এবারও চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা by এম ইদ্রিস আলী
চায়ের
উৎপাদনে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত এবং চমৎকার আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ বিরাজ
করায় আশাতীত উৎপাদন চা শিল্পে সাফল্য ধরা দিয়েছে। চা বান্ধব আবহাওয়ায় খুশি
সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বৃষ্টিপাতও শাপে-বর হয়েছে চা
শিল্পে। চলমান উৎপাদনের এই ধারা অব্যাহত থাকলে এবারও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে
রেকর্ড পরিমাণের চা উৎপাদনের অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে দেশের চা-শিল্প। এমনটাই
আশাবাদ ব্যক্ত করছেন চা উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিটিআরআই) পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী বলেন, মৌসুমের শুরু থেকেই চায়ের জন্য অত্যন্ত সুন্দর প্রাকৃতিক অবস্থা বিরাজ করছে। অনুকূল আবহাওয়া ও পরিবেশ, প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাতের এই ধারাবাহিকতা চলমান থাকলে এবার চায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বেশি পরিমাণ চা উৎপন্ন হবে।
বিটিআরআই সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে চা উৎপাদন মৌসুমে দেশে চা উৎপাদন হয়েছে ৮২ দশমিক ১৩ মিলিয়ন কেজি। তবে বাংলাদেশ চা বোর্ড ২০১৮ সালে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৭২ দশমিক ৩ মিলিয়ন কেজি। এর দু’বছর আগে অর্থাৎ ২০১৬ সালে দেশের চা শিল্পের ১৬২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ চা উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছিল ৮৫ দশমিক শূন্য ৫ মিলিয়ন কেজি।
চা বোর্ড সূত্র জানায়, বর্তমানে চা চাষ হচ্ছে দেশের ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে। চায়ের উৎপাদন বাড়াতে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করায় গত তিন বছরে গড়ে ১২ হাজার মিলিয়ন কেজি বেশি চা উৎপাদিত হয়েছে।
বাংলাদেশের চা-সংসদের সিলেট বিভাগের চেয়ারম্যান জিএম শিবলী বলেন, খরার শঙ্কা নেই। প্রত্যাশিত বৃষ্টিপাতে চা বাগানগুলোতে প্রাণ ফিরেছে। বর্তমান অবস্থা অব্যাহত থাকলে চা উৎপাদনে সাফল্য অক্ষুণ্ন থাকবে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের (পিডিইউ) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হক বলেন, চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৪ দশমিক ১৪ মিলিয়ন কেজি। আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এবার চা উৎপাদন ৯০ মিলিয়ন কেজি অতিক্রম করবে। আমরা আশা করছি, অনুকূল আবহাওয়া ও পরিবেশ, প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাতের এই ধারাবাহিকতা চলমান থাকলে অতীতের চা উৎপাদনের সব ধরনের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। এক পরিসংখ্যান টেনে ড. একেএম রফিকুল হক বলেন, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন কেজি। অথচ চলতি মৌসুমের এই এপ্রিল মাসেই চা উৎপাদন হয়েছে ৮ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন কেজি হয়েছে। অর্থাৎ গতবারের থেকে শতকরা ৫৯ ভাগ বেশি।
এর কারণ জানতে চাইলে ড. একেএম রফিকুল হক বলেন, অনুকূল আবহাওয়া ছাড়াও চা আবাদযোগ্য জমির আড়াই পার্সেন্ট হারে বাধ্যতামূলক প্রায় প্রতিটি বাগানে চা সমপ্রসারণ, চা চাষের সমপ্রসারণে বাগানগুলোর প্রতি ব্যাপক মনিটরিং, আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদির পর্যাপ্ততা, সময়মতো সার ও কীটনাশক প্রাপ্তি, ক্লোন চা গাছের ব্যবহার বৃদ্ধি, রপ্তানি যাওয়া এবং সর্বোপরি চা বোর্ডের যথাযথ নজরদারির কারণে এবার দেশে এই চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে যাবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সূত্র জানায়, চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদার চেয়ে অতীতে চা উৎপাদন ছিল অনেক বেশি। স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটে। যেকোনো পেশার মানুষের আপ্যায়নের প্রথম পছন্দে স্থান পায় চা। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ব্যাপক হারে চায়ের চাহিদা। আগের তুলনায় উৎপাদন বাড়লেও অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করতে পারছে না দেশে উৎপাদিত চা।
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিটিআরআই) পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী বলেন, মৌসুমের শুরু থেকেই চায়ের জন্য অত্যন্ত সুন্দর প্রাকৃতিক অবস্থা বিরাজ করছে। অনুকূল আবহাওয়া ও পরিবেশ, প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাতের এই ধারাবাহিকতা চলমান থাকলে এবার চায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বেশি পরিমাণ চা উৎপন্ন হবে।
বিটিআরআই সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে চা উৎপাদন মৌসুমে দেশে চা উৎপাদন হয়েছে ৮২ দশমিক ১৩ মিলিয়ন কেজি। তবে বাংলাদেশ চা বোর্ড ২০১৮ সালে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৭২ দশমিক ৩ মিলিয়ন কেজি। এর দু’বছর আগে অর্থাৎ ২০১৬ সালে দেশের চা শিল্পের ১৬২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ চা উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছিল ৮৫ দশমিক শূন্য ৫ মিলিয়ন কেজি।
চা বোর্ড সূত্র জানায়, বর্তমানে চা চাষ হচ্ছে দেশের ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে। চায়ের উৎপাদন বাড়াতে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করায় গত তিন বছরে গড়ে ১২ হাজার মিলিয়ন কেজি বেশি চা উৎপাদিত হয়েছে।
বাংলাদেশের চা-সংসদের সিলেট বিভাগের চেয়ারম্যান জিএম শিবলী বলেন, খরার শঙ্কা নেই। প্রত্যাশিত বৃষ্টিপাতে চা বাগানগুলোতে প্রাণ ফিরেছে। বর্তমান অবস্থা অব্যাহত থাকলে চা উৎপাদনে সাফল্য অক্ষুণ্ন থাকবে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের (পিডিইউ) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হক বলেন, চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৪ দশমিক ১৪ মিলিয়ন কেজি। আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এবার চা উৎপাদন ৯০ মিলিয়ন কেজি অতিক্রম করবে। আমরা আশা করছি, অনুকূল আবহাওয়া ও পরিবেশ, প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাতের এই ধারাবাহিকতা চলমান থাকলে অতীতের চা উৎপাদনের সব ধরনের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। এক পরিসংখ্যান টেনে ড. একেএম রফিকুল হক বলেন, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন কেজি। অথচ চলতি মৌসুমের এই এপ্রিল মাসেই চা উৎপাদন হয়েছে ৮ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন কেজি হয়েছে। অর্থাৎ গতবারের থেকে শতকরা ৫৯ ভাগ বেশি।
এর কারণ জানতে চাইলে ড. একেএম রফিকুল হক বলেন, অনুকূল আবহাওয়া ছাড়াও চা আবাদযোগ্য জমির আড়াই পার্সেন্ট হারে বাধ্যতামূলক প্রায় প্রতিটি বাগানে চা সমপ্রসারণ, চা চাষের সমপ্রসারণে বাগানগুলোর প্রতি ব্যাপক মনিটরিং, আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদির পর্যাপ্ততা, সময়মতো সার ও কীটনাশক প্রাপ্তি, ক্লোন চা গাছের ব্যবহার বৃদ্ধি, রপ্তানি যাওয়া এবং সর্বোপরি চা বোর্ডের যথাযথ নজরদারির কারণে এবার দেশে এই চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে যাবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সূত্র জানায়, চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদার চেয়ে অতীতে চা উৎপাদন ছিল অনেক বেশি। স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটে। যেকোনো পেশার মানুষের আপ্যায়নের প্রথম পছন্দে স্থান পায় চা। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ব্যাপক হারে চায়ের চাহিদা। আগের তুলনায় উৎপাদন বাড়লেও অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করতে পারছে না দেশে উৎপাদিত চা।
No comments