বায়ু দূষণের আতঙ্কে দিল্লি ছাড়ছে মানুষ
প্রায়
প্রতি বছর নিজের পরিবারের সঙ্গে দিল্লিতেই দিওয়ালী উদযাপন করতেন মনীষ
ভার্মা। দিওয়ালী এই উপমহাদেশের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসবগুলোর একটি। কিন্তু
এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স অনুযায়ী, দিল্লির বাতাসে বিষাক্ততার পরিমাণ নিরাপদ
সীমার থেকেও অন্তত ছয় গুণ বেশি। ফলে বাধ্য হয়েই মনীষ এবার তার স্ত্রী ও
সন্তানসহ সাময়িকভাবে পাহাড়ি এলাকায় পাড়ি জমিয়েছেন।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, দিওয়ালীর সময় যে আতশবাজি ও রঙের ব্যবহার হয় তা এই বিষাক্ত বাতাসকে আরো ভয়াবহ করে তুলবে। ফলে অচিরেই সর্বকালের সব থেকে দূষিত বাতাসের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবে দিল্লি। গত কয়েক বছর ধরেই এমন একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে যে, দিল্লির মানুষ শীত আসলেই শহর ছেড়ে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে চলে যাচ্ছে। তাদের কাছে দিল্লিকে এখন একটা গ্যাস চেম্বারের মতো মনে হয়।
বছরের অন্য সময় দিল্লিতে যে বায়ু দূষণ হয়ে থাকে তাতেই শহরটি বিশ্বের সব থেকে দূষিত শহরগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। তবে শীতে এই অবস্থা আরো বেশি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। বাতাসের গতি কমে যাওয়ায় দূষণ যেন জমাট বেঁধে থাকে। এরমধ্যে যখন দিওয়ালীতে আতশবাজি ও রঙ উড়ানো হয় তখন সে বাতাস সমপূর্ণ বিষাক্ত হয়ে ওঠে।
গত শুক্রবার দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি লেভেল ৩৮৮তে গিয়ে পৌঁছে। অথচ এর নিরাপদ সীমা হচ্ছে ৬০। গত বছর দিওয়ালীর পর এই লেভেল পৌঁছে গিয়েছিল ৮০০তে। ভার্মা এ নিয়ে বলেন, আমি আর এ বছর দিল্লিতে ফিরে যাচ্ছি না। এরইমধ্যে আমার ছেলে অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়েছে।
দিল্লি কর্তৃপক্ষ নানাভাবে এই দূষণ কমানোর চেষ্টা করছে। আইন কড়া করছে। আদালত থেকে নিরাপদ আতশবাজির কথা বলা হয়েছে। তবে সমস্যা আছে আরো। বছরের এ সময় কৃষকরা তাদের জমিতে আগুন দিয়ে চাষযোগ্য করে তোলে। ফলে সৃষ্টি হয় ব্যাপক ধোঁয়ার। হরিয়ানা ও পাঞ্জাব থেকে এসব ধোঁয়া এসেও দিল্লির বাতাসকে ভারি করে তুলছে। সরকার চাইলেও কৃষকদের রাতারাতি এই পদ্ধতি থেকে দূরে সরিয়ে নিতে পারবে না। কারণ দরিদ্র কৃষকদের জন্য এটিই সব থেকে সস্তা পদ্ধতি। ফলে অপেক্ষা না করে অনেকেই দিল্লি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। যারা যেতে পারছেন না তারা প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরুচ্ছেন না। দরজা-জানালা আটকে ঘরে অবস্থান করছেন।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, দিওয়ালীর সময় যে আতশবাজি ও রঙের ব্যবহার হয় তা এই বিষাক্ত বাতাসকে আরো ভয়াবহ করে তুলবে। ফলে অচিরেই সর্বকালের সব থেকে দূষিত বাতাসের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবে দিল্লি। গত কয়েক বছর ধরেই এমন একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে যে, দিল্লির মানুষ শীত আসলেই শহর ছেড়ে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে চলে যাচ্ছে। তাদের কাছে দিল্লিকে এখন একটা গ্যাস চেম্বারের মতো মনে হয়।
বছরের অন্য সময় দিল্লিতে যে বায়ু দূষণ হয়ে থাকে তাতেই শহরটি বিশ্বের সব থেকে দূষিত শহরগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। তবে শীতে এই অবস্থা আরো বেশি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। বাতাসের গতি কমে যাওয়ায় দূষণ যেন জমাট বেঁধে থাকে। এরমধ্যে যখন দিওয়ালীতে আতশবাজি ও রঙ উড়ানো হয় তখন সে বাতাস সমপূর্ণ বিষাক্ত হয়ে ওঠে।
গত শুক্রবার দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি লেভেল ৩৮৮তে গিয়ে পৌঁছে। অথচ এর নিরাপদ সীমা হচ্ছে ৬০। গত বছর দিওয়ালীর পর এই লেভেল পৌঁছে গিয়েছিল ৮০০তে। ভার্মা এ নিয়ে বলেন, আমি আর এ বছর দিল্লিতে ফিরে যাচ্ছি না। এরইমধ্যে আমার ছেলে অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়েছে।
দিল্লি কর্তৃপক্ষ নানাভাবে এই দূষণ কমানোর চেষ্টা করছে। আইন কড়া করছে। আদালত থেকে নিরাপদ আতশবাজির কথা বলা হয়েছে। তবে সমস্যা আছে আরো। বছরের এ সময় কৃষকরা তাদের জমিতে আগুন দিয়ে চাষযোগ্য করে তোলে। ফলে সৃষ্টি হয় ব্যাপক ধোঁয়ার। হরিয়ানা ও পাঞ্জাব থেকে এসব ধোঁয়া এসেও দিল্লির বাতাসকে ভারি করে তুলছে। সরকার চাইলেও কৃষকদের রাতারাতি এই পদ্ধতি থেকে দূরে সরিয়ে নিতে পারবে না। কারণ দরিদ্র কৃষকদের জন্য এটিই সব থেকে সস্তা পদ্ধতি। ফলে অপেক্ষা না করে অনেকেই দিল্লি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। যারা যেতে পারছেন না তারা প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরুচ্ছেন না। দরজা-জানালা আটকে ঘরে অবস্থান করছেন।
No comments