আলোকচিত্রে জীবনের অভিন্ন গল্প
লন্ডনের নেহরু সেন্টারের প্রদর্শনীতে দিলীপ ব্যানার্জি |
আলোকচিত্র
মুহূর্তগুলোকে ধরে রাখে। ক্যামেরার চোখে ধরা পড়ে যায় জীবনের মিল-অমিল।
আবার এই স্থিরচিত্রেই ফুটে ওঠে জীবনের অভিন্নতা। অতীত ছবিতে চোখ ফেললেই
বোঝা যায় জীবন কতটা গতিময়! দেশ, জাতি, সংস্কৃতি যা-ই হোক না কেন, সবখানেই
প্রাণের ছোটাছুটি।
নানা দেশের নানা প্রান্তের মানুষের এই ছুটে চলা জীবনের চিত্র দিয়েই সাজানো হয়েছে ‘দ্য সং অব দ্য রোড’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। এতে স্বনামধন্য আলোকচিত্রী দিলীপ ব্যানার্জির তোলা ৬০টি স্থিরচিত্র স্থান পেয়েছে। গত ২০ থেকে ২৫ মে লন্ডনের নেহরু সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই প্রদর্শনী নানা জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।
নানা দেশের নানা প্রান্তের মানুষের এই ছুটে চলা জীবনের চিত্র দিয়েই সাজানো হয়েছে ‘দ্য সং অব দ্য রোড’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। এতে স্বনামধন্য আলোকচিত্রী দিলীপ ব্যানার্জির তোলা ৬০টি স্থিরচিত্র স্থান পেয়েছে। গত ২০ থেকে ২৫ মে লন্ডনের নেহরু সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই প্রদর্শনী নানা জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।
ছবিটি ২০১৬ সালে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থেকে তোলা |
প্রদর্শনী ঘুরে দেখা যায়, চট্টগ্রামের ব্যস্ত নগরে খাঁচি মাথায়
ছুটে চলা এক পরিশ্রান্ত কিশোরের নির্মল চাহনি। গুজরাটে সন্ন্যাসী তরুণীর
ফেলে আসা পথপানে দলছুট দৃষ্টি। মায়ের আঁচলে গুঁজে থাকা দক্ষিণ সুদানের এক
ক্ষুধার্ত শিশু। এভাবে দেশ, জাতি ও সংস্কৃতির দূরত্ব ভুলে মানবকুলের সদৃশতা
জানান দিচ্ছে প্রতিটি চিত্র।
মাঝের ছবিতে খাঁচি মাথায় এক পরিশ্রান্ত কিশোর। ছবিটি ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম শহরে তোলা |
ভারতীয়
বাঙালি দিলীপ ব্যানার্জি দীর্ঘ ৩৭ বছর আলোকচিত্র সাংবাদিক হিসেবে কাজ
করছেন। তিনি প্রথম আলোকে জানান, ১৯৮২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তোলা ছবি এই
প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। তিনি বলেন, ছবি তোলাই তাঁর নেশা ও জীবিকা
উপার্জনের মাধ্যম। যা দৃষ্টির আড়ালে থেকে যাচ্ছে ও সাধারণের চোখে যা পাত্তা
পাচ্ছে না, সেই চিত্রকেই তিনি ক্যামেরার লেন্সে খুঁজে বেড়ান। স্থিরচিত্রে
তুলে ধরেন মানুষের ছুটে চলা জীবনের গল্প।
বিভিন্ন দেশে তোলা আলোকচিত্রগুলো মানবকুলের সদৃশতা জানান দিচ্ছে |
No comments