জিসান হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা: আজও সন্তানের অপেক্ষায় থাকেন মা by রুদ্র মিজান
সন্ধ্যা
ঘনিয়ে এলেই পথ চেয়ে থাকেন মা বিবি হাজেরা। নিজ চোখে ছেলের নিথর দেহ
দেখেছেন। দাফন করা হয়েছে তার বড় সন্তানকে। তারপরও প্রতীক্ষার শেষ নেই।
খাওয়া-দাওয়ার দিকে খেয়াল নেই। মাঝে মাঝে ঘুমের মধ্যে ‘জিসান জিসান, বাবা
আমার’.. বলে শব্দ করে উঠেন তিনি। স্ত্রীর এই অবস্থা দেখে নীরবে কাঁদেন
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া নিহত জিসানের পিতা সাব্বির হোসেন শহীদ। চাঞ্চল্যকর এই
হত্যাকাণ্ডের পর এক নারীসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছে হত্যাকারীদের একজন। লোমহর্ষক সেই বর্ণনা।
ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন জিসান। লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজের মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং করতেন। এতেই দুর্বৃত্তদের নজরে পড়নে জিসান। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তার লাল রঙের হাং মোটরসাইকেলটি ছিনতাই করতে পরিকল্পনা করে তারা। পরিকল্পনা অনুসারেই এতে অংশ নেয় তিন সন্ত্রাসী। শ্যামলী থেকে গাজীপুর যাওয়ার কথা বলে জিসানের মোটরসাইকেলের পেছনে উঠে হাসিবুর রহমান। সেদিন ছিলো ১২ই মে। গাজীপুরের কামারজুরি পৌঁছার পর প্রায় সন্ধ্যা। জিসান তখন হাসিবুরের ভাড়া বাড়িতে। ওই বাড়িতে তার স্ত্রী সজনী ও আট বছর বয়সী এক সন্তান রয়েছে। জিসনাকে সেখানে ইফতার করার প্রস্তাব দেয় হাসিবুর। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ও আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে গিয়ে হাসিবুর জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুসারে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয় হাসিবুরের স্ত্রী সজনী। ইফতার করার পর ক্লান্ত জিসান ঘুমিয়ে পড়ে। তারপরই ওই বাড়িতে উপস্থিত হয় হাসিবুরের বন্ধু শাওন ও নোমান।
বাসায় বসেই আড্ডা জমায় তারা। জিসানকে ছেড়ে দিলে বিপদ বাড়তে পারে। জিসানেরও বাড়িও গাজীপুরেই। তাই পরিকল্পনা করা হয় হত্যার। লাশ গুমেরও পরিকল্পনা করে তারা। ততক্ষণে ইয়াবা সেবন করে হাসিবুর, শাওন ও নোমান। এভাবে রাত প্রায় ১২টা। তারপরই শুরু করে কিলিং মিশন। ঘুমন্ত অবস্থাতেই দড়ি দিয়ে জিসানের হাত, পা বাঁধা হয়। তারপর গলায় দড়ি প্যাঁচিয়ে টান দেয় হাসিবুর ও শাওন। পা ধরে রাখে নোমান। তখন চোখ মেলে তাকিয়েছিলো জিসান। মাথা তোলতে চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু তাকে আর কোনো চেষ্টার সময় দেয়া হয়নি। শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর ছয়টি ইট বস্তাতে ভরে দড়ি দিয়ে বেঁধে তা জিসানের কোমড়ে বাঁধা হয়। হত্যার পর হাসিবুরের ভাড়া বাসার সেপটিক ট্যাংকে ফেলা হয় লাশ। তারপর ট্যাংকটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এভাবেই জিসানকে হত্যা করা হয়।
ওদিকে ১২ই মে নিখোঁজ হন জিসান। বিভিন্নস্থানে খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলো না। এ ঘটনায় ১৬ই মে ডিএমপির শেরেবাংলানগর থানায় একটা সাধারণ ডায়রি করেন জিসানের পিতা। এতে তিনি উল্লেখ করেন ১২ই মে বিকাল ৪টার পর থেকেই জিসানের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। এ বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবাহর ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জিসানের মোবাইলফোনের অবস্থান নির্ণয় করে তদন্ত দ্রুত এগিয়ে যায়। ২৩শে মে কামারজুরি এলাকা থেকে হাসিবুর রহমানকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে থেকে নিখোঁজ জিসানের মটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যে একই দিনে সেপটিক ট্যাংক থেকে জিসানের লাশ উদ্ধার করা হয়। হাসিবুরের দেয়া তথ্যানসুারে গ্রেপ্তার করা হয় তার স্ত্রী সজনী, হাসিবুরের বন্ধু শাওন ও নোমানকে।
উল্লেখ্য, ইসমাইল হোসেন জিসান ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যয়ণরত ছিলেন। তিনি শ্যামলীর দুই নম্বর সড়কের ১৬/ডি বাসায় বন্ধুর সঙ্গে থাকতেন। জিসান গাজীপুরের গাছা থানার কাথোরা গ্রামের সাব্বির হোসেন শহীদের দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে বড়। তার মা বিবি হাজেরা ভাতের হোটেলের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাবা সাব্বির ঢাকায় একটি রেস্টুরেন্টে চাকরি করেন। জিসানের পিতা সাব্বির বলেন, ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিলো। সব স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে ওরা। আমি খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। যাতে আরও কোনো বাবা-মায়ের বুক খালি না হয়।
আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছে হত্যাকারীদের একজন। লোমহর্ষক সেই বর্ণনা।
ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন জিসান। লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজের মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং করতেন। এতেই দুর্বৃত্তদের নজরে পড়নে জিসান। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তার লাল রঙের হাং মোটরসাইকেলটি ছিনতাই করতে পরিকল্পনা করে তারা। পরিকল্পনা অনুসারেই এতে অংশ নেয় তিন সন্ত্রাসী। শ্যামলী থেকে গাজীপুর যাওয়ার কথা বলে জিসানের মোটরসাইকেলের পেছনে উঠে হাসিবুর রহমান। সেদিন ছিলো ১২ই মে। গাজীপুরের কামারজুরি পৌঁছার পর প্রায় সন্ধ্যা। জিসান তখন হাসিবুরের ভাড়া বাড়িতে। ওই বাড়িতে তার স্ত্রী সজনী ও আট বছর বয়সী এক সন্তান রয়েছে। জিসনাকে সেখানে ইফতার করার প্রস্তাব দেয় হাসিবুর। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ও আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে গিয়ে হাসিবুর জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুসারে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয় হাসিবুরের স্ত্রী সজনী। ইফতার করার পর ক্লান্ত জিসান ঘুমিয়ে পড়ে। তারপরই ওই বাড়িতে উপস্থিত হয় হাসিবুরের বন্ধু শাওন ও নোমান।
বাসায় বসেই আড্ডা জমায় তারা। জিসানকে ছেড়ে দিলে বিপদ বাড়তে পারে। জিসানেরও বাড়িও গাজীপুরেই। তাই পরিকল্পনা করা হয় হত্যার। লাশ গুমেরও পরিকল্পনা করে তারা। ততক্ষণে ইয়াবা সেবন করে হাসিবুর, শাওন ও নোমান। এভাবে রাত প্রায় ১২টা। তারপরই শুরু করে কিলিং মিশন। ঘুমন্ত অবস্থাতেই দড়ি দিয়ে জিসানের হাত, পা বাঁধা হয়। তারপর গলায় দড়ি প্যাঁচিয়ে টান দেয় হাসিবুর ও শাওন। পা ধরে রাখে নোমান। তখন চোখ মেলে তাকিয়েছিলো জিসান। মাথা তোলতে চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু তাকে আর কোনো চেষ্টার সময় দেয়া হয়নি। শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর ছয়টি ইট বস্তাতে ভরে দড়ি দিয়ে বেঁধে তা জিসানের কোমড়ে বাঁধা হয়। হত্যার পর হাসিবুরের ভাড়া বাসার সেপটিক ট্যাংকে ফেলা হয় লাশ। তারপর ট্যাংকটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এভাবেই জিসানকে হত্যা করা হয়।
ওদিকে ১২ই মে নিখোঁজ হন জিসান। বিভিন্নস্থানে খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলো না। এ ঘটনায় ১৬ই মে ডিএমপির শেরেবাংলানগর থানায় একটা সাধারণ ডায়রি করেন জিসানের পিতা। এতে তিনি উল্লেখ করেন ১২ই মে বিকাল ৪টার পর থেকেই জিসানের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। এ বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবাহর ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জিসানের মোবাইলফোনের অবস্থান নির্ণয় করে তদন্ত দ্রুত এগিয়ে যায়। ২৩শে মে কামারজুরি এলাকা থেকে হাসিবুর রহমানকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে থেকে নিখোঁজ জিসানের মটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যে একই দিনে সেপটিক ট্যাংক থেকে জিসানের লাশ উদ্ধার করা হয়। হাসিবুরের দেয়া তথ্যানসুারে গ্রেপ্তার করা হয় তার স্ত্রী সজনী, হাসিবুরের বন্ধু শাওন ও নোমানকে।
উল্লেখ্য, ইসমাইল হোসেন জিসান ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যয়ণরত ছিলেন। তিনি শ্যামলীর দুই নম্বর সড়কের ১৬/ডি বাসায় বন্ধুর সঙ্গে থাকতেন। জিসান গাজীপুরের গাছা থানার কাথোরা গ্রামের সাব্বির হোসেন শহীদের দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে বড়। তার মা বিবি হাজেরা ভাতের হোটেলের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাবা সাব্বির ঢাকায় একটি রেস্টুরেন্টে চাকরি করেন। জিসানের পিতা সাব্বির বলেন, ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিলো। সব স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে ওরা। আমি খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। যাতে আরও কোনো বাবা-মায়ের বুক খালি না হয়।
No comments