বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামানের সাক্ষাৎ by আরিফ মাহফুজ

বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। গত ৫ই ডিসেম্বর একটি অনুষ্ঠানে তাদের এ সাক্ষৎ হয়। দুজনের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ কথাবার্তার ভিডিও ধারণ করা হয়েছে।  আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, তারা বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলেছেন। এ খবর দিয়েছে বৃটিশ সংবাদমাধ্যম গাইডও ফোকস। গাইডও ফোকস তাদের ওয়েবসাইটেও দুজনের মধ্যে কপোকথনের একটি ভিডিও আপলোড করেছে।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসিনার শাসনের পতনের পর বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বাংলাদেশে একাধিক হত্যা মামলার আসামি। আনোয়ারুজ্জামান শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ মিত্র। স্টারমারের সঙ্গে দেখা করার পরই  ৮ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে লন্ডনে হাসিনা-সমর্থিত সমাবেশ করেছিলেন। আনোয়ারুজ্জামান বৃটেনের নগরমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকেরও ঘনিষ্ঠ। একাধিকবার সেসব ছবি তার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৫ সালের নির্বাচনের পরপরই শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত একটি সমাবেশে টিউলিপ সিদ্দিক দলটির সদস্যদের উদ্দেশে উল্লাস প্রকাশ করতে গিয়ে বাংলায় বলেছিলেন, ‘আপনারা সাহায্য না করলে আমি কখনই বৃটিশ এমপি হিসেবে দাঁড়াতে পারতাম না’।

২০১৭ সালের নির্বাচনে বিজয়ী বক্তৃতায় টিউলিপ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে তাকে ‘আনোয়ার মামা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন।

মন্ত্রী, মানবিষয়ক স্বাধীন উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন, যা ডাউনিং স্ট্রিট ব্রিফ করেছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে তদন্তের বিষয়ে স্টারমারের চূড়ান্ত রায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়। উপদেষ্টা পরামর্শ দেন, সিদ্দিকের উপর যেকোনো নিষেধাজ্ঞা বা পদক্ষেপ তার নিজের সিদ্ধান্ত। এদিকে টিউলিপ সিদ্দিক তার বিরুদ্ধে ওঠা অন্যায় কাজের অভিযোগ অস্বীকার করে একাধিক বিবৃতিও দিয়েছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে স্টারমারের ব্যক্তিগত সম্পর্ক দ্রুতই উন্মোচিত হচ্ছ।

mzamin


No comments

Powered by Blogger.