জুয়াড়ি ও সাকিবের মধ্যে যা আলাপ হয়
দীর্ঘ
তদন্ত শেষে মঙ্গলবার সাকিব আল হাসানকে ২ বছরের জন্য সব ধরণের ক্রিকেট থেকে
নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। তার বিরুদ্ধে
অভিযোগ, ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে শুরু করে তার সঙ্গে একাধিকবার দুর্নীতির
জন্য এক জুয়াড়ি যোগাযোগ করলেও তিনি তা আইসিসি বা অন্য কোনো দুর্নীতি-বিরোধী
সংস্থাকে অবহিত করেননি।
সম্ভাব্য দুর্নীতি ও এতে দীপক আগারওয়াল নামে এক ব্যক্তির জড়িত থাকার সন্দেহে তদন্ত করছিল আইসিসি’র দুর্নীতি-বিরোধী ইউনিট (এসিইউ)। এর অংশ হিসেবে একাধিকবার বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডারের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নিয়েছে এসিইউ। প্রথমবার এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় এ বছরের ২৩শে জানুয়ারি। এরপর দ্বিতীয়বার এ বছরের ২৭শে এপ্রিল। ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব সাক্ষাৎকার থেকে আইসিসি যা জানতে পেরেছে ও নিশ্চিত হতে পেরেছে, তা নিম্নরূপ:
- ২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চলাকালে, সাকিব জানতেন যে, তারই পরিচিত এক ব্যক্তি তার টেলিফোন নম্বর দীপক আগারওয়ালকে দিয়েছেন। আগারওয়াল ওই ব্যক্তিকে আগেই বিপিএল-এর খেলোয়াড়দের নম্বর দেওয়ার জন্য বলে রেখেছিলেন।
- ২০১৭ সালের নভেম্বরে আগারওয়ালের পিড়াপীড়িতে সাকিব হোয়্যাটসঅ্যাপে তার সঙ্গে কিছু বার্তা আদানপ্রদান করেন। তখন আগারওয়াল সাকিবের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন।
- ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে আয়োজিত ত্রিদেশীয় ওডিআই টুর্নামেন্ট শুরু হয়। এতে সাকিবও খেলেছিলেন। ওই সিরিজ চলাকালে আগারওয়াল ও সাকিবের মধ্যে আরও হোয়্যাটসঅ্যাপ বার্তা আদানপ্রদান হয়। ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে সাকিবকে সেদিনই হোয়্যাটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান আগারওয়াল। এরপর আগারওয়াল তাকে আরেকটি বার্তা পাঠান: ‘আমরা কি এবারই কাজ করবো, নাকি আইপিএল-এর জন্য অপেক্ষা করবো’।
- এখানে ‘কাজ’ বলতে বোঝানো হয়েছে যে, সাকিব আগারওয়ালকে ভেতরের খবর দেবেন। সাকিব এই যোগাযোগের বিষয়টি এসিইউ অথবা অন্য কোনো দুর্নীতি-বিরোধী কর্তৃপক্ষকে জানাননি।
- ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি, আগারওয়ালের কাছ থেকে আরেকটি বার্তা পান সাকিব। ওই হোয়্যাটসঅ্যাপ বার্তায়, আগারওয়াল তার কাছে ফের ভেতরকার তথ্য চেয়ে যোগাযোগ করে। বার্তাটি ছিল এরকম: ‘ভাই, এই সিরিজে কিছু হবে?’ (ব্রো, অ্যানিথিং ইন দিজ সিরিজ?)। সাকিব নিশ্চিত করে বলেছেন যে, ওই বার্তার মাধ্যমে তখন চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজের বিষয়ে ভেতরকার তথ্য চাচ্ছিলেন আগারওয়াল। কিন্তু এটিও তিনি এসিইউ বা অন্য কোনো দুর্নীতি-বিরোধী সংস্থাকে অবহিত করেননি।
- ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল, আইপিএল-এ সানরাইজার্স হায়দেরাবাদ ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যকার খেলায় অংশগ্রহণ করেন সাকিব। ওই দিনই সাকিব হোয়্যাটসঅ্যাপে আগারওয়ালের কাছ থেকে বার্তা পান। ওই ম্যাচে খেলবেন কিনা সেই ব্যাপারে সাকিবের কাছ থেকে তথ্য চাচ্ছিলেন আগারওয়াল। অর্থাৎ, আবারও ভেতরকার তথ্য চাচ্ছিলেন তিনি।
- আগারওয়াল এই আলাপচারিতা চালিয়ে যান। তিনি বিটকয়েন ও ডলার অ্যাকাউন্টের প্রসঙ্গ তুলেন। সাকিবের ডলার অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত জানতে চান। এই আলাপচারিতার সময়ই, সাকিব আগারওয়ালকে বলেন যে, তিনি ‘আগে’ তার সঙ্গে দেখা করতে চান।
- ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিলের ওই হোয়্যাটসঅ্যাপ আলাপচারিতায় অনেকগুলো ডিলেট করা বার্তা ছিল। সাকিব নিশ্চিত করে বলেছেন যে, মুছে ফেলা ওই বার্তাগুলো ছিল মূলত ভেতরকার তথ্য চেয়ে আগারওয়ালের অনুরোধ।
- সাকিব আইসিসি’কে বলেছেন যে, আগারওয়ালের বিষয়ে তার মধ্যে উদ্বেগ ছিল। তার মনে হয়েছিল, এই ব্যক্তি কিছুটা ‘চতুর’। হোয়্যাটসঅ্যাপ আলাপগুলোর পর তার মনে হয়েছিল যে, আগারওয়াল একজন জুয়াড়ি ছিলেন।
- ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল আগারওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ বা তথ্য চেয়ে তিনি যেসব অনুরোধ করেছেন, সেই ব্যাপারে সাকিব এসিইউ বা অন্য কোনো দুর্নীতি-বিরোধী সংস্থাকে কিছুই জানাননি।
সম্ভাব্য দুর্নীতি ও এতে দীপক আগারওয়াল নামে এক ব্যক্তির জড়িত থাকার সন্দেহে তদন্ত করছিল আইসিসি’র দুর্নীতি-বিরোধী ইউনিট (এসিইউ)। এর অংশ হিসেবে একাধিকবার বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডারের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নিয়েছে এসিইউ। প্রথমবার এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় এ বছরের ২৩শে জানুয়ারি। এরপর দ্বিতীয়বার এ বছরের ২৭শে এপ্রিল। ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব সাক্ষাৎকার থেকে আইসিসি যা জানতে পেরেছে ও নিশ্চিত হতে পেরেছে, তা নিম্নরূপ:
- ২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চলাকালে, সাকিব জানতেন যে, তারই পরিচিত এক ব্যক্তি তার টেলিফোন নম্বর দীপক আগারওয়ালকে দিয়েছেন। আগারওয়াল ওই ব্যক্তিকে আগেই বিপিএল-এর খেলোয়াড়দের নম্বর দেওয়ার জন্য বলে রেখেছিলেন।
- ২০১৭ সালের নভেম্বরে আগারওয়ালের পিড়াপীড়িতে সাকিব হোয়্যাটসঅ্যাপে তার সঙ্গে কিছু বার্তা আদানপ্রদান করেন। তখন আগারওয়াল সাকিবের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন।
- ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে আয়োজিত ত্রিদেশীয় ওডিআই টুর্নামেন্ট শুরু হয়। এতে সাকিবও খেলেছিলেন। ওই সিরিজ চলাকালে আগারওয়াল ও সাকিবের মধ্যে আরও হোয়্যাটসঅ্যাপ বার্তা আদানপ্রদান হয়। ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে সাকিবকে সেদিনই হোয়্যাটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান আগারওয়াল। এরপর আগারওয়াল তাকে আরেকটি বার্তা পাঠান: ‘আমরা কি এবারই কাজ করবো, নাকি আইপিএল-এর জন্য অপেক্ষা করবো’।
- এখানে ‘কাজ’ বলতে বোঝানো হয়েছে যে, সাকিব আগারওয়ালকে ভেতরের খবর দেবেন। সাকিব এই যোগাযোগের বিষয়টি এসিইউ অথবা অন্য কোনো দুর্নীতি-বিরোধী কর্তৃপক্ষকে জানাননি।
- ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি, আগারওয়ালের কাছ থেকে আরেকটি বার্তা পান সাকিব। ওই হোয়্যাটসঅ্যাপ বার্তায়, আগারওয়াল তার কাছে ফের ভেতরকার তথ্য চেয়ে যোগাযোগ করে। বার্তাটি ছিল এরকম: ‘ভাই, এই সিরিজে কিছু হবে?’ (ব্রো, অ্যানিথিং ইন দিজ সিরিজ?)। সাকিব নিশ্চিত করে বলেছেন যে, ওই বার্তার মাধ্যমে তখন চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজের বিষয়ে ভেতরকার তথ্য চাচ্ছিলেন আগারওয়াল। কিন্তু এটিও তিনি এসিইউ বা অন্য কোনো দুর্নীতি-বিরোধী সংস্থাকে অবহিত করেননি।
- ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল, আইপিএল-এ সানরাইজার্স হায়দেরাবাদ ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যকার খেলায় অংশগ্রহণ করেন সাকিব। ওই দিনই সাকিব হোয়্যাটসঅ্যাপে আগারওয়ালের কাছ থেকে বার্তা পান। ওই ম্যাচে খেলবেন কিনা সেই ব্যাপারে সাকিবের কাছ থেকে তথ্য চাচ্ছিলেন আগারওয়াল। অর্থাৎ, আবারও ভেতরকার তথ্য চাচ্ছিলেন তিনি।
- আগারওয়াল এই আলাপচারিতা চালিয়ে যান। তিনি বিটকয়েন ও ডলার অ্যাকাউন্টের প্রসঙ্গ তুলেন। সাকিবের ডলার অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত জানতে চান। এই আলাপচারিতার সময়ই, সাকিব আগারওয়ালকে বলেন যে, তিনি ‘আগে’ তার সঙ্গে দেখা করতে চান।
- ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিলের ওই হোয়্যাটসঅ্যাপ আলাপচারিতায় অনেকগুলো ডিলেট করা বার্তা ছিল। সাকিব নিশ্চিত করে বলেছেন যে, মুছে ফেলা ওই বার্তাগুলো ছিল মূলত ভেতরকার তথ্য চেয়ে আগারওয়ালের অনুরোধ।
- সাকিব আইসিসি’কে বলেছেন যে, আগারওয়ালের বিষয়ে তার মধ্যে উদ্বেগ ছিল। তার মনে হয়েছিল, এই ব্যক্তি কিছুটা ‘চতুর’। হোয়্যাটসঅ্যাপ আলাপগুলোর পর তার মনে হয়েছিল যে, আগারওয়াল একজন জুয়াড়ি ছিলেন।
- ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল আগারওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ বা তথ্য চেয়ে তিনি যেসব অনুরোধ করেছেন, সেই ব্যাপারে সাকিব এসিইউ বা অন্য কোনো দুর্নীতি-বিরোধী সংস্থাকে কিছুই জানাননি।
No comments