ডেঙ্গু, নয়া সংকট
প্রতিদিনই
বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। বাড়ছে মৃত্যু। পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করায়
আতঙ্কিত মানুষ জ্বর হলেই ছুটছেন রক্ত পরীক্ষা করাতে। সরকারি-বেসরকারি
হাসপাতালে দিনভর ভিড় করছেন আতঙ্কিত মানুষ। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল
কর্তৃপক্ষকে। অনেক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট
ফুরিয়ে গেছে। অনেক হাসপাতালে মজুত ফুরিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি। এমন
অবস্থায় অব্যাহতভাবে ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকলে ডেঙ্গু পরীক্ষা নিয়ে ভয়াবহ
সঙ্কট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য এক লাখ কিট চেয়েছে। বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো তাদের নিজস্ব এজেন্টদের মাধ্যমে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট আনার চেষ্টা করছে। তবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কিটের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া চাহিদা অনুযায়ী কিট সরবরাহ করতে পারছে না। এদিকে দ্রুত গতিত সারা দেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ব্যাপকহারে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটের প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। এ পর্যন্ত সরকারিভাবে জেলা পর্যায়ে সীমিতভাবে কিট সরবরাহ করা হচ্ছে। রোগী আরও বাড়লে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়েও বড় ধরণের সঙ্কট দেখা দিতে পারে।
অনেকে বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সতর্ক বার্তা দেয়ার পরও দুই সিটি করপোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ না নেয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মশার ওষুধ অকার্যকর হলেও তা নিয়ে কেউ মাথা ঘামায়নি। এখন জটিল পরিস্থিতির মধ্যেও মশার ওষুধ আনা যাচ্ছে না। এতে সহসাই মশা এবং ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর মওসুম। আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনায় আগস্টে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও প্রকট হতে পারে বলে তাদের ধারণা। এমন অবস্থায় ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট সঙ্কট দেখা দিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।
গত মঙ্গলবার কিট না থাকায় তিন ঘণ্টা ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ ছিল আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবি’তে। কিট না থাকায় নোটিশ দিয়ে ওই সময় ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ রাখে প্রতিষ্ঠানটি। পরে অবশ্য জরুরি ভিত্তিতে কিট সংগ্রহ করে তারা আবার পরীক্ষা শুরু করে। কিট না থাকায় ডেঙ্গুর মূল পরীক্ষা (এনএস-১) গতকাল থেকে বন্ধ রেখেছে রাজধানীর মগবাজারের ব্যস্ততম মা ও শিশু হাসপাতাল আদ-দ্বীন। আদ দ্বীন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তারা কিট বা রিএজেন্ট সংগ্রহের জন্য চাহিদাপত্র দিয়েছেন। কিন্তু তা কখন সরবরাহ হবে বা হাতে পৌঁছাবে সেটি এখনও অনিশ্চিত। তারা এ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নিয়মিত আপডেট করছেন বলেও জানান হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই চিকিৎসক। তিনি বলেন, আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন এবং ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জাতীয় নীতিমালা অনুয়ায়ী চিকিৎসা দিয়ে থাকি। সেক্ষেত্রে এনএস-১ বন্ধ থাকলেও আমরা সিবিসি দেখে কিছুটা ধারণা পেতে পারি। তবে হুবহু একটি টেস্টের বিকল্প আরেকটি টেস্ট হয় না, কাছাকাছি হতে পারে।
রাজধানীর ব্যস্ততম বেসরকারি ডায়াগনস্টিক মর্ডান, পপুলার ও ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বাড়তি রোগীর চাপে তাদের মজুত থাকা কিট ফুরিয়ে আসছে। বিকল্প ব্যবস্থায় দ্রুত কিট আনার চেষ্টা করছে। নতুন কিট আনতে দেরি হলে মাঝে সঙ্কট দেখা দিতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে গতকাল বিকাল চারটায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এতে উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে ডেঙ্গু, বন্যা, নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাপনা ও ঈদ যাত্রা নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি জানান, ডেঙ্গু সনাক্তকরণ কিটের চরম সঙ্কট রয়েছে। এজন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে জরুরি ভিত্তিতে এক লাখ ডেঙ্গু রোগ সনাক্তকরণ কিট চেয়েছে সরকার। পাশাপাশি ডেঙ্গু তথ্যের অধিকতর বিশ্লেষণ ও রিপোর্ট তৈরিতে সহায়তার জন্য কন্ট্রোল রুমে একজন ইপিডেমিওলজিস্ট নিয়োগে সহায়তা চাওয়া হয়। একই সঙ্গে জাতীয় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে ভেক্টর নিয়ন্ত্রণে একযোগে কাজ করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে অভিজ্ঞ এনটোমলজিস্ট নিয়োগ দেয়ার অনুরোধ করা হয়। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ল্যাব এইড, পপুলার ও মর্ডাণসহ বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শাখা রয়েছে। এসব সেন্টারে খোঁজ নিয়ে ডেঙ্গু কিটের সঙ্কটের কথা জানা যায়। ধানমন্ডিতে আনোয়ার খান মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ল্যাবের প্রধান নজরুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, সরবরাহকারীদের কাছ থেকে চাহিদা অনুযায়ী ডেঙ্গু কিট পাচ্ছি না। এখন তারা কিটের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। এমন অবস্থায় ডেঙ্গু টেস্ট করতে সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। তবে মর্ডান সব সময় আধুনিক মানের টেস্ট করছে। পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার মিরপুর ব্রাঞ্চের ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ডেঙ্গু সনাক্তকরণ কিটের চরম সঙ্কটের কথা জানালেন। তিনি মানবজমিনকে বলেন, ৫/৭ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু সনাক্তকরণ কিট না আনতে পারলে সমস্যা হতে পারে। চাহিদা অনুযায়ী আমরাও যোগান কিছুটা কম পাচ্ছি। তবে পপুলার মানুষকে সেবা দিতে কোন ধরনের কার্পণ্য করছে না। এদিকে দেশের অধিকাংশ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট মজুদ নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জেলা-উপজেলা শহরের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু জ্বর শনাক্তকরণে বিনামূল্যে যেসব কিট পাঠানোর কথা, গতকাল পর্যন্ত অনেক হাসপাতালেই তা পৌঁছায়নি। তবে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জানানো হয়, ঢাকাসহ সারা দেশে এ পর্যন্ত ৪২ হাজারের বেশি ডেঙ্গু টেস্ট কিট বিতরণ করা হয়েছে। সভায় বলা হয়, কিট বিতরনের এ হার অপ্রতুল। এজন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়।
এমন পরিস্থিতিতে সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য এক লাখ কিট চেয়েছে। বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো তাদের নিজস্ব এজেন্টদের মাধ্যমে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট আনার চেষ্টা করছে। তবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কিটের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া চাহিদা অনুযায়ী কিট সরবরাহ করতে পারছে না। এদিকে দ্রুত গতিত সারা দেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ব্যাপকহারে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটের প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। এ পর্যন্ত সরকারিভাবে জেলা পর্যায়ে সীমিতভাবে কিট সরবরাহ করা হচ্ছে। রোগী আরও বাড়লে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়েও বড় ধরণের সঙ্কট দেখা দিতে পারে।
অনেকে বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সতর্ক বার্তা দেয়ার পরও দুই সিটি করপোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ না নেয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মশার ওষুধ অকার্যকর হলেও তা নিয়ে কেউ মাথা ঘামায়নি। এখন জটিল পরিস্থিতির মধ্যেও মশার ওষুধ আনা যাচ্ছে না। এতে সহসাই মশা এবং ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর মওসুম। আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনায় আগস্টে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও প্রকট হতে পারে বলে তাদের ধারণা। এমন অবস্থায় ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট সঙ্কট দেখা দিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।
গত মঙ্গলবার কিট না থাকায় তিন ঘণ্টা ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ ছিল আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবি’তে। কিট না থাকায় নোটিশ দিয়ে ওই সময় ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ রাখে প্রতিষ্ঠানটি। পরে অবশ্য জরুরি ভিত্তিতে কিট সংগ্রহ করে তারা আবার পরীক্ষা শুরু করে। কিট না থাকায় ডেঙ্গুর মূল পরীক্ষা (এনএস-১) গতকাল থেকে বন্ধ রেখেছে রাজধানীর মগবাজারের ব্যস্ততম মা ও শিশু হাসপাতাল আদ-দ্বীন। আদ দ্বীন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তারা কিট বা রিএজেন্ট সংগ্রহের জন্য চাহিদাপত্র দিয়েছেন। কিন্তু তা কখন সরবরাহ হবে বা হাতে পৌঁছাবে সেটি এখনও অনিশ্চিত। তারা এ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নিয়মিত আপডেট করছেন বলেও জানান হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই চিকিৎসক। তিনি বলেন, আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন এবং ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জাতীয় নীতিমালা অনুয়ায়ী চিকিৎসা দিয়ে থাকি। সেক্ষেত্রে এনএস-১ বন্ধ থাকলেও আমরা সিবিসি দেখে কিছুটা ধারণা পেতে পারি। তবে হুবহু একটি টেস্টের বিকল্প আরেকটি টেস্ট হয় না, কাছাকাছি হতে পারে।
রাজধানীর ব্যস্ততম বেসরকারি ডায়াগনস্টিক মর্ডান, পপুলার ও ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বাড়তি রোগীর চাপে তাদের মজুত থাকা কিট ফুরিয়ে আসছে। বিকল্প ব্যবস্থায় দ্রুত কিট আনার চেষ্টা করছে। নতুন কিট আনতে দেরি হলে মাঝে সঙ্কট দেখা দিতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে গতকাল বিকাল চারটায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এতে উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে ডেঙ্গু, বন্যা, নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাপনা ও ঈদ যাত্রা নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি জানান, ডেঙ্গু সনাক্তকরণ কিটের চরম সঙ্কট রয়েছে। এজন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে জরুরি ভিত্তিতে এক লাখ ডেঙ্গু রোগ সনাক্তকরণ কিট চেয়েছে সরকার। পাশাপাশি ডেঙ্গু তথ্যের অধিকতর বিশ্লেষণ ও রিপোর্ট তৈরিতে সহায়তার জন্য কন্ট্রোল রুমে একজন ইপিডেমিওলজিস্ট নিয়োগে সহায়তা চাওয়া হয়। একই সঙ্গে জাতীয় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে ভেক্টর নিয়ন্ত্রণে একযোগে কাজ করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে অভিজ্ঞ এনটোমলজিস্ট নিয়োগ দেয়ার অনুরোধ করা হয়। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ল্যাব এইড, পপুলার ও মর্ডাণসহ বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শাখা রয়েছে। এসব সেন্টারে খোঁজ নিয়ে ডেঙ্গু কিটের সঙ্কটের কথা জানা যায়। ধানমন্ডিতে আনোয়ার খান মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ল্যাবের প্রধান নজরুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, সরবরাহকারীদের কাছ থেকে চাহিদা অনুযায়ী ডেঙ্গু কিট পাচ্ছি না। এখন তারা কিটের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। এমন অবস্থায় ডেঙ্গু টেস্ট করতে সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। তবে মর্ডান সব সময় আধুনিক মানের টেস্ট করছে। পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার মিরপুর ব্রাঞ্চের ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ডেঙ্গু সনাক্তকরণ কিটের চরম সঙ্কটের কথা জানালেন। তিনি মানবজমিনকে বলেন, ৫/৭ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু সনাক্তকরণ কিট না আনতে পারলে সমস্যা হতে পারে। চাহিদা অনুযায়ী আমরাও যোগান কিছুটা কম পাচ্ছি। তবে পপুলার মানুষকে সেবা দিতে কোন ধরনের কার্পণ্য করছে না। এদিকে দেশের অধিকাংশ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট মজুদ নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জেলা-উপজেলা শহরের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু জ্বর শনাক্তকরণে বিনামূল্যে যেসব কিট পাঠানোর কথা, গতকাল পর্যন্ত অনেক হাসপাতালেই তা পৌঁছায়নি। তবে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জানানো হয়, ঢাকাসহ সারা দেশে এ পর্যন্ত ৪২ হাজারের বেশি ডেঙ্গু টেস্ট কিট বিতরণ করা হয়েছে। সভায় বলা হয়, কিট বিতরনের এ হার অপ্রতুল। এজন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়।
No comments