মোটরসাইকেল দেখলেই প্রশ্ন ‘যাবেন নাকি?’ by রাফসান জানি
রাজধানীর
বিভিন্ন ট্রাফিক সিগন্যাল বা চলার পথে মোটরসাইকেল চালকদের নিয়মিত যে
প্রশ্ন শুনতে হয় তা হলো−‘যাবেন নাকি?’ রাইড শেয়ারিং অ্যাপস ব্যবহার করে
যেসব চালক যাত্রী পরিবহন করেন, তাদের কাছে বিষয়টি স্বাভাবিক হলেও অন্য
চালকদের জন্য এ ধরনের প্রশ্ন বিরক্তিকর বলে জানিয়েছেন তারা। শুধু যাত্রীরা
নয়, মোটরসাইকেল চালকরাও রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের ডেকে গাড়িতে তুলছেন
বলে জানা গেছে।
রাইড শেয়ারিং অ্যাপস ব্যবহারকারী ও সাধারণ চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছর থেকে এই সমস্যা শুরু হয়েছে। যাত্রী ও চালক দুই পক্ষই এর জন্য দায়ী। অ্যাপসের মাধ্যমে সেবা দিয়ে আয় করে আসা মোটরসাইকেল চালকরা হঠাৎই চুক্তিতে যাত্রীসেবা দিতে শুরু করেন। এর ফলে যাত্রীর কাছ থেকে পাওয়া ভাড়ার একাংশ অ্যাপস নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানকে দিতে হচ্ছে না। পুরো টাকাটাই থেকে যাচ্ছে চালকের। অতিরিক্ত আয়ের আশায় চুক্তিতে যাত্রী পরিবহন করছেন তারা। তাদের এই চুক্তিভিত্তিক চলাচলের সুবিধা নিচ্ছেন যাত্রীরাও। অ্যাপসে আসা ভাড়ার তুলনায় কম ভাড়ায় নির্ধারিত গন্তব্যে যাতায়াত করছেন তারা। এ কারণে চলার পথে ফাঁকা মোটরসাইকেল দেখে ডেকে থামান অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা, জিজ্ঞেস করেন−যাবেন নাকি?
উত্তরা থেকে ধানমন্ডি, নিজের মোটরসাইকেলে নিয়মিত যাতায়াত করেন বেসরকারি চাকরিজীবী জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, 'প্রতিটি সিগন্যালে থামার পর ফুটপাত থেকে একটা কমন প্রশ্ন শোনা যায়, যাবেন নাকি? অমুক জায়গায়? না করার পরও উল্টো জিজ্ঞেস করে, কেন যাবেন না? তখন বলতে হয়, আমি পাঠাও বা উবার চালাই না। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডাও হয়। এই সমস্যার সমাধান হওয়া প্রয়োজন। এটা খুবই বিরক্তিকর।’
সাধারণ যাত্রীরা জানান, অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও অনেক সময় অ্যাপসের মাধ্যমে গাড়ি পাওয়া যায় না। আবার কাউকে পাওয়া গেলেও দেখা যায়, অনেক দূরে আছেন, আসতে সময় লাগবে বা পথ চেনেন না। এ ধরনের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়া মোবাইলে ডাটা না থাকলে বা স্মার্ট ফোন না থাকলে অ্যাপসে রাইডার কল করা যায় না।
এসব ঝামেলা এড়াতে চুক্তিতে যাতায়াত করেন বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আরিফ আহম্মেদ। তিনি বলেন, ‘অফিস টাইমে রাইডার পেতে সমস্যা হয়। অনেক সময় অ্যাপসে পাওয়া যায় না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু চুক্তিতে যেতে চাইলে আমি মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে গেলেই ফাঁকা মোটরসাইকেল পাই। এগুলোর চালকরা চুক্তিতে চলাচল করেন। এতে অ্যাপসে আসা ভাড়ার তুলনায় কিছু কমে যাওয়া যায়।’
সেক্ষেত্রে কীভাবে বুঝতে পারেন, একজন মোটরসাইকেল চালক চুক্তিতে যাবেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দেখেই বুঝার উপায় নেই। তবে চালক ও যাত্রীর চোখাচোখি হলে বুঝা যায় উনি যাবেন। কারণ চালকরা যাত্রীর অপেক্ষায় থাকেন। অপেক্ষমাণ কাউকে না পাওয়া গেলে ডেকে জিজ্ঞেস করতে হয়, যাবেন নাকি?’
চুক্তিতে চলাচলকারী মোটরসাইকেল চালকদের একজন ফরহাদ হোসেন। তিনি পাঠাও, সহজ ও উবার-এর অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন করেন। যখন যেটা ব্যবহার করে যাত্রী পাওয়া যায়, সেটাই ব্যবহার করেন। এর বাইরে বিভিন্ন স্টপেজ থেকে চুক্তিতেও যাত্রী পরিবহন করেন তিনি।
চুক্তিতে চলাচলের কারণ হিসেবে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘একটু বেশি ইনকাম হয়, এটা সত্য। তবে যাত্রীদের অনেকে অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন না। তাদের জন্য বাধ্য হয়ে চুক্তিতে যেতে হয়।’
অ্যাপস ব্যবহার না করে চুক্তিতে চলাচল করলে যাত্রী ও চালক দু’জনেরই নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে উভয় পক্ষকেই সতর্ক হওয়া এবং নিয়মবহির্ভূতভাবে চলাচল না করার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ) মো. মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘চুক্তিতে গেলে যাত্রী যেমন হয়রানি বা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন, তেমনি চালকও মোটরসাইকেল ছিনতাইসহ নানা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। ফলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।’
এই সমস্যা সমাধানে কিছু করার নেই বলে জানিয়েছে অ্যাপসের মাধ্যমে যাত্রীসেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা বলছে, চালক ও যাত্রী দু’জনই স্বাধীন। তারা যদি অ্যাপস ব্যবহার না করে চলাচল করেন, তাহলে কিছুই করার নেই। কারণ তারা ফ্রিল্যান্সার।
অ্যাপসভিত্তিক সার্ভিস পাঠাও-এর মার্কেটিং ম্যানেজার নাবিলা মাহবুব বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অ্যাপস ব্যবহার না করে কেউ যদি রাইড নেয়, তাহলে তেমন কিছুই করার নেই। কেউ যদি আমাদের অ্যাপস ব্যবহার করে রাইড নেয়, তখন আমাদের রুলস রেগুলেশন অ্যাপ্লাই করার সুযোগ থাকে। যিনি আমার অ্যাপস ব্যবহার করছেন না, তার ক্ষেত্রে আমাদের রুলস প্রযোজ্য নয়।’
চালক যাতে চুক্তিতে না চলেন সেজন্য নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হয় বলে জানান পাঠাও-এর এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আমরা রাইডার ও ইউজার দুই পক্ষকেই বলে থাকি, আপনারা অ্যাপস ছাড়া চলাচল করবেন না। কারণ এতে অনেক ঝুঁকি রয়েছে। চুরি-ডাকাতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। চুক্তিতে গেলে একটা ঘটনার পর চালক বা যাত্রীকে ওইভাবে ট্রেস করার সুযোগ থাকে না। মিটারে সিএনজি যাবে নাকি চুক্তিতে যাবে অনেকটা এমন অবস্থা। কারণ না রাইডার আমাদের নিজস্ব, না মোটরসাইকেল। এখানে সবাই ফ্রিল্যান্সার।'
সহজ-এর পরিচালক (বিপণন) শেজামি খলিল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অ্যাপ্লিকেশনটির মাধ্যমে একজন যাত্রী একজন ড্রাইভারের মৌলিক ব্যক্তিগত তথ্য জানতে পারে। অন্যান্য যাত্রীর প্রতি তার আচরণ কেমন (রেটিং-এর মাধ্যমে) জানতে পারে। একইভাবে, একজন রাইডার সেবা দেওয়ার আগে যাত্রীর প্রোফাইল জানতে পারে। তাছাড়া, রাইড শেয়ারিং কোম্পানি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের জন্য রাইডার্স এবং যাত্রীদের যথেষ্ট পরিমাণে আর্থিক সহায়তা দেয়। আর্থিক উদ্দীপনা ও সুস্পষ্ট সুরক্ষার দিকগুলো বিবেচনা করে আমরা বিশ্বাস করি, রাইডাররা অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে যাত্রী বহন করবেন।’ যাত্রী ও রাইডার উভয়ের নিরাপত্তার ব্যাপারে ‘সহজ’ সচেতন রয়েছে বলে জানান তিনি।
শেজামি খলিল বলেন, ‘সড়কে যাত্রী বা রাইডারের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে, এমন কোনও আচরণ হচ্ছে কিনা, আমরা তা মনিটর করে থাকি। আমাদের রাইডারদের নজরদারির সিস্টেম রয়েছে। ব্যত্যয় ঘটালে ড্রাইভারকে সতর্ক করা হয়। অস্থায়ীভাবে তার জন্য আমাদের অ্যাপস ব্যবহার স্থগিত রাখা হয় বা প্রয়োজনে আমাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়ে থাকে।’
উল্লেখ্য, যানজট এড়িয়ে সহজে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ২০১৬ সালে চালু হয় মোটরসাইকেলের মাধ্যমে রাইড শেয়ারিং। যাত্রীসেবা ও আয়ের সুযোগ তৈরি হওয়ায় ২০১৭ সালে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। বর্তমানে ১০টিরও বেশি অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
রাইড শেয়ারিং অ্যাপস ব্যবহারকারী ও সাধারণ চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছর থেকে এই সমস্যা শুরু হয়েছে। যাত্রী ও চালক দুই পক্ষই এর জন্য দায়ী। অ্যাপসের মাধ্যমে সেবা দিয়ে আয় করে আসা মোটরসাইকেল চালকরা হঠাৎই চুক্তিতে যাত্রীসেবা দিতে শুরু করেন। এর ফলে যাত্রীর কাছ থেকে পাওয়া ভাড়ার একাংশ অ্যাপস নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানকে দিতে হচ্ছে না। পুরো টাকাটাই থেকে যাচ্ছে চালকের। অতিরিক্ত আয়ের আশায় চুক্তিতে যাত্রী পরিবহন করছেন তারা। তাদের এই চুক্তিভিত্তিক চলাচলের সুবিধা নিচ্ছেন যাত্রীরাও। অ্যাপসে আসা ভাড়ার তুলনায় কম ভাড়ায় নির্ধারিত গন্তব্যে যাতায়াত করছেন তারা। এ কারণে চলার পথে ফাঁকা মোটরসাইকেল দেখে ডেকে থামান অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা, জিজ্ঞেস করেন−যাবেন নাকি?
উত্তরা থেকে ধানমন্ডি, নিজের মোটরসাইকেলে নিয়মিত যাতায়াত করেন বেসরকারি চাকরিজীবী জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, 'প্রতিটি সিগন্যালে থামার পর ফুটপাত থেকে একটা কমন প্রশ্ন শোনা যায়, যাবেন নাকি? অমুক জায়গায়? না করার পরও উল্টো জিজ্ঞেস করে, কেন যাবেন না? তখন বলতে হয়, আমি পাঠাও বা উবার চালাই না। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডাও হয়। এই সমস্যার সমাধান হওয়া প্রয়োজন। এটা খুবই বিরক্তিকর।’
সাধারণ যাত্রীরা জানান, অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও অনেক সময় অ্যাপসের মাধ্যমে গাড়ি পাওয়া যায় না। আবার কাউকে পাওয়া গেলেও দেখা যায়, অনেক দূরে আছেন, আসতে সময় লাগবে বা পথ চেনেন না। এ ধরনের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়া মোবাইলে ডাটা না থাকলে বা স্মার্ট ফোন না থাকলে অ্যাপসে রাইডার কল করা যায় না।
এসব ঝামেলা এড়াতে চুক্তিতে যাতায়াত করেন বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আরিফ আহম্মেদ। তিনি বলেন, ‘অফিস টাইমে রাইডার পেতে সমস্যা হয়। অনেক সময় অ্যাপসে পাওয়া যায় না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু চুক্তিতে যেতে চাইলে আমি মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে গেলেই ফাঁকা মোটরসাইকেল পাই। এগুলোর চালকরা চুক্তিতে চলাচল করেন। এতে অ্যাপসে আসা ভাড়ার তুলনায় কিছু কমে যাওয়া যায়।’
সেক্ষেত্রে কীভাবে বুঝতে পারেন, একজন মোটরসাইকেল চালক চুক্তিতে যাবেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দেখেই বুঝার উপায় নেই। তবে চালক ও যাত্রীর চোখাচোখি হলে বুঝা যায় উনি যাবেন। কারণ চালকরা যাত্রীর অপেক্ষায় থাকেন। অপেক্ষমাণ কাউকে না পাওয়া গেলে ডেকে জিজ্ঞেস করতে হয়, যাবেন নাকি?’
চুক্তিতে চলাচলকারী মোটরসাইকেল চালকদের একজন ফরহাদ হোসেন। তিনি পাঠাও, সহজ ও উবার-এর অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন করেন। যখন যেটা ব্যবহার করে যাত্রী পাওয়া যায়, সেটাই ব্যবহার করেন। এর বাইরে বিভিন্ন স্টপেজ থেকে চুক্তিতেও যাত্রী পরিবহন করেন তিনি।
চুক্তিতে চলাচলের কারণ হিসেবে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘একটু বেশি ইনকাম হয়, এটা সত্য। তবে যাত্রীদের অনেকে অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন না। তাদের জন্য বাধ্য হয়ে চুক্তিতে যেতে হয়।’
অ্যাপস ব্যবহার না করে চুক্তিতে চলাচল করলে যাত্রী ও চালক দু’জনেরই নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে উভয় পক্ষকেই সতর্ক হওয়া এবং নিয়মবহির্ভূতভাবে চলাচল না করার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ) মো. মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘চুক্তিতে গেলে যাত্রী যেমন হয়রানি বা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন, তেমনি চালকও মোটরসাইকেল ছিনতাইসহ নানা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। ফলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।’
এই সমস্যা সমাধানে কিছু করার নেই বলে জানিয়েছে অ্যাপসের মাধ্যমে যাত্রীসেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা বলছে, চালক ও যাত্রী দু’জনই স্বাধীন। তারা যদি অ্যাপস ব্যবহার না করে চলাচল করেন, তাহলে কিছুই করার নেই। কারণ তারা ফ্রিল্যান্সার।
অ্যাপসভিত্তিক সার্ভিস পাঠাও-এর মার্কেটিং ম্যানেজার নাবিলা মাহবুব বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অ্যাপস ব্যবহার না করে কেউ যদি রাইড নেয়, তাহলে তেমন কিছুই করার নেই। কেউ যদি আমাদের অ্যাপস ব্যবহার করে রাইড নেয়, তখন আমাদের রুলস রেগুলেশন অ্যাপ্লাই করার সুযোগ থাকে। যিনি আমার অ্যাপস ব্যবহার করছেন না, তার ক্ষেত্রে আমাদের রুলস প্রযোজ্য নয়।’
চালক যাতে চুক্তিতে না চলেন সেজন্য নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হয় বলে জানান পাঠাও-এর এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আমরা রাইডার ও ইউজার দুই পক্ষকেই বলে থাকি, আপনারা অ্যাপস ছাড়া চলাচল করবেন না। কারণ এতে অনেক ঝুঁকি রয়েছে। চুরি-ডাকাতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। চুক্তিতে গেলে একটা ঘটনার পর চালক বা যাত্রীকে ওইভাবে ট্রেস করার সুযোগ থাকে না। মিটারে সিএনজি যাবে নাকি চুক্তিতে যাবে অনেকটা এমন অবস্থা। কারণ না রাইডার আমাদের নিজস্ব, না মোটরসাইকেল। এখানে সবাই ফ্রিল্যান্সার।'
সহজ-এর পরিচালক (বিপণন) শেজামি খলিল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অ্যাপ্লিকেশনটির মাধ্যমে একজন যাত্রী একজন ড্রাইভারের মৌলিক ব্যক্তিগত তথ্য জানতে পারে। অন্যান্য যাত্রীর প্রতি তার আচরণ কেমন (রেটিং-এর মাধ্যমে) জানতে পারে। একইভাবে, একজন রাইডার সেবা দেওয়ার আগে যাত্রীর প্রোফাইল জানতে পারে। তাছাড়া, রাইড শেয়ারিং কোম্পানি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের জন্য রাইডার্স এবং যাত্রীদের যথেষ্ট পরিমাণে আর্থিক সহায়তা দেয়। আর্থিক উদ্দীপনা ও সুস্পষ্ট সুরক্ষার দিকগুলো বিবেচনা করে আমরা বিশ্বাস করি, রাইডাররা অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে যাত্রী বহন করবেন।’ যাত্রী ও রাইডার উভয়ের নিরাপত্তার ব্যাপারে ‘সহজ’ সচেতন রয়েছে বলে জানান তিনি।
শেজামি খলিল বলেন, ‘সড়কে যাত্রী বা রাইডারের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে, এমন কোনও আচরণ হচ্ছে কিনা, আমরা তা মনিটর করে থাকি। আমাদের রাইডারদের নজরদারির সিস্টেম রয়েছে। ব্যত্যয় ঘটালে ড্রাইভারকে সতর্ক করা হয়। অস্থায়ীভাবে তার জন্য আমাদের অ্যাপস ব্যবহার স্থগিত রাখা হয় বা প্রয়োজনে আমাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়ে থাকে।’
উল্লেখ্য, যানজট এড়িয়ে সহজে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ২০১৬ সালে চালু হয় মোটরসাইকেলের মাধ্যমে রাইড শেয়ারিং। যাত্রীসেবা ও আয়ের সুযোগ তৈরি হওয়ায় ২০১৭ সালে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। বর্তমানে ১০টিরও বেশি অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
No comments