পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে এক বছরে মৃত্যু ৮০ হাজার, পবা'র প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশে
পরিবেশ দূষণের কারণে এক বছরে ৮০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। তাছাড়া, পরিবেশ
দূষণের কারণে বাংলাদেশের বড় বড় শহরগুলিতে অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে বছরে ৬৫০
কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা (এক
মার্কিন ডলার ৮৪ টাকা হিসেবে)। দূষণের এ ক্ষতি ২০১৫ সালের মোট দেশজ উৎপাদন
বা জিডিপির ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে গতকাল রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজশ্রী পারালকার বলেছেন, নগরাঞ্চলে দূষণ ও পরিবেশের অবনতি হওয়ায় বাংলাদেশকে অনেক মূল্য দিতে হচ্ছে। এর ফলে দেশটির ভালো প্রবৃদ্ধিও এখন হুমকির মুখে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিবেশগত দূষণ ও ঝুঁকির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকার একটি দেশ বাংলাদেশ। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তুলনা করতে গিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সারা বিশ্বে পরিবেশ দূষণজনিত কারণে মৃত্যুর গড় হার যেখানে ১৬ শতাংশ। সেখান বাংলাদেশে মৃত্যু হার ২৮ শতাংশ, ভারতে ২৬ দশমিক ৫, পাকিস্তানে ২২ দশমিক ২,আফগানিস্তানে ২০ দশমিক ৬, শ্রীলঙ্কায় ১৩ দশমিক এবং মালদ্বীপে এই হার ১১ দশমিক ৫ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের হিসেবে দেখা গেছে, বৃহত্তর ঢাকার বাতাসে ভাসমান ক্ষুদ্র ধাতব কণার কারণে প্রায় ১০ লাখ মানুষ দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে। এর ফলে শিশুদের বুদ্ধির বিকাশসহ স্নায়ুজনিত ক্ষতি হচ্ছে। গর্ভপাত এবং মৃত শিশুর জন্মদানের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া, জলাভূমি দখল ও বিপজ্জনক বর্জ্য অনিয়ন্ত্রিতভাবে ফেলাসহ দূষণ ও পরিবেশগত অবনতি নারী, শিশু ও দরিদ্রদের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে ছোট শহরগুলোও পরিবেশ দূষণের শিকার হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান রেডিও তেহরানকে বলেন, পরিবেশবাদীরা এতদিন ধরে যেসব আশংকার কথা বলে আসছিল তা ভয়াবহ সত্য হয়ে বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে। তিনি দেশের পরিবেশ আইন যথাযথভাবে কার্যকর করার জন্য সরকারকে আন্তরিক হবার পরামর্শ দেন।
গতকাল বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পরিবেশমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, ‘বিগত এক দশকে বাংলাদেশ তার নীতি ও আইনগত কাঠামোর উন্নতি করেছে এবং পরিবেশ সংরক্ষণে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে গতকাল রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজশ্রী পারালকার বলেছেন, নগরাঞ্চলে দূষণ ও পরিবেশের অবনতি হওয়ায় বাংলাদেশকে অনেক মূল্য দিতে হচ্ছে। এর ফলে দেশটির ভালো প্রবৃদ্ধিও এখন হুমকির মুখে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিবেশগত দূষণ ও ঝুঁকির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকার একটি দেশ বাংলাদেশ। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তুলনা করতে গিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সারা বিশ্বে পরিবেশ দূষণজনিত কারণে মৃত্যুর গড় হার যেখানে ১৬ শতাংশ। সেখান বাংলাদেশে মৃত্যু হার ২৮ শতাংশ, ভারতে ২৬ দশমিক ৫, পাকিস্তানে ২২ দশমিক ২,আফগানিস্তানে ২০ দশমিক ৬, শ্রীলঙ্কায় ১৩ দশমিক এবং মালদ্বীপে এই হার ১১ দশমিক ৫ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের হিসেবে দেখা গেছে, বৃহত্তর ঢাকার বাতাসে ভাসমান ক্ষুদ্র ধাতব কণার কারণে প্রায় ১০ লাখ মানুষ দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে। এর ফলে শিশুদের বুদ্ধির বিকাশসহ স্নায়ুজনিত ক্ষতি হচ্ছে। গর্ভপাত এবং মৃত শিশুর জন্মদানের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া, জলাভূমি দখল ও বিপজ্জনক বর্জ্য অনিয়ন্ত্রিতভাবে ফেলাসহ দূষণ ও পরিবেশগত অবনতি নারী, শিশু ও দরিদ্রদের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে ছোট শহরগুলোও পরিবেশ দূষণের শিকার হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান রেডিও তেহরানকে বলেন, পরিবেশবাদীরা এতদিন ধরে যেসব আশংকার কথা বলে আসছিল তা ভয়াবহ সত্য হয়ে বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে। তিনি দেশের পরিবেশ আইন যথাযথভাবে কার্যকর করার জন্য সরকারকে আন্তরিক হবার পরামর্শ দেন।
গতকাল বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পরিবেশমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, ‘বিগত এক দশকে বাংলাদেশ তার নীতি ও আইনগত কাঠামোর উন্নতি করেছে এবং পরিবেশ সংরক্ষণে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে।
No comments