পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক পুনর্গঠনে আফগান শান্তি কেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
হোয়াইট
হাউজের সংবাদ সম্মেলনকে মাঝে মাঝে অতিপ্রাকৃত মনে হয়। পাকিস্তানের
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উপস্থিতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আফগানিস্তান
যুদ্ধ জেতার জন্য তিনি ১০ মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করতে পারতেন, কিন্তু তিনি
সেটা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন যে, কয়েক
দশকের দীর্ঘ কাশ্মীর বিবাদের অবসানের জন্য তিনি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে
মধ্যস্থতা করতে চান।
এটা ছিল খানের জন্য সেই মুহূর্ত। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার ১১ মাস পর ট্রাম্প প্রশাসন ও মার্কিন সংস্থাগুলোর সাথে শীতল সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসলো পাকিস্তান। খান রাজনীতির মঞ্চে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ভূমিকা দাবি করেছেন এবং ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে মার্কিন সামরিক বাহিনী যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা বাতিল করেছিল, সেটার পুনর্বহাল দাবি করেন।
খানের আনুষ্ঠানিক সফল চরমভাবে সফল হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওসহ প্রধান ব্যক্তিরা তাকে উষ্ণ সংবর্ধনা জানিয়েছেন। ট্রাম্পের ব্যাপারে খানের প্রশংসাকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন ট্রাম্প এবং আফগানিস্তান শান্তি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে পাকিস্তানের প্রধান ভূমিকাকে নিশ্চিত করেছেন খান।
তালেবানদের আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসা
খানের সাথে ট্রাম্পের প্রথম বিনিময় হয়েছিল টুইটারে। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে দেয়া সহায়তা বন্ধ করার পর ওই উত্তপ্ত টুইট বিনিময় হয়েছিল।
কিন্তু ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ট্রাম্প যখন খানকে চিঠি লিখে আফগান তালেবানদের আলোচনায় নিয়ে আসার ব্যাপারে ইসলামাবাদের সাহায্য চান, তখন পরিস্থিতি বদলে যায়। পাকিস্তানের কর্মকর্তারা তখন থেকেই আফগানিস্তানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি জালমাই খলিলজাদের সাথে একটা ইতিবাচক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছেন এবং খলিলজাদ ও তালেবানরা এ পর্যন্ত কাতারে বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। ৮ জুলাই অনুষ্ঠিত সর্বশেষ আলোচনায় আফগান সরকারের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্য দিয়ে সব পক্ষকে সাথে নিয়ে একটা জাতীয় সমাধানের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
ইমরানের গ্রেট গেম
পাকিস্তানের দিক থেকে সবচেয়ে বড় অর্জন হলো মিডিয়ার সামনে ট্রাম্পের ‘কে’ শব্দটার উচ্চারণ। খান যখন কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তোলেন, ট্রাম্প তখন সেটাকে শুধু গ্রহণই করেননি বরং মধ্যস্থতা করারও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি এবং দাবি করেছেন যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও একই ধরনের অনুরোধ করেছেন। দিল্লী দ্রুত ও তীব্রভাবে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে। তবে কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয় এবং কোন তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই এটার সমাধান করতে হবে মর্মে এতদিন যে কথা বলে এসেছে ভারত, সেটার ভিত কিছুটা নড়বড়ে হয়ে গেছে।
সেই সাথে রয়েছে খানের ব্যক্তিগত বিজয়, যখন ট্রাম্প পাকিস্তানকে একটি মহান দেশ এবং প্রধানমন্ত্রীকে মহান নেতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সাথে সম্পর্ক পুনস্থাপন ছাড়াও খান এই বিশেষ মুহূর্তে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত স্বভাবকে ব্যবহার করে রাজনীতি করে সফলও হয়েছেন।
রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান উভয়েই খানের সাথে ট্রাম্পের সাদৃশ্য দেখতে পেয়েছেন। গ্রাহাম খানের সাথে প্রথম বৈঠকের পর বলেছিলেন যে ট্রাম্প ও খানের ব্যক্তিত্ব একই ধরনের এবং তাদের বোঝাপড়া ভালো হবে। খানের সাথে অনেক ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলেছেন বিন সালমান, বিশেষ করে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের পর অনানুষ্ঠানিক কূটনৈতিক বয়কটের বিষয়টিকে তিনি অবজ্ঞা করেছিলেন। বিন সালমান ট্রাম্পের জামাই ও তার মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনারের ঘনিষ্ঠ। হোয়াইট হাউজে খানকে আমন্ত্রণ জানানোর পেছনেও এই কুশনারের ভূমিকা রয়েছে।
>>>স্কট লুকাস ও উমের করিম
এটা ছিল খানের জন্য সেই মুহূর্ত। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার ১১ মাস পর ট্রাম্প প্রশাসন ও মার্কিন সংস্থাগুলোর সাথে শীতল সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসলো পাকিস্তান। খান রাজনীতির মঞ্চে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ভূমিকা দাবি করেছেন এবং ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে মার্কিন সামরিক বাহিনী যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা বাতিল করেছিল, সেটার পুনর্বহাল দাবি করেন।
খানের আনুষ্ঠানিক সফল চরমভাবে সফল হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওসহ প্রধান ব্যক্তিরা তাকে উষ্ণ সংবর্ধনা জানিয়েছেন। ট্রাম্পের ব্যাপারে খানের প্রশংসাকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন ট্রাম্প এবং আফগানিস্তান শান্তি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে পাকিস্তানের প্রধান ভূমিকাকে নিশ্চিত করেছেন খান।
তালেবানদের আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসা
খানের সাথে ট্রাম্পের প্রথম বিনিময় হয়েছিল টুইটারে। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে দেয়া সহায়তা বন্ধ করার পর ওই উত্তপ্ত টুইট বিনিময় হয়েছিল।
কিন্তু ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ট্রাম্প যখন খানকে চিঠি লিখে আফগান তালেবানদের আলোচনায় নিয়ে আসার ব্যাপারে ইসলামাবাদের সাহায্য চান, তখন পরিস্থিতি বদলে যায়। পাকিস্তানের কর্মকর্তারা তখন থেকেই আফগানিস্তানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি জালমাই খলিলজাদের সাথে একটা ইতিবাচক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছেন এবং খলিলজাদ ও তালেবানরা এ পর্যন্ত কাতারে বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। ৮ জুলাই অনুষ্ঠিত সর্বশেষ আলোচনায় আফগান সরকারের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্য দিয়ে সব পক্ষকে সাথে নিয়ে একটা জাতীয় সমাধানের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
ইমরানের গ্রেট গেম
পাকিস্তানের দিক থেকে সবচেয়ে বড় অর্জন হলো মিডিয়ার সামনে ট্রাম্পের ‘কে’ শব্দটার উচ্চারণ। খান যখন কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তোলেন, ট্রাম্প তখন সেটাকে শুধু গ্রহণই করেননি বরং মধ্যস্থতা করারও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি এবং দাবি করেছেন যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও একই ধরনের অনুরোধ করেছেন। দিল্লী দ্রুত ও তীব্রভাবে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে। তবে কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয় এবং কোন তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই এটার সমাধান করতে হবে মর্মে এতদিন যে কথা বলে এসেছে ভারত, সেটার ভিত কিছুটা নড়বড়ে হয়ে গেছে।
সেই সাথে রয়েছে খানের ব্যক্তিগত বিজয়, যখন ট্রাম্প পাকিস্তানকে একটি মহান দেশ এবং প্রধানমন্ত্রীকে মহান নেতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সাথে সম্পর্ক পুনস্থাপন ছাড়াও খান এই বিশেষ মুহূর্তে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত স্বভাবকে ব্যবহার করে রাজনীতি করে সফলও হয়েছেন।
রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান উভয়েই খানের সাথে ট্রাম্পের সাদৃশ্য দেখতে পেয়েছেন। গ্রাহাম খানের সাথে প্রথম বৈঠকের পর বলেছিলেন যে ট্রাম্প ও খানের ব্যক্তিত্ব একই ধরনের এবং তাদের বোঝাপড়া ভালো হবে। খানের সাথে অনেক ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলেছেন বিন সালমান, বিশেষ করে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের পর অনানুষ্ঠানিক কূটনৈতিক বয়কটের বিষয়টিকে তিনি অবজ্ঞা করেছিলেন। বিন সালমান ট্রাম্পের জামাই ও তার মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনারের ঘনিষ্ঠ। হোয়াইট হাউজে খানকে আমন্ত্রণ জানানোর পেছনেও এই কুশনারের ভূমিকা রয়েছে।
>>>স্কট লুকাস ও উমের করিম
No comments