আদালতের মামলার মধ্য দিয়ে নির্বাসিত তিব্বতীদের অন্তর্কোন্দল উঠে আসলো by রাজীব শর্মা
গত জুন মাসের শুরুর দিকে, তিব্বতের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে, যেটা তেমন
নজরে পড়েনি কারো। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত দালাই লামার সাবেক প্রতিনিধি
পেনপা শেরিং গত বছরের মে মাসে সেন্ট্রাল টিবেটান অ্যাডমিনিস্ট্রেশানের
(সিটিএ) সুপ্রিম জাস্টিস কমিশনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
তার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা অভিযোগ’ এনে ২০১৭ সালের নভেম্বরে তাকে পদ থেকে বহিস্কারের জন্য সেন্ট্রাল টিবেটান অ্যাডমিনিস্ট্রেশানের (সিটিএ) মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তিনি এই মামলা দায়ের করেন। ৬ জুন এই মামলার শুনানি ছিল।
পেনপার প্রতিপক্ষ অন্য কেউ নন, খোদ সিটিএ প্রেসিডেন্ট লোবসাং সাঙ্গে। এটা কোন সাধারণ মামলা নয় কারণ এই মামলায় দুই পক্ষ মূলত লোবসাং সাঙ্গে বনাম স্বয়ং দালাই লামা।
শুনানিতে সাঙ্গের আইনজীবী মামলাটি ডিসমিস করে দেয়ার চেষ্টা করেন এই যুক্তিতে যে এখানে দালাই লামার নাম যুক্ত। কিন্তু বিচারপতি আবেদনের বিপক্ষে মত দিয়ে বলেন, এখানে দালাই লামার নাম অন্তর্ভুক্ত করা উচিত নয় কারণ ২০১০ সালে তিনি নিজেই সিটিএ’র কাছে ক্ষমতা তুলে দেন।
সাঙ্গের যুক্তিতর্কের মধ্যে এটা ফুটে উঠেছে যে, আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতি ছাড়লেও এখনও ক্ষমতা রাখেন দালাই লামা। তিব্বতের রাজনীতিতে তিনি এখনও একজন সম্রাট। এতে বোঝা গেছে যে, কিভাবে দালাই লামা আইনের উর্ধ্বে এবং নির্বাসিত কমিউনিটির উপর তার পুরো কর্তৃত্ব রয়েছে, যদিও এটার ঠিক বিপরীত দাবিও রয়েছে।
অন্যভাবে বললে, দালাই লামার নাম যদি দুজন তিব্বতীর মধ্যে কোন দ্বন্দ্বে বা মামলায় উঠে আসে (পেনপার মামলার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে), তাহলে এটার ভিত্তিতে মামলা বাতিল হতে পারে।
দর্জি শুগদেনের উপর নিষেধাজ্ঞা
এই পয়েন্টটির সাথে তিব্বতের নির্বাসিত কমিউনিটির পরিস্থিতির মূল পরিস্থিতির একটা যোগ রয়েছে এবং এটা প্রমাণ করেছে যে দর্জি শুগদেনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পেছনে একটা মেকানিজম কাজ করেছে।
দালাই লামা সব সময় দাবি করেছেন যে, তিনি শুধু উপদেশ দেন, এবং তিনি কোন কিছু নিষিদ্ধ করেননি কারণ তার কোন কিছু নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা নেই। কিন্তু দর্জি শুগদানের উপর নিষেধাজ্ঞা থেকে বোঝা গেছে যে, দালাই লামার কথা এই সম্প্রদায়ের জন্য আইন।
মামলায় আরো যে বিষয়টি উঠে এসেছে, সেটা হলো দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিনিধি নিয়োগের ক্ষেত্রে দালাই লামা জড়িত ছিলেন।
নিজের যুক্তিতর্কে দাকপা পেনপা শেরিংকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন এবং ইঙ্গিত দেন যে তাকে সরিয়ে দেয়ার পেছনে দালাই লামার একটা ভূমিকা ছিল। তিনি মন্ত্রী কার্মা গেলেককে উদ্ধৃত করেন, যিনি বলেছেন যে, যেভাবে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল, সেভাবেই তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা মনে করা হয় যে, দালাই লামার পরামর্শেই পেনপা শেরিংকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।
এটা স্বাভাবিক মনে হবে কারণ এটাই যৌক্তিক যে দালাই লামা নিজের প্রতিনিধিকে নিজেই নিয়োগ দিবেন। কিন্তু, যে পদ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেটা একটা সরকারি পদ। যে ব্যক্তিকে এই পদে নিয়োগ দেয়া হয়, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে তিব্বতীদের অফিসের দায়িত্বে থাকেন, যেটা মূলত সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত একটি রাজনৈতিক পদ। তিনি কার্যত অনানুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে তিব্বতীদের দূত। তার নিয়োগের ব্যাপারে দালাই লামার ‘পরামর্শ’ দেয়ার অর্থ হলো দালাই লামা এখনও ক্ষমতায় আছেন।
দালাই লামার অনুসারী এবং তিব্বতী সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষেরা একই রকম। এরা সবাই দালাই লামার কর্তৃত্ব ও ক্ষমতাকে ছোট করে দেখেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, নিষিদ্ধের ক্ষেত্রে দালাই লামা শুধু ‘উপদেশ’ দিয়েছিলেন, আবার যখন তিনি পেনপা শেরিংকে নিয়োগ দেয়ার জন্য সরকারকে নির্দেশ দেন, তারা বলেছে এটা ছিল একটা ‘পরামর্শ’।
এভাবে, দালাই লামা – যিনি সব রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ছেড়ে দিয়েছেন এবং শুধুমাত্র ধর্মীয় নেতা হিসেবে কাজ করছেন বলে দাবি করেন, কিন্তু তিনিই আবার একটা নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেন যেটা নির্বাসিত সম্প্রদায়ের মধ্যে বড় ধরনের বিভাজন তৈরি করেছে। সরকারি পদের জন্যও তিনি ব্যক্তি বাছাই করেন।
তিব্বতের নির্বাসিত সম্প্রদায়ের মধ্যে ২০১৬ সালেন নির্বাচনে চূড়ান্ত ভোট থেকে তিনি একজন প্রার্থীকে বাদ দেন। এই নির্বাচনে হঠাৎ করেই অনেকটা নিরবে নিয়ম কানুন বদলে ফেলা হয়।
২০১৬ সালের নির্বাচনের একজন প্রার্থী ছিলেন লুকার জাম আতসোক যিনি দালাই লামার কিছু নীতি নিয়ে খোলামেলা মত প্রকাশ করেছিলেন, বিশেষ করে দর্জি শুগদেনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে। যখন চূড়ান্ত তিনজন প্রার্থী বাছাই করা হয়, দালাই লামা তখন নিয়ম বদলে দেন যাতে শেষ পর্যন্ত দুইজন চূড়ান্ত ভোটে অংশ নিতে পারেন। এতে লুকার জাম আতসোক স্বাভাবিকভাবেই বাদ পড়ে যান, কারণ তার অবস্থান ছিল তিন নম্বরে!
চূড়ান্ত দুজন প্রার্থী ছিলেন লোবসাং সাঙ্গে এবং পেনপা শেরিং। এরা দুজনেই ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব তিব্বতের সমর্থিত প্রার্থী। এই দলটি দালাই লামা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং তিনি এটাকে মূলত চালিয়ে নিচ্ছেন এবং অর্থায়ন করছেন।
এটার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় যাতে তিব্বতিদের নিয়ন্ত্রণ দালাই লামার কাছেই থাকে যদিও তাকে রাজনীতির উর্ধ্বে বিবেচনা করা হয়!
এর একটা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো কোন মিডিয়া প্রতিষ্ঠানই দালাই লামার প্রজ্ঞাকে সন্দেহ করার সাহস করেন না।
বিচারের মধ্য দিয়ে এটা বেরিয়ে এসেছে যে, তিব্বতীদের রাজনীতিতে বিভাজন দেখা দিতে শুরু করেছে, যেখানে দালাই লামা রয়েছেন এক পক্ষে আর অন্য পক্ষে আছেন লোবসাং সাঙ্গে।
সাঙ্গের আইনজীবী কেন তিন মাস বিলম্ব করার আবেদন করেছেন? এর কারণ কি এই যে, এই সময়ের মধ্যে দালাই লামা কার্মাপাকে তার উত্তরসূরীর নাম জানাবেন এবং একই সাথে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে তার তীর্থযাত্রার ঘোষণা দিবেন?
এই সময়ের মধ্যে দালাই লামার ঘনিষ্ঠজনরা কি পেনপা শেরিংয়ের জন্য বিকল্প আয়োজনের সময় পেয়ে যাবে না? হয়তো তাকে অর্থ দেয়া হবে বা অন্য কোথাও নিয়োগ দেয়া হবে।
আর এই তিন মাসে লোবসাং সাঙ্গে নির্বাসিত সম্প্রদায়ের উপর নিজের কর্তৃত্ব নিশ্চিত করতে পারবেন এবং নিজেকে নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন, যিনি কি না তিব্বতে দালাই লামার প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে দর কষাকষি করেছেন, সে দালাই লামার সেখানে ফেরার মতো শারীরিক অবস্থা থাক বা না থাক।
(লেখক একজন স্বাধীন সাংবাদিক ও কৌশলগত বিশ্লেষক)
তার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা অভিযোগ’ এনে ২০১৭ সালের নভেম্বরে তাকে পদ থেকে বহিস্কারের জন্য সেন্ট্রাল টিবেটান অ্যাডমিনিস্ট্রেশানের (সিটিএ) মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তিনি এই মামলা দায়ের করেন। ৬ জুন এই মামলার শুনানি ছিল।
পেনপার প্রতিপক্ষ অন্য কেউ নন, খোদ সিটিএ প্রেসিডেন্ট লোবসাং সাঙ্গে। এটা কোন সাধারণ মামলা নয় কারণ এই মামলায় দুই পক্ষ মূলত লোবসাং সাঙ্গে বনাম স্বয়ং দালাই লামা।
শুনানিতে সাঙ্গের আইনজীবী মামলাটি ডিসমিস করে দেয়ার চেষ্টা করেন এই যুক্তিতে যে এখানে দালাই লামার নাম যুক্ত। কিন্তু বিচারপতি আবেদনের বিপক্ষে মত দিয়ে বলেন, এখানে দালাই লামার নাম অন্তর্ভুক্ত করা উচিত নয় কারণ ২০১০ সালে তিনি নিজেই সিটিএ’র কাছে ক্ষমতা তুলে দেন।
সাঙ্গের যুক্তিতর্কের মধ্যে এটা ফুটে উঠেছে যে, আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতি ছাড়লেও এখনও ক্ষমতা রাখেন দালাই লামা। তিব্বতের রাজনীতিতে তিনি এখনও একজন সম্রাট। এতে বোঝা গেছে যে, কিভাবে দালাই লামা আইনের উর্ধ্বে এবং নির্বাসিত কমিউনিটির উপর তার পুরো কর্তৃত্ব রয়েছে, যদিও এটার ঠিক বিপরীত দাবিও রয়েছে।
অন্যভাবে বললে, দালাই লামার নাম যদি দুজন তিব্বতীর মধ্যে কোন দ্বন্দ্বে বা মামলায় উঠে আসে (পেনপার মামলার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে), তাহলে এটার ভিত্তিতে মামলা বাতিল হতে পারে।
দর্জি শুগদেনের উপর নিষেধাজ্ঞা
এই পয়েন্টটির সাথে তিব্বতের নির্বাসিত কমিউনিটির পরিস্থিতির মূল পরিস্থিতির একটা যোগ রয়েছে এবং এটা প্রমাণ করেছে যে দর্জি শুগদেনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পেছনে একটা মেকানিজম কাজ করেছে।
দালাই লামা সব সময় দাবি করেছেন যে, তিনি শুধু উপদেশ দেন, এবং তিনি কোন কিছু নিষিদ্ধ করেননি কারণ তার কোন কিছু নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা নেই। কিন্তু দর্জি শুগদানের উপর নিষেধাজ্ঞা থেকে বোঝা গেছে যে, দালাই লামার কথা এই সম্প্রদায়ের জন্য আইন।
মামলায় আরো যে বিষয়টি উঠে এসেছে, সেটা হলো দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিনিধি নিয়োগের ক্ষেত্রে দালাই লামা জড়িত ছিলেন।
নিজের যুক্তিতর্কে দাকপা পেনপা শেরিংকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন এবং ইঙ্গিত দেন যে তাকে সরিয়ে দেয়ার পেছনে দালাই লামার একটা ভূমিকা ছিল। তিনি মন্ত্রী কার্মা গেলেককে উদ্ধৃত করেন, যিনি বলেছেন যে, যেভাবে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল, সেভাবেই তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা মনে করা হয় যে, দালাই লামার পরামর্শেই পেনপা শেরিংকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।
এটা স্বাভাবিক মনে হবে কারণ এটাই যৌক্তিক যে দালাই লামা নিজের প্রতিনিধিকে নিজেই নিয়োগ দিবেন। কিন্তু, যে পদ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেটা একটা সরকারি পদ। যে ব্যক্তিকে এই পদে নিয়োগ দেয়া হয়, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে তিব্বতীদের অফিসের দায়িত্বে থাকেন, যেটা মূলত সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত একটি রাজনৈতিক পদ। তিনি কার্যত অনানুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে তিব্বতীদের দূত। তার নিয়োগের ব্যাপারে দালাই লামার ‘পরামর্শ’ দেয়ার অর্থ হলো দালাই লামা এখনও ক্ষমতায় আছেন।
দালাই লামার অনুসারী এবং তিব্বতী সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষেরা একই রকম। এরা সবাই দালাই লামার কর্তৃত্ব ও ক্ষমতাকে ছোট করে দেখেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, নিষিদ্ধের ক্ষেত্রে দালাই লামা শুধু ‘উপদেশ’ দিয়েছিলেন, আবার যখন তিনি পেনপা শেরিংকে নিয়োগ দেয়ার জন্য সরকারকে নির্দেশ দেন, তারা বলেছে এটা ছিল একটা ‘পরামর্শ’।
এভাবে, দালাই লামা – যিনি সব রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ছেড়ে দিয়েছেন এবং শুধুমাত্র ধর্মীয় নেতা হিসেবে কাজ করছেন বলে দাবি করেন, কিন্তু তিনিই আবার একটা নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেন যেটা নির্বাসিত সম্প্রদায়ের মধ্যে বড় ধরনের বিভাজন তৈরি করেছে। সরকারি পদের জন্যও তিনি ব্যক্তি বাছাই করেন।
তিব্বতের নির্বাসিত সম্প্রদায়ের মধ্যে ২০১৬ সালেন নির্বাচনে চূড়ান্ত ভোট থেকে তিনি একজন প্রার্থীকে বাদ দেন। এই নির্বাচনে হঠাৎ করেই অনেকটা নিরবে নিয়ম কানুন বদলে ফেলা হয়।
২০১৬ সালের নির্বাচনের একজন প্রার্থী ছিলেন লুকার জাম আতসোক যিনি দালাই লামার কিছু নীতি নিয়ে খোলামেলা মত প্রকাশ করেছিলেন, বিশেষ করে দর্জি শুগদেনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে। যখন চূড়ান্ত তিনজন প্রার্থী বাছাই করা হয়, দালাই লামা তখন নিয়ম বদলে দেন যাতে শেষ পর্যন্ত দুইজন চূড়ান্ত ভোটে অংশ নিতে পারেন। এতে লুকার জাম আতসোক স্বাভাবিকভাবেই বাদ পড়ে যান, কারণ তার অবস্থান ছিল তিন নম্বরে!
চূড়ান্ত দুজন প্রার্থী ছিলেন লোবসাং সাঙ্গে এবং পেনপা শেরিং। এরা দুজনেই ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব তিব্বতের সমর্থিত প্রার্থী। এই দলটি দালাই লামা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং তিনি এটাকে মূলত চালিয়ে নিচ্ছেন এবং অর্থায়ন করছেন।
এটার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় যাতে তিব্বতিদের নিয়ন্ত্রণ দালাই লামার কাছেই থাকে যদিও তাকে রাজনীতির উর্ধ্বে বিবেচনা করা হয়!
এর একটা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো কোন মিডিয়া প্রতিষ্ঠানই দালাই লামার প্রজ্ঞাকে সন্দেহ করার সাহস করেন না।
বিচারের মধ্য দিয়ে এটা বেরিয়ে এসেছে যে, তিব্বতীদের রাজনীতিতে বিভাজন দেখা দিতে শুরু করেছে, যেখানে দালাই লামা রয়েছেন এক পক্ষে আর অন্য পক্ষে আছেন লোবসাং সাঙ্গে।
সাঙ্গের আইনজীবী কেন তিন মাস বিলম্ব করার আবেদন করেছেন? এর কারণ কি এই যে, এই সময়ের মধ্যে দালাই লামা কার্মাপাকে তার উত্তরসূরীর নাম জানাবেন এবং একই সাথে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে তার তীর্থযাত্রার ঘোষণা দিবেন?
এই সময়ের মধ্যে দালাই লামার ঘনিষ্ঠজনরা কি পেনপা শেরিংয়ের জন্য বিকল্প আয়োজনের সময় পেয়ে যাবে না? হয়তো তাকে অর্থ দেয়া হবে বা অন্য কোথাও নিয়োগ দেয়া হবে।
আর এই তিন মাসে লোবসাং সাঙ্গে নির্বাসিত সম্প্রদায়ের উপর নিজের কর্তৃত্ব নিশ্চিত করতে পারবেন এবং নিজেকে নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন, যিনি কি না তিব্বতে দালাই লামার প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে দর কষাকষি করেছেন, সে দালাই লামার সেখানে ফেরার মতো শারীরিক অবস্থা থাক বা না থাক।
(লেখক একজন স্বাধীন সাংবাদিক ও কৌশলগত বিশ্লেষক)
No comments