গরুর জন্য ‘আবাসিক হোটেল’ ব্যবস্থা বাংলাদেশে by শফিক রহমান
গরুর
জন্য ‘আবাসিক হোটেল’ ব্যবস্থা চালু হয়েছে বাংলাদেশে। হাট থেকে হাট কিংবা
দূর জেলার যাত্রাপথে গরুর থাকা, খাওয়া এবং গোসল করানোর সুযোগসহ ‘আবাসিক
হোটেল’ খ্যাত এসব আয়োজনের সুবিধা নিচ্ছেন গরুর ক্রেতা-বিক্রেতা ও পাইকাররা।
‘গো রক্ষার’ নামে ভারতে যখন মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করার মতো ঘটনা ঘটছে তখন গরু কেনা-বেচা প্রক্রিয়ার মধ্যে শুধু গরুর বিশ্রামের জন্য এ ধারনা যুক্ত করেছেন বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জের স্থানীয়রা। যার পিছনে ছিলনা পশুর অধিকার সংরক্ষণে শহুরে কোন আন্দোলন কিংবা এ্যাডভোকেসি।
গবাদি পশুর জন্য আবাসিক হোটেল ব্যবস্থার এমন ধারনা প্রথম জন্ম নেয় টাঙ্গাইল জেলায়। বিশেষ করে যমুনা নদীর তীরবর্তী এই জেলার ভূয়াপুর উপজেলার গোবিন্দাসী হাটকে কেন্দ্র করে। গত শতকের ষাটের দশকে প্রতিষ্ঠিত এবং স্থানীয় জেলাগুলোর মাঝে বিখ্যাত এই হাটটি আরও জমজমাট হয়ে ওঠে যমুনা ব্রীজ চালু হওয়ার পর। ব্রীজ থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত সপ্তাহে দুই দিন করে (রবিবার ও বৃহস্পতিবার) মিলিত হওয়া এই গোবিন্দাসী হাটকে বলা হয় দেশের উত্তরাঞ্চলের পশু কেনা-বেচার অন্যতম মোকাম।
তবে হাট জমজমাট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপত্তি বাড়তে থাকে পাইকারদের। বিশেষ করে গরু কেনা কিংবা বিক্রি পরবর্তী সময় থেকে আরেক হাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু আগ পর্যন্ত গরুগুলোর খাবার, নিরাপত্তা এবং পরিচর্যা নিয়ে। আর এই সমস্যা সমাধানে প্রথমে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। তারা নিরাপত্তাসহ গরুগুলোকে রাখার জন্য জায়গা দেন, প্রথমে সেবার মানসে এবং পরবর্তীতে টাকার বিনিময়ে।
এদিকে স্থানীয়দের ব্যক্তিগত এ উদ্যোগ ধীরে ধীরে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে শুরু করেছে। গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন জানান, হাট পার্শ্ববর্তী এলকার প্রায় পঞ্চাশটি পরিবার এখন যুক্ত রয়েছে গরুর আবাসিক হোটেল পরিচালনায়। প্রত্যেকে নিজ বসতভিটায় নির্মাণ করেছেন বড় বড় টিনশেড ঘর, রাখাল থাকার রুমসহ রেখেছেন গরু গোসল করানোর জন্য পানির পাইপ, মটর, ব্রাশ ইত্যাদি। তিনি নিজেও পরিচালনা করছেন ৫০টি গরু রাখার ধারন ক্ষমতার এ ধরনের একটি ব্যবস্থা।
আনোয়ার বলেন, হাটবারে বেচা-কেনা শেষে প্রত্যেক পাইকারের কাছে ২০/২৫টা কিংবা তারও বেশি সংখ্যক গরু থেকে যায়। এক্ষেত্রে রাখার সুবিধা থাকলে সপ্তাহের পরবর্তী হাটের জন্য অপেক্ষা করাই পাইকারদের জন্য ঝামেলামুক্ত কাজ। না হলে গরুগুলোকে নিয়ে ছুটতে হয় অন্য কোন হাটের উদ্দেশ্য। তাতে খরচ বাড়ে এবং ঝুঁকি বাড়ে গরুগুলোর অসুস্থতার। আর সেই রাখার এবং নিরাপত্তারই নিশ্চয়তা দিয়েছেন গোবিন্দাসী গ্রামের স্থানীয়রা।
তিনি আরও জানান, আগে ছোট-বড় ব্যবধানের ভিত্তিতে প্রতি দিনের জন্য গরু প্রতি নেয়া হতো ৩০ টাকা এবং ৪০ টাকা। বর্তমানে সেখানে দিনপ্রতি প্রতিটি গরুর জন্য নেয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। গরুর খাবার খরচ গরুর মালিককে বহন করতে হয়।
এদিকে গোবিন্দাসী এলাকার এ ধারনা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে দেশের অন্যান্য জেলাতেও। যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলা সদরের মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত সড়কে ঢুকলেই উত্তর পাশে আবদুল মজিদ মিয়ার বাড়ি। প্রায় ২০ শতাংশ জমির ওপর গড়ে তোলা বসতবাড়ির এক কর্ণারে এক সময়ে চালাতেন খাবারের হোটেল। গত কয়েক বছর ধরে সেই খাবারের হোটেল বন্ধ করে দিয়ে চালাচ্ছেন গরুর আবাসিক হোটেল। ৬৫ ফুট লম্বা এবং ৩৫ ফুট চওড়া একটি টিনশেড কাঠামোতে এক সঙ্গে গরু রাখতে পারেন ৭১টি। কেশবপুর পৌর গরুর হাটের ক্রেতা-বিক্রেতারা নিয়মিত ওখানে গরু রাখছেন।
আবদুল মজিদ বলেন, খাবার হোটেলে ওই সব পাইকাররাই খেতে আসতেন। কিন্তু প্রায়ই তাদের মুখে গরু আনা-নেয়ার ঝামেলার কথা শোনা যেত। বলতেন- গরুগুলো রাখার ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো। একদিন এক পাইকারের অনুরোধে কয়েকটি গরু রেখে দিলাম। ওই দিন থেকেই শুরু।
পরে তার ভাই শুরু করেছেন, শুরু করেছেন আরও কয়েকজনে। বর্তমানে কেশবপুর পৌর গরুর হাটকে কেন্দ্র করে ৭/৮টি গরুর আবাসিক হোটেল পরিচালিত হচ্ছে বলে জানান আবদুল মজিদ।
এছাড়া যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল পশুর হাট, খুলনার ডুমুরিয়ার খর্ণিয়া গরুর হাটকেন্দ্রিক গড়ে উঠেছে এ ধরনের আয়োজন। গরুর আবাসিক হোটেল খ্যাত এসব আয়োজনে বছরের সব সময় গরু রাখছেন ব্যবসায়িরা। তবে কোরবানির ঈদের আগে চাপ বাড়ে।
১২ আগস্ট বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয় ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। সরকারি হিসাব মতে প্রতি বছর কোরবানির ঈদে এক কোটির অধিক সংখ্যক পশু কোরবানি হয়। গত বছর কোরবানি হয়েছিল ১ কোটি পাঁচ লাখের মতো পশু। যার প্রায় অর্ধেকটাই ছিল গরু। এ বছরও ১ কোটি ১০ লাখ কোরবানির পশুর চাহিদা বিপরীতে সারাদেশে প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬৩টি কোরবানিযোগ্য পশু ছিল বলে আগাম তথ্য জানিয়েছিল প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর।
আর দেশ জুড়ে বিশাল সংখ্যক এই গরুর চাহিদা পূরণে কোরবানির আগের কয়েকদিনে হাট থেকে হাটে এবং জেলা থেকে জেলায় গরু নিয়ে ছুটেন থাকেন মালিক ও ব্যবসায়িরা। দীর্ঘ এ যাত্রায় ক্লান্ত ও অসুস্থ গরুর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে রাজধানীসহ দেশের বড় বড় হাটগুলোতে পশু চিকিৎসকদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছেন সরকার তাও প্রায় এক দশক আগে।
এ প্রক্রিয়ায় গরুর আবাসিক হোটেল ব্যবস্থা হাটগুলোতে অসুস্থ গরুর সংখ্যা কমিয়ে আনবে বলে মনে করছেন প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক। তিনি বলেন, বিশেষ করে কোরবানির ঈদের সময় রাজধানী হাটগুলোর অধিকাংশ গরু যে শারীরিক সমস্যায় ভোগে সেটা হলো ট্রাভেল সিকনেস। দীর্ঘ সময় ধরে ট্রাকে দাঁড়িয়ে জার্নি করার কারণে এমনটি হয়। এর ফলে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটা, বদ হজম এবং জ্বরসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। সেখানে পথে কোথাও বিশ্রামের সুযোগ পেলে এই সমস্যাগুলো নিশ্চিত কমে আসবে।
আর সেবার মানসে বাংলাদেশের গ্রামীণ জনপদে এই যে ধারার সূচনা ঘটেছে তাকে ‘ভালো লক্ষণ’ বললেন এই প্রাণীসম্পদবিদ।
‘গো রক্ষার’ নামে ভারতে যখন মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করার মতো ঘটনা ঘটছে তখন গরু কেনা-বেচা প্রক্রিয়ার মধ্যে শুধু গরুর বিশ্রামের জন্য এ ধারনা যুক্ত করেছেন বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জের স্থানীয়রা। যার পিছনে ছিলনা পশুর অধিকার সংরক্ষণে শহুরে কোন আন্দোলন কিংবা এ্যাডভোকেসি।
গবাদি পশুর জন্য আবাসিক হোটেল ব্যবস্থার এমন ধারনা প্রথম জন্ম নেয় টাঙ্গাইল জেলায়। বিশেষ করে যমুনা নদীর তীরবর্তী এই জেলার ভূয়াপুর উপজেলার গোবিন্দাসী হাটকে কেন্দ্র করে। গত শতকের ষাটের দশকে প্রতিষ্ঠিত এবং স্থানীয় জেলাগুলোর মাঝে বিখ্যাত এই হাটটি আরও জমজমাট হয়ে ওঠে যমুনা ব্রীজ চালু হওয়ার পর। ব্রীজ থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত সপ্তাহে দুই দিন করে (রবিবার ও বৃহস্পতিবার) মিলিত হওয়া এই গোবিন্দাসী হাটকে বলা হয় দেশের উত্তরাঞ্চলের পশু কেনা-বেচার অন্যতম মোকাম।
তবে হাট জমজমাট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপত্তি বাড়তে থাকে পাইকারদের। বিশেষ করে গরু কেনা কিংবা বিক্রি পরবর্তী সময় থেকে আরেক হাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু আগ পর্যন্ত গরুগুলোর খাবার, নিরাপত্তা এবং পরিচর্যা নিয়ে। আর এই সমস্যা সমাধানে প্রথমে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। তারা নিরাপত্তাসহ গরুগুলোকে রাখার জন্য জায়গা দেন, প্রথমে সেবার মানসে এবং পরবর্তীতে টাকার বিনিময়ে।
এদিকে স্থানীয়দের ব্যক্তিগত এ উদ্যোগ ধীরে ধীরে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে শুরু করেছে। গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন জানান, হাট পার্শ্ববর্তী এলকার প্রায় পঞ্চাশটি পরিবার এখন যুক্ত রয়েছে গরুর আবাসিক হোটেল পরিচালনায়। প্রত্যেকে নিজ বসতভিটায় নির্মাণ করেছেন বড় বড় টিনশেড ঘর, রাখাল থাকার রুমসহ রেখেছেন গরু গোসল করানোর জন্য পানির পাইপ, মটর, ব্রাশ ইত্যাদি। তিনি নিজেও পরিচালনা করছেন ৫০টি গরু রাখার ধারন ক্ষমতার এ ধরনের একটি ব্যবস্থা।
আনোয়ার বলেন, হাটবারে বেচা-কেনা শেষে প্রত্যেক পাইকারের কাছে ২০/২৫টা কিংবা তারও বেশি সংখ্যক গরু থেকে যায়। এক্ষেত্রে রাখার সুবিধা থাকলে সপ্তাহের পরবর্তী হাটের জন্য অপেক্ষা করাই পাইকারদের জন্য ঝামেলামুক্ত কাজ। না হলে গরুগুলোকে নিয়ে ছুটতে হয় অন্য কোন হাটের উদ্দেশ্য। তাতে খরচ বাড়ে এবং ঝুঁকি বাড়ে গরুগুলোর অসুস্থতার। আর সেই রাখার এবং নিরাপত্তারই নিশ্চয়তা দিয়েছেন গোবিন্দাসী গ্রামের স্থানীয়রা।
তিনি আরও জানান, আগে ছোট-বড় ব্যবধানের ভিত্তিতে প্রতি দিনের জন্য গরু প্রতি নেয়া হতো ৩০ টাকা এবং ৪০ টাকা। বর্তমানে সেখানে দিনপ্রতি প্রতিটি গরুর জন্য নেয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। গরুর খাবার খরচ গরুর মালিককে বহন করতে হয়।
এদিকে গোবিন্দাসী এলাকার এ ধারনা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে দেশের অন্যান্য জেলাতেও। যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলা সদরের মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত সড়কে ঢুকলেই উত্তর পাশে আবদুল মজিদ মিয়ার বাড়ি। প্রায় ২০ শতাংশ জমির ওপর গড়ে তোলা বসতবাড়ির এক কর্ণারে এক সময়ে চালাতেন খাবারের হোটেল। গত কয়েক বছর ধরে সেই খাবারের হোটেল বন্ধ করে দিয়ে চালাচ্ছেন গরুর আবাসিক হোটেল। ৬৫ ফুট লম্বা এবং ৩৫ ফুট চওড়া একটি টিনশেড কাঠামোতে এক সঙ্গে গরু রাখতে পারেন ৭১টি। কেশবপুর পৌর গরুর হাটের ক্রেতা-বিক্রেতারা নিয়মিত ওখানে গরু রাখছেন।
আবদুল মজিদ বলেন, খাবার হোটেলে ওই সব পাইকাররাই খেতে আসতেন। কিন্তু প্রায়ই তাদের মুখে গরু আনা-নেয়ার ঝামেলার কথা শোনা যেত। বলতেন- গরুগুলো রাখার ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো। একদিন এক পাইকারের অনুরোধে কয়েকটি গরু রেখে দিলাম। ওই দিন থেকেই শুরু।
পরে তার ভাই শুরু করেছেন, শুরু করেছেন আরও কয়েকজনে। বর্তমানে কেশবপুর পৌর গরুর হাটকে কেন্দ্র করে ৭/৮টি গরুর আবাসিক হোটেল পরিচালিত হচ্ছে বলে জানান আবদুল মজিদ।
এছাড়া যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল পশুর হাট, খুলনার ডুমুরিয়ার খর্ণিয়া গরুর হাটকেন্দ্রিক গড়ে উঠেছে এ ধরনের আয়োজন। গরুর আবাসিক হোটেল খ্যাত এসব আয়োজনে বছরের সব সময় গরু রাখছেন ব্যবসায়িরা। তবে কোরবানির ঈদের আগে চাপ বাড়ে।
১২ আগস্ট বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয় ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। সরকারি হিসাব মতে প্রতি বছর কোরবানির ঈদে এক কোটির অধিক সংখ্যক পশু কোরবানি হয়। গত বছর কোরবানি হয়েছিল ১ কোটি পাঁচ লাখের মতো পশু। যার প্রায় অর্ধেকটাই ছিল গরু। এ বছরও ১ কোটি ১০ লাখ কোরবানির পশুর চাহিদা বিপরীতে সারাদেশে প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬৩টি কোরবানিযোগ্য পশু ছিল বলে আগাম তথ্য জানিয়েছিল প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর।
আর দেশ জুড়ে বিশাল সংখ্যক এই গরুর চাহিদা পূরণে কোরবানির আগের কয়েকদিনে হাট থেকে হাটে এবং জেলা থেকে জেলায় গরু নিয়ে ছুটেন থাকেন মালিক ও ব্যবসায়িরা। দীর্ঘ এ যাত্রায় ক্লান্ত ও অসুস্থ গরুর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে রাজধানীসহ দেশের বড় বড় হাটগুলোতে পশু চিকিৎসকদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছেন সরকার তাও প্রায় এক দশক আগে।
এ প্রক্রিয়ায় গরুর আবাসিক হোটেল ব্যবস্থা হাটগুলোতে অসুস্থ গরুর সংখ্যা কমিয়ে আনবে বলে মনে করছেন প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক। তিনি বলেন, বিশেষ করে কোরবানির ঈদের সময় রাজধানী হাটগুলোর অধিকাংশ গরু যে শারীরিক সমস্যায় ভোগে সেটা হলো ট্রাভেল সিকনেস। দীর্ঘ সময় ধরে ট্রাকে দাঁড়িয়ে জার্নি করার কারণে এমনটি হয়। এর ফলে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটা, বদ হজম এবং জ্বরসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। সেখানে পথে কোথাও বিশ্রামের সুযোগ পেলে এই সমস্যাগুলো নিশ্চিত কমে আসবে।
আর সেবার মানসে বাংলাদেশের গ্রামীণ জনপদে এই যে ধারার সূচনা ঘটেছে তাকে ‘ভালো লক্ষণ’ বললেন এই প্রাণীসম্পদবিদ।
No comments