চিতাবাঘের সঙ্গে দৌড়াবেন বোল্ট
ঘোড়ার বিপক্ষে দৌড়েছিলেন জেসি ওয়েন্স। জীবিকার তাগিদে। বলেছিলেন, ‘লোকে বলে, ঘোড়ার বিপক্ষে দৌড়ানো একজন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নের জন্য অমর্যাদাকর। কিন্তু আমি কী করব? আমার চারটি অলিম্পিক সোনার মেডেল আছে। কিন্তু মেডেল তো আর খাওয়া যায় না।’
একালের ‘জেন্সি ওয়েন্স’ উসাইন বোল্ট এবার দৌড়াবেন চিতাবাঘের সঙ্গে। না, জীবিকার তাগিদে নয়। ওয়েন্সের মতো তিনি তো আর ভুল সময়ে জন্মাননি। বোল্টের এই চিতাবাঘের সঙ্গে দৌড় বিপন্নপ্রায় প্রাণীদের প্রতি মানুষের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য। বিশ্বের দ্রুততম মানব বনাম দ্রুততম প্রাণীর এই দৌড়টা আগামীকাল কেনিয়ায় হওয়ার কথা।
চিতাবাঘের সঙ্গে দৌড়ানোর প্রতিক্রিয়া কী? বোল্ট স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে জবাব দিলেন, ‘ভেবে খুবই ভালো লাগছে আমি সিংহের সঙ্গে দৌড়াচ্ছি না! সিংহের তুলনায় চিতা অনেক শান্ত স্বভাবের... যেকোনো আলোকচিত্রী ছবি তুলতে পারে। আমি চিতাটাকে আমার হাত দিয়ে ধরার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। আশা করি, এটা দারুণ একটা অভিজ্ঞতা হবে।’
বোল্ট শুনে আরও খুশি হবেন, তাঁর ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ নেহাতই একটা বাচ্চা চিতা। সাধারণত চিতাবাঘ ঘণ্টায় ৬৫ মাইল বেগে দৌড়ায়। আর ১০০ মিটারে বোল্টের রেকর্ড গড়া (৯.৫৮ সেকেন্ড) দৌড়টা বিশ্লেষণ করে বায়োমেকানিকাল বিশেষজ্ঞরা হিসাব কষে দেখিয়েছেন, ঘণ্টায় বোল্ট দৌড়ান ২৩.৩৫ মাইল।
দেখাই যাক, বোল্ট জেতেন কিনা। যদিও যেমনটা আগেই পড়েছেন, এই দৌড়ের উদ্দেশ্য হারজিত নয়। বোল্ট ‘লং রান’ নামের একটা দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতনতা গড়ে তোলাই মূল উদ্দেশ্য। বোল্ট বলেছেন, ‘আমি এই উদ্যোগের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছি, কারণ এর উদ্দেশ্য পরিবেশ সংরক্ষণ এবং ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির সহাবস্থান। শিশু-কিশোরেরা যারা আমাকে অনুসরণ করে, তাদের মধ্যে আমি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান আর পরিবেশ রক্ষার বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।’
বিভিন্ন দাতব্য কাজের সঙ্গে যুক্ত বোল্ট কিছুদিন আগে ক্রিস গেইলদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেছেন। বিশ্বের নানা প্রান্তে নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে নিতে ক্লান্ত বোল্ট জানিয়েছেন, এ ধরনের কাজে তাঁর অংশ নিতে কোনো আপত্তি নেই। প্রথমবারের মতো আফ্রিকা সফরে এসে এই জ্যামাইকান ‘বজ্রবিদ্যুত্’ আবারও জানালেন, ‘জ্যামাইকায় আমি অনেক দাতব্য কাজের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু তার পরও পরিবেশ রক্ষায় আফ্রিকা যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে, আমি সেটি দেখতে চাই।’
কেনিয়ায় আসার আগে বোল্ট যাত্রাবিরতি করেছিলেন লন্ডনে। সেখানে সংবাদ সম্মেলনে আবারও পুরোনো প্রশ্নটা শুনতে হলো—অনেকেই যে তাঁর অবিশ্বাস্য কীর্তির পেছনে ড্রাগের ছায়া দেখে! ‘আমরা যে আসলেই সত্ এটি বুঝতে মানুষের আসলে কয়েক বছর লেগে যাবে। এর পর মুছে যাবে এই কলঙ্ক। কেউ জোরে দৌড়ানো শুরু করলেই কথা উঠে যায়। কিন্তু আমি এসবে কান না দিয়ে জোরে দৌড়েই যাব। আমি যে পরিষ্কার, এতে কোনো সন্দেহ নেই’—বোল্টের উত্তর।
এই লন্ডনেই বসবে আগামী অলিম্পিকের আসর। সেখানে ৪০০ মিটারে দৌড়ানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দেননি ১০০ ও ২০০ মিটারের বিশ্ব রেকর্ডধারী। তবে এসব অনেক পরের ব্যাপার। আপাতত বোল্টের মাথায় একটাই বিষয়—চিতার বিপক্ষে দৌড়!
একালের ‘জেন্সি ওয়েন্স’ উসাইন বোল্ট এবার দৌড়াবেন চিতাবাঘের সঙ্গে। না, জীবিকার তাগিদে নয়। ওয়েন্সের মতো তিনি তো আর ভুল সময়ে জন্মাননি। বোল্টের এই চিতাবাঘের সঙ্গে দৌড় বিপন্নপ্রায় প্রাণীদের প্রতি মানুষের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য। বিশ্বের দ্রুততম মানব বনাম দ্রুততম প্রাণীর এই দৌড়টা আগামীকাল কেনিয়ায় হওয়ার কথা।
চিতাবাঘের সঙ্গে দৌড়ানোর প্রতিক্রিয়া কী? বোল্ট স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে জবাব দিলেন, ‘ভেবে খুবই ভালো লাগছে আমি সিংহের সঙ্গে দৌড়াচ্ছি না! সিংহের তুলনায় চিতা অনেক শান্ত স্বভাবের... যেকোনো আলোকচিত্রী ছবি তুলতে পারে। আমি চিতাটাকে আমার হাত দিয়ে ধরার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। আশা করি, এটা দারুণ একটা অভিজ্ঞতা হবে।’
বোল্ট শুনে আরও খুশি হবেন, তাঁর ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ নেহাতই একটা বাচ্চা চিতা। সাধারণত চিতাবাঘ ঘণ্টায় ৬৫ মাইল বেগে দৌড়ায়। আর ১০০ মিটারে বোল্টের রেকর্ড গড়া (৯.৫৮ সেকেন্ড) দৌড়টা বিশ্লেষণ করে বায়োমেকানিকাল বিশেষজ্ঞরা হিসাব কষে দেখিয়েছেন, ঘণ্টায় বোল্ট দৌড়ান ২৩.৩৫ মাইল।
দেখাই যাক, বোল্ট জেতেন কিনা। যদিও যেমনটা আগেই পড়েছেন, এই দৌড়ের উদ্দেশ্য হারজিত নয়। বোল্ট ‘লং রান’ নামের একটা দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতনতা গড়ে তোলাই মূল উদ্দেশ্য। বোল্ট বলেছেন, ‘আমি এই উদ্যোগের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছি, কারণ এর উদ্দেশ্য পরিবেশ সংরক্ষণ এবং ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির সহাবস্থান। শিশু-কিশোরেরা যারা আমাকে অনুসরণ করে, তাদের মধ্যে আমি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান আর পরিবেশ রক্ষার বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।’
বিভিন্ন দাতব্য কাজের সঙ্গে যুক্ত বোল্ট কিছুদিন আগে ক্রিস গেইলদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেছেন। বিশ্বের নানা প্রান্তে নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে নিতে ক্লান্ত বোল্ট জানিয়েছেন, এ ধরনের কাজে তাঁর অংশ নিতে কোনো আপত্তি নেই। প্রথমবারের মতো আফ্রিকা সফরে এসে এই জ্যামাইকান ‘বজ্রবিদ্যুত্’ আবারও জানালেন, ‘জ্যামাইকায় আমি অনেক দাতব্য কাজের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু তার পরও পরিবেশ রক্ষায় আফ্রিকা যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে, আমি সেটি দেখতে চাই।’
কেনিয়ায় আসার আগে বোল্ট যাত্রাবিরতি করেছিলেন লন্ডনে। সেখানে সংবাদ সম্মেলনে আবারও পুরোনো প্রশ্নটা শুনতে হলো—অনেকেই যে তাঁর অবিশ্বাস্য কীর্তির পেছনে ড্রাগের ছায়া দেখে! ‘আমরা যে আসলেই সত্ এটি বুঝতে মানুষের আসলে কয়েক বছর লেগে যাবে। এর পর মুছে যাবে এই কলঙ্ক। কেউ জোরে দৌড়ানো শুরু করলেই কথা উঠে যায়। কিন্তু আমি এসবে কান না দিয়ে জোরে দৌড়েই যাব। আমি যে পরিষ্কার, এতে কোনো সন্দেহ নেই’—বোল্টের উত্তর।
এই লন্ডনেই বসবে আগামী অলিম্পিকের আসর। সেখানে ৪০০ মিটারে দৌড়ানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দেননি ১০০ ও ২০০ মিটারের বিশ্ব রেকর্ডধারী। তবে এসব অনেক পরের ব্যাপার। আপাতত বোল্টের মাথায় একটাই বিষয়—চিতার বিপক্ষে দৌড়!
No comments