আমেরিকা থেকে রাষ্ট্রদূত বহিষ্কারের নির্দেশ: ফিলিস্তিনিদের প্রতিক্রিয়া
আমেরিকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত হেসাম জামলাত |
মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর দখলদার ইসরাইলের অস্তিত্ব
টিকিয়ে রাখার জন্য ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন।
ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে আমেরিকা সবসময়ই ইসরাইলের পক্ষ অবলম্বন করে
আসছে।
এরই অংশ হিসেবে সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন সরকার সেদেশ থেকে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে আমেরিকা ফিলিস্তিন শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থাকে সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। আমেরিকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত হেসাম জামলাত জানিয়েছেন, মার্কিন সরকার তার পরিবারের জন্য ২০২০ পর্যন্ত ভিসা দিলেও এখনই তাদেরকে আমেরিকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। এমনকি মার্কিন সরকার তার পরিবারের ব্যাংক একাউন্টও জব্দ করেছে।
এদিকে, পিএলও'র নির্বাহী কমিটির সদস্য হানান আশরাভি মার্কিন এ পদক্ষেপকে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে প্রতিশোধমূলক হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, এ থেকে নারী ও শিশুসহ নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি আমেরিকার বিদ্বেষ ও নির্মমতা ফুটে উঠেছে।
আমেরিকা গত ১০ সেপ্টেম্বরও ওয়াশিংটনে ফিলিস্তিনিদের কূটনীতিকদের দফতর বন্ধ করে দিয়েছিল। ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষ দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে সরাসরি সংলাপে বসছে না এমন অভিযোগ তুলে দফতর বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। এ ছাড়া, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেছেন, যতদিন পর্যন্ত ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি না হবে ততদিন পর্যন্ত পিএলও'র কোনো রাজনৈতিক দফতরও খোলার অনুমতি দেয়া হবে না। ফিলিস্তিন শরণার্থীদেরকে ৩০ কোটি ডলারের সাহায্য বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পর জন বোল্টন এ কথা জানান।
ওয়াশিংটনে পিএলও'র দফতর বন্ধের এ ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াজ আল মালেকি বলেছেন, এ থেকে প্রমাণিত হয়েছে, আমেরিকা যেকোনো পরিস্থিতিতে দখলদার ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
এ ছাড়া, আমেরিকা আপোষ আলোচনাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের দেয়া অর্থ সাহায্যও বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু ইসরাইলকে দেয়া অর্থ তারা ঠিকই বজায় রেখেছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উত্থাপিত "শতাব্দির সেরা চুক্তি" নামক পরিকল্পনা মেনে নিতে ফিলিস্তিনিদের বাধ্য করার জন্যই আমেরিকা এভাবে চাপ সৃষ্টি করেছে। অথচ ইসরাইল এমন কোনো দিন নেই যে ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যা নির্যাতন চালাচ্ছে না। এমনকি ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের মাতৃভূমির অধিকারকেও অস্বীকার করছে এবং তাদের নিজ ঘরবাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য করছে।
এরই অংশ হিসেবে সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন সরকার সেদেশ থেকে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে আমেরিকা ফিলিস্তিন শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থাকে সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। আমেরিকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত হেসাম জামলাত জানিয়েছেন, মার্কিন সরকার তার পরিবারের জন্য ২০২০ পর্যন্ত ভিসা দিলেও এখনই তাদেরকে আমেরিকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। এমনকি মার্কিন সরকার তার পরিবারের ব্যাংক একাউন্টও জব্দ করেছে।
এদিকে, পিএলও'র নির্বাহী কমিটির সদস্য হানান আশরাভি মার্কিন এ পদক্ষেপকে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে প্রতিশোধমূলক হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, এ থেকে নারী ও শিশুসহ নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি আমেরিকার বিদ্বেষ ও নির্মমতা ফুটে উঠেছে।
আমেরিকা গত ১০ সেপ্টেম্বরও ওয়াশিংটনে ফিলিস্তিনিদের কূটনীতিকদের দফতর বন্ধ করে দিয়েছিল। ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষ দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে সরাসরি সংলাপে বসছে না এমন অভিযোগ তুলে দফতর বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। এ ছাড়া, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেছেন, যতদিন পর্যন্ত ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি না হবে ততদিন পর্যন্ত পিএলও'র কোনো রাজনৈতিক দফতরও খোলার অনুমতি দেয়া হবে না। ফিলিস্তিন শরণার্থীদেরকে ৩০ কোটি ডলারের সাহায্য বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পর জন বোল্টন এ কথা জানান।
ওয়াশিংটনে পিএলও'র দফতর বন্ধের এ ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াজ আল মালেকি বলেছেন, এ থেকে প্রমাণিত হয়েছে, আমেরিকা যেকোনো পরিস্থিতিতে দখলদার ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
এ ছাড়া, আমেরিকা আপোষ আলোচনাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের দেয়া অর্থ সাহায্যও বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু ইসরাইলকে দেয়া অর্থ তারা ঠিকই বজায় রেখেছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উত্থাপিত "শতাব্দির সেরা চুক্তি" নামক পরিকল্পনা মেনে নিতে ফিলিস্তিনিদের বাধ্য করার জন্যই আমেরিকা এভাবে চাপ সৃষ্টি করেছে। অথচ ইসরাইল এমন কোনো দিন নেই যে ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যা নির্যাতন চালাচ্ছে না। এমনকি ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের মাতৃভূমির অধিকারকেও অস্বীকার করছে এবং তাদের নিজ ঘরবাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য করছে।
No comments