হংকংয়ে আন্দোলনের জন্য পশ্চিমারা দায়ী: চীন
হংকংয়ে
অস্থিরতার জন্য পশ্চিমা সরকারের অনধিকার চর্চাকে দায়ী করেছে চীনের
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। চীন ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক
বিচ্ছিন্নতার মধ্যে সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশটিতে এ ধরনের রাজনৈতিক সংকট নিয়ে
উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীন। গত বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক
প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
চীনের সরকারি পত্রিকা চায়না ডেইলির সম্পাদকীয়তে বলা হয়, লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলোয় পশ্চিমা সরকারের কর্মকাণ্ডে দুর্ভোগ ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। এরপরও তাদের পছন্দসই নয়—এমন সরকারের বিরুদ্ধে অশান্তি সৃষ্টির প্রচেষ্টায় পশ্চিমা সরকারের ভাবাদর্শের কোনো পরিবর্তনই আসেনি। ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত পত্রিকাটির দাবি, পশ্চিমারা এবার চীনের ওপরও এই একই কৌশল খাটাতে চাইছে।
গত সোমবার ছিল হংকংকে ব্রিটেনের কাছ থেকে চীনা শাসনের কাছে হস্তান্তরের ২২ বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়। সাধারণত, প্রতিবছর বার্ষিক গণতন্ত্রকামী মিছিলের আয়োজন করে দিনটি উদ্যাপন করা হয়। তবে বিতর্কিত অপরাধী প্রত্যর্পণ আইনকে কেন্দ্র করে এ বছর অস্থিরতা বিরাজ করছে হংকংয়ে। নতুন এ আইন অনুযায়ী চীন চাইলে সন্দেহভাজন অপরাধীদের কমিউনিস্ট পার্টির নিয়ন্ত্রণাধীন নিজ ভূখণ্ডে নিয়ে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারবে। এর প্রতিবাদে কয়েকজন আন্দোলনকারী বেশ কয়েক ঘণ্টা আইনসভা কাউন্সিল (লেগকো) দখল করে রাখে।
সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা আন্দোলনের জেরে অপরাধী প্রত্যর্পণ আইন আপাতত স্থগিত রয়েছে। তবে বিরোধীরা বলছেন, এর ফলে হংকংয়ের বহুল প্রত্যাশিত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়াবে।
আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার দায়ে এ পর্যন্ত অন্তত ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তকারী এবং ফরেনসিক দল আইনসভায় চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে আরও প্রমাণ জড়ো করছে। কাজেই আরও গ্রেপ্তারের আশঙ্কা রয়েছে।
যে আইন নিয়ে এ আন্দোলন, সেখানে বলা হয়েছে, বেইজিং, ম্যাকাও ও তাইওয়ান থেকে পালিয়ে আসা কোনো অপরাধীকে ফেরত চাইলে তাকে ফেরত দিতে হবে; বিশেষত যেসব অপরাধীর বিরুদ্ধে হত্যা ও ধর্ষণের মতো অভিযোগ রয়েছে। তবে হংকংয়ের কর্তৃপক্ষ বলছে, এ আইন নিয়ে এত দুর্ভাবনার কিছু নেই। কারণ, এ অপরাধী প্রত্যর্পণ অনুরোধে সাড়া দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি হংকংয়ের বিচার বিভাগই নেবে। এ আইনের ফলে চীনা বিচারব্যবস্থার অধীনে অন্যায্যভাবে আটক ও বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যাবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
চীনের সরকারি পত্রিকা চায়না ডেইলির সম্পাদকীয়তে বলা হয়, লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলোয় পশ্চিমা সরকারের কর্মকাণ্ডে দুর্ভোগ ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। এরপরও তাদের পছন্দসই নয়—এমন সরকারের বিরুদ্ধে অশান্তি সৃষ্টির প্রচেষ্টায় পশ্চিমা সরকারের ভাবাদর্শের কোনো পরিবর্তনই আসেনি। ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত পত্রিকাটির দাবি, পশ্চিমারা এবার চীনের ওপরও এই একই কৌশল খাটাতে চাইছে।
গত সোমবার ছিল হংকংকে ব্রিটেনের কাছ থেকে চীনা শাসনের কাছে হস্তান্তরের ২২ বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়। সাধারণত, প্রতিবছর বার্ষিক গণতন্ত্রকামী মিছিলের আয়োজন করে দিনটি উদ্যাপন করা হয়। তবে বিতর্কিত অপরাধী প্রত্যর্পণ আইনকে কেন্দ্র করে এ বছর অস্থিরতা বিরাজ করছে হংকংয়ে। নতুন এ আইন অনুযায়ী চীন চাইলে সন্দেহভাজন অপরাধীদের কমিউনিস্ট পার্টির নিয়ন্ত্রণাধীন নিজ ভূখণ্ডে নিয়ে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারবে। এর প্রতিবাদে কয়েকজন আন্দোলনকারী বেশ কয়েক ঘণ্টা আইনসভা কাউন্সিল (লেগকো) দখল করে রাখে।
সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা আন্দোলনের জেরে অপরাধী প্রত্যর্পণ আইন আপাতত স্থগিত রয়েছে। তবে বিরোধীরা বলছেন, এর ফলে হংকংয়ের বহুল প্রত্যাশিত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়াবে।
আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার দায়ে এ পর্যন্ত অন্তত ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তকারী এবং ফরেনসিক দল আইনসভায় চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে আরও প্রমাণ জড়ো করছে। কাজেই আরও গ্রেপ্তারের আশঙ্কা রয়েছে।
যে আইন নিয়ে এ আন্দোলন, সেখানে বলা হয়েছে, বেইজিং, ম্যাকাও ও তাইওয়ান থেকে পালিয়ে আসা কোনো অপরাধীকে ফেরত চাইলে তাকে ফেরত দিতে হবে; বিশেষত যেসব অপরাধীর বিরুদ্ধে হত্যা ও ধর্ষণের মতো অভিযোগ রয়েছে। তবে হংকংয়ের কর্তৃপক্ষ বলছে, এ আইন নিয়ে এত দুর্ভাবনার কিছু নেই। কারণ, এ অপরাধী প্রত্যর্পণ অনুরোধে সাড়া দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি হংকংয়ের বিচার বিভাগই নেবে। এ আইনের ফলে চীনা বিচারব্যবস্থার অধীনে অন্যায্যভাবে আটক ও বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যাবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
হংকংয়ে চলমান আন্দোলনে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: রয়টার্স। |
No comments