গণ্ডারের জুটি যখন ভেড়া by মোরশেদ মুকুল
গণ্ডারের জুটি যখন ভেড়া |
ঢাকার
জাতীয় চিড়িয়াখানার একটি খাঁচা। সেখানে বাস এক গণ্ডারের। এমনিতে এখানে
অস্বাভাবিক কিছু মনে হবে না। অন্যান্য প্রাণীর মতোই আছে গণ্ডারটি। অবশ্য
একাকী সে। তবে এটাও বিরল কিছু নয়। অনেক খাঁচাতেই এমনটি দেখা যায়। একটি বা
দুটি প্রাণি বাস করে অনেক খাঁচায়। জুটির অভাবে অনেক প্রাণিই থাকে নিঃসঙ্গ।
তবে গণ্ডারের খাঁচার সামনে গেলে চক্ষু ছানা বড়া হওয়ার মতো কান্ড। গণ্ডারের
সঙ্গী করে দেয়া হয়েছে একটি ভেড়া। মিলমিশ ও ভাববিনিময়ও খারাপ নয়। গণ্ডার ঘাস
চিবুচ্ছে, পাশে শুয়ে আছে ভেড়া। কোনো রকম হাঁক ডাক নেই। দুটি প্রাণী সবসময়
থাকছে পাশাপাশি। এত দিনে ভাব আদান প্রদানও হচ্ছে তাদের মধ্যে।
দর্শণার্থীদের কেউ পাশের লোককে জিজ্ঞেস করছেন আবার কেউ কোনো একটি মন্তব্য
করে চলে যাচ্ছেন।
হাসিব বিল্লাহ নামের একজন দর্শনার্থী জানান, কর্তৃপক্ষ চাইলে একটি গণ্ডারের ব্যবস্থা করতে পারত। একই খাঁচায় ভেড়া আর গণ্ডার রাখায় দেখতে যেমন বেখাপ্পা লাগছে। আর নানাজনও বাজে সব মন্তব্য করার সুযোগ পাচ্ছে।
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর নজরুল ইসলাম জানান, গণ্ডারটি ২০১১ সাল থেকে একাকী। তার সঙ্গী মারা যাওয়ার শুরুতে নিঃসঙ্গতা দূর করতে প্রাণী বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে তার সাথে একই প্রজাতীর তৃণভোজী ভেড়া রাখা হয়েছে। গণ্ডার ব্যয়বহুল হওয়াতে জুটি ব্যবস্থা করারও কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে এরই মধ্যে আমরা ভারত থেকে গণ্ডার আনার বিষয়ে প্রক্রিয়া চলছে।
এরআগে ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দুটি গণ্ডার আনা হয়। যার মালিক ছিলেন মেনেস নামের এক ব্যক্তি। ২০১৩ সালে অসুস্থ হয়ে মারা যান পুরুষ সঙ্গীটি। তাতে নাওয়া-খাওয়া বন্ধ করে দেয় স্ত্রী গণ্ডার কাঞ্চি। কোনো যত্ম আর সেবাই কাজ হচ্ছিল না। গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড। কাঞ্চির প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে কাজের কাজ কিছুই হলো। পরে যোগাযোগ করা হলো মেনেসের সাথে। মেনেস জানান, তিনি বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে এলে চিড়িয়া খানায়ও ঘুরে আসবেন। যেই কথা সেই কাজ। মেনেস দেশে এলে সোজা দেখতে আসেন কাঞ্চিকে। বুঝতে পারেন কাঞ্চি একাকিত্বে ভুগছে। দীর্ঘ সময় দেখাশুনার পর সংশ্লিষ্টদের পরমার্শ দেন কাঞ্চির খাচায় যেন একটি তৃণভোজী কোনো প্রাণী দেয়া হয়। না হলে সে এভাবেই মারা যাবে।
তার পরামর্শে কাঞ্চির খাচায় একটি স্ত্রী গাড়ল ভেড়া দেয়া হলো। তাতে নিঃসঙ্গতার অবসান হলো কাঞ্চির। চলাফেরা শুরু হলো, খেতে লাগল আবার।
এখন তাদের মধ্যে গড়ে উঠেছে সখ্যতা। দুজন পাশাপাশিই থাকে সব সময়। ঘুমও পাশাপাশি। এখন তারা একে অপরের সুখ দুঃখের সাথী। জুটি অসম হলেও গড়ে উঠেছে তাদের মধ্যে প্রেম।
হাসিব বিল্লাহ নামের একজন দর্শনার্থী জানান, কর্তৃপক্ষ চাইলে একটি গণ্ডারের ব্যবস্থা করতে পারত। একই খাঁচায় ভেড়া আর গণ্ডার রাখায় দেখতে যেমন বেখাপ্পা লাগছে। আর নানাজনও বাজে সব মন্তব্য করার সুযোগ পাচ্ছে।
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর নজরুল ইসলাম জানান, গণ্ডারটি ২০১১ সাল থেকে একাকী। তার সঙ্গী মারা যাওয়ার শুরুতে নিঃসঙ্গতা দূর করতে প্রাণী বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে তার সাথে একই প্রজাতীর তৃণভোজী ভেড়া রাখা হয়েছে। গণ্ডার ব্যয়বহুল হওয়াতে জুটি ব্যবস্থা করারও কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে এরই মধ্যে আমরা ভারত থেকে গণ্ডার আনার বিষয়ে প্রক্রিয়া চলছে।
এরআগে ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দুটি গণ্ডার আনা হয়। যার মালিক ছিলেন মেনেস নামের এক ব্যক্তি। ২০১৩ সালে অসুস্থ হয়ে মারা যান পুরুষ সঙ্গীটি। তাতে নাওয়া-খাওয়া বন্ধ করে দেয় স্ত্রী গণ্ডার কাঞ্চি। কোনো যত্ম আর সেবাই কাজ হচ্ছিল না। গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড। কাঞ্চির প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে কাজের কাজ কিছুই হলো। পরে যোগাযোগ করা হলো মেনেসের সাথে। মেনেস জানান, তিনি বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে এলে চিড়িয়া খানায়ও ঘুরে আসবেন। যেই কথা সেই কাজ। মেনেস দেশে এলে সোজা দেখতে আসেন কাঞ্চিকে। বুঝতে পারেন কাঞ্চি একাকিত্বে ভুগছে। দীর্ঘ সময় দেখাশুনার পর সংশ্লিষ্টদের পরমার্শ দেন কাঞ্চির খাচায় যেন একটি তৃণভোজী কোনো প্রাণী দেয়া হয়। না হলে সে এভাবেই মারা যাবে।
তার পরামর্শে কাঞ্চির খাচায় একটি স্ত্রী গাড়ল ভেড়া দেয়া হলো। তাতে নিঃসঙ্গতার অবসান হলো কাঞ্চির। চলাফেরা শুরু হলো, খেতে লাগল আবার।
এখন তাদের মধ্যে গড়ে উঠেছে সখ্যতা। দুজন পাশাপাশিই থাকে সব সময়। ঘুমও পাশাপাশি। এখন তারা একে অপরের সুখ দুঃখের সাথী। জুটি অসম হলেও গড়ে উঠেছে তাদের মধ্যে প্রেম।
No comments