কুরবানির ঈদে ‘টাইটানিক’ by শাহেদ মতিউর রহমান
টাইটানিক নামের গরু |
এবার
ঈদে কুরবানির পশুর হাট কাঁপাতে ঢাকায় এসেছে টাইটানিক। অষ্ট্রেলিয়ান
ব্রাহমা জাতের বিশাল দেহের এই গরুটি দেখার জন্য ইতোমধ্যে মোহাম্মপুরের
ভাংগা মসজিদ এলাকার সাদীক এগ্রো ডেইরী ফার্মে ভিড় করছেন বিভিন্ন এলাকার
মানুষ। প্রায় দেড় হাজার কেজি ওজনের টাইটানিক স্বভাবে খুবই শান্ত শিষ্ট।
ধারণা করা হচ্ছে এবার ঈদে এটিই হবে সবচেয়ে বড় গরু।
ঢাকার নানা প্রান্ত থেকে প্রতিদিন টাইটানিককে দেখতে সাদীক এগ্রো ফার্মে লোকজন ভিড় করলেও টাইটানিকের কাছে যাওয়ার অনুমতি নেই কারো। তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনিতে রাখা হয়েছে টাইটানিককে। নির্দিষ্ট সময়ে এবং বালাইনাশক স্প্রে ব্যবহারের পরেই টাইটানিকের কাছে যায় খোদ এর পরিচর্চাকারীরা। বাইরের কোনো লোকজনের ভেতরে প্রবেশের অনুমতিই নেই।
শুধু টাইটানিক নয়, সুদূর আমেরিকা থেকে এই ফার্মে আনা হয়েছে আরো তিনটি ভিন্ন জাতের গরু। এগুলোও আকারে বিশাল বড়। নামেও মধ্যেও অনেকটা বৈচিত্র্য আছে। একটির নাম বস্ । অন্য দুটির নাম টাইগার ও রোজো । আছে মেসি নামের একটিও। এগুলোর প্রতিটির ওজনও সাড়ে ১২ শ’ থেকে ১৪ শ’ কেজি। বড় গরুর খবর শুনে কোনো এক পোশাক কারখানার মালিক ১৪শ কেজি ওজনের বস নামের গরুটি ৩৭ লাখ টাকায় ইতোমধ্যে কিনে নিয়েছেন। গরু কিনলেও ঐ মালিক ফার্ম থেকে গরু নেবেন ঈদের একদিন আগে। গরুর পরিচর্চা ও খাবার খরচ ঈদের আগের এই সময়ের জন্য ফার্ম মালিকই শর্ত মোতাবেক বহন করবেন।
টাইটানিকের দাম কত হলে বিক্রি করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে এক কর্মকর্তা জানালেন দাম হাঁকা হচেছ ৪৫ লাখ টাকা। যতদূর বেশি দামে বেচা যায়।
তিনটি নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে বেশ আয়েশী ভাবেই দিন কাটাচ্ছে টাইটানিক, বস, টাইগার, মেসি ও রোজো। নির্দিষ্ট সময়ে গোসল, বিশ্রাম আর খাওয়া। তবে উন্নত জাতের এই গরুগুলোর জন্য আরো একটু বাড়তি শান্তি দিতে বসানো হয়েছে গরুর ম্যাসেজ রোলার। অনেকে হঠাৎ দেখলো হয়তো একটু অবাকই হবেন। কেননা বিদ্যুৎ চালিত এই রোলার মেশিনের পাশে দাঁড় করিয়ে প্রতিটি গরুর শরীরে দেয়া হয় আয়েশী ম্যাসেজ। রোলারের গায়ে প্লাস্টিকের পিন বসানো। সকালে ও বিকালে টাইটানিকসহ বড় জাতের প্রত্যেকটি গরুর শরীর ১০ মিনিট করে ম্যাসেজ করা হয়।
বিশেষ জাতের এই বড় আকৃতির গরুগুলোর জন্য খাবার দাবারে রয়েছে বেশ বাছ-বিচার। সব খাবার এগুলোকে খাওয়ানো যায় না। তাই এই গরুগুলোকে কাচা ঘাস,সাদা ভুট্টার ভুষি, গমের ভুষি,ছোলা, সয়াবিনের খৈল খাওয়ানো হয়। গরমের কারণে সার্বক্ষণিক বৈদ্যুতিক পাখা চালু রাখতে হয়। এখানে রয়েছে জেনারেটরেরও ব্যবস্থা।
সাদীক এগ্রো ফার্মের ম্যানেজার সুমন খান নয়া দিগন্তকে জানান, সারা বছর এখানে গরু লালন পালন করা হয়। তবে কুরবানির ঈদের আগে আমরা বিশেষ করে কুরবানির জন্য বেশ কিছু গরু বাছাই করি। এগুলোর জন্য আলাদা কর্মী বাহিনী নিয়োগ করি। আমরা ক্রেতার পছন্দমতো ছোট মাঝারি বা বড় গরু দেয়ার জন্য চেষ্টা করি। ক্রেতা তার পছন্দমতো গরু কিনে রেখে চলে যান, আমরা ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এই গরু লালন-পালন করি, খাবার ও ওষুধ খাওয়াই এবং ঠিকানামতো ক্রেতার বাসায় গরু পৌছে দেয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করি। এর জন্য বাড়তি কোন চার্জ ক্রেতাকে পরিশোধ করতে হয় না। তিনি আরো জানান, গরুর পাশাপাশি এই ফার্মে রয়েছে কুরবানির জন্য ছাগল বা খাসী, রয়েছে বেশ কিছু মহিষও। এই ফার্মে ঈদ উপলক্ষ্যে ১৫শ’ থেকে ১৬শ’ গরু আনা হয়েছে। এই গরুর পরিচর্চার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে অভিজ্ঞ ৬০ থেকে ৭০ জন কর্মী।
টাইটানিক যে শেডে রাখা হয়েছে তার সাথেই পৃথক পৃথক শেডে রাখা হয়েছে অন্য বড় গরুগুলোও। বাইরের কেউই এখানে প্রবেশ করতে পারেন। সব সময়েই প্রবেশ গেটে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়। গেটে বড় করে লাল অক্ষরে লেখা রয়েছে ‘প্রবেশ নিষেধ’।
এর পরেও গেটের বাইরে থেকেই অনেকে উৎসুক জনতা লোহার রেলিংয়ের বাইরে দাঁড়িয়েই এই বড় গরুগুলো দেখতে ভিড় করছেন সারাদিন। আসা যাওয়ার পথেও স্কুল কলেজের ছাত্ররা ভিড় করছে এখানে। বিশাল আকারের এই গরুগুলো নিয়ে সবারই কৌতুহল।
ঢাকার নানা প্রান্ত থেকে প্রতিদিন টাইটানিককে দেখতে সাদীক এগ্রো ফার্মে লোকজন ভিড় করলেও টাইটানিকের কাছে যাওয়ার অনুমতি নেই কারো। তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনিতে রাখা হয়েছে টাইটানিককে। নির্দিষ্ট সময়ে এবং বালাইনাশক স্প্রে ব্যবহারের পরেই টাইটানিকের কাছে যায় খোদ এর পরিচর্চাকারীরা। বাইরের কোনো লোকজনের ভেতরে প্রবেশের অনুমতিই নেই।
শুধু টাইটানিক নয়, সুদূর আমেরিকা থেকে এই ফার্মে আনা হয়েছে আরো তিনটি ভিন্ন জাতের গরু। এগুলোও আকারে বিশাল বড়। নামেও মধ্যেও অনেকটা বৈচিত্র্য আছে। একটির নাম বস্ । অন্য দুটির নাম টাইগার ও রোজো । আছে মেসি নামের একটিও। এগুলোর প্রতিটির ওজনও সাড়ে ১২ শ’ থেকে ১৪ শ’ কেজি। বড় গরুর খবর শুনে কোনো এক পোশাক কারখানার মালিক ১৪শ কেজি ওজনের বস নামের গরুটি ৩৭ লাখ টাকায় ইতোমধ্যে কিনে নিয়েছেন। গরু কিনলেও ঐ মালিক ফার্ম থেকে গরু নেবেন ঈদের একদিন আগে। গরুর পরিচর্চা ও খাবার খরচ ঈদের আগের এই সময়ের জন্য ফার্ম মালিকই শর্ত মোতাবেক বহন করবেন।
টাইটানিকের দাম কত হলে বিক্রি করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে এক কর্মকর্তা জানালেন দাম হাঁকা হচেছ ৪৫ লাখ টাকা। যতদূর বেশি দামে বেচা যায়।
তিনটি নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে বেশ আয়েশী ভাবেই দিন কাটাচ্ছে টাইটানিক, বস, টাইগার, মেসি ও রোজো। নির্দিষ্ট সময়ে গোসল, বিশ্রাম আর খাওয়া। তবে উন্নত জাতের এই গরুগুলোর জন্য আরো একটু বাড়তি শান্তি দিতে বসানো হয়েছে গরুর ম্যাসেজ রোলার। অনেকে হঠাৎ দেখলো হয়তো একটু অবাকই হবেন। কেননা বিদ্যুৎ চালিত এই রোলার মেশিনের পাশে দাঁড় করিয়ে প্রতিটি গরুর শরীরে দেয়া হয় আয়েশী ম্যাসেজ। রোলারের গায়ে প্লাস্টিকের পিন বসানো। সকালে ও বিকালে টাইটানিকসহ বড় জাতের প্রত্যেকটি গরুর শরীর ১০ মিনিট করে ম্যাসেজ করা হয়।
বিশেষ জাতের এই বড় আকৃতির গরুগুলোর জন্য খাবার দাবারে রয়েছে বেশ বাছ-বিচার। সব খাবার এগুলোকে খাওয়ানো যায় না। তাই এই গরুগুলোকে কাচা ঘাস,সাদা ভুট্টার ভুষি, গমের ভুষি,ছোলা, সয়াবিনের খৈল খাওয়ানো হয়। গরমের কারণে সার্বক্ষণিক বৈদ্যুতিক পাখা চালু রাখতে হয়। এখানে রয়েছে জেনারেটরেরও ব্যবস্থা।
সাদীক এগ্রো ফার্মের ম্যানেজার সুমন খান নয়া দিগন্তকে জানান, সারা বছর এখানে গরু লালন পালন করা হয়। তবে কুরবানির ঈদের আগে আমরা বিশেষ করে কুরবানির জন্য বেশ কিছু গরু বাছাই করি। এগুলোর জন্য আলাদা কর্মী বাহিনী নিয়োগ করি। আমরা ক্রেতার পছন্দমতো ছোট মাঝারি বা বড় গরু দেয়ার জন্য চেষ্টা করি। ক্রেতা তার পছন্দমতো গরু কিনে রেখে চলে যান, আমরা ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এই গরু লালন-পালন করি, খাবার ও ওষুধ খাওয়াই এবং ঠিকানামতো ক্রেতার বাসায় গরু পৌছে দেয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করি। এর জন্য বাড়তি কোন চার্জ ক্রেতাকে পরিশোধ করতে হয় না। তিনি আরো জানান, গরুর পাশাপাশি এই ফার্মে রয়েছে কুরবানির জন্য ছাগল বা খাসী, রয়েছে বেশ কিছু মহিষও। এই ফার্মে ঈদ উপলক্ষ্যে ১৫শ’ থেকে ১৬শ’ গরু আনা হয়েছে। এই গরুর পরিচর্চার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে অভিজ্ঞ ৬০ থেকে ৭০ জন কর্মী।
টাইটানিক যে শেডে রাখা হয়েছে তার সাথেই পৃথক পৃথক শেডে রাখা হয়েছে অন্য বড় গরুগুলোও। বাইরের কেউই এখানে প্রবেশ করতে পারেন। সব সময়েই প্রবেশ গেটে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়। গেটে বড় করে লাল অক্ষরে লেখা রয়েছে ‘প্রবেশ নিষেধ’।
এর পরেও গেটের বাইরে থেকেই অনেকে উৎসুক জনতা লোহার রেলিংয়ের বাইরে দাঁড়িয়েই এই বড় গরুগুলো দেখতে ভিড় করছেন সারাদিন। আসা যাওয়ার পথেও স্কুল কলেজের ছাত্ররা ভিড় করছে এখানে। বিশাল আকারের এই গরুগুলো নিয়ে সবারই কৌতুহল।
No comments