ধর্ষণের শিকার হয়েছিল আত্মহননকারী সেই বর্ষা
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার আত্মহননকারী
স্কুলছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বর্ষা ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। ডাক্তারি পরীক্ষায়
এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানায়, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের পরীক্ষায় বর্ষাকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। রামেক থেকে এই প্রতিবেদন পাওয়ার পর পুলিশ তা আদালতে দাখিল করেছে।
গত ১৬ মে সন্ধ্যায় মোহনপুর উপজেলার বিলপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে বাকশিমইল উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী বর্ষার লাশ উদ্ধার করা হয়। বর্ষা নিজ রুমে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার আগে একটি চিরকুটে যৌন নিপীড়নের বিচার না পাওয়ার কথা লিখে যায় সে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ হোসেন বলেন, ‘রামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক মিশু রাণী সাহা স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদন (ফরেনসিক রিপোর্ট) পুলিশকে দেওয়া হয় ২৫ জুন। ২৭ জুন ওই প্রতিবেদন রাজশাহীর আমলি আদালতে (মোহানপুর) দাখিল করে পুলিশ। প্রতিবেদনে চিকিৎসক তার মন্তব্যের একাংশে বলেছেন, ভিকটিমের শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তার বয়স ১৫ থেকে ১৬ বছর হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্ষাকে অপহরণ ও আত্মহত্যার ঘটনায় দুইটি মামলা হয়। কিন্তু কোনোটিতেই ধর্ষণের অভিযোগ নেই। শারীরিক পরীক্ষার প্রতিবেদনে এ বিষয়টি উঠে আসায় অভিযোগপত্র দাখিলের সময় মামলায় ধর্ষণের নতুন ধারা যুক্ত হবে।’
বর্ষা মোহনপুর উপজেলার বিলপাড়া গ্রামের আবদুল মান্নানের মেয়ে। বর্ষার আত্মহননের পর তার পরিবার অভিযোগ করে, সোনিয়া নামের এক মেয়ের সহযোগিতায় প্রতিবেশী মুকুল বর্ষাকে অপহরণ করে। এরপর শারীরিক নির্যাতনের পর অচেতন অবস্থায় ফেলে যায়। ওই ঘটনার পর বর্ষাকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে রামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) তার শারীরিক পরীক্ষা হয়।
বর্ষাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধারের পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করতে গেলে মামলা নিতে গড়িমসি করেন মোহনপুর থানার তৎকালীন ওসি আবুল হোসেন। ওই সময় বর্ষার বাবাকে হুমকিও দেন ওসি। এরপর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে সত্যতা পেয়ে ঘটনার চারদিন পর থানায় মামলা করতে সক্ষম হন বর্ষার বাবা। কিন্তু এরপরও ওসি আবুল হোসেন এজাহার থেকে ধর্ষণের অভিযোগ বাদ দিয়ে শুধু অপহরণের অভিযোগ রাখেন। বর্ষার এই অপহরণ ও আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরে ওসি আবুল হোসেনকে প্রত্যাহারও করা হয়।
এদিকে, এই ঘটনায় মুকুলকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু প্রতিবেশী আসামির পরিবারের সদস্যদের লাঞ্ছনা ও অপবাদ সইতে না পেরে ১৬ মে একটি চিরকুট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বর্ষা।
পুলিশ জানায়, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের পরীক্ষায় বর্ষাকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। রামেক থেকে এই প্রতিবেদন পাওয়ার পর পুলিশ তা আদালতে দাখিল করেছে।
গত ১৬ মে সন্ধ্যায় মোহনপুর উপজেলার বিলপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে বাকশিমইল উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী বর্ষার লাশ উদ্ধার করা হয়। বর্ষা নিজ রুমে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার আগে একটি চিরকুটে যৌন নিপীড়নের বিচার না পাওয়ার কথা লিখে যায় সে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ হোসেন বলেন, ‘রামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক মিশু রাণী সাহা স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদন (ফরেনসিক রিপোর্ট) পুলিশকে দেওয়া হয় ২৫ জুন। ২৭ জুন ওই প্রতিবেদন রাজশাহীর আমলি আদালতে (মোহানপুর) দাখিল করে পুলিশ। প্রতিবেদনে চিকিৎসক তার মন্তব্যের একাংশে বলেছেন, ভিকটিমের শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তার বয়স ১৫ থেকে ১৬ বছর হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্ষাকে অপহরণ ও আত্মহত্যার ঘটনায় দুইটি মামলা হয়। কিন্তু কোনোটিতেই ধর্ষণের অভিযোগ নেই। শারীরিক পরীক্ষার প্রতিবেদনে এ বিষয়টি উঠে আসায় অভিযোগপত্র দাখিলের সময় মামলায় ধর্ষণের নতুন ধারা যুক্ত হবে।’
বর্ষা মোহনপুর উপজেলার বিলপাড়া গ্রামের আবদুল মান্নানের মেয়ে। বর্ষার আত্মহননের পর তার পরিবার অভিযোগ করে, সোনিয়া নামের এক মেয়ের সহযোগিতায় প্রতিবেশী মুকুল বর্ষাকে অপহরণ করে। এরপর শারীরিক নির্যাতনের পর অচেতন অবস্থায় ফেলে যায়। ওই ঘটনার পর বর্ষাকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে রামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) তার শারীরিক পরীক্ষা হয়।
বর্ষাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধারের পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করতে গেলে মামলা নিতে গড়িমসি করেন মোহনপুর থানার তৎকালীন ওসি আবুল হোসেন। ওই সময় বর্ষার বাবাকে হুমকিও দেন ওসি। এরপর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে সত্যতা পেয়ে ঘটনার চারদিন পর থানায় মামলা করতে সক্ষম হন বর্ষার বাবা। কিন্তু এরপরও ওসি আবুল হোসেন এজাহার থেকে ধর্ষণের অভিযোগ বাদ দিয়ে শুধু অপহরণের অভিযোগ রাখেন। বর্ষার এই অপহরণ ও আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরে ওসি আবুল হোসেনকে প্রত্যাহারও করা হয়।
এদিকে, এই ঘটনায় মুকুলকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু প্রতিবেশী আসামির পরিবারের সদস্যদের লাঞ্ছনা ও অপবাদ সইতে না পেরে ১৬ মে একটি চিরকুট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বর্ষা।
আত্মহত্যার আগে চিরকুটে যা লিখেছিল বর্ষা
‘প্রিয় মা-বাবা
প্রথমেই তোমাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমি তোমাদের কাছ থেকে অনেক কিছু পেয়েছি, অনেক আদর অনেক ভালোবাসা। কিন্তু একটা মেয়ের কাছে তার মান-সম্মানটাই সবচেয়ে বড়।
আমি আমার লজ্জার কথা সবাইকে বলতে বলতে নিজের কাছে অনেক ছোট হয়ে গেছি।
প্রতিদিন পরপুরুষের কাছে এসব বলতে বলতে। আমি আর পারছি না। অপরাধীকে শাস্তি দিলেই তো আমার মান-সম্মান ফেরত পাবো না। আমাকে ক্ষমা করো।’
বর্ষার পরিবার ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের আবদুল মান্নান চাঁদের মেয়ে বাকশিমইল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সুমাইয়া আক্তার বর্ষা। সহপাঠী সোনিয়ার সঙ্গে প্রাইভেট পড়তে যাওয়া-আসার পথে এলাকার কাজলের ছেলে মুকুল (১৮) তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। এতে রাজি না হওয়ায় সে বর্ষার বান্ধবী সোনিয়ার মাধ্যমে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
গত ২৩ এপ্রিল প্রাইভেট শেষে বর্ষাকে নিয়ে খানপুর বাগবাজার এলাকায় যায় বান্ধবী সোনিয়া। সেখানে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ে বর্ষা। তখন লোকজন তাকে উদ্ধার করে। তবে মুকুল লোকজনের কাছ থেকে বর্ষাকে শহরে নিয়ে যেতে চায়। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন বর্ষাকে উদ্ধার করে। এরপর তাকে প্রথমে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে খানপুর বাগবাজার এলাকায় কেন বা কীভাবে বর্ষা অচেতন হয় তা জানা যায়নি।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ২৪ এপ্রিল মুকুলকে আটক করে। তবে ওইদিন রাতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। একই দিন আটক করা হয় মুকুলের সহযোগী শিবপুর গ্রামের শফিকের ছেলে নাঈমকে। তাকেও ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিচার না পেয়ে ও থানায় মামলা করতে না পেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বর্ষা। সন্ধ্যায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ। বর্ষাকে আত্মহত্যায় বাধ্য করায় অভিযুক্ত মুকুল, সোনিয়া ও নাঈমকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে করাগারে পাঠানো হয়।
বর্ষার বাবা আবদুল মান্নান জানান, তার মেয়েকে সোনিয়ার মাধ্যমে অপহরণ করে শহরে নিয়ে যৌন নির্যাতন করে মুকুল। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। আপসের কথা বলে আসামিদের আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে। এতেই ক্ষোভে-অভিমানে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার পর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে বর্ষাকে আজ মরতে হতো না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হোসেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মেয়েটি অসুস্থ থাকায় তাকে আমি নিজেই রাজশাহী মেডিক্যালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাকে বলেছিলাম আগে সে সুস্থ হোক পরে মামলার বিষয় দেখা যাবে।’
ওসি আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে মামলার পর তিন জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্ষার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে বোঝা যাবে বর্ষা ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা। আপাতত আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ওই তিন জনের নামে মামলা হয়েছে।’
প্রথমেই তোমাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমি তোমাদের কাছ থেকে অনেক কিছু পেয়েছি, অনেক আদর অনেক ভালোবাসা। কিন্তু একটা মেয়ের কাছে তার মান-সম্মানটাই সবচেয়ে বড়।
আমি আমার লজ্জার কথা সবাইকে বলতে বলতে নিজের কাছে অনেক ছোট হয়ে গেছি।
প্রতিদিন পরপুরুষের কাছে এসব বলতে বলতে। আমি আর পারছি না। অপরাধীকে শাস্তি দিলেই তো আমার মান-সম্মান ফেরত পাবো না। আমাকে ক্ষমা করো।’
বর্ষার পরিবার ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের আবদুল মান্নান চাঁদের মেয়ে বাকশিমইল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সুমাইয়া আক্তার বর্ষা। সহপাঠী সোনিয়ার সঙ্গে প্রাইভেট পড়তে যাওয়া-আসার পথে এলাকার কাজলের ছেলে মুকুল (১৮) তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। এতে রাজি না হওয়ায় সে বর্ষার বান্ধবী সোনিয়ার মাধ্যমে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
গত ২৩ এপ্রিল প্রাইভেট শেষে বর্ষাকে নিয়ে খানপুর বাগবাজার এলাকায় যায় বান্ধবী সোনিয়া। সেখানে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ে বর্ষা। তখন লোকজন তাকে উদ্ধার করে। তবে মুকুল লোকজনের কাছ থেকে বর্ষাকে শহরে নিয়ে যেতে চায়। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন বর্ষাকে উদ্ধার করে। এরপর তাকে প্রথমে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে খানপুর বাগবাজার এলাকায় কেন বা কীভাবে বর্ষা অচেতন হয় তা জানা যায়নি।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ২৪ এপ্রিল মুকুলকে আটক করে। তবে ওইদিন রাতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। একই দিন আটক করা হয় মুকুলের সহযোগী শিবপুর গ্রামের শফিকের ছেলে নাঈমকে। তাকেও ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিচার না পেয়ে ও থানায় মামলা করতে না পেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বর্ষা। সন্ধ্যায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ। বর্ষাকে আত্মহত্যায় বাধ্য করায় অভিযুক্ত মুকুল, সোনিয়া ও নাঈমকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে করাগারে পাঠানো হয়।
বর্ষার বাবা আবদুল মান্নান জানান, তার মেয়েকে সোনিয়ার মাধ্যমে অপহরণ করে শহরে নিয়ে যৌন নির্যাতন করে মুকুল। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। আপসের কথা বলে আসামিদের আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে। এতেই ক্ষোভে-অভিমানে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার পর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে বর্ষাকে আজ মরতে হতো না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হোসেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মেয়েটি অসুস্থ থাকায় তাকে আমি নিজেই রাজশাহী মেডিক্যালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাকে বলেছিলাম আগে সে সুস্থ হোক পরে মামলার বিষয় দেখা যাবে।’
ওসি আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে মামলার পর তিন জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্ষার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে বোঝা যাবে বর্ষা ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা। আপাতত আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ওই তিন জনের নামে মামলা হয়েছে।’
>>>by দুলাল আব্দুল্লাহ
No comments