যারা তাবরেজ আনসারীকে হত্যা করেছে তারা সন্ত্রাসী: ওয়াইসি
ভারতের
মজিলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি
বলেছেন, যারা তাবরেজ আনসারীকে হত্যা করেছে তারা সন্ত্রাসী। গণপিটুনিজনিত
বিভিন্ন ঘটনায় মুসলিম যুবকরা নিহত হওয়ার প্রতিবাদে গত শুক্রবার হায়দ্রাবাদে
এক বিক্ষোভ সমাবেশে ভাষণ দেয়ার সময় তিনি ওই মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি বিজেপিশাসিত ঝাড়খণ্ডে চোর সন্দেহে তাবরেজ আনসারী (২৪) নামে এক মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে উগ্রহিন্দুত্ববাদী জনতা। তারা তাবরেজ আনসারীকে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘জয় হনুমান’ ধ্বনি দিতে বাধ্য করে। ওই ঘটনায় দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় দেশের বিভিন্নস্থানে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ হচ্ছে।
শুক্রবার হায়দ্রাবাদের প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ‘মিম’ প্রধান ওয়াইসি বলেন, ‘এসব জালিমদের থেকে ভয় পাবেন না। ওরা কাপুরুষের ফৌজ (বাহিনী) যারা ২৫/৩০ জন একসঙ্গে এক নিরপরাধকে হত্যা করছে।ওরা কাপুরুষ!’ উগ্রহিন্দুত্ববাদীদের তীক্ষ্ণ কটাক্ষ করে ওয়াইসি বলেন, ‘যারা তাবরেজ আনসারিকে হত্যা করেছে তারা ‘গডসে’র অবৈধ সন্তান।যারা তাবরেজ আনসারীকে হত্যা করেছে তারা ভারতের ‘গাদ্দার’ (বিশ্বাসঘাতক), যারা তাবরেজ আনসারীকে হত্যা করেছে তারা সন্ত্রাসী। ওদের এবং আইএসআইএসের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।’
এ ব্যাপারে শনিবার মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন -এর পশ্চিমবঙ্গের আহ্বায়ক জামিরুল হাসান রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘যিনি আইন ভাঙছেন, দেশের আইন ভাঙা মানে দেশের ‘গাদ্দার’। এই যে সম্প্রতি মাঝখানে যেরকম করছে, তাতে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দেশের মুসলিমরা ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন। ওই ঘটনার (গণপিটুনি) বিরুদ্ধে চারদিকে আন্দোলন হচ্ছে। উনি (ওয়াইসি) যেটা বলেছেন একশ’ শতাংশ সঠিক কথা বলেছেন।’
প্রধানমন্ত্রীর নাম না করে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি গতকাল শুক্রবার বলেন, ‘উজিরে আজমের দায়িত্ব হল, প্রত্যেক ভারতবাসীকে রক্ষা করা। কারণ, উনি প্রত্যেক ভারতবাসীর উজিরে আজম।’
এদিকে, গণপিটুনির ঘটনার প্রতিবাদে গুজরাটের সুরাটে বিক্ষোভ-মিছিল হয়। এসময় নানপুরা এলাকায় পুলিশ ওই মিছিল আটকানোর চেষ্টা করলে জনতা মারমুখী হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে এসময় কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতে হয়। উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৪/৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
তাবরেজ আনসারীকে হত্যার প্রতিবাদে একইদিনে ঝাড়খণ্ডে কয়েক হাজার মুসলিম এদিন সড়কে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে এক সমাবেশ থেকে বক্তারা গণপিটুনির ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে দেশে নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।
ঝাড়খণ্ড ‘জন অধিকার মোর্চা’র এক রিপোর্টে প্রকাশ, রাজ্যটিতে বর্তমান বিজেপি সরকারের আমলে কমপক্ষে ১২ জন লোক গণপিটুনিতে মারা গেছে। এদের মধ্যে ১০ জনই মুসলিম। অন্য দু’জন আদিবাসী। অভিযুক্তদের মধ্যে অধিকাংশই হল বিজেপি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও তাদের সহায়ক সংগঠনের সদস্য।
সম্প্রতি বিজেপিশাসিত ঝাড়খণ্ডে চোর সন্দেহে তাবরেজ আনসারী (২৪) নামে এক মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে উগ্রহিন্দুত্ববাদী জনতা। তারা তাবরেজ আনসারীকে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘জয় হনুমান’ ধ্বনি দিতে বাধ্য করে। ওই ঘটনায় দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় দেশের বিভিন্নস্থানে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ হচ্ছে।
শুক্রবার হায়দ্রাবাদের প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ‘মিম’ প্রধান ওয়াইসি বলেন, ‘এসব জালিমদের থেকে ভয় পাবেন না। ওরা কাপুরুষের ফৌজ (বাহিনী) যারা ২৫/৩০ জন একসঙ্গে এক নিরপরাধকে হত্যা করছে।ওরা কাপুরুষ!’ উগ্রহিন্দুত্ববাদীদের তীক্ষ্ণ কটাক্ষ করে ওয়াইসি বলেন, ‘যারা তাবরেজ আনসারিকে হত্যা করেছে তারা ‘গডসে’র অবৈধ সন্তান।যারা তাবরেজ আনসারীকে হত্যা করেছে তারা ভারতের ‘গাদ্দার’ (বিশ্বাসঘাতক), যারা তাবরেজ আনসারীকে হত্যা করেছে তারা সন্ত্রাসী। ওদের এবং আইএসআইএসের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।’
এ ব্যাপারে শনিবার মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন -এর পশ্চিমবঙ্গের আহ্বায়ক জামিরুল হাসান রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘যিনি আইন ভাঙছেন, দেশের আইন ভাঙা মানে দেশের ‘গাদ্দার’। এই যে সম্প্রতি মাঝখানে যেরকম করছে, তাতে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দেশের মুসলিমরা ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন। ওই ঘটনার (গণপিটুনি) বিরুদ্ধে চারদিকে আন্দোলন হচ্ছে। উনি (ওয়াইসি) যেটা বলেছেন একশ’ শতাংশ সঠিক কথা বলেছেন।’
প্রধানমন্ত্রীর নাম না করে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি গতকাল শুক্রবার বলেন, ‘উজিরে আজমের দায়িত্ব হল, প্রত্যেক ভারতবাসীকে রক্ষা করা। কারণ, উনি প্রত্যেক ভারতবাসীর উজিরে আজম।’
এদিকে, গণপিটুনির ঘটনার প্রতিবাদে গুজরাটের সুরাটে বিক্ষোভ-মিছিল হয়। এসময় নানপুরা এলাকায় পুলিশ ওই মিছিল আটকানোর চেষ্টা করলে জনতা মারমুখী হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে এসময় কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতে হয়। উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৪/৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
তাবরেজ আনসারীকে হত্যার প্রতিবাদে একইদিনে ঝাড়খণ্ডে কয়েক হাজার মুসলিম এদিন সড়কে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে এক সমাবেশ থেকে বক্তারা গণপিটুনির ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে দেশে নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।
ঝাড়খণ্ড ‘জন অধিকার মোর্চা’র এক রিপোর্টে প্রকাশ, রাজ্যটিতে বর্তমান বিজেপি সরকারের আমলে কমপক্ষে ১২ জন লোক গণপিটুনিতে মারা গেছে। এদের মধ্যে ১০ জনই মুসলিম। অন্য দু’জন আদিবাসী। অভিযুক্তদের মধ্যে অধিকাংশই হল বিজেপি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও তাদের সহায়ক সংগঠনের সদস্য।
No comments