মানবতার সেবায় মারুফ কেইন
কেউ
অসুস্থ হয়ে, কেউবা দরিদ্রতার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে মানসিক ভারসাম্য
হারিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর তাদের ঠিকানা হয় রাস্তায় কিংবা স্টেশনে।
অনেকে আবার ফুটপাথের গলিতে পড়ে থাকেন। তাদের আশ্রয় না দিয়ে অনেকে পাগল বলে
গালি দিয়ে তাড়িয়ে দেন। খাদ্য, বস্ত্র ও ঠিকানাহীন এসব মানুষ দিগ্বিদিক
ছুটতে থাকেন। তাদের কেউ খাবারও দেয় না, খোঁজও রাখে না। স্বজনেরা হয়তো
খুঁজতে খুঁজতে একদিন ক্লান্ত হয়ে আসাই ছেড়ে দেন। তাদের শেষ পরিণতি বেওয়ারিশ
লাশ হিসেবে দাফন। অসহায় এসব মানুষদের বিভিন্ন জায়গা থেকে পরম মমতায় তুলে
এনে সেবা করছেন মানবতার সেবায় নিবেদিত কর্মী মারুফ কেইন। তিনি তাদের সেবা
করতে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের হাসিনা নগর এলাকায় গড়ে
তুলেছেন গ্লোরী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের
মাধ্যমেই তিনি সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, মারুফ কেইন একটি বে-সরকারি সংস্থায় ৮ বছর কর্মরত ছিলেন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর ২০১২ সালে চারটি খড়ের আটি, দু’টি চটের বস্তা আর একটি কম্বল দিয়ে টিনশেডের ভাড়া করা ঘরে ফুটপাথে পড়ে থাকা অসহায় এক নারীকে তুলে এনে সেবা দেয়া শুরু করেন। পরে এলাকার মানুষ তার এ কাজ দেখে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। প্রথমে তারা চাল, গ্লাস, প্লেট, মশারি, পুরাতন কাপড় দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। পর্যায়ক্রমে এ কাজের পরিধি বাড়তে থাকলে এক সময় নিজের অর্থে কেনা জমিটুকুও মারুফ দান করেন তার হাতেগড়া সংস্থার নামে। আর সেখানেই এখন গড়ে উঠেছে সংস্থার নিজস্ব অবকাঠামো। বর্তমানে তিনি ১৫ জন অসহায় অজ্ঞাতনামা নারীকে সেখানে সেবা দিচ্ছেন। এ পর্যন্ত তিনি ৩৮ জন অসহায় নারী-পুরুষকে এ সংস্থা থেকে সেবা দিয়েছেন।
গত শুক্রবার সকালে ওই সেবা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেছে, পরম মমতায় সেবা দিচ্ছেন মারুফ কেইন। তাকে একাজে সহযোগিতা করছেন তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত সেবিকা শান্তি রানি সরকার। সেখানে তিনি এলাকার মানুষের সহযোগিতায় তৈরি করেছেন চারটি পাকা কক্ষ। এর মধ্যে তিনটি কক্ষে বর্তমানে ১৫জন অসুস্থ মানুষকে রেখে সেবা দিচ্ছেন তিনি।
এ সময় কথা হয়, গ্লোরী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’র নির্বাহী পরিচালক মারুফ কেইন এর সঙ্গে। তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখনও কিছু অসহায় মানুষ ফুটপাথে পড়ে থেকে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। তাই আমি সবার সাহায্য নিয়ে তাদের সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। সুস্থ হওয়ার পর যারা নাম ঠিকানা বলতে পারছেন তাদের অভিভাবকদের কাছে ফিরিয়ে দিচ্ছি। আর যারা নাম ঠিকানা বলতে পারেন না তাদের এখানেই রাখার ব্যবস্থা করছি।
তিনি আরো বলেন, আমি মাদার তেরেসার জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে মানুষের সেবায় নেমেছি। ভবিষ্যতে মানুষের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এটি বাংলাদেশের মধ্যে মানব সেবায় অনন্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারে বলে তিনি জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুল হক বলেন, আমি নিজে সেখানে গিয়ে অসহায় মানুষদের খোঁজ খবর নিয়েছি। তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক বলেন, ওই সংস্থার কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে। আগামী দিনে এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, মারুফ কেইন একটি বে-সরকারি সংস্থায় ৮ বছর কর্মরত ছিলেন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর ২০১২ সালে চারটি খড়ের আটি, দু’টি চটের বস্তা আর একটি কম্বল দিয়ে টিনশেডের ভাড়া করা ঘরে ফুটপাথে পড়ে থাকা অসহায় এক নারীকে তুলে এনে সেবা দেয়া শুরু করেন। পরে এলাকার মানুষ তার এ কাজ দেখে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। প্রথমে তারা চাল, গ্লাস, প্লেট, মশারি, পুরাতন কাপড় দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। পর্যায়ক্রমে এ কাজের পরিধি বাড়তে থাকলে এক সময় নিজের অর্থে কেনা জমিটুকুও মারুফ দান করেন তার হাতেগড়া সংস্থার নামে। আর সেখানেই এখন গড়ে উঠেছে সংস্থার নিজস্ব অবকাঠামো। বর্তমানে তিনি ১৫ জন অসহায় অজ্ঞাতনামা নারীকে সেখানে সেবা দিচ্ছেন। এ পর্যন্ত তিনি ৩৮ জন অসহায় নারী-পুরুষকে এ সংস্থা থেকে সেবা দিয়েছেন।
গত শুক্রবার সকালে ওই সেবা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেছে, পরম মমতায় সেবা দিচ্ছেন মারুফ কেইন। তাকে একাজে সহযোগিতা করছেন তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত সেবিকা শান্তি রানি সরকার। সেখানে তিনি এলাকার মানুষের সহযোগিতায় তৈরি করেছেন চারটি পাকা কক্ষ। এর মধ্যে তিনটি কক্ষে বর্তমানে ১৫জন অসুস্থ মানুষকে রেখে সেবা দিচ্ছেন তিনি।
এ সময় কথা হয়, গ্লোরী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’র নির্বাহী পরিচালক মারুফ কেইন এর সঙ্গে। তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখনও কিছু অসহায় মানুষ ফুটপাথে পড়ে থেকে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। তাই আমি সবার সাহায্য নিয়ে তাদের সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। সুস্থ হওয়ার পর যারা নাম ঠিকানা বলতে পারছেন তাদের অভিভাবকদের কাছে ফিরিয়ে দিচ্ছি। আর যারা নাম ঠিকানা বলতে পারেন না তাদের এখানেই রাখার ব্যবস্থা করছি।
তিনি আরো বলেন, আমি মাদার তেরেসার জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে মানুষের সেবায় নেমেছি। ভবিষ্যতে মানুষের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এটি বাংলাদেশের মধ্যে মানব সেবায় অনন্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারে বলে তিনি জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুল হক বলেন, আমি নিজে সেখানে গিয়ে অসহায় মানুষদের খোঁজ খবর নিয়েছি। তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক বলেন, ওই সংস্থার কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে। আগামী দিনে এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
No comments