‘রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি’ সুচির দুই রূপে বিস্মিত ক্যামেরন
নোবেলজয়ী
অং সান সুচির রোহিঙ্গা বিষয়ক মন্তব্য পছন্দ করেননি বৃটেনের সাবেক
প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি, সুচির মুখে এমন অসত্য
কথন শুনে ভালো লাগেনি তার। ক্যামেরন তার নতুন বইয়ে এই তথ্য প্রকাশ
করেছেন। দি গার্ডিয়ান ১৯শে সেপ্টেম্বর বলেছে, ক্যামেরনের নতুন স্মৃতিকথাকে
অনেস্ট বা সৎ হিসেবে বর্ণনা করেছে । সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর নতুন বই গত
বৃহস্পতিবার বাজারে এসেছে। তিনি বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ২০১০ থেকে
২০১৬ সাল পর্যন্ত। বইটির নাম ফর দ্য রেকর্ড। দু’বার দেখা হয়েছিল
ক্যামেরনের সঙ্গে সুচির। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নেত্রী অং সান সুচি’র সঙ্গে
তার একটি বৈঠকের প্রশংসাসূচক স্মৃতিচারণ করেছেন তিনি। ক্যামেরন লিখেন: ‘আমি
গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচির সঙ্গে যখন সাক্ষাৎ করি তখন তিনি তার
দেশের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং তার
কথোপকথনের মধ্যদিয়ে তিনি এটা ফুটিয়ে তুলেছিলেন ১৫ বছর গৃহবন্দি থেকে তিনি
কি করে তার দেশকে একটি প্রকৃত গণতন্ত্রে উত্তরণের চেষ্টা চালিয়েছিলেন।’
এর একবছর পরে লন্ডনে সুচির সঙ্গে দ্বিতীয় সাক্ষাৎ ঘটে। ক্যামেরন এবারে ভিন্নতা লক্ষ্য করেন। তিনি লিখেছেন, ২০১৩ সালের অক্টোবরে তিনি লন্ডন এলেন। তখন রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপরে নির্যাতনের খবরে বিশ্ববাসীর চোখ আটকে আছে। কারণ তাদেরকে তাদের বাড়ি থেকে বিতাড়ন করা হয়েছে। ধর্ষণ, হত্যা এবং এথনিক ক্লিনজিং চলছে। গোটা বিশ্ব তা পর্যবেক্ষণ করছিল। আমি সেটা তাকে বললাম। এর উত্তরে সুচি বলেছিলেন, ‘তারা প্রকৃতপক্ষে বর্মী নয়, তারা বাংলাদেশি। ‘ডেভিড ক্যামেরনের বইটি বাজারে এসেছে এমন একটি সময়ে, যখন জাতিসংঘের একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। মিয়ানমার গণহত্যার বিচার করতে পারেনি এবং তারা গণহত্যাকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করে একটি ফৌজদারি আইন তৈরি করতেও ব্যর্থ হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়ায় হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলে মিয়ানমারের কঠোর সমালোচনা করেছেন ইয়াংগি লি। ২০১৭ সালের আগস্টের আগের মতোই করুণ অবস্থায় রয়ে গেছে রোহিঙ্গাদের জীবন- মন্তব্য করেছেন মি. লি।
উল্লেখ্য যে, সামরিক শাসনের বিরোধিতা করে ১৯৮৯ সাল থেকে ২০১০ সালের মধ্যবর্তী ১৫ বছর অং সান সুচি গৃহবন্দি ছিলেন। ২০১৩ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের পরে সুচি ব্যাপক ও কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন। কারণ তিনি মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধে এবং এমনকি তার বিরুদ্ধে কথা বলতে ব্যর্থ হন। ২০১৩ সালের অক্টোবরে সুচি বিবিসিকে বলেন, ‘মুসলিমরা টার্গেট হয়েছে। কিন্তু বৌদ্ধরাও সহিংসতার শিকার। এই ভীতিটাই সব সংকট ডেকে এনেছে।’
এর একবছর পরে লন্ডনে সুচির সঙ্গে দ্বিতীয় সাক্ষাৎ ঘটে। ক্যামেরন এবারে ভিন্নতা লক্ষ্য করেন। তিনি লিখেছেন, ২০১৩ সালের অক্টোবরে তিনি লন্ডন এলেন। তখন রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপরে নির্যাতনের খবরে বিশ্ববাসীর চোখ আটকে আছে। কারণ তাদেরকে তাদের বাড়ি থেকে বিতাড়ন করা হয়েছে। ধর্ষণ, হত্যা এবং এথনিক ক্লিনজিং চলছে। গোটা বিশ্ব তা পর্যবেক্ষণ করছিল। আমি সেটা তাকে বললাম। এর উত্তরে সুচি বলেছিলেন, ‘তারা প্রকৃতপক্ষে বর্মী নয়, তারা বাংলাদেশি। ‘ডেভিড ক্যামেরনের বইটি বাজারে এসেছে এমন একটি সময়ে, যখন জাতিসংঘের একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। মিয়ানমার গণহত্যার বিচার করতে পারেনি এবং তারা গণহত্যাকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করে একটি ফৌজদারি আইন তৈরি করতেও ব্যর্থ হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়ায় হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলে মিয়ানমারের কঠোর সমালোচনা করেছেন ইয়াংগি লি। ২০১৭ সালের আগস্টের আগের মতোই করুণ অবস্থায় রয়ে গেছে রোহিঙ্গাদের জীবন- মন্তব্য করেছেন মি. লি।
উল্লেখ্য যে, সামরিক শাসনের বিরোধিতা করে ১৯৮৯ সাল থেকে ২০১০ সালের মধ্যবর্তী ১৫ বছর অং সান সুচি গৃহবন্দি ছিলেন। ২০১৩ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের পরে সুচি ব্যাপক ও কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন। কারণ তিনি মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধে এবং এমনকি তার বিরুদ্ধে কথা বলতে ব্যর্থ হন। ২০১৩ সালের অক্টোবরে সুচি বিবিসিকে বলেন, ‘মুসলিমরা টার্গেট হয়েছে। কিন্তু বৌদ্ধরাও সহিংসতার শিকার। এই ভীতিটাই সব সংকট ডেকে এনেছে।’
No comments