‘এটা সত্তরের দশক নয়’: কাশ্মীরে ‘জরুরি অবস্থার’ প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ আইএএস কর্মকর্তার পদত্যাগ
ভারতের
কেরালা রাজ্যের ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের এক কর্মকর্তা
কান্নান গোপিনাথান তার সম্মানজনক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, যাতে তিনি
কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেন। কেন্দ্রীয় সরকার
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকে কাশ্মীরের জনগণের উপর যে ‘জরুরি’
অবস্থা জারি রাখা হয়েছে, তার প্রতিবাদে তিনি পদত্যাগ করেন।
গোপিনাথান দ্য ওয়্যারকে বলেন, “এটা ইয়েমেন নয়, আর সময়টা সত্তরের দশকও নয় যে, পুরো একটা জনগোষ্ঠির মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করা হবে আর কেউ সেটা নিয়ে কিছু বলবে না। একটা পুরো অঞ্চলকে ২০ দিন ধরে সার্বিকভাবে অবরোধ করে রাখা হয়েছে। এটা নিয়ে আমি নীরব থাকতে পারি না। এর জন্য আমাকে আইএএসের চাকরি ছাড়তে হলেও ছাড়বো, এবং সেটাই আমি করেছি”।
২০১২ সালে আইএএসে যোগ দেন গোপিনাথান। বর্তমান অরুণাচল-গোয়া-মিজোরাম-ইউনিয়ন অঞ্চলের ক্যাডারে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। এবং জম্মু ও কাশ্মীরের স্ট্যাটাস বাতিলের পর সেখানেও তাকে দায়িত্ব পালনের জন্য পাঠানোর সম্ভাবনা ছিল।
সর্বশেষ তিনি সরকারের দাদরা ও নগর হাবেলি শাখায় সংযুক্ত ছিলেন কিন্তু বুধবার তিনি তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।
গোপিনাথান বলেন, “আমার পদত্যাগ গৃহীত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি প্রকাশ্যে কোন কথা বলতে চাইনি, তবে এক বন্ধুর সাথে তিনি সোশাল মিডিয়ায় বার্তা বিনিময়ের পর সেটা ছড়িয়ে পড়ে”।
দ্য ওয়্যারকে গোপিনাথান বলেন যে, কোন বাইরের শত্রুর আগ্রাসন বা সশস্ত্র বিদ্রোহ হলে সেখানে জরুরি অবস্থা জারির বিধান রয়েছে সংবিধানে, কিন্তু কাশ্মীরে এই যুক্তিকে জরুরি অবস্থা দেয়া হয়েছে যে, সেটা না দিলে অস্থিরতা তৈরি হবে। বাস্তবতা যা-ই হোক না কেন, সংবিধানের ৪৪তম সংশোধনীর পর ‘অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার’ যুক্তিতে কোনভাবেই জরুরি অবস্থা জারি করা যেতে পারে না।
“অবশ্যই জরুরি অবস্থার সময় ঘোষণা দেয়া হয়, কিন্তু এখানে কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দেয়া হয়নি। সবকিছু আইএএস কর্মকর্তাদের নির্বাহী আদেশের উপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে! এবং যদিও জনগণের আইনি প্রতিকার চাওয়ার সুযোগ রয়েছে, কিন্তু আদালত এ ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে না”।
যেভাবে আইএএস পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অধিকারী শাহ ফয়সালকে গ্রেফতার করা হয় তা নিয়ে গোপিনাথান বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। ১৯ আগস্ট দিল্লী হাই কোর্টে এ নিয়ে একটি জনস্বার্থে মামলা করা হয়। যদিও এ ধরনের আবেদনকে সাধারণত জরুরি ভিত্তিতে গ্রহণ করা হয়, কিন্তু এই আবেদনের ক্ষেত্রে আদালত বলেছে যে, ৩ সেপ্টেম্বরের আগে তারা বিষয়টি বিবেচনা করতে পারবে না।
চাকরি ছাড়ার পর কি করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে গোপিনাথান বলেন, “আমি এখনও এটা নিয়ে ভাবিনি। তবে ২০ বছর পর মানুষ যখন জিজ্ঞাসা করবে, একটা ভার্চুয়াল জরুরি অবস্থা জারির সময় আপনি কি করেছিলেন, তখন আমি অন্তত এটা বলতে পারবো যে, আমি চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছিলাম”।
গোপিনাথান দ্য ওয়্যারকে বলেন, “এটা ইয়েমেন নয়, আর সময়টা সত্তরের দশকও নয় যে, পুরো একটা জনগোষ্ঠির মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করা হবে আর কেউ সেটা নিয়ে কিছু বলবে না। একটা পুরো অঞ্চলকে ২০ দিন ধরে সার্বিকভাবে অবরোধ করে রাখা হয়েছে। এটা নিয়ে আমি নীরব থাকতে পারি না। এর জন্য আমাকে আইএএসের চাকরি ছাড়তে হলেও ছাড়বো, এবং সেটাই আমি করেছি”।
২০১২ সালে আইএএসে যোগ দেন গোপিনাথান। বর্তমান অরুণাচল-গোয়া-মিজোরাম-ইউনিয়ন অঞ্চলের ক্যাডারে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। এবং জম্মু ও কাশ্মীরের স্ট্যাটাস বাতিলের পর সেখানেও তাকে দায়িত্ব পালনের জন্য পাঠানোর সম্ভাবনা ছিল।
সর্বশেষ তিনি সরকারের দাদরা ও নগর হাবেলি শাখায় সংযুক্ত ছিলেন কিন্তু বুধবার তিনি তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।
গোপিনাথান বলেন, “আমার পদত্যাগ গৃহীত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি প্রকাশ্যে কোন কথা বলতে চাইনি, তবে এক বন্ধুর সাথে তিনি সোশাল মিডিয়ায় বার্তা বিনিময়ের পর সেটা ছড়িয়ে পড়ে”।
দ্য ওয়্যারকে গোপিনাথান বলেন যে, কোন বাইরের শত্রুর আগ্রাসন বা সশস্ত্র বিদ্রোহ হলে সেখানে জরুরি অবস্থা জারির বিধান রয়েছে সংবিধানে, কিন্তু কাশ্মীরে এই যুক্তিকে জরুরি অবস্থা দেয়া হয়েছে যে, সেটা না দিলে অস্থিরতা তৈরি হবে। বাস্তবতা যা-ই হোক না কেন, সংবিধানের ৪৪তম সংশোধনীর পর ‘অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার’ যুক্তিতে কোনভাবেই জরুরি অবস্থা জারি করা যেতে পারে না।
“অবশ্যই জরুরি অবস্থার সময় ঘোষণা দেয়া হয়, কিন্তু এখানে কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দেয়া হয়নি। সবকিছু আইএএস কর্মকর্তাদের নির্বাহী আদেশের উপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে! এবং যদিও জনগণের আইনি প্রতিকার চাওয়ার সুযোগ রয়েছে, কিন্তু আদালত এ ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে না”।
যেভাবে আইএএস পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অধিকারী শাহ ফয়সালকে গ্রেফতার করা হয় তা নিয়ে গোপিনাথান বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। ১৯ আগস্ট দিল্লী হাই কোর্টে এ নিয়ে একটি জনস্বার্থে মামলা করা হয়। যদিও এ ধরনের আবেদনকে সাধারণত জরুরি ভিত্তিতে গ্রহণ করা হয়, কিন্তু এই আবেদনের ক্ষেত্রে আদালত বলেছে যে, ৩ সেপ্টেম্বরের আগে তারা বিষয়টি বিবেচনা করতে পারবে না।
চাকরি ছাড়ার পর কি করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে গোপিনাথান বলেন, “আমি এখনও এটা নিয়ে ভাবিনি। তবে ২০ বছর পর মানুষ যখন জিজ্ঞাসা করবে, একটা ভার্চুয়াল জরুরি অবস্থা জারির সময় আপনি কি করেছিলেন, তখন আমি অন্তত এটা বলতে পারবো যে, আমি চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছিলাম”।
No comments