ইউরোপে প্রায় এক লাখ অবৈধ বাংলাদেশী
মাঝে
মাঝেই উত্তাল রূপ ধারণ করে ভূমধ্যসাগর। তার ভিতর দিয়ে অবৈধ উপায়ে জীবনের
ঝুঁকি নিয়ে উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপের পথে পা বাড়ান বিভিন্ন দেশের
অভিবাসীরা। পরিণতিতে তাদের অনেককে জীবন হারাতে হয়। এর মধ্যে রয়েছেন
বাংলাদেশীরা। মিডিয়ায় প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউরোপে এখন
কাগজপত্রহীন অবস্থায় অর্থাৎ অবৈধ উপায়ে অবস্থান করছেন প্রায় এক লাখ
বাংলাদেশী অভিবাসী। এমন হিসাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের। শরণার্থী বিষয়ক
জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে, এ বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের
পথে পা বাড়িয়েছেন এমন অনেক মানুষ। বছরের প্রথম চার মাসে লিবিয়া উপকূল ছেড়ে
যাওয়া এমন প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন মারা গেছেন।
২০১১ সালে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে হত্যা করা হয়। সেই থেকে এক বিশৃংখল অবস্থা সেখানে। অবৈধ পথে ইউরোপ যাওয়ার জন্য এই দেশটি হয়ে উঠেছে একটি বড় ট্রানজিট রুট। গত মাসের শুরুতে সেখানে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার ও লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) মধ্যে লড়াই তীব্র হয়েছে। এলএনএ ত্রিপোলির দখল নেয়ার চেষ্টা করলে এ লড়াইয়ের সূত্রপাত হয়। এর ফলে সেখানে যে উত্তেজনা ও অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তাতে ভূমধ্যসাগরে অভিবাসী সঙ্কট আরো তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম বিষয়ক কাউন্সেলর এএসএম আশরাফুল ইসলাম মিডিয়াকে বলেছেন, গত মাসে ওই লড়াই শুরুর পর থেকে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রায় ৩০০ নাগরিককে রাজধানী ত্রিপোলি থেকে সরিয়ে শহরের অন্য স্থানে নিরাপদে নিয়েছে। তিনি বলেন, বহু বাংলাদেশী অভিবাসী দেশে ফিরে যেতে চান না। কারণ, তারা অভিবাসন বা বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণ অর্থ খরচ করেছেন। ওই কর্মকর্তার হিসাবে লিবিয়াতে প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশী বসবাস করে থাকতে পারেন। ২০১১ সালে উত্তর আফ্রিকার এ দেশটিতে সঙ্কট শুরুর পর প্রায় ৩৬ হাজার বাংলাদেশীকে লিবিয়া থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তিন বছর পরে সেখানে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করে বাংলাদেশ।
কিন্তু লিবিয়ায় নিজেদের গ্যাং অথবা অন্য দেশের গ্যাংয়ের সহায়তায় বাংলাদেশী মানবপাচারকারীরা অব্যাহতভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর অথবা সুদান হয়ে লিবিয়ায় শ্রমিক পাঠানো অব্যাহত রাখে। লিবিয়ায় আইন কানুনের শিথিলতা আছে। এই সুযোগটি নিচ্ছে এসব চক্র।
অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন আইওএম বলছে, এ বছরের ৮ই মে পর্যন্ত বোটে করে ইউরোপ যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে হয়তো মারা গেছেন অথবা নিখোঁজ হয়েছেন ৪৪৩ জন অভিবাসী। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ২২৯৯। ২০১৭ সালে এ সংখ্যা ছিল ৩১৩৯।
ইউএনএইচসিআর বলছে, এ বছর ৮ই মে পর্যন্ত ইউরোপ পৌঁছেছেন ২১ হাজার ৬৪৫ জন অভিবাসী। এর মধ্যে সমুদ্র অথবা স্থলপথে গিয়েছেন ১৭ হাজার অভিবাসী। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩৯০৪৩৩। ২০১৭ সালে ১৮৬৭৮৬। ২০১৮ সালে ১৪৪১৬৬।
২০১১ সালে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে হত্যা করা হয়। সেই থেকে এক বিশৃংখল অবস্থা সেখানে। অবৈধ পথে ইউরোপ যাওয়ার জন্য এই দেশটি হয়ে উঠেছে একটি বড় ট্রানজিট রুট। গত মাসের শুরুতে সেখানে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার ও লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) মধ্যে লড়াই তীব্র হয়েছে। এলএনএ ত্রিপোলির দখল নেয়ার চেষ্টা করলে এ লড়াইয়ের সূত্রপাত হয়। এর ফলে সেখানে যে উত্তেজনা ও অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তাতে ভূমধ্যসাগরে অভিবাসী সঙ্কট আরো তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম বিষয়ক কাউন্সেলর এএসএম আশরাফুল ইসলাম মিডিয়াকে বলেছেন, গত মাসে ওই লড়াই শুরুর পর থেকে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রায় ৩০০ নাগরিককে রাজধানী ত্রিপোলি থেকে সরিয়ে শহরের অন্য স্থানে নিরাপদে নিয়েছে। তিনি বলেন, বহু বাংলাদেশী অভিবাসী দেশে ফিরে যেতে চান না। কারণ, তারা অভিবাসন বা বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণ অর্থ খরচ করেছেন। ওই কর্মকর্তার হিসাবে লিবিয়াতে প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশী বসবাস করে থাকতে পারেন। ২০১১ সালে উত্তর আফ্রিকার এ দেশটিতে সঙ্কট শুরুর পর প্রায় ৩৬ হাজার বাংলাদেশীকে লিবিয়া থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তিন বছর পরে সেখানে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করে বাংলাদেশ।
কিন্তু লিবিয়ায় নিজেদের গ্যাং অথবা অন্য দেশের গ্যাংয়ের সহায়তায় বাংলাদেশী মানবপাচারকারীরা অব্যাহতভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর অথবা সুদান হয়ে লিবিয়ায় শ্রমিক পাঠানো অব্যাহত রাখে। লিবিয়ায় আইন কানুনের শিথিলতা আছে। এই সুযোগটি নিচ্ছে এসব চক্র।
অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন আইওএম বলছে, এ বছরের ৮ই মে পর্যন্ত বোটে করে ইউরোপ যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে হয়তো মারা গেছেন অথবা নিখোঁজ হয়েছেন ৪৪৩ জন অভিবাসী। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ২২৯৯। ২০১৭ সালে এ সংখ্যা ছিল ৩১৩৯।
ইউএনএইচসিআর বলছে, এ বছর ৮ই মে পর্যন্ত ইউরোপ পৌঁছেছেন ২১ হাজার ৬৪৫ জন অভিবাসী। এর মধ্যে সমুদ্র অথবা স্থলপথে গিয়েছেন ১৭ হাজার অভিবাসী। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩৯০৪৩৩। ২০১৭ সালে ১৮৬৭৮৬। ২০১৮ সালে ১৪৪১৬৬।
No comments