জেলে বসে হাতে দুই কপি পবিত্র কোরআন লিখলেন কাশ্মিরি বন্দি আলি মোহাম্মদ ভাট
কাশ্মিরের
শ্রীনগরের হাসনাবাদ রেইনওয়ারির বাসিন্দা আলি মোহাম্মদ ভাট। মিথ্যা
অভিযোগে আটক করা হয়েছিল তাকে। সম্প্রতি তিনি আরও দুই জন কাশ্মিরীসহ ভারতের
জয়পুর আদালত থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তবে মাঝখানে কেটে গেছ দীর্ঘ ২৪ বছর। তবে
এই দুই যুগ কারাবাসকালে তিনি একটি অসামান্য কাজ করেছেন। হাতে পাওয়া
ডায়রিতে তিনি দুই দুই বার নিজ হাতে পুরো কোরআন শরিফ লিখেছেন।
১৯৯৬ সালে সংঘটিত একটি বিস্ফোরণ মামলায় ২৪ বছর জেল খাটার পর গত সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন আলি মোহাম্মদ ভাটসহ পাঁচ ব্যক্তি, তাদের মধ্যে তিনজন কাশ্মিরি। ১৯৯৬ সাল থেকে তারা বন্দি ছিলেন। এ সময় তাদের বিরুদ্ধে দিল্লি ও আহমেদাবাদের জেলে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
আলী মোহাম্মদ ভাট সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি বল-পয়েন্ট পেন দিয়ে চারটি ডায়রিতে দুইবার পুরো কোরআন লিখেছি। তিনি বলেন, প্রথম কপিটি আট মাস লেগেছিল লিখতে। আর ৬ মাস সময় লাগে দ্বিতীয় কপিটি লিখতে।’
ভাটের পরিবারের একজন শিশু সদস্য গণমাধ্যমের সামনে মেলে ধরেছেন হাতে লেখা পবিত্র কুরআনের কপি। পাশেই বসা ভাট।
আলী মোহাম্মদ ভাট গণমাধ্যমকে জানান, তিনি পবিত্র আয়াতগুলো অনুলিপি করতেন কুরআনের একটি মুদ্রিত সংস্করণ থেকে। ডায়রিতে আয়াতগুলো লিখতেন এবং তিনি প্রতিদিন পবিত্র সে আয়াতগুলো পাঠ করতেন।
তিনি বলেন, ‘না, আমি হাফেজে কুরআন নই। আমার সংকীর্ণ কক্ষে পবিত্র কোরআনের একটি কপি আমার সঙ্গী ছিল। সেখান থেকেই কপি করতাম। আমার মনে হয়েছিল, এর মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি আমার বিশ্বাস আরো বাড়বে এবং এটিই হবে কারাগারে সময় পার করার সবচেয়ে ভালো উপায়।’
আলী মোহাম্মদ ভাটের ছোট ভাই আরশিদ আহমদ বলেন, কারাগারে পবিত্র কুরআন লেখা ছাড়াও তার ভাই একটি ডায়েরি লিখতেন। যাতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু লেখার পাশাপাশি দিল্লির তিহার জেল ও জয়পুরের কেন্দ্রীয় কারাগারে কঠিন সময়গুলোর কথা লিখে রাখতেন। আরশিদ আহমদ বলেন, তার ভাই দীর্ঘ কারা জীবনে কিছু ইসলামিক কোর্সও সম্পন্ন করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট ইসলামী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে সনদ পেয়েছেন। জেলে যাওয়ার আগে আলী মোহাম্মদ ভাট নেপালের কাঠমাণ্ডুতে কার্পেট ব্যবসা করতেন।
১৯৯৬ সালে সংঘটিত একটি বিস্ফোরণ মামলায় ২৪ বছর জেল খাটার পর গত সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন আলি মোহাম্মদ ভাটসহ পাঁচ ব্যক্তি, তাদের মধ্যে তিনজন কাশ্মিরি। ১৯৯৬ সাল থেকে তারা বন্দি ছিলেন। এ সময় তাদের বিরুদ্ধে দিল্লি ও আহমেদাবাদের জেলে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
আলী মোহাম্মদ ভাট সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি বল-পয়েন্ট পেন দিয়ে চারটি ডায়রিতে দুইবার পুরো কোরআন লিখেছি। তিনি বলেন, প্রথম কপিটি আট মাস লেগেছিল লিখতে। আর ৬ মাস সময় লাগে দ্বিতীয় কপিটি লিখতে।’
ভাটের পরিবারের একজন শিশু সদস্য গণমাধ্যমের সামনে মেলে ধরেছেন হাতে লেখা পবিত্র কুরআনের কপি। পাশেই বসা ভাট।
আলী মোহাম্মদ ভাট গণমাধ্যমকে জানান, তিনি পবিত্র আয়াতগুলো অনুলিপি করতেন কুরআনের একটি মুদ্রিত সংস্করণ থেকে। ডায়রিতে আয়াতগুলো লিখতেন এবং তিনি প্রতিদিন পবিত্র সে আয়াতগুলো পাঠ করতেন।
তিনি বলেন, ‘না, আমি হাফেজে কুরআন নই। আমার সংকীর্ণ কক্ষে পবিত্র কোরআনের একটি কপি আমার সঙ্গী ছিল। সেখান থেকেই কপি করতাম। আমার মনে হয়েছিল, এর মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি আমার বিশ্বাস আরো বাড়বে এবং এটিই হবে কারাগারে সময় পার করার সবচেয়ে ভালো উপায়।’
আলী মোহাম্মদ ভাটের ছোট ভাই আরশিদ আহমদ বলেন, কারাগারে পবিত্র কুরআন লেখা ছাড়াও তার ভাই একটি ডায়েরি লিখতেন। যাতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু লেখার পাশাপাশি দিল্লির তিহার জেল ও জয়পুরের কেন্দ্রীয় কারাগারে কঠিন সময়গুলোর কথা লিখে রাখতেন। আরশিদ আহমদ বলেন, তার ভাই দীর্ঘ কারা জীবনে কিছু ইসলামিক কোর্সও সম্পন্ন করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট ইসলামী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে সনদ পেয়েছেন। জেলে যাওয়ার আগে আলী মোহাম্মদ ভাট নেপালের কাঠমাণ্ডুতে কার্পেট ব্যবসা করতেন।
>>সাউথ এশিয়ান মনিটর
No comments