল শল্যচিকিত্সা হোক। জেলা তো শুধু রাজনৈতিক ওয়াদার বাস্তবায়ন নয়, একে সাধারণ মানুষের কাজেও লাগতে হবে। জেলা তৈরির প্রশাসনিক কাজটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিবেচনাগুলোকে গুরুত্ব দিক, নয়তো জেলা গুরুত্ব হারাবে। তবে বিশ্বায়নের এ যুগে একটি ক্ষুদ্র জনপদের প্রশাসনিক সীমানা দিয়ে যেমন অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চলাচল ব্যাহত করা যাবে না, আবার এটিও ঠিক যে আমাদের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক লেনদেনের অভ্যাসকে না চটিয়ে প্রশাসনিক সীমানাগুলো চিহ্নিত করা গেলে তা আখেরে সবার জন্যই লাভজনক।
>>>সুমন রহমান: কথাসাহিত্যিক।
ভৈরবের বর্তমান জেলা সদর কিশোরগঞ্জ শহরে এ জেলার ‘অখণ্ডতা’ রক্ষার আন্দোলন তীব্র হয়ে উঠেছে। কিশোরগঞ্জের সঙ্গে গাঁটছড়া অক্ষুণ্ন রাখার ঘোষণা দিয়েছে কটিয়াদী ও নিকলী উপজেলাবাসী। বাজিতপুরের লোকজন ভাবছে, তাদের জেলা হওয়ার নৈতিক দাবি ভৈরবের থেকে ঐতিহাসিক কারণেই বেশি। কটিয়াদী বা নিকলীর জন্য জেলা সদর হিসেবে কিশোরগঞ্জ বেশি সুবিধাজনক বলে এসব উপজেলার লোকজনেরা ভাবছে। নিকলী থেকে কিশোরগঞ্জের দূরত্ব যেখানে ১০ কিলোমিটার, সেখানে নিকলী-ভৈরবের দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার প্রায়। একমাত্র কুলিয়ারচর উপজেলার ভৈরব বিষয়ে কোনো গুরুতর আপত্তি নেই মনে হয়। আর হাওর অঞ্চলে অষ্টগ্রামের মনোভাব তেমন নেতিবাচক মনে হচ্ছে না। আবার এদিকে রায়পুরা উপজেলার পূর্বাঞ্চলের সাতটি ইউনিয়ন প্রস্তাবিত ভৈরব জেলার আওতায় আসতে চায়। একটি জেলার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ছোট অঞ্চলগুলোর ব্যক্তিত্ব এভাবে জেগে ওঠা বেশ মজার। একদিকে জেলার প্রজ্ঞাপন হাতে পেয়ে ভৈরবে যেমন মিষ্টি বিতরণ চলছে, অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ, বাজিতপুর, কটিয়াদীতে চলছে রেল, সড়ক ও নৌ অবরোধ, আইনজীবীদের কলম বিরতি, স্মারকলিপি প্রদান ইত্যাদি।
আদিতে ময়মনসিংহ জেলার অংশ ছিল ভৈরব। তারপর কিশোরগঞ্জকে জেলা করার সময় ভৈরবকে কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জেলা হিসেবে কিশোরগঞ্জও ময়মনসিংহ-মাতৃকার সিজারিয়ান বেবি, এ কথা বর্তমানের ‘অখণ্ড’ কিশোরগঞ্জের প্রবক্তারা বোধহয় ভুলে গেছেন! জেলা হওয়ার আগে কিশোরগঞ্জ মহকুমা ছিল। ভৈরবেরও মহকুমা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল, কিন্তু হয়নি। এরপর মহকুমা জিনিসটিই উঠে গেছে। এসেছে উপজেলা, কোর্টকাচারিটুকু বাদ দিলে সেটি থানার নামান্তরমাত্র। এটি নিশ্চয়ই ঠিক যে ভৈরব স্মরণাতীতকাল থেকেই কিশোরগঞ্জ তথা গোটা হাওর অঞ্চলের বাণিজ্যিক রাজধানী বা বিজনেস ডিসট্রিক্ট হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে ভৈরবের ঐতিহ্য অনেক পুরোনো, এ জায়গায় কিশোরগঞ্জের জেলা-পরিচয়ের দ্বারস্থ কখনোই ছিল না ভৈরব। একই ভাবে কিশোরগঞ্জের সুদীর্ঘ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাজিতপুরের রাজনৈতিক তত্পরতার ইতিহাস এসব শহরের আলাদা আত্মমর্যাদা তৈরি করেছে। এ রকম প্রতিটি জনপদেরই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আত্মপরিচয় ও আত্মমর্যাদা আছে, বিভিন্ন ঐতিহাসিক মুহূর্তে সেগুলো তৈরি হয় এবং বিভিন্ন ঐতিহাসিকতা দিয়ে এর আত্মপরিচয়ের পুনর্গঠনও হয়। বাজিতপুরের লোকজনেরা ভাবছে, পুরোনো পৌরসভা হিসেবে জেলা হওয়ার দাবি ভৈরবের থেকে কোন দিক থেকে কম? আবার কিশোরগঞ্জের লোকজনেরা ভাবছে, ভৈরবের মতো ‘পয়সাঅলা’ উপজেলা হারালে জেলা হিসেবে মানমর্যাদা নিয়ে জেলাসমাজে মুখ দেখানো যাবে কি না! অন্তত কিশোরগঞ্জের আইনব্যবসায় একটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পড়বে, কিশোরগঞ্জের ‘অখণ্ডতা’ রক্ষার আন্দোলনের পুরোভাগে আইন পেশার মানুষজনকে দেখে এটুকু আঁচ করা যায়।
দেখা যাচ্ছে, এ ‘জেলা’ নামক জিনিসটিকে নিছক রাষ্ট্রের প্রশাসনিক ইউনিট ভাবছে না কেউই, এটি জড়িয়ে পড়ছে জনপদের আত্মপরিচয়, আত্মমর্যাদাবোধ ও অর্থনীতির সঙ্গে, আবার একই সঙ্গে সেটি রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক শ্রেষ্ঠত্বের বোধেরও স্মারক হয়ে উঠছে। এটিও ঠিক যে জেলার স্বীকৃতি ভৈরবের জন্য যতটা না প্রশাসনিক প্রয়োজনের, তার চেয়ে বেশি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক বাণিজ্যিক কেন্দ্রের ঐতিহাসিক স্বীকৃতির লক্ষ্যে। যেকোনো ধরনের বিকেন্দ্রীকরণ কাজে গতির সঞ্চার করে। জেলার স্বীকৃতি ভৈরবকেও সে রকম গতির মধ্যে নিয়ে আসবে সন্দেহ নেই।
তবে যাঁরা আলোচনার টেবিলে বসে ভৈরব জেলার মানচিত্র বানাবেন, তাঁরা এসব ঘটনাকে খাটো করে দেখবেন না আশা করি। লর্ড মেকলের ৪০ দিনে ভারত-বিভাগের মতো কিশোরগঞ্জের ম্যাপ কেটে-ছিঁড়ে একটি ভৈরব জেলা বের করে আনলে ফল খুব স্বস্তিদায়ক না-ও হতে পারে। আপত্তি ও আগ্রহগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা দরকার, কোন কোন আপত্তির পেছনে কী কী প্রণোদনা কাজ করছে, সেটিও বোঝা দরকার। যেমন নিকলীর কাছ থেকে তার জেলা সদরকে ৫০ মাইল দূরে পাঠিয়ে দেওয়ার অর্থ নিশ্চয়ই উন্নয়নের দৌড় থেকে নিকলীকে আরও পিছিয়ে দেওয়া। আবার বাজিতপুরের আপত্তির পেছনে নিছক বঞ্চনার বোধ থাকলে বা ওই এলাকার অধিবাসীদের ইগো আহত হওয়ার মামলা থাকলে, দ্বিপক্ষীয় সংলাপ অনুষ্ঠান করে সংকটের নিরসন করা যায়। বৃহত্তর রায়পুরা উপজেলার পূর্বাঞ্চলের স্বতঃস্ফূর্ত আগ্রহকেও হেসে উড়িয়ে দেওয়ার কারণ নেই। ভৈরব জেলাকে শুধু কিশোরগঞ্জের পেট থেকে বের না করে দেখা দরকার কোন অঞ্চলগুলোর সঙ্গে ভৈরবের আর্থিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অবস্থানগত নৈকট্য আছে। প্রয়োজনে না হয় আরেকটু জটিল শল্যচিকিত্সা হোক। জেলা তো শুধু রাজনৈতিক ওয়াদার বাস্তবায়ন নয়, একে সাধারণ মানুষের কাজেও লাগতে হবে। জেলা তৈরির প্রশাসনিক কাজটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিবেচনাগুলোকে গুরুত্ব দিক, নয়তো জেলা গুরুত্ব হারাবে। তবে বিশ্বায়নের এ যুগে একটি ক্ষুদ্র জনপদের প্রশাসনিক সীমানা দিয়ে যেমন অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চলাচল ব্যাহত করা যাবে না, আবার এটিও ঠিক যে আমাদের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক লেনদেনের অভ্যাসকে না চটিয়ে প্রশাসনিক সীমানাগুলো চিহ্নিত করা গেলে তা আখেরে সবার জন্যই লাভজনক।
>>>সুমন রহমান: কথাসাহিত্যিক।
No comments