জেলখানায় সবজি চাষ করেন সেই ধর্মগুরু
জেলখানায়
বসে সবজি চাষ করেন বহুল আলোচিত সিরসা ডেরার প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং।
‘বাবা’ হিসেবে পরিচিত সাবেক এই ধর্মগুরু ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দু’বছর ধরে
ভারতের সুনারিয়া জেলে বন্দি। তার প্রিজনার নম্বর ৮৬৪৭। এই দু’বছরে তিনি
জেলের ভিতরে সবজি চাষ করে আয় করেছেন ১৮০০০ রুপি। তা করতে গিয়ে তার ওজন
কমেছে ১৫ কেজি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
৫০তম জন্মদিন পালনের ১০দিন পরেই ডেরা সদরদপ্তর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় গুরমিতকে। ২০১৭ সালের ২৫ শে আগস্ট তাকে জেলে ঢোকানো হয়। পাঁচকুলার সিবিআই আদালত তাকে ২০ বছরের জেল দেয়।
তাকে রাখা হয়েছে সুনারিয়া জেলে। তখন থেকেই এই জেলখানা উচ্চ নিরাপত্তা জোনে পরিণত করা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে বহুস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা। মোতায়েন করা হয়েছে আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য। সার্বক্ষণিক সেখানে প্রহরা চলছে। নিয়মিত কয়েদিদের কয়েদখানা থেকে কিছুটা দূরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটি বিশেষ জেলে রাখা হয়েছে গুরমিতকে। সেখানে তার সঙ্গে রয়েছে মাত্র তিনজন অভিযুক্ত।
এ বিষয়ে নজরদারি করেন এমন একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের সামনে প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল মিডিয়াকে দূরে রাখা। কারণ, তারা অভিযুক্ত ব্যক্তি জেলে কিভাবে সময় কাটাচ্ছেন তার আপডেট জানতে উদগ্রীব ছিল। ওই কর্মকর্তার ভাষায়, তিন কিলোমিটার ব্যাসার্ধের ওই জেল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। সেখানে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ, অনেকদিন ধরেই সেখানে উচ্চ সতর্কতা নেয়া হয়েছে।
গুরমিতকে জেলে ঢোকানোর পর তাকে দেখতে তার পালিত কন্যা হানিপ্রিত আর কখনো তাকে দেখতে যান নি। তবে তার পরিবারের সদস্যরা সপ্তাহে একবার দেখা করতে যান। তাদের কাছে গুরমিত তার ময়লা কাপড় দিয়ে দেন। অন্যদিকে ধোয়া কাপড় গ্রহণ করেন। প্রথমদিকে জেলজীবনে অন্ধকার সেলে, নিঃসঙ্গতা তার কাছে ছিল অসহনীয়। স্বাস্থ্যগত সমস্যার অভিযোগ করতেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি অনেকটা মানিয়ে নিয়েছেন। প্রচণ্ড গরমের হাত থেকে বাঁচতে এয়ারকুলার ব্যবহারের অনুমতি দেন চিকিৎসকরা। ফলে গুরমিত স্বস্তি পান।
৫০তম জন্মদিন পালনের ১০দিন পরেই ডেরা সদরদপ্তর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় গুরমিতকে। ২০১৭ সালের ২৫ শে আগস্ট তাকে জেলে ঢোকানো হয়। পাঁচকুলার সিবিআই আদালত তাকে ২০ বছরের জেল দেয়।
তাকে রাখা হয়েছে সুনারিয়া জেলে। তখন থেকেই এই জেলখানা উচ্চ নিরাপত্তা জোনে পরিণত করা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে বহুস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা। মোতায়েন করা হয়েছে আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য। সার্বক্ষণিক সেখানে প্রহরা চলছে। নিয়মিত কয়েদিদের কয়েদখানা থেকে কিছুটা দূরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটি বিশেষ জেলে রাখা হয়েছে গুরমিতকে। সেখানে তার সঙ্গে রয়েছে মাত্র তিনজন অভিযুক্ত।
এ বিষয়ে নজরদারি করেন এমন একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের সামনে প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল মিডিয়াকে দূরে রাখা। কারণ, তারা অভিযুক্ত ব্যক্তি জেলে কিভাবে সময় কাটাচ্ছেন তার আপডেট জানতে উদগ্রীব ছিল। ওই কর্মকর্তার ভাষায়, তিন কিলোমিটার ব্যাসার্ধের ওই জেল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। সেখানে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ, অনেকদিন ধরেই সেখানে উচ্চ সতর্কতা নেয়া হয়েছে।
গুরমিতকে জেলে ঢোকানোর পর তাকে দেখতে তার পালিত কন্যা হানিপ্রিত আর কখনো তাকে দেখতে যান নি। তবে তার পরিবারের সদস্যরা সপ্তাহে একবার দেখা করতে যান। তাদের কাছে গুরমিত তার ময়লা কাপড় দিয়ে দেন। অন্যদিকে ধোয়া কাপড় গ্রহণ করেন। প্রথমদিকে জেলজীবনে অন্ধকার সেলে, নিঃসঙ্গতা তার কাছে ছিল অসহনীয়। স্বাস্থ্যগত সমস্যার অভিযোগ করতেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি অনেকটা মানিয়ে নিয়েছেন। প্রচণ্ড গরমের হাত থেকে বাঁচতে এয়ারকুলার ব্যবহারের অনুমতি দেন চিকিৎসকরা। ফলে গুরমিত স্বস্তি পান।
No comments