পাওয়া যাচ্ছে না সুগাইলি চুক্তি ও নেপাল-ভারত মৈত্রী চুক্তির মূল কপি by অনিল গিরি
নেপালের
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি চুক্তি (১৮১৬ সালের সুগাইলি চুক্তি ও ১৯৫০ সালের
শান্তি ও মৈত্রী চুক্তি)’র মূল কপি হারিয়ে গেছে। এই দুই চুক্তির মূল কপি
জাতীয় সংরক্ষণাগার বা জাতীয় আর্কাইভসে রাখা হয়নি। অথচ নেপালের ইতিহাস ও
পররাষ্ট্রনীতির অনেক কিছুই জড়িয়ে আছে চুক্তি দুটির সঙ্গে।
মঙ্গলবার নেপালি কংগ্রেসের আইনপ্রণেতা ও ছায়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ন খাড়কা চুক্তির কপি হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পার্লামেন্টে উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র হারিয়ে যাওয়াটা ভয়াবহ ব্যাপার।
গত ২০১৬ সালে ইমিনেন্ট পারসর্ন্স গ্রুপ অব নেপাল-ইন্ডিয়া রিলেশন্স ১৯৫০ সালের শান্তি ও মৈত্রী চুক্তি পর্যালোচনার জন্য আলোচনায় বসে। ওই সময় নেপালি দলটি চুক্তির মূল কপির অবস্থান জানার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা এর সন্ধান পায়নি। চুক্তিটি সই হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী মোহন শুশশের ও নেপালে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত চন্দেশ্বর প্রাসাদ নারায়ন সিংয়ের মধ্যে।
নেপালি ইমিনেন্ট পারসর্ন্স গ্রুপের সমন্বয়কারী ভেখ বাহাদুর থাপা বলেন, আমাদেরকে ১৯৫০ সালের শান্তি ও মৈত্রী চুক্তির দ্বিতীয় সংস্করণ দেয়া হয়েছে। এটি মূল চুক্তির জেরক্স কপি নয়। সাধারণভাবে যে চুক্তিটি সহজলভ্য, এটি তেমনই। কিন্তু এতে সই নেই। তবে এই কপিটির ব্যাপারে ভারতীয় পক্ষ কখনো আপত্তি করেনি।
তিনি বলেন, ভারতের পক্ষের হাতে থাকা কপিটি মূল কপি কিনা তিনি তাও দেখেননি।
এরপর একটি পার্লামেন্টারি অনুসন্ধান কমিটি এসব নথিপত্রের খোঁজ করে। এই কমিটি ২২ জুলাই জানায়, সুগাইলি চুক্তির মূল কপিও নেপালে নেই। তারা সম্ভাব্য সব স্থানে অনুসন্ধান চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ গিওয়ালি বলেন, তার মন্ত্রণালয়ে উভয় চুক্তির কপি থাকলেও তা মূল কিনা তা তিনি নিশ্চিত নন।
তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, এসব নথিপত্র মূল নয়।
অনেক ইতিহাসবিদ ও পার্লামেন্ট সদস্য জানায়, এসব নথিপত্রের মূল কপি দেশের বাইরে চলে গেছে।
ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দি লেজিসলেটিভ পার্লামেন্টের চেয়ারপারসন পবিত্র নিরাউলা পোস্টকে বলেন, ১৯৫০ সালের শান্তি ও মৈত্রী চুক্তির মূল কপি আছে ভারতে, আর সুগাইলি চুক্তির মূল কপি আছে লন্ডনে।
সুগাইলি চুক্তিটি সই হয়েছিল ১৮১৫ সালে নেপাল ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে এক যুদ্ধে পরাজিত হয় নেপাল। তারা এই চুক্তির মাধ্যমে দেশের একটি বড় অংশ হারায়।
আর ১৯৫০ সালের চুক্তিতে নেপালের সাথে ভারতের সম্পর্ক নির্ধারিত হয়।
মঙ্গলবার নেপালি কংগ্রেসের আইনপ্রণেতা ও ছায়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ন খাড়কা চুক্তির কপি হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পার্লামেন্টে উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র হারিয়ে যাওয়াটা ভয়াবহ ব্যাপার।
গত ২০১৬ সালে ইমিনেন্ট পারসর্ন্স গ্রুপ অব নেপাল-ইন্ডিয়া রিলেশন্স ১৯৫০ সালের শান্তি ও মৈত্রী চুক্তি পর্যালোচনার জন্য আলোচনায় বসে। ওই সময় নেপালি দলটি চুক্তির মূল কপির অবস্থান জানার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা এর সন্ধান পায়নি। চুক্তিটি সই হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী মোহন শুশশের ও নেপালে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত চন্দেশ্বর প্রাসাদ নারায়ন সিংয়ের মধ্যে।
নেপালি ইমিনেন্ট পারসর্ন্স গ্রুপের সমন্বয়কারী ভেখ বাহাদুর থাপা বলেন, আমাদেরকে ১৯৫০ সালের শান্তি ও মৈত্রী চুক্তির দ্বিতীয় সংস্করণ দেয়া হয়েছে। এটি মূল চুক্তির জেরক্স কপি নয়। সাধারণভাবে যে চুক্তিটি সহজলভ্য, এটি তেমনই। কিন্তু এতে সই নেই। তবে এই কপিটির ব্যাপারে ভারতীয় পক্ষ কখনো আপত্তি করেনি।
তিনি বলেন, ভারতের পক্ষের হাতে থাকা কপিটি মূল কপি কিনা তিনি তাও দেখেননি।
এরপর একটি পার্লামেন্টারি অনুসন্ধান কমিটি এসব নথিপত্রের খোঁজ করে। এই কমিটি ২২ জুলাই জানায়, সুগাইলি চুক্তির মূল কপিও নেপালে নেই। তারা সম্ভাব্য সব স্থানে অনুসন্ধান চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ গিওয়ালি বলেন, তার মন্ত্রণালয়ে উভয় চুক্তির কপি থাকলেও তা মূল কিনা তা তিনি নিশ্চিত নন।
তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, এসব নথিপত্র মূল নয়।
অনেক ইতিহাসবিদ ও পার্লামেন্ট সদস্য জানায়, এসব নথিপত্রের মূল কপি দেশের বাইরে চলে গেছে।
ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দি লেজিসলেটিভ পার্লামেন্টের চেয়ারপারসন পবিত্র নিরাউলা পোস্টকে বলেন, ১৯৫০ সালের শান্তি ও মৈত্রী চুক্তির মূল কপি আছে ভারতে, আর সুগাইলি চুক্তির মূল কপি আছে লন্ডনে।
সুগাইলি চুক্তিটি সই হয়েছিল ১৮১৫ সালে নেপাল ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে এক যুদ্ধে পরাজিত হয় নেপাল। তারা এই চুক্তির মাধ্যমে দেশের একটি বড় অংশ হারায়।
আর ১৯৫০ সালের চুক্তিতে নেপালের সাথে ভারতের সম্পর্ক নির্ধারিত হয়।
১৮১৪ সালে এ্যাংলো-নেপাল যুদ্ধের সময় সুগাইলিতে নিজ বাহিনীসহ ভীমসেন থাপা |
No comments