জম্মু-কাশ্মির পরিস্থিতি: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রতিনিধিদের সাক্ষাত
জম্মু-কাশ্মিরের
ন্যাশনাল কনফারেন্সের এক প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে
সাক্ষাত করে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁকে অবগত করেছেন। বৃহস্পতিবার
সেরাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ, ওমর আব্দুল্লাহ ও হাসনাইন
মাসুদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় তাদের মধ্যে
কমপক্ষে ২০ মিনিট ধরে রাজ্যের বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়।
এ নিয়ে ওমর আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, রাজ্যটিতে যেন এমন কোনও পদক্ষেপ না নেয়া হয় যাতে সেখানকার পরিস্থিতি খারাপ হয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার সময় ৩৫-এ ও ৩৭০ ধারার বিষয়টিও উঠে আসে। এর পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মিরে বিধানসভা নির্বাচন করার দাবি জানানো হয়েছে। তাদের মধ্যে খুব আন্তরিক ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ওমর আব্দুল্লাহ।
কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি রাজ্যটিতে অতিরিক্ত দশ হাজার আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান মোতায়েনের নির্দেশ দেয়ায় সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সুবিধা সম্বলিত ৩৫-এ ধারায় গরমিল করতে পারে অথবা ওই ধারার বিলোপ ঘটাতে পারে বলে সেখানে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জম্মু-কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে বলতে চাই যে, ৩৫-এ ধারা গরমিল করার চেষ্টা বারুদে আগুন ধরানোর মতো হবে। যদি কোনো হাত ৩৫-এ ধারা স্পর্শ করার চেষ্টা করে তবে কেবল সেই হাতই নয়, পুরো শরীরও পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।
সেখানকার স্থানীয় রাজনৈতিক দলের মধ্যে এনিয়ে আশঙ্কা ও উদ্বেগ জোরালো হওয়ায় অবশেষে গভর্নর সত্যপাল মালিক গত বুধবার সাফাই দিয়ে ওই ধারা তুলে দেয়ার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন। গভর্নর বলেন, আমি আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি যে এই মুহুর্তে ৩৫-এ ধারাটি বাতিল করার কোনও স্তরের কোনও পরিকল্পনা নেই। আপনারা যা শুনছেন তা হল গুজব যা স্বার্থান্বেষী কিছু লোক ছড়িয়ে দিচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ‘উদার আকাশ’ প্রত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ বৃহস্পতিবার রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ ও ওমর আব্দুল্লাহর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। কাশ্মিরে শান্তি ফেরাতে এই বৈঠক জরুরি ছিল। কাশ্মিরি জনতাকে অশান্ত করে দেশবাসী শান্তিতে থাকতে পারে না। সেজন্য কাশ্মিরকে শান্ত রাখার জন্য আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় সরকার সঠিক পদক্ষেপ নেবে সেই আশা করি।’
কাশ্মির শান্ত থাকলে গোটা দেশের মানুষ শান্তিতে কাশ্মিরে ভ্রমণ করতে পারবেন। সেখানকার মানুষের মধ্যে যে সংশয় তৈরি হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার সেই সংশয় দূর করতে এগিয়ে আসুক বলেও ফারুক আহমেদ মন্তব্য করেন।
এ নিয়ে ওমর আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, রাজ্যটিতে যেন এমন কোনও পদক্ষেপ না নেয়া হয় যাতে সেখানকার পরিস্থিতি খারাপ হয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার সময় ৩৫-এ ও ৩৭০ ধারার বিষয়টিও উঠে আসে। এর পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মিরে বিধানসভা নির্বাচন করার দাবি জানানো হয়েছে। তাদের মধ্যে খুব আন্তরিক ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ওমর আব্দুল্লাহ।
কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি রাজ্যটিতে অতিরিক্ত দশ হাজার আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান মোতায়েনের নির্দেশ দেয়ায় সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সুবিধা সম্বলিত ৩৫-এ ধারায় গরমিল করতে পারে অথবা ওই ধারার বিলোপ ঘটাতে পারে বলে সেখানে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জম্মু-কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে বলতে চাই যে, ৩৫-এ ধারা গরমিল করার চেষ্টা বারুদে আগুন ধরানোর মতো হবে। যদি কোনো হাত ৩৫-এ ধারা স্পর্শ করার চেষ্টা করে তবে কেবল সেই হাতই নয়, পুরো শরীরও পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।
সেখানকার স্থানীয় রাজনৈতিক দলের মধ্যে এনিয়ে আশঙ্কা ও উদ্বেগ জোরালো হওয়ায় অবশেষে গভর্নর সত্যপাল মালিক গত বুধবার সাফাই দিয়ে ওই ধারা তুলে দেয়ার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন। গভর্নর বলেন, আমি আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি যে এই মুহুর্তে ৩৫-এ ধারাটি বাতিল করার কোনও স্তরের কোনও পরিকল্পনা নেই। আপনারা যা শুনছেন তা হল গুজব যা স্বার্থান্বেষী কিছু লোক ছড়িয়ে দিচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ‘উদার আকাশ’ প্রত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ বৃহস্পতিবার রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ ও ওমর আব্দুল্লাহর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। কাশ্মিরে শান্তি ফেরাতে এই বৈঠক জরুরি ছিল। কাশ্মিরি জনতাকে অশান্ত করে দেশবাসী শান্তিতে থাকতে পারে না। সেজন্য কাশ্মিরকে শান্ত রাখার জন্য আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় সরকার সঠিক পদক্ষেপ নেবে সেই আশা করি।’
কাশ্মির শান্ত থাকলে গোটা দেশের মানুষ শান্তিতে কাশ্মিরে ভ্রমণ করতে পারবেন। সেখানকার মানুষের মধ্যে যে সংশয় তৈরি হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার সেই সংশয় দূর করতে এগিয়ে আসুক বলেও ফারুক আহমেদ মন্তব্য করেন।
No comments