রোহিঙ্গা সংকটঃ চীন আগের অবস্থানেই, কী করবে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে চীন দেশটির সরকারকে সম্মত করতে চেষ্টা করবে বলে বেইজিং শুক্রবার ঢাকাকে আশ্বস্ত করেছে।
তবে দু দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চীনা প্রধানমন্ত্রী।
রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকেই চীন রোহিঙ্গা সমস্যার আন্তর্জাতিকীকরণের বিরোধিতা করে দ্বিপাক্ষিক সমাধানের কথা বলে আসছে।
জাতিসংঘেও নানা সময়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আনা নানা প্রস্তাবে বিরোধিতা করে চীন সমস্যা সমাধানের বিষয়টি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের হাতে দেয়ার কথাই বলেছে।
তবে এবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে যাওয়ার আগে ধারণা করা হচ্ছিলো যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনকে আরও বেশি নমনীয় করাতে সক্ষম হতে পারে বাংলাদেশ।
সরকারী কর্মকর্তারাই মূলত এমন ধারণা দিয়েছিলেন গণমাধ্যমে।
এর আগে গত বছরের শুরুতেই কয়েক দফা বৈঠকের পর রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেছিলো বাংলাদেশ। সেসময় ধাপে ধাপে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে রাজী হয়েছিলো মিয়ানমার।
এমনকি প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের দুটি সংস্থার সাথেও চুক্তি করেছিলো তারা। কিন্তু বাংলাদেশ একটি তালিকা দিলেও শেষ পর্যন্ত একজনকেও ফেরত নেয়নি মিয়ানমার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের শিক্ষক রুখসানা কিবরিয়া বলছেন, “এসব বিষয়ে চীনের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তারা আগেও আশ্বাস দিয়েছে। আমরা কি কোনো বৃহৎ শক্তির বিরুদ্ধে দাড়াতে পারবো ? এখানে চীন, রাশিয়া, ভারত, আমেরিকার স্বার্থের সাথে আমাদের স্বার্থের পার্থক্য আছে”।
আর এ স্বার্থের পার্থক্যের কারণেই ক্রমশ রোহিঙ্গা সংকট জটিল হচ্ছে বলে মনে করেন রুখসানা কিবরিয়া। যদিও বাংলাদেশ ও চীনের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর বাংলাদেশী কর্মকর্তারা চীনের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেছেন যে তিনি বলেছেন সমস্যা সমাধানে চীন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে সহায়তার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
যদিও চীনা প্রধানমন্ত্রী এও বলেছেন যে দেশ দুটিকে আলোচনা করেই সমাধান বের করতে হবে। চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলছেন এতে একেবারে নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ চীন আগেও বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে। তবে সামনে চীনের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক তদারকির ব্যবস্থা হলেই বাংলাদেশ বেশি সুফল পাবে বলে মনে করছেন তিনি।
তবে এর আগে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা এসেছেন আবার মিয়ানমারেও গেছেন আলোচনার জন্য।
এর ধারাবাহিকতায় দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেয়া হলেও রাখাইনে সহিংসতার আশংকায় রোহিঙ্গারা যখন যেতে রাজী হলোনা তখন প্রত্যাবাসনে ব্যর্থতার জন্য বাংলাদেশকেই দায়ী করেছিলো মিয়ানমার। অনেকেই মনে করেন মূলত অন্য বৃহৎ শক্তি গুলোর মতো চীনও রোহিঙ্গা ইস্যুতে শক্ত অবস্থান নিচ্ছেনা।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলছেন রোহিঙ্গারা যেনো নিজ দেশে ফেরত যেতে পারে সেজন্য সেখানে প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরিতে চীনকেই রাজি করাতে হবে।
তিনি বলেন, “উদ্বুদ্ধ, উৎসাহিত কিংবা চাপ দেয়া- এ জায়গায় চীনকে নেয়া যাওয়াই গুরুত্বপূর্ণ। এটি কিন্তু এ মূহুর্তে বলা যাবেনা যে চীনের বক্তব্যে তা নেই। আবার আমাদের অনুরোধ অনুযায়ী করবে তাও তারা বলেনি। একটু অপেক্ষা করতে হবে। আশার বিষয় যে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আলোচনা হচ্ছে।”
মিস্টার কবির বলেন এবার যেহেতু প্রধানমন্ত্রী নিজে চীনে গেছেন ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন তাই প্রকাশ্যে যেই বক্তব্যই আসুকনা কেনো রোহিঙ্গা ইস্যুতে সামনে চীনকে আরও সক্রিয় দেখা যাওয়ার সম্ভাবনাও আছে বলেও মনে করেন তিনি।
তবে দু দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চীনা প্রধানমন্ত্রী।
রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকেই চীন রোহিঙ্গা সমস্যার আন্তর্জাতিকীকরণের বিরোধিতা করে দ্বিপাক্ষিক সমাধানের কথা বলে আসছে।
জাতিসংঘেও নানা সময়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আনা নানা প্রস্তাবে বিরোধিতা করে চীন সমস্যা সমাধানের বিষয়টি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের হাতে দেয়ার কথাই বলেছে।
তবে এবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে যাওয়ার আগে ধারণা করা হচ্ছিলো যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনকে আরও বেশি নমনীয় করাতে সক্ষম হতে পারে বাংলাদেশ।
সরকারী কর্মকর্তারাই মূলত এমন ধারণা দিয়েছিলেন গণমাধ্যমে।
এর আগে গত বছরের শুরুতেই কয়েক দফা বৈঠকের পর রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেছিলো বাংলাদেশ। সেসময় ধাপে ধাপে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে রাজী হয়েছিলো মিয়ানমার।
এমনকি প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের দুটি সংস্থার সাথেও চুক্তি করেছিলো তারা। কিন্তু বাংলাদেশ একটি তালিকা দিলেও শেষ পর্যন্ত একজনকেও ফেরত নেয়নি মিয়ানমার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের শিক্ষক রুখসানা কিবরিয়া বলছেন, “এসব বিষয়ে চীনের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তারা আগেও আশ্বাস দিয়েছে। আমরা কি কোনো বৃহৎ শক্তির বিরুদ্ধে দাড়াতে পারবো ? এখানে চীন, রাশিয়া, ভারত, আমেরিকার স্বার্থের সাথে আমাদের স্বার্থের পার্থক্য আছে”।
আর এ স্বার্থের পার্থক্যের কারণেই ক্রমশ রোহিঙ্গা সংকট জটিল হচ্ছে বলে মনে করেন রুখসানা কিবরিয়া। যদিও বাংলাদেশ ও চীনের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর বাংলাদেশী কর্মকর্তারা চীনের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেছেন যে তিনি বলেছেন সমস্যা সমাধানে চীন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে সহায়তার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
যদিও চীনা প্রধানমন্ত্রী এও বলেছেন যে দেশ দুটিকে আলোচনা করেই সমাধান বের করতে হবে। চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলছেন এতে একেবারে নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ চীন আগেও বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে। তবে সামনে চীনের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক তদারকির ব্যবস্থা হলেই বাংলাদেশ বেশি সুফল পাবে বলে মনে করছেন তিনি।
তবে এর আগে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা এসেছেন আবার মিয়ানমারেও গেছেন আলোচনার জন্য।
এর ধারাবাহিকতায় দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেয়া হলেও রাখাইনে সহিংসতার আশংকায় রোহিঙ্গারা যখন যেতে রাজী হলোনা তখন প্রত্যাবাসনে ব্যর্থতার জন্য বাংলাদেশকেই দায়ী করেছিলো মিয়ানমার। অনেকেই মনে করেন মূলত অন্য বৃহৎ শক্তি গুলোর মতো চীনও রোহিঙ্গা ইস্যুতে শক্ত অবস্থান নিচ্ছেনা।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলছেন রোহিঙ্গারা যেনো নিজ দেশে ফেরত যেতে পারে সেজন্য সেখানে প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরিতে চীনকেই রাজি করাতে হবে।
তিনি বলেন, “উদ্বুদ্ধ, উৎসাহিত কিংবা চাপ দেয়া- এ জায়গায় চীনকে নেয়া যাওয়াই গুরুত্বপূর্ণ। এটি কিন্তু এ মূহুর্তে বলা যাবেনা যে চীনের বক্তব্যে তা নেই। আবার আমাদের অনুরোধ অনুযায়ী করবে তাও তারা বলেনি। একটু অপেক্ষা করতে হবে। আশার বিষয় যে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আলোচনা হচ্ছে।”
মিস্টার কবির বলেন এবার যেহেতু প্রধানমন্ত্রী নিজে চীনে গেছেন ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন তাই প্রকাশ্যে যেই বক্তব্যই আসুকনা কেনো রোহিঙ্গা ইস্যুতে সামনে চীনকে আরও সক্রিয় দেখা যাওয়ার সম্ভাবনাও আছে বলেও মনে করেন তিনি।
No comments