বাবার কথা বলছি -স্মরণ by সুমায়রা আজীম
ছোটবেলায় মায়ের মুখে গল্প শুনেছি রূপকথার এক রাজকুমারের, যে রাজ্য নয়, সেনা নয়, ঐশ্বর্যও নয়, ছোটবেলা থেকে ছিল প্রকৃতির সৌন্দর্যের অনুরাগী।
গ্রাম-বাংলার সাধারণ জীবন, বাংলার শ্যামল প্রকৃতি, বিস্তৃত দিগন্ত আর শান্ত নদী আকৃষ্ট করত সেদিনের সেই ছোট্ট রাজপুত্রের কোমল মন। সে আমার বাবা শিল্পী মবিনুল আজিম; আমার কাছে শিশুকাল থেকে যে কেবলই ছবি।
শিল্পী মবিনুল আজিম। পদ্মার উত্তাল তরঙ্গ আর লাল কৃষ্ণচূড়া, শিশুকাল থেকে যাঁকে দিয়েছে প্রকৃতি ও রঙের জাদুর অনুপ্রেরণা। শিল্পী মবিনুল আজিমের জন্ম ১৯৩৪ সালে ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে, ছেলেবেলা থেকেই বাংলার মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ ছুঁয়ে যেত তাঁর মন। ধরণীর শ্যামল দিগন্তের অপার সৌন্দর্য মুগ্ধ করত তাঁকে। এ প্রাকৃতিক দৃশ্য দোলা দিত তাঁর শিশুমনে।
সেসব সুন্দর দৃশ্য স্কুলের খাতায় পেন্সিলে ধরে রাখার চেষ্টায় সদা সচেষ্ট হতেন শিশু মবিনুল আজিম। তাই প্রবেশিকা পরীক্ষা পাসের পর ভর্তি হলেন তত্কালীন ঢাকা চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে। সেখান থেকে স্নাতক পাস করে বের হলেন পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি সময়ে। কিছুদিন শিক্ষকতাও করলেন সেখানে। তারপর জীবনের প্রয়োজনে পাড়ি জমান তত্কালীন বন্দরনগর করাচিতে। তখনো ছবি আঁকা অব্যাহত ছিল তাঁর। করাচিতে থাকাকালেই বাবার প্রথম একক প্রদর্শনী হয়েছিল ঢাকায় ১৯৬৪ সালে। বড় হয়ে স্মৃতির অতলে হারিয়ে যাওয়া বাবার সে সময়ের চিত্রকর্মের এক প্রতিবেদন পড়তে গিয়ে চোখে পড়েছিল কোনো একজন প্রতিবেদক লিখেছিলেন, ‘পাশ্চাত্যের পুঁজিবাদী সভ্যতার আধুনিকতম শিল্পভাবনার সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত রেখেও মবিনুল আজিম পাকিস্তানি কিছু শিল্পীর মতো বিভ্রান্ত নন, নন মোহগ্রস্ত, ফলে তাঁর ছবি স্মৃতির ভারে নয় অবনত, নয় দুর্বোধ্যতার আবরণে চিহ্নিত।’
মায়ের মুখে শোনা—শিল্পী মবিনুল আজিম তাঁর তুলির টানে আর রঙের মিশ্রণে এমন ব্যঞ্জনা সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন, যা আকৃষ্ট করত দর্শককে। বাবার এ রং-তুলির খেয়ালে অদ্ভুত ভঙ্গিমায় তিনি তুলে ধরেছিলেন বাংলার নৌকা, নদী, মাছ ধরার জাল, পাখি, চাঁদ, ফুল প্রভৃতির অনুষঙ্গ। বাবা যদিও তাঁর যৌবনের অনেক মুহূর্ত কাটিয়েছেন করাচি নগরে, তবু ভুলতে পারেননি তাঁর ফেলে আসা শৈশবের বাংলা, বাংলার মধুর স্মৃতি। তাই তো এক যুগেরও বেশি সময় পার করে দেশের ছেলে আবার ফিরে এলেন স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে; শৈশব আর যৌবনের প্রারম্ভের স্মৃতিবিজড়িত এ বাংলায়। অনেকটা সেই এক যুগ আগে যেমন করাচিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন শুধু শিল্পসাধনার আকাঙ্ক্ষা আর মনোবল নিয়ে, তেমনই অবস্থায় ফিরে এলেন নিজের দেশে। কিন্তু স্বদেশ তাঁকে দিল আরও দুঃখ, আরও যন্ত্রণা। তাই বলে তিনি বসে থাকেননি, নিজের সাধনা তিনি একাগ্রচিত্তে করে গিয়েছেন। দেশে ফিরে আসার পর এখানকার অনেক শিল্পীই বাবাকে করেননি কোনো সহযোগিতা, বরং তাঁকে কোণঠাসা করতে চেয়েছেন তাঁরা। অভিমানী বাবা আবার জীবিকা নির্বাহের জন্য ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে আর্টের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেখানেই শিক্ষকতা করেন। ঢাকায় এসে মাত্র দুবার চিত্রপ্রদর্শনী করেছেন তিনি। নীরবেই কাটছিল তাঁর দিনগুলো। শুনেছি বাবার ছেলেবেলার খেলার সঙ্গী, অন্তরঙ্গ বন্ধু (রবীন্দ্রসংগীতজ্ঞ শ্রদ্ধেয় আতিকুল ইসলাম) আতিক চাচা বাবার মৃত্যুর কিছুদিন আগেই হঠাত্ এক দুর্ঘটনায় মারা যান। তখন থেকে নাকি বাবা প্রায়ই বলতেন, ‘আতিক যখন চলে গেছে, আমিও বোধহয় আর বেশিদিন থাকব না।’ বাবা বোধহয় তাঁর পরপারের অকাল যাত্রার আহ্বান আগেই শুনতে পেয়েছিলেন। সত্যিও হয়েছিল তাঁর ধারণা। তাই তো হঠাত্ বাবা কী তা বুঝে ওঠার আগেই আমাদের দুই বোন আর মাকে একা করে দিয়ে চলে গেলেন নীরবে ১৯৭৫ সালের ১ নভেম্বর মধ্যরাতে। বুকে একরাশ অভিমান চেপে, সেই অভিমান নিজের ওপর। কোনো অপ্রাপ্তির জন্য নয়, মানুষের সংকীর্ণতা দেখতে হয়েছে বলে।
নিতান্ত আপনজন ছাড়া কেউ জানল না তাঁর এ অকাল মৃত্যুসংবাদ। কষ্ট হয় এই ভেবে, কেউ বলাবলিও করল না তাঁকে নিয়ে; পত্রিকার পাতায় সামান্য একটু জায়গাও হলো না তাঁর মৃত্যুসংবাদের। বেশ কয়েকদিন পর রেডিওতে নাকি প্রথম কেউ কেউ শুনতে পায়, তাঁর নীরবে চলে যাওয়ার কথা। আমাদের ছেড়ে দূরে বহুদূরে চিরতরে হারিয়ে যাওয়া আমার বাবা, ছেলেবেলায় গল্পে শোনা সেই রাজপুত্রের হঠাত্ই মৃত্যু সম্পর্কে।
বাবার আঁকা অসংখ্য জলরং ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: একটি পাহাড়ি নিসর্গ, সেটির সম্মুখ অংশে একটি হ্রদ এবং পেছনে দলবদ্ধ পাইন গাছ, এরই ফাঁক দিয়ে উঁকি দেওয়া দূরবর্তী টিলা। আরও একটি নিসর্গ, সেটির মূল বিষয় দিগন্তবিস্তৃত ঘোরানো-পেঁচানো মহাসড়ক, এর পেছনে সবুজ বনানী আর খয়েরি পাথররাজি। বাবার আরও একটি উল্লেখযোগ্য কাজ সোনারগাঁ, এ ছবির বিষয় কয়েকটি পাকা ঘর, ঘরের পাশের কয়েকটি কবর ও বৃক্ষের অনুষঙ্গে এমন নিস্পৃহ-নিস্পন্দ আবহের সৃষ্টি হয়েছে, ঠিক যেন পরাক্রমশালী ইশা খাঁর সময় স্থির হয়ে আছে সে ছবিতে। এ ছাড়া ঘরগুলো নির্মাণে রঙের যে ব্যবহার ও জ্যামিতিক কাঠামোর যে গড়ন-কৌশল, এর পরিণতি সৃজনশীলতার পরিচয় বহনকারী। এ ছাড়া তিনি তাঁর চিত্রকর্মে তেলরং ব্যবহারের এক সৃজনশীল কৌশলও আয়ত্ত করেন এবং উপহার দেন শিল্পরসিকদের তেলরঙে নিজস্ব পদ্ধতি রপ্ত বহু শিল্পকর্ম।
আশা করি, বাবা মবিনুল আজিম নন, শিল্পী মবিনুল আজিম হারিয়ে যাবেন না চিরতরে। তিনি আছেন এখনো যেমন আমাদের পরিবারের মধ্যে, তেমনি থাকবেন এ দেশের শিল্পী ও শিল্পরসিকদের মধ্যে চিরদিন, তাঁর শৈল্পিক সৃষ্টির মাধ্যমে।
গ্রাম-বাংলার সাধারণ জীবন, বাংলার শ্যামল প্রকৃতি, বিস্তৃত দিগন্ত আর শান্ত নদী আকৃষ্ট করত সেদিনের সেই ছোট্ট রাজপুত্রের কোমল মন। সে আমার বাবা শিল্পী মবিনুল আজিম; আমার কাছে শিশুকাল থেকে যে কেবলই ছবি।
শিল্পী মবিনুল আজিম। পদ্মার উত্তাল তরঙ্গ আর লাল কৃষ্ণচূড়া, শিশুকাল থেকে যাঁকে দিয়েছে প্রকৃতি ও রঙের জাদুর অনুপ্রেরণা। শিল্পী মবিনুল আজিমের জন্ম ১৯৩৪ সালে ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে, ছেলেবেলা থেকেই বাংলার মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ ছুঁয়ে যেত তাঁর মন। ধরণীর শ্যামল দিগন্তের অপার সৌন্দর্য মুগ্ধ করত তাঁকে। এ প্রাকৃতিক দৃশ্য দোলা দিত তাঁর শিশুমনে।
সেসব সুন্দর দৃশ্য স্কুলের খাতায় পেন্সিলে ধরে রাখার চেষ্টায় সদা সচেষ্ট হতেন শিশু মবিনুল আজিম। তাই প্রবেশিকা পরীক্ষা পাসের পর ভর্তি হলেন তত্কালীন ঢাকা চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে। সেখান থেকে স্নাতক পাস করে বের হলেন পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি সময়ে। কিছুদিন শিক্ষকতাও করলেন সেখানে। তারপর জীবনের প্রয়োজনে পাড়ি জমান তত্কালীন বন্দরনগর করাচিতে। তখনো ছবি আঁকা অব্যাহত ছিল তাঁর। করাচিতে থাকাকালেই বাবার প্রথম একক প্রদর্শনী হয়েছিল ঢাকায় ১৯৬৪ সালে। বড় হয়ে স্মৃতির অতলে হারিয়ে যাওয়া বাবার সে সময়ের চিত্রকর্মের এক প্রতিবেদন পড়তে গিয়ে চোখে পড়েছিল কোনো একজন প্রতিবেদক লিখেছিলেন, ‘পাশ্চাত্যের পুঁজিবাদী সভ্যতার আধুনিকতম শিল্পভাবনার সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত রেখেও মবিনুল আজিম পাকিস্তানি কিছু শিল্পীর মতো বিভ্রান্ত নন, নন মোহগ্রস্ত, ফলে তাঁর ছবি স্মৃতির ভারে নয় অবনত, নয় দুর্বোধ্যতার আবরণে চিহ্নিত।’
মায়ের মুখে শোনা—শিল্পী মবিনুল আজিম তাঁর তুলির টানে আর রঙের মিশ্রণে এমন ব্যঞ্জনা সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন, যা আকৃষ্ট করত দর্শককে। বাবার এ রং-তুলির খেয়ালে অদ্ভুত ভঙ্গিমায় তিনি তুলে ধরেছিলেন বাংলার নৌকা, নদী, মাছ ধরার জাল, পাখি, চাঁদ, ফুল প্রভৃতির অনুষঙ্গ। বাবা যদিও তাঁর যৌবনের অনেক মুহূর্ত কাটিয়েছেন করাচি নগরে, তবু ভুলতে পারেননি তাঁর ফেলে আসা শৈশবের বাংলা, বাংলার মধুর স্মৃতি। তাই তো এক যুগেরও বেশি সময় পার করে দেশের ছেলে আবার ফিরে এলেন স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে; শৈশব আর যৌবনের প্রারম্ভের স্মৃতিবিজড়িত এ বাংলায়। অনেকটা সেই এক যুগ আগে যেমন করাচিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন শুধু শিল্পসাধনার আকাঙ্ক্ষা আর মনোবল নিয়ে, তেমনই অবস্থায় ফিরে এলেন নিজের দেশে। কিন্তু স্বদেশ তাঁকে দিল আরও দুঃখ, আরও যন্ত্রণা। তাই বলে তিনি বসে থাকেননি, নিজের সাধনা তিনি একাগ্রচিত্তে করে গিয়েছেন। দেশে ফিরে আসার পর এখানকার অনেক শিল্পীই বাবাকে করেননি কোনো সহযোগিতা, বরং তাঁকে কোণঠাসা করতে চেয়েছেন তাঁরা। অভিমানী বাবা আবার জীবিকা নির্বাহের জন্য ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে আর্টের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেখানেই শিক্ষকতা করেন। ঢাকায় এসে মাত্র দুবার চিত্রপ্রদর্শনী করেছেন তিনি। নীরবেই কাটছিল তাঁর দিনগুলো। শুনেছি বাবার ছেলেবেলার খেলার সঙ্গী, অন্তরঙ্গ বন্ধু (রবীন্দ্রসংগীতজ্ঞ শ্রদ্ধেয় আতিকুল ইসলাম) আতিক চাচা বাবার মৃত্যুর কিছুদিন আগেই হঠাত্ এক দুর্ঘটনায় মারা যান। তখন থেকে নাকি বাবা প্রায়ই বলতেন, ‘আতিক যখন চলে গেছে, আমিও বোধহয় আর বেশিদিন থাকব না।’ বাবা বোধহয় তাঁর পরপারের অকাল যাত্রার আহ্বান আগেই শুনতে পেয়েছিলেন। সত্যিও হয়েছিল তাঁর ধারণা। তাই তো হঠাত্ বাবা কী তা বুঝে ওঠার আগেই আমাদের দুই বোন আর মাকে একা করে দিয়ে চলে গেলেন নীরবে ১৯৭৫ সালের ১ নভেম্বর মধ্যরাতে। বুকে একরাশ অভিমান চেপে, সেই অভিমান নিজের ওপর। কোনো অপ্রাপ্তির জন্য নয়, মানুষের সংকীর্ণতা দেখতে হয়েছে বলে।
নিতান্ত আপনজন ছাড়া কেউ জানল না তাঁর এ অকাল মৃত্যুসংবাদ। কষ্ট হয় এই ভেবে, কেউ বলাবলিও করল না তাঁকে নিয়ে; পত্রিকার পাতায় সামান্য একটু জায়গাও হলো না তাঁর মৃত্যুসংবাদের। বেশ কয়েকদিন পর রেডিওতে নাকি প্রথম কেউ কেউ শুনতে পায়, তাঁর নীরবে চলে যাওয়ার কথা। আমাদের ছেড়ে দূরে বহুদূরে চিরতরে হারিয়ে যাওয়া আমার বাবা, ছেলেবেলায় গল্পে শোনা সেই রাজপুত্রের হঠাত্ই মৃত্যু সম্পর্কে।
বাবার আঁকা অসংখ্য জলরং ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: একটি পাহাড়ি নিসর্গ, সেটির সম্মুখ অংশে একটি হ্রদ এবং পেছনে দলবদ্ধ পাইন গাছ, এরই ফাঁক দিয়ে উঁকি দেওয়া দূরবর্তী টিলা। আরও একটি নিসর্গ, সেটির মূল বিষয় দিগন্তবিস্তৃত ঘোরানো-পেঁচানো মহাসড়ক, এর পেছনে সবুজ বনানী আর খয়েরি পাথররাজি। বাবার আরও একটি উল্লেখযোগ্য কাজ সোনারগাঁ, এ ছবির বিষয় কয়েকটি পাকা ঘর, ঘরের পাশের কয়েকটি কবর ও বৃক্ষের অনুষঙ্গে এমন নিস্পৃহ-নিস্পন্দ আবহের সৃষ্টি হয়েছে, ঠিক যেন পরাক্রমশালী ইশা খাঁর সময় স্থির হয়ে আছে সে ছবিতে। এ ছাড়া ঘরগুলো নির্মাণে রঙের যে ব্যবহার ও জ্যামিতিক কাঠামোর যে গড়ন-কৌশল, এর পরিণতি সৃজনশীলতার পরিচয় বহনকারী। এ ছাড়া তিনি তাঁর চিত্রকর্মে তেলরং ব্যবহারের এক সৃজনশীল কৌশলও আয়ত্ত করেন এবং উপহার দেন শিল্পরসিকদের তেলরঙে নিজস্ব পদ্ধতি রপ্ত বহু শিল্পকর্ম।
আশা করি, বাবা মবিনুল আজিম নন, শিল্পী মবিনুল আজিম হারিয়ে যাবেন না চিরতরে। তিনি আছেন এখনো যেমন আমাদের পরিবারের মধ্যে, তেমনি থাকবেন এ দেশের শিল্পী ও শিল্পরসিকদের মধ্যে চিরদিন, তাঁর শৈল্পিক সৃষ্টির মাধ্যমে।
No comments