একজন সফল নারী উদ্যোক্তা by রিপন আনসারী
আফরোজা
খান রিতা। একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। সাবেক মন্ত্রী ও বরেণ্য শিল্পপতি
মরহুম হারুনার রশিদ খান মুন্নুর যোগ্য উত্তরসূরি তিনি। শত মানিকের জেলা
হিসেবে পরিচিত মানিকগঞ্জের এই সদালাপী নারী ব্যবসা, শিক্ষা-দীক্ষা ও
সামাজিকতাসহ সর্বগুণে গুণান্বিতা। এ ছাড়া সর্বক্ষণই মানবকল্যাণে কাজ করে
যাচ্ছেন। অসহায় মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন ঠিক বাবার
মতোই। যার ফলে মানিকগঞ্জের মানুষজনের কাছে হয়ে উঠেছেন বেশ জনপ্রিয়। তার এই
সফলতার মূল শক্তিই হচ্ছে তার বাবা মরহুম হারুনার রশিদ খান মুন্নু।
বাবা নেই, তবে বাবাকে অনুকরণ করেই পথ চলছেন তিনি। ১৯৬১ সালের ৪ঠা এপ্রিল হারুনার রশিদ খান মুন্নু ও তার সহধর্মিণী হুরুন নাহারের ঘর আলোকিত করে এসেছেন আফরোজা খান রিতা। সমাজে একটা কথা প্রচলিত আছে, প্রথম সন্তান যদি মেয়ে হয়, তবে সে সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসে। অর্থাৎ বাবার কাছে আফরোজা খান রিতা ছিলেন সৌভাগ্যের প্রতীক। আর ছোটবেলা থেকেই বাবার সততা আর আদর্শে মুগ্ধ ছিলেন। তার বাবা ছিলেন তার অহঙ্কার। বাবাকে হারানোর পর তার মাথার উপরের বটগাছটি যেন সরে গেছে। এতে ছায়াহীন রিতার দায়িত্ব আরো বেড়ে গেছে বহুগুণ। বাবাকে হারানো দুই বছর পেরিয়ে গেছে। তবে বাবা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে বাবার যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন নিরন্তর। মুন্নু গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান রিতার শিক্ষা জীবনে সবচেয়ে বড় সফলতা আসে এইচএসসি পরীক্ষায়। সে পরীক্ষায় মেধা তালিকায় সারা দেশে অষ্টমস্থান অধিকার করেন। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমকম পাস করেন। লেখাপড়ার গণ্ডি পেরিয়ে তিনি আর ঘরে বসে থাকেননি। বাবার ব্যবসা-বাণিজ্যে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। আর খুব অল্প সময়ে হয়ে উঠেন একজন পরিপক্ব ব্যবসায়ী। ফলে বৃদ্ধ বাবাকে জীবদ্দশায় ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে টেনশনে থাকতে হয়নি। মেয়ের প্রতি বাবার আস্থা ও ভরসা পুরোটাই ছিল। বাবা নেই তাই বাবার স্বপ্নের সঙ্গে নিজের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করাটাই তার মূল লক্ষ্য। তাই তো বাবার আদর্শ, কর্ম উদ্দীপনা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিজের ভেতর ধারণ ও লালন করেছেন। সেই আদর্শের দীক্ষাতেই আফরোজা খান রিতা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বাবার প্রতিষ্ঠিত মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মুন্নু ফেব্রিক্স, মুন্নু অ্যাটেয়ার, মুন্নু জুটেক্স, মুন্নু জুট স্টাফলার্স, মুন্নু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মুন্নু নার্সিং কলেজসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া বিপদে আপদে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে রীতি মরহুম হারুনার রশিদ খান মুন্নু তৈরি করে গেছেন তার সেই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন আফরোজা খান রিতা। শুধু তাই নয়, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সামাজিকতার পাশাপাশি এক হাতেই সামাল দিচ্ছেন নিজের সংসার। বয়স্ক মা, স্বামী, সন্তানসহ পুরো পরিবারের সকলের মধ্যমণি হচ্ছেন তিনি। এদিকে মুন্নু গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের অন্যতম মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সফলতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সিরামিক শিল্পে মুন্নু সিরামিকের নাম-ডাক সারা দুনিয়াতেই রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতা এবং আফরোজা খান রিতার দক্ষ পরিচালনায় ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের জাতীয় রপ্তানি বাণিজ্যে বিশেষ অবদানের জন্য মুন্নু সিরামিক সেরা রপ্তানিকারক ট্রফি (গোল্ড পদক) অর্জন করেছে। মুন্নু সিরামিকের চেয়ারম্যান আফরোজা খান রিতা গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে সেরা রপ্তানিকারক ট্রফি (গোল্ড পদক) গ্রহণ করেছেন। সিরামিক টেবিলওয়্যার পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির জন্য এ নিয়ে ১২তম জাতীয় রপ্তানি ট্রফি (স্বর্ণ) অর্জন করেছে মুন্নু সিরামিক। এর আগে বাংলাদেশ সিরামিক শিল্পের অগ্রপথিক আফরোজা খান রিতা ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সিরামিক রপ্তানি খাতে সিআইপি (রপ্তানি) ২০১৫ নির্বাচিত হয়েছেন।
বাবা নেই, তবে বাবাকে অনুকরণ করেই পথ চলছেন তিনি। ১৯৬১ সালের ৪ঠা এপ্রিল হারুনার রশিদ খান মুন্নু ও তার সহধর্মিণী হুরুন নাহারের ঘর আলোকিত করে এসেছেন আফরোজা খান রিতা। সমাজে একটা কথা প্রচলিত আছে, প্রথম সন্তান যদি মেয়ে হয়, তবে সে সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসে। অর্থাৎ বাবার কাছে আফরোজা খান রিতা ছিলেন সৌভাগ্যের প্রতীক। আর ছোটবেলা থেকেই বাবার সততা আর আদর্শে মুগ্ধ ছিলেন। তার বাবা ছিলেন তার অহঙ্কার। বাবাকে হারানোর পর তার মাথার উপরের বটগাছটি যেন সরে গেছে। এতে ছায়াহীন রিতার দায়িত্ব আরো বেড়ে গেছে বহুগুণ। বাবাকে হারানো দুই বছর পেরিয়ে গেছে। তবে বাবা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে বাবার যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন নিরন্তর। মুন্নু গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান রিতার শিক্ষা জীবনে সবচেয়ে বড় সফলতা আসে এইচএসসি পরীক্ষায়। সে পরীক্ষায় মেধা তালিকায় সারা দেশে অষ্টমস্থান অধিকার করেন। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমকম পাস করেন। লেখাপড়ার গণ্ডি পেরিয়ে তিনি আর ঘরে বসে থাকেননি। বাবার ব্যবসা-বাণিজ্যে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। আর খুব অল্প সময়ে হয়ে উঠেন একজন পরিপক্ব ব্যবসায়ী। ফলে বৃদ্ধ বাবাকে জীবদ্দশায় ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে টেনশনে থাকতে হয়নি। মেয়ের প্রতি বাবার আস্থা ও ভরসা পুরোটাই ছিল। বাবা নেই তাই বাবার স্বপ্নের সঙ্গে নিজের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করাটাই তার মূল লক্ষ্য। তাই তো বাবার আদর্শ, কর্ম উদ্দীপনা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিজের ভেতর ধারণ ও লালন করেছেন। সেই আদর্শের দীক্ষাতেই আফরোজা খান রিতা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বাবার প্রতিষ্ঠিত মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মুন্নু ফেব্রিক্স, মুন্নু অ্যাটেয়ার, মুন্নু জুটেক্স, মুন্নু জুট স্টাফলার্স, মুন্নু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মুন্নু নার্সিং কলেজসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া বিপদে আপদে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে রীতি মরহুম হারুনার রশিদ খান মুন্নু তৈরি করে গেছেন তার সেই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন আফরোজা খান রিতা। শুধু তাই নয়, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সামাজিকতার পাশাপাশি এক হাতেই সামাল দিচ্ছেন নিজের সংসার। বয়স্ক মা, স্বামী, সন্তানসহ পুরো পরিবারের সকলের মধ্যমণি হচ্ছেন তিনি। এদিকে মুন্নু গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের অন্যতম মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সফলতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সিরামিক শিল্পে মুন্নু সিরামিকের নাম-ডাক সারা দুনিয়াতেই রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতা এবং আফরোজা খান রিতার দক্ষ পরিচালনায় ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের জাতীয় রপ্তানি বাণিজ্যে বিশেষ অবদানের জন্য মুন্নু সিরামিক সেরা রপ্তানিকারক ট্রফি (গোল্ড পদক) অর্জন করেছে। মুন্নু সিরামিকের চেয়ারম্যান আফরোজা খান রিতা গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে সেরা রপ্তানিকারক ট্রফি (গোল্ড পদক) গ্রহণ করেছেন। সিরামিক টেবিলওয়্যার পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির জন্য এ নিয়ে ১২তম জাতীয় রপ্তানি ট্রফি (স্বর্ণ) অর্জন করেছে মুন্নু সিরামিক। এর আগে বাংলাদেশ সিরামিক শিল্পের অগ্রপথিক আফরোজা খান রিতা ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সিরামিক রপ্তানি খাতে সিআইপি (রপ্তানি) ২০১৫ নির্বাচিত হয়েছেন।
No comments