ঢাকার বস্তিগুলোতে সরকারি হিসাবে ঘর পৌনে ২ লাখ, বাস্তবে আরও বেশি by শেখ জাহাঙ্গীর আলম
কড়াইল বস্তি |
নদীভাঙনে
সর্বস্ব হারিয়ে নাসির উদ্দিন যশোর থেকে ঢাকায় আসেন ২৮ বছর আগে। ওঠেন কড়াইল
বস্তিতে। এরপর আর ঠাঁই বদল হয়নি তার। প্রতিবন্ধী মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান
নিয়ে তার সংসার। শুরুতে রিকশা চালাতেন। এখন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের
নিরাপত্তাকর্মী। নাসিরের মতো ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭৫ মানুষ ঢাকার বিভিন্ন
বস্তিতে থাকেন।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৪ সালের জরিপ অনুযায়ী, ঢাকায় বস্তি রয়েছে ৩ হাজার ৩৯৩টি। আর এসব বস্তিতে খানা বা ঘর বা পরিবার রয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩১টি।
তবে সরেজমিনে ঢাকার পাঁচটি বড় বস্তি ঘুরে খানার সংখ্যাসহ বসবাসকারীল সংখ্যা অনেক বেশি পাওয়া গেছে। দুই সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও বলছেন, জরিপের সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির মিল নাও থাকতে পারে।
২০১৪ সালের বস্তিশুমারির পর গত ৫ বছরে দুই সিটিতে কতগুলো বস্তি রয়েছে বা এসব বস্তিতে কত মানুষ বসবাস করছে, এর কোনও হালনাগাদ হিসাব সংশ্লিষ্টদের কাছে নেই।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর বস্তিশুমারি: পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ‘বস্তিশুমারি ও ভাসমান লোকগণনা জরিপ’ করে ২০১৪ সালে। সরকারি এই সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় বস্তি রয়েছে ১ হাজার ৬৩৯টি। এসব বস্তিতে খানা বা ঘর বা পরিবার রয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৪০টি। খানাসদস্য ৪ লাখ ৯৯ হাজার ১৯ জন।
আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ১ হাজার ৭৫৫টি বস্তিতে খানা (ঘর বা পরিবার) রয়েছে ৪০ হাজার ৫৯১টি। এসব ঘরে বসবাস করে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৬ জন।
দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা যা বলছেন: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাছে বস্তি ও বস্তিবাসীর সঠিক হিসাব নেই। যদিও দুটি করপোরেশনেরই সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন বিভাগ রয়েছে।
সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন বিভাগে লোকবল কম থাকায় বস্তি, ঘর ও বসবাসকারীর সংখ্যা নির্ণয়ের কাজ করা যাচ্ছে না।
ডিএনসিসির বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ভূঞা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বস্তিতে একটি খানা মানে একটি ঘর। একটি ঘরে একটি পরিবার বসবাস করে। ২০১৪ সালে পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বস্তিশুমারি করেছিল। তাদের তথ্যের বাইরে আমাদের কাছে আর কোনও তথ্য নেই।’
ডিএসসিসির বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা এ কে এম লুৎফুর রহমান সিদ্দীক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দক্ষিণের বস্তিগুলোতে সঠিক কত ঘর আছে, আলাদা করে আমাদের কাছে তথ্য নেই। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যই আমরা সংরক্ষণ করি। কারণ, তাদের তথ্য সঠিক বলে আমরা মনে করি।’
কড়াইল বস্তি: রাজধানীর মহখালী ও গুলশান এলাকার মাঝে ডিএনসিসির ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত এই বস্তির আয়তন প্রায় ৯৫ একর। এই জায়গার মালিকানায় একাধিক সরকারি সংস্থা থাকলেও অনেক আগে থেকেই এখানে ঘর তুলে নিম্ন আয়ের মানুষেরা বসবাস করছে।
কড়াইল বস্তির ১ নম্বর ইউনিটের বস্তি উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন রিপন বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘আমাদের হিসাব অনুযায়ী কড়াইল বস্তিতে মোট ১২ হাজার ঘর রয়েছে। মানুষ বসবাস করে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার।’
তিনি বলেন, ‘বস্তিতে ২৪ হাজার ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে ১ নম্বর ইউনিটে ১০ হাজার ভোটার ও ২ নম্বর ইউনিটে ১৪ হাজার ভোটার রয়েছে।’
বিবিএসের ২০১৪ সালের বস্তিশুমারি অনুযায়ী এই বস্তিতে ঘর বা খানা রয়েছে ১০ হাজার ২২২টি। এসব খানায় ৩৬ হাজার ৭১৯ জনের বসবাস। অর্থাৎ ৫ বছরের ব্যবধানে বস্তিটিতে ঘর বেড়েছে ১ হাজার ৭৭৮টি।
সাততলা বস্তি: মহাখালীতে জাতীয় জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, জাতীয় জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, নিপসম, আইসিডিডিআরবিসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের খালি জায়গায় গড়ে উঠেছে সাততলা বস্তি। এর কয়েকটি ভাগ রয়েছে। যেমন বাউন্ডারি বস্তি, দক্ষিণ পাড়া, স্টাফ মহল্লা, পোড়া বস্তি ও চৌধুরী পাড়া বস্তি।
সাততলা বস্তি উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু ইউসুফ মৃধা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমাদের ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী সাততলা বস্তিতে মোট ১০ হাজার ৮০০ পরিবারের বসবাস। ঘর আছে ১১ হাজার। এসব ঘরে ৫২ হাজার ৯২০ জন মানুষের বসবাস। তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালের পর এই বস্তিতে লোক সংখ্যা ও ঘরের সংখ্যা আরও বেড়েছে। তবে সেই হিসাব আমাদের কাছে নেই।’
বিবিএস বস্তিশুমারি বলছে, এই বস্তির ঘরসংখ্যা ৬ হাজার ৮৪৫টি। এসব ঘরে ৪ হাজার ৩৭৩টি পরিবারের বসবাস। জনসংখ্যা ২১ হাজার ৮৬৯। অর্থাৎ ৫ বছরের ব্যবধানে ৪ হাজার ১১৫টি ঘর বেড়েছে।
মিরপুর-২ নম্বর হাজী রোড ঝিলপাড় বস্তি: মিরপুর-২ নম্বরে কমার্স কলেজের পাশে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের জন্য বরাদ্দ জায়গায় গত ৩০ বছর আগে গড়ে উঠেছে হাজী রোড ঝিলপাড় বস্তি।
বস্তির উন্নয়ন কমিটির সভাপতি আব্দুল ওহাব বলেন, ‘বর্তমানে বস্তিতে ১ হাজার ৫০০টি ঘর রয়েছে। পুরো বস্তিতে বাড়িওয়ালা রয়েছে ২২০ জন। সাড়ে ৭ হাজার বস্তিবাসির মধ্যে ভোটার ১ হাজার ৫০০ জন।
বিবিএসের বস্তিশুমারি বলছে বস্তিটিতে ৫৩৪টি ঘর রয়েছে। এসব ঘরে ২ হাজার ১৮ জনের বসবাস। এখানেও ৫ বছরের ব্যবধানে ৯৬৬টি বেশি ঘরের হিসাব পাওয়া যায়।
কল্যাণপুর পোড়া বস্তি: মিরপুরের দক্ষিণ পাইক পাড়ায় কল্যাণপুর পোড়া বস্তিতে ৮টি ইউনিট রয়েছে। এসব ইউনিটে ঘর রয়েছে সাড়ে ৩ হাজার। বস্তি উন্নয়ন কমিটির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, ‘বস্তিতে সাড়ে ১৭ হাজার মানুষ থাকে। এর মধ্যে ভোটার সাড়ে ৪ হাজার।’
বিবিএসের বস্তিশুমারির তথ্য অনুযায়ী, বস্তিটির ঘরসংখ্যা ২ হাজার ১৮৪টি। এখানে বাস করে ৮ হাজার ১২৯ জন। অর্থাৎ ৫ বছরের ব্যবধানে বস্তিতে ঘর বেড়েছে ১ হাজার ৩১৬টি।
মিরপুর-৬ নম্বর ঝিলপাড় বস্তি: মিরপুর ৬ ও ৭ নম্বর সেকশনে ঝিলপাড় বস্তি গড়ে উঠেছে প্রায় সাড়ে চার দশক আগে। স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার অফিস সূত্রে জানা গেছে, বস্তিটিতে প্রায় ১৫ হাজার পরিবারের ৬০ হাজার সদস্য রয়েছে। এতে ১৫ হাজারের বেশি ঘর রয়েছে বলে জানান স্থানীয় নেতা ওয়াজেদ আলী সিকদার। তিনি জানান, এ বস্তিতে কোনও কমিটি নেই।
বিবিএসের বস্তিশুমারির হিসাবে বস্তিটিতে ৩ হাজার ২০১টি ঘর রয়েছে। এসব ঘরে ২০ হাজার ৯১৯ জনের বসবাস। অর্থাৎ ৫ বছরের ব্যবধানে এই বস্তিতে ১১ হাজার ৭৯৯টি বেশি ঘর পাওয়া যায়।
>>ছবি: সাজ্জাদ হোসাইন
পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৪ সালের জরিপ অনুযায়ী, ঢাকায় বস্তি রয়েছে ৩ হাজার ৩৯৩টি। আর এসব বস্তিতে খানা বা ঘর বা পরিবার রয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩১টি।
তবে সরেজমিনে ঢাকার পাঁচটি বড় বস্তি ঘুরে খানার সংখ্যাসহ বসবাসকারীল সংখ্যা অনেক বেশি পাওয়া গেছে। দুই সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও বলছেন, জরিপের সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির মিল নাও থাকতে পারে।
২০১৪ সালের বস্তিশুমারির পর গত ৫ বছরে দুই সিটিতে কতগুলো বস্তি রয়েছে বা এসব বস্তিতে কত মানুষ বসবাস করছে, এর কোনও হালনাগাদ হিসাব সংশ্লিষ্টদের কাছে নেই।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর বস্তিশুমারি: পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ‘বস্তিশুমারি ও ভাসমান লোকগণনা জরিপ’ করে ২০১৪ সালে। সরকারি এই সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় বস্তি রয়েছে ১ হাজার ৬৩৯টি। এসব বস্তিতে খানা বা ঘর বা পরিবার রয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৪০টি। খানাসদস্য ৪ লাখ ৯৯ হাজার ১৯ জন।
আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ১ হাজার ৭৫৫টি বস্তিতে খানা (ঘর বা পরিবার) রয়েছে ৪০ হাজার ৫৯১টি। এসব ঘরে বসবাস করে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৬ জন।
দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা যা বলছেন: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাছে বস্তি ও বস্তিবাসীর সঠিক হিসাব নেই। যদিও দুটি করপোরেশনেরই সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন বিভাগ রয়েছে।
সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন বিভাগে লোকবল কম থাকায় বস্তি, ঘর ও বসবাসকারীর সংখ্যা নির্ণয়ের কাজ করা যাচ্ছে না।
ডিএনসিসির বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ভূঞা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বস্তিতে একটি খানা মানে একটি ঘর। একটি ঘরে একটি পরিবার বসবাস করে। ২০১৪ সালে পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বস্তিশুমারি করেছিল। তাদের তথ্যের বাইরে আমাদের কাছে আর কোনও তথ্য নেই।’
ডিএসসিসির বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা এ কে এম লুৎফুর রহমান সিদ্দীক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দক্ষিণের বস্তিগুলোতে সঠিক কত ঘর আছে, আলাদা করে আমাদের কাছে তথ্য নেই। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যই আমরা সংরক্ষণ করি। কারণ, তাদের তথ্য সঠিক বলে আমরা মনে করি।’
কড়াইল বস্তি: রাজধানীর মহখালী ও গুলশান এলাকার মাঝে ডিএনসিসির ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত এই বস্তির আয়তন প্রায় ৯৫ একর। এই জায়গার মালিকানায় একাধিক সরকারি সংস্থা থাকলেও অনেক আগে থেকেই এখানে ঘর তুলে নিম্ন আয়ের মানুষেরা বসবাস করছে।
কড়াইল বস্তির ১ নম্বর ইউনিটের বস্তি উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন রিপন বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘আমাদের হিসাব অনুযায়ী কড়াইল বস্তিতে মোট ১২ হাজার ঘর রয়েছে। মানুষ বসবাস করে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার।’
তিনি বলেন, ‘বস্তিতে ২৪ হাজার ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে ১ নম্বর ইউনিটে ১০ হাজার ভোটার ও ২ নম্বর ইউনিটে ১৪ হাজার ভোটার রয়েছে।’
বিবিএসের ২০১৪ সালের বস্তিশুমারি অনুযায়ী এই বস্তিতে ঘর বা খানা রয়েছে ১০ হাজার ২২২টি। এসব খানায় ৩৬ হাজার ৭১৯ জনের বসবাস। অর্থাৎ ৫ বছরের ব্যবধানে বস্তিটিতে ঘর বেড়েছে ১ হাজার ৭৭৮টি।
সাততলা বস্তি: মহাখালীতে জাতীয় জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, জাতীয় জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, নিপসম, আইসিডিডিআরবিসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের খালি জায়গায় গড়ে উঠেছে সাততলা বস্তি। এর কয়েকটি ভাগ রয়েছে। যেমন বাউন্ডারি বস্তি, দক্ষিণ পাড়া, স্টাফ মহল্লা, পোড়া বস্তি ও চৌধুরী পাড়া বস্তি।
সাততলা বস্তি উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু ইউসুফ মৃধা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমাদের ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী সাততলা বস্তিতে মোট ১০ হাজার ৮০০ পরিবারের বসবাস। ঘর আছে ১১ হাজার। এসব ঘরে ৫২ হাজার ৯২০ জন মানুষের বসবাস। তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালের পর এই বস্তিতে লোক সংখ্যা ও ঘরের সংখ্যা আরও বেড়েছে। তবে সেই হিসাব আমাদের কাছে নেই।’
বিবিএস বস্তিশুমারি বলছে, এই বস্তির ঘরসংখ্যা ৬ হাজার ৮৪৫টি। এসব ঘরে ৪ হাজার ৩৭৩টি পরিবারের বসবাস। জনসংখ্যা ২১ হাজার ৮৬৯। অর্থাৎ ৫ বছরের ব্যবধানে ৪ হাজার ১১৫টি ঘর বেড়েছে।
মিরপুর-২ নম্বর হাজী রোড ঝিলপাড় বস্তি: মিরপুর-২ নম্বরে কমার্স কলেজের পাশে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের জন্য বরাদ্দ জায়গায় গত ৩০ বছর আগে গড়ে উঠেছে হাজী রোড ঝিলপাড় বস্তি।
বস্তির উন্নয়ন কমিটির সভাপতি আব্দুল ওহাব বলেন, ‘বর্তমানে বস্তিতে ১ হাজার ৫০০টি ঘর রয়েছে। পুরো বস্তিতে বাড়িওয়ালা রয়েছে ২২০ জন। সাড়ে ৭ হাজার বস্তিবাসির মধ্যে ভোটার ১ হাজার ৫০০ জন।
বিবিএসের বস্তিশুমারি বলছে বস্তিটিতে ৫৩৪টি ঘর রয়েছে। এসব ঘরে ২ হাজার ১৮ জনের বসবাস। এখানেও ৫ বছরের ব্যবধানে ৯৬৬টি বেশি ঘরের হিসাব পাওয়া যায়।
কল্যাণপুর পোড়া বস্তি: মিরপুরের দক্ষিণ পাইক পাড়ায় কল্যাণপুর পোড়া বস্তিতে ৮টি ইউনিট রয়েছে। এসব ইউনিটে ঘর রয়েছে সাড়ে ৩ হাজার। বস্তি উন্নয়ন কমিটির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, ‘বস্তিতে সাড়ে ১৭ হাজার মানুষ থাকে। এর মধ্যে ভোটার সাড়ে ৪ হাজার।’
বিবিএসের বস্তিশুমারির তথ্য অনুযায়ী, বস্তিটির ঘরসংখ্যা ২ হাজার ১৮৪টি। এখানে বাস করে ৮ হাজার ১২৯ জন। অর্থাৎ ৫ বছরের ব্যবধানে বস্তিতে ঘর বেড়েছে ১ হাজার ৩১৬টি।
মিরপুর-৬ নম্বর ঝিলপাড় বস্তি: মিরপুর ৬ ও ৭ নম্বর সেকশনে ঝিলপাড় বস্তি গড়ে উঠেছে প্রায় সাড়ে চার দশক আগে। স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার অফিস সূত্রে জানা গেছে, বস্তিটিতে প্রায় ১৫ হাজার পরিবারের ৬০ হাজার সদস্য রয়েছে। এতে ১৫ হাজারের বেশি ঘর রয়েছে বলে জানান স্থানীয় নেতা ওয়াজেদ আলী সিকদার। তিনি জানান, এ বস্তিতে কোনও কমিটি নেই।
বিবিএসের বস্তিশুমারির হিসাবে বস্তিটিতে ৩ হাজার ২০১টি ঘর রয়েছে। এসব ঘরে ২০ হাজার ৯১৯ জনের বসবাস। অর্থাৎ ৫ বছরের ব্যবধানে এই বস্তিতে ১১ হাজার ৭৯৯টি বেশি ঘর পাওয়া যায়।
>>ছবি: সাজ্জাদ হোসাইন
No comments