তৎপর কিডনি সিন্ডিকেট
কিডনি
কানেকশন জয়পুরহাট-টু-ইন্ডিয়া। সক্রিয় কিডনি চক্র। দরিদ্র মানুষের
দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মোটা অঙ্কের অফার দিয়ে মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করছে
চক্রটি। মেয়েকে বিয়ে দিতে হবে তাই বাধ্য হচ্ছে কিডনি চক্রের ফাঁদে পা দিতে।
দু’ বেলা মোটা ভাত-কাপড় আর বাড়ন্ত মেয়েকে স্বামীর হাতে তুলে দেয়ার স্বপ্নে
বিভোর হয়ে হতদরিদ্ররা অত্যন্ত গোপনে দালালদের কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
জয়পুরহাট ও গাইবান্ধার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো দুর্গম। বাড়িঘরের দূরত্ব
অনেক বেশি। লালমাটির এই বাড়িগুলোতে আসা-যাওয়া অপরিচিত লোকদের। তারা আর কেউ
নয়, জয়পুরহাট ও ওপার থেকে চোরাই পথে আসা কিডনি সিন্ডিকেটের সদস্য।
এলাকাবাসী জানান, ফুলচান নামের এক ব্যক্তির বাড়ি জয়পুরহাট জেলার ভারতীয়
সীমান্তে। তিনিই নাটের গুরু। তার সঙ্গে ভারতের দালালদের সম্পর্ক। তার
মাধ্যমেই গোপনে পাচার হয়ে যায় ভারতে। তারপর কিডনি বিক্রি করে আবার বর্ডার
পার।
তারা টোপ হিসেবে ব্যবহার করে স্থানীয় দাদন ব্যবসায়ীকে। টার্গেট করে যাদের ঘরে বাড়ন্ত মেয়ে আছে বা বিবাহ উপযুক্ত মেয়ে আছে সেই পরিবারের কর্তাকে। টাকার অভাবে বিয়ে দিতে পারে না এমন পরিবারকে টার্গেট করে দুই বাংলার কিডনি সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রথমে দরিদ্র পরিবারকে অর্থলগ্নি করে। তারপর আস্তে আস্তে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এভাবে তাদের টাকার লোভ দেখিয়ে কিডনি বিক্রির টার্গেট হাসিল করে। জয়পুরহাট ও সীমান্তঘেঁষা গ্রামের নাম রাজা বিরাট ও শাখাহার।
এই গ্রামের অনেকেই কিডনি বিক্রির পর কার্যক্ষমতা হারিয়ে পড়ে আছে বিনা চিকিৎসায়। শুধু তাই নয়, তারা মোটা অঙ্কের দুই কানেকশনে সীমান্তঘেঁষা গ্রামগুলো থেকে শ’ শ’ মানুষ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে কিডনি। গাইবান্ধার সীমান্তবর্তী এলাকায় কিডনি পাচারকারী চক্র খুবই সক্রিয়। তারা গ্রামের সহজ সরল দরিদ্র মানুষকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি বিক্রিতে বাধ্য করছে। মোটা অঙ্কের টাকায় কিডনি বিক্রি হলেও নামমাত্র মূল্য দিয়ে পুরো টাকাটি হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি। তবে যারা কিডনি বিক্রি করেছে তারা কারো সম্পর্কে মুখ খুলতে রাজি নয়। কারণ মুখ খুলতে নিষেধ করা আছে। গ্রামে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, রাজা বিরাটের জয়নাল আবেদীন জহির ও বেউর গ্রামের রাজেশ কিডনি বিক্রি করে এখন সর্বস্বান্ত। কাজ করতে পারে না। তবে তারা বলেন জয়পুরহাটের এক সীমান্ত দিয়ে ভারতে নিয়ে গেছেন ফুলচান। তারপর হাসপাতাল হয়ে বাড়ি ফেরা। আর কিছু বলতে রাজি নয়। মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও সীমান্তঘেঁষা গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ও শাখাহার ইউনিয়নের অনেক মানুষ কিডনি পাচারকারী দালাল চক্রের প্রলোভনে পরে নিজেদের কিডনি বিক্রি করে দিয়েছে। কিডনি অপসারণের পর থেকে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হলেও অনেকেই অর্থের অভাবে সুচিকিৎসা করাতে পারছেন না। এদিকে কঠিন রোগে আক্রান্ত হলেও লোক লজ্জায় ক্ষতিগ্রস্ত এই মানুষগুলো চিকিৎসা না নিয়ে বাড়িতেই পড়ে আছে। কেউ আবার আত্মগোপন করে অন্যত্র চলে গেছে।
আবার কেউ কিডনি বিক্রি করলেও তা বলতে নারাজ। ইতিমধ্যে কিডনি বিক্রেতাদের অনেকেই অসুস্থতায় ভুগছেন। হারিয়েছেন কর্মক্ষমতা। কিডনি পাচারকারী দালাল চক্র ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা কিংবা তারও অধিক মূল্যে কিডনি বিক্রি করলেও তারা পেয়েছে সাড়ে ৩ লাখ টাকা। আর বাকি টাকা হাতিয়ে নেয়েছে দালাল চক্র। কেউবা এনজিওর ঋণ পরিশোধ করতে কেউ আবার পরিবার পরিজন নিয়ে একটু সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে কিডনি বিক্রি করছেন।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি পাচারকারী চক্রটি সক্রিয় থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। গাইবান্ধায় সদ্য যোগ দান করা পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেছেন, অভিযোগ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের আইনি সহায়তা দেয়া হবে। তবে কেউ যাতে কিডনি বিক্রি না করে সে ব্যাপারে স্থানীয়দের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
তারা টোপ হিসেবে ব্যবহার করে স্থানীয় দাদন ব্যবসায়ীকে। টার্গেট করে যাদের ঘরে বাড়ন্ত মেয়ে আছে বা বিবাহ উপযুক্ত মেয়ে আছে সেই পরিবারের কর্তাকে। টাকার অভাবে বিয়ে দিতে পারে না এমন পরিবারকে টার্গেট করে দুই বাংলার কিডনি সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রথমে দরিদ্র পরিবারকে অর্থলগ্নি করে। তারপর আস্তে আস্তে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এভাবে তাদের টাকার লোভ দেখিয়ে কিডনি বিক্রির টার্গেট হাসিল করে। জয়পুরহাট ও সীমান্তঘেঁষা গ্রামের নাম রাজা বিরাট ও শাখাহার।
এই গ্রামের অনেকেই কিডনি বিক্রির পর কার্যক্ষমতা হারিয়ে পড়ে আছে বিনা চিকিৎসায়। শুধু তাই নয়, তারা মোটা অঙ্কের দুই কানেকশনে সীমান্তঘেঁষা গ্রামগুলো থেকে শ’ শ’ মানুষ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে কিডনি। গাইবান্ধার সীমান্তবর্তী এলাকায় কিডনি পাচারকারী চক্র খুবই সক্রিয়। তারা গ্রামের সহজ সরল দরিদ্র মানুষকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি বিক্রিতে বাধ্য করছে। মোটা অঙ্কের টাকায় কিডনি বিক্রি হলেও নামমাত্র মূল্য দিয়ে পুরো টাকাটি হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি। তবে যারা কিডনি বিক্রি করেছে তারা কারো সম্পর্কে মুখ খুলতে রাজি নয়। কারণ মুখ খুলতে নিষেধ করা আছে। গ্রামে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, রাজা বিরাটের জয়নাল আবেদীন জহির ও বেউর গ্রামের রাজেশ কিডনি বিক্রি করে এখন সর্বস্বান্ত। কাজ করতে পারে না। তবে তারা বলেন জয়পুরহাটের এক সীমান্ত দিয়ে ভারতে নিয়ে গেছেন ফুলচান। তারপর হাসপাতাল হয়ে বাড়ি ফেরা। আর কিছু বলতে রাজি নয়। মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও সীমান্তঘেঁষা গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ও শাখাহার ইউনিয়নের অনেক মানুষ কিডনি পাচারকারী দালাল চক্রের প্রলোভনে পরে নিজেদের কিডনি বিক্রি করে দিয়েছে। কিডনি অপসারণের পর থেকে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হলেও অনেকেই অর্থের অভাবে সুচিকিৎসা করাতে পারছেন না। এদিকে কঠিন রোগে আক্রান্ত হলেও লোক লজ্জায় ক্ষতিগ্রস্ত এই মানুষগুলো চিকিৎসা না নিয়ে বাড়িতেই পড়ে আছে। কেউ আবার আত্মগোপন করে অন্যত্র চলে গেছে।
আবার কেউ কিডনি বিক্রি করলেও তা বলতে নারাজ। ইতিমধ্যে কিডনি বিক্রেতাদের অনেকেই অসুস্থতায় ভুগছেন। হারিয়েছেন কর্মক্ষমতা। কিডনি পাচারকারী দালাল চক্র ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা কিংবা তারও অধিক মূল্যে কিডনি বিক্রি করলেও তারা পেয়েছে সাড়ে ৩ লাখ টাকা। আর বাকি টাকা হাতিয়ে নেয়েছে দালাল চক্র। কেউবা এনজিওর ঋণ পরিশোধ করতে কেউ আবার পরিবার পরিজন নিয়ে একটু সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে কিডনি বিক্রি করছেন।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি পাচারকারী চক্রটি সক্রিয় থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। গাইবান্ধায় সদ্য যোগ দান করা পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেছেন, অভিযোগ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের আইনি সহায়তা দেয়া হবে। তবে কেউ যাতে কিডনি বিক্রি না করে সে ব্যাপারে স্থানীয়দের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
No comments