শ্রীলংকার নির্বাচনকে ঘিরে চমক, গোপন বৈঠক আর জল্পনা
নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন গোতাবায়া রাজাপাকসা |
আরও
বিভ্রান্ত হয়ে ওঠা শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট, গোমরামুখো গোঁয়ার প্রধানমন্ত্রী
রানিল বিক্রমাসিঙ্গে, উচ্ছ্বসিত সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসা,
আত্মবিশ্বাসী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী গোতাবায়া রাজাপাকসা এবং কট্টর
মার্ক্সবাদী প্রার্থী অনুরা কুমারা দিশানায়েক – এ মুহূর্ত পর্যন্ত এই নিয়েই
গড়ে উঠেছে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিযোগিতার চিত্র।
এক সপ্তাহের সামান্য কিছু আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসা নিজের ছোট ভাই ও সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব গোতাবায়া রাজাপাকসাকে শ্রীলংকা পোদুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি) দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়ার পর এই প্রতিযোগীতার দৌড় শুরু হয়ে গেছে।
তবে, ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) দলের প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়টি তাদের নেতা রানিল বিক্রমাসিঙ্গের মর্জির উপর নির্ভর করছে। কে দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন, সেটা নিয়ে বিক্রমাসিঙ্গে এখন পর্যন্ত মুখ খুলছেন না। তবে, দলের উপনেতা সাজিথ প্রেমাদাসা এরই মধ্যে প্রচারণা শুরু করেছেন এবং প্রকাশ্য সভায় অংশ নিচ্ছেন।
ইউএনপি সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিক্রমাসিঙ্গে দলকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তিনি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবেন কিন্তু অনেকেই মনে করছেন তিনি প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করতে পারেন। এই সিদ্ধান্ত দলকে দ্বিখণ্ডিত করে দিতে পারে। তাছাড়া নাম ঘোষণায় বিলম্বের কারণেও দলের অনেকে অস্থির হয়ে উঠেছেন। কারণ গোতাবায়া এরই মধ্যে প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। তিনি ধর্মীয় জায়গাগুলোতে সফর শুরু করেছেন এবং ধর্মীয় প্রধানদের কাছ থেকে আশীর্বাদ নিয়ে বেড়াচ্ছেন।
প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা এদিকে চরম বিভ্রান্তির মধ্যে আছেন যে কাকে তিনি সমর্থন দিবেন। কারণ এটা এখন পরিস্কার হয়ে গেছে যে, তিনি এসএলপিপির প্রার্থী হচ্ছেন না। তার এসএলএফপি দল প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার ব্যাপারে খুবই ছোট। আর সে কারণের নিজের অহংকারকে হজম করে দলের ভেঙে যাওয়া অংশ এসএলপিপি’র সাথে তার চুক্তি করতে হবে। কিন্তু এসএলপিপি’র সাথে সম্মানজনক একটা চুক্তি না হলে তিনি এসএলপিপিতে যোগ দিতে পারেন না। আবার রাজাপাকসার কাছ থেকে সেটাও পাওয়ার সম্ভাবনা কম কারণ ২০১৪ সালে এসএলএফপি থেকে বেরিয়ে এসে তিনি ২০১৫ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েছিলেন। রাজাপাকসা এসএলএফপির সমর্থনের জন্য খুব সামান্যই মূল্য দিতে রাজি হবেন।
এসএলএফপি দলের কাছে সাংঘর্ষিক ধারণা দিয়েছেন সিরিসেনা। এক সময় কিছু এসএলএফপি দলের সদস্য জানতে চান যে, দল গোতাবায়া রাজাপাকসাকে সমর্থন দেবে কি না। জবাবে সিরিসেনা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন যে, তিনি অতটা পাগল নন। পরে তিনি বলেন যে, তার এসএলপিপিকে সমর্থন দেয়া ছাড়া উপায় নেই, কারণ বিক্রমাসিঙ্গের নেতৃত্বাধীন ইউএনপি’র সাথে তিনি যেতে পারবেন না।
কিন্তু দেয়ালের লিখন স্পষ্ট হয়ে গেছে। সিরিসেনার এখন রাজাপাকসাকে সমর্থন দেয়া ছাড়া উপায় নেই এবং এসএলপিপির সদ্বিবেচনার উপর এখন তাকে নির্ভর করতে হবে যাতে তারা হাতে গোনা কিছু ভোট পেয়ে রাজনৈতিক মানচিত্র থেকে বিলুপ্ত হওয়া থেকে এসএলএফপিকে রক্ষা করা যায়।
প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা চলতি মাসের শুরুর দিকে মাহিন্দা রাজাপাকসার সাথে বৈঠক করেছেন। এটা একটা পরিস্কার প্রমাণ যে, গোতাবায়া রাজাপাকসার চেয়ে বিক্রমাসিঙ্গের বিরুদ্ধে যাওয়ার সম্ভাবনাটাই তার বেশি।
জানা গেছে সিরিসেনা এরই মধ্যে গোতাবায়ার প্রতি তার সমর্থন জানিয়েছেন এবং একটা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। রাজাপাকসার সাথে একটি যৌথ বৈঠকে সহ-সভাপতিত্ব করবেন সিরিসেনা, যেখানে প্রস্তাবটি চূড়ান্ত হবে এবং এসএলএফপি-এসএলপিপি একজোট হবে।
প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার এই মুহূর্তের মনোযোগ হলো আগামী ৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এসএলএফপি কনভেনশানের দিকে। সেখানে গোতাবায়াকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে এবং সম্মেলনে তিনি বিশেষ বক্তৃতা করবেন এবং জোট হলে সেখানে এসএলএফপি কি প্রত্যাশা করতে পারে, এ ব্যাপারে তার নীতি ব্যাখ্যা করবেন।
কিছু এসএলএফপি সদস্য যারা দলের প্রতি অনুগত থাকার সাহস দেখাচ্ছেন, তারা এ সিদ্ধান্তে বিরক্ত প্রকাশ করেছেন। কারণ আট দিন আগে এসএলপিপির যে বহুল আলোচিত সম্মেলন হয়েছে, সেখানে এসএলএফপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
মজার ব্যাপার হলো ইউএনপির উপনেতা এবং প্রেসিডেন্ট প্রার্থী-প্রত্যাশী সাজিথ প্রেমাদাসা – যিনি দলের নেতা রানিল বিক্রমাসিঙ্গের আশীর্বাদ না নিয়েই প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন – তিনিও প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার সাথে বৈঠক করেছেন।
প্রেমাদাসার দিক থেকে এই বৈঠকটি ছিল সিরিসেনার কৌশলগত সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা যদি সিরিসেনার প্রধান শত্রু বিক্রমাসিঙ্গে সাজিথকে বাদ দিয়ে নিজেকে ইউএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেন। আগামী দিনগুলোতে আরও চমক, গোপন বৈঠক ও জল্পনা শোনা যাবে নিশ্চয়ই।
এক সপ্তাহের সামান্য কিছু আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসা নিজের ছোট ভাই ও সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব গোতাবায়া রাজাপাকসাকে শ্রীলংকা পোদুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি) দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়ার পর এই প্রতিযোগীতার দৌড় শুরু হয়ে গেছে।
তবে, ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) দলের প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়টি তাদের নেতা রানিল বিক্রমাসিঙ্গের মর্জির উপর নির্ভর করছে। কে দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন, সেটা নিয়ে বিক্রমাসিঙ্গে এখন পর্যন্ত মুখ খুলছেন না। তবে, দলের উপনেতা সাজিথ প্রেমাদাসা এরই মধ্যে প্রচারণা শুরু করেছেন এবং প্রকাশ্য সভায় অংশ নিচ্ছেন।
ইউএনপি সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিক্রমাসিঙ্গে দলকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তিনি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবেন কিন্তু অনেকেই মনে করছেন তিনি প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করতে পারেন। এই সিদ্ধান্ত দলকে দ্বিখণ্ডিত করে দিতে পারে। তাছাড়া নাম ঘোষণায় বিলম্বের কারণেও দলের অনেকে অস্থির হয়ে উঠেছেন। কারণ গোতাবায়া এরই মধ্যে প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। তিনি ধর্মীয় জায়গাগুলোতে সফর শুরু করেছেন এবং ধর্মীয় প্রধানদের কাছ থেকে আশীর্বাদ নিয়ে বেড়াচ্ছেন।
প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা এদিকে চরম বিভ্রান্তির মধ্যে আছেন যে কাকে তিনি সমর্থন দিবেন। কারণ এটা এখন পরিস্কার হয়ে গেছে যে, তিনি এসএলপিপির প্রার্থী হচ্ছেন না। তার এসএলএফপি দল প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার ব্যাপারে খুবই ছোট। আর সে কারণের নিজের অহংকারকে হজম করে দলের ভেঙে যাওয়া অংশ এসএলপিপি’র সাথে তার চুক্তি করতে হবে। কিন্তু এসএলপিপি’র সাথে সম্মানজনক একটা চুক্তি না হলে তিনি এসএলপিপিতে যোগ দিতে পারেন না। আবার রাজাপাকসার কাছ থেকে সেটাও পাওয়ার সম্ভাবনা কম কারণ ২০১৪ সালে এসএলএফপি থেকে বেরিয়ে এসে তিনি ২০১৫ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েছিলেন। রাজাপাকসা এসএলএফপির সমর্থনের জন্য খুব সামান্যই মূল্য দিতে রাজি হবেন।
এসএলএফপি দলের কাছে সাংঘর্ষিক ধারণা দিয়েছেন সিরিসেনা। এক সময় কিছু এসএলএফপি দলের সদস্য জানতে চান যে, দল গোতাবায়া রাজাপাকসাকে সমর্থন দেবে কি না। জবাবে সিরিসেনা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন যে, তিনি অতটা পাগল নন। পরে তিনি বলেন যে, তার এসএলপিপিকে সমর্থন দেয়া ছাড়া উপায় নেই, কারণ বিক্রমাসিঙ্গের নেতৃত্বাধীন ইউএনপি’র সাথে তিনি যেতে পারবেন না।
কিন্তু দেয়ালের লিখন স্পষ্ট হয়ে গেছে। সিরিসেনার এখন রাজাপাকসাকে সমর্থন দেয়া ছাড়া উপায় নেই এবং এসএলপিপির সদ্বিবেচনার উপর এখন তাকে নির্ভর করতে হবে যাতে তারা হাতে গোনা কিছু ভোট পেয়ে রাজনৈতিক মানচিত্র থেকে বিলুপ্ত হওয়া থেকে এসএলএফপিকে রক্ষা করা যায়।
প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা চলতি মাসের শুরুর দিকে মাহিন্দা রাজাপাকসার সাথে বৈঠক করেছেন। এটা একটা পরিস্কার প্রমাণ যে, গোতাবায়া রাজাপাকসার চেয়ে বিক্রমাসিঙ্গের বিরুদ্ধে যাওয়ার সম্ভাবনাটাই তার বেশি।
জানা গেছে সিরিসেনা এরই মধ্যে গোতাবায়ার প্রতি তার সমর্থন জানিয়েছেন এবং একটা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। রাজাপাকসার সাথে একটি যৌথ বৈঠকে সহ-সভাপতিত্ব করবেন সিরিসেনা, যেখানে প্রস্তাবটি চূড়ান্ত হবে এবং এসএলএফপি-এসএলপিপি একজোট হবে।
প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার এই মুহূর্তের মনোযোগ হলো আগামী ৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এসএলএফপি কনভেনশানের দিকে। সেখানে গোতাবায়াকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে এবং সম্মেলনে তিনি বিশেষ বক্তৃতা করবেন এবং জোট হলে সেখানে এসএলএফপি কি প্রত্যাশা করতে পারে, এ ব্যাপারে তার নীতি ব্যাখ্যা করবেন।
কিছু এসএলএফপি সদস্য যারা দলের প্রতি অনুগত থাকার সাহস দেখাচ্ছেন, তারা এ সিদ্ধান্তে বিরক্ত প্রকাশ করেছেন। কারণ আট দিন আগে এসএলপিপির যে বহুল আলোচিত সম্মেলন হয়েছে, সেখানে এসএলএফপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
মজার ব্যাপার হলো ইউএনপির উপনেতা এবং প্রেসিডেন্ট প্রার্থী-প্রত্যাশী সাজিথ প্রেমাদাসা – যিনি দলের নেতা রানিল বিক্রমাসিঙ্গের আশীর্বাদ না নিয়েই প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন – তিনিও প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার সাথে বৈঠক করেছেন।
প্রেমাদাসার দিক থেকে এই বৈঠকটি ছিল সিরিসেনার কৌশলগত সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা যদি সিরিসেনার প্রধান শত্রু বিক্রমাসিঙ্গে সাজিথকে বাদ দিয়ে নিজেকে ইউএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেন। আগামী দিনগুলোতে আরও চমক, গোপন বৈঠক ও জল্পনা শোনা যাবে নিশ্চয়ই।
No comments