ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পায়নি আড়াই মাসের শিশু রায়নাও
মাত্র
আড়াই মাস বয়স মেলিসা ইসলাম রায়নার। পৃথিবীর আলো-বাতাস কেবল দেখতে শুরু
করেছে। এরই মধ্যে পৃথিবীর নিষ্ঠুরতার শিকার হতে হলো। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে
এখন সে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি।
শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ঘুমিয়ে রয়েছে ছোট্ট রায়না। ক্ষণিকের মধ্যেই সে কেঁদে উঠল। পাশেই বসে থাকা তার নানু রোকেয়া বেগম কোলে নিয়ে কান্না থামানোর চেষ্টা করছেন।
রায়নার মা ফাতেমা আক্তার আর বাবা আবু মফিজুল ইসলাম। তারা থাকেন রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরে। সেখানেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে রায়না।
রায়নার নানু রোকেয়া বেগম বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে রায়নার মা সবসময় মশারি টানিয়ে রাখতো। কিন্তু মাঝেমধ্যে তো বাইরে বের হতে হয়। এর মধ্যেই হয়তো রায়নাকে মশা কামড় দিয়েছে।’
রায়নার শারীরিক অবস্থা এখন মোটামুটি ভালো বলেও জানান রোকেয়া বেগম।
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিশু হাসপাতালে অবস্থান করে দেখা যায়, প্রচুর মানুষ জ্বর নিয়ে শিশু হাসপাতালে আসছে। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। হাসপাতালটির সাড়ে পাঁচশ সিট পূর্ণ থাকায় একবারে মুমূর্ষু রোগী না হলে কাউকে ভর্তি করছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সাড়ে পাঁচশ সিটের মধ্যে ১২৮ জন ডেঙ্গু রোগী রয়েছে বলেও জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম সূত্র জানা গেছে, সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে গত দু'দিনে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৪০৫ রোগী। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি ১ হাজার ৬৮৭ রোগী। বর্তমানে সারাদেশের হাসপাতালে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৫৮২।
শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ঘুমিয়ে রয়েছে ছোট্ট রায়না। ক্ষণিকের মধ্যেই সে কেঁদে উঠল। পাশেই বসে থাকা তার নানু রোকেয়া বেগম কোলে নিয়ে কান্না থামানোর চেষ্টা করছেন।
রায়নার মা ফাতেমা আক্তার আর বাবা আবু মফিজুল ইসলাম। তারা থাকেন রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরে। সেখানেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে রায়না।
রায়নার নানু রোকেয়া বেগম বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে রায়নার মা সবসময় মশারি টানিয়ে রাখতো। কিন্তু মাঝেমধ্যে তো বাইরে বের হতে হয়। এর মধ্যেই হয়তো রায়নাকে মশা কামড় দিয়েছে।’
রায়নার শারীরিক অবস্থা এখন মোটামুটি ভালো বলেও জানান রোকেয়া বেগম।
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিশু হাসপাতালে অবস্থান করে দেখা যায়, প্রচুর মানুষ জ্বর নিয়ে শিশু হাসপাতালে আসছে। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। হাসপাতালটির সাড়ে পাঁচশ সিট পূর্ণ থাকায় একবারে মুমূর্ষু রোগী না হলে কাউকে ভর্তি করছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সাড়ে পাঁচশ সিটের মধ্যে ১২৮ জন ডেঙ্গু রোগী রয়েছে বলেও জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম সূত্র জানা গেছে, সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে গত দু'দিনে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৪০৫ রোগী। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি ১ হাজার ৬৮৭ রোগী। বর্তমানে সারাদেশের হাসপাতালে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৫৮২।
No comments